জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- জাম খাওয়ার নিয়ম

জাম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল। সুস্বাদু এ ফলটি আমরা অনেকেই চিনি এবং খেয়ে থাকি। তবে জানি কি জামের পুষ্টিগুন সম্পর্কে, কি হয় জাম খেলে? কি কি উপকার হয় জাম খাওয়ার মাধ্যমে অনেকের সে বিষয়ে ধারনা নেয়। তবে আমরা যাই খাই না কেন, খাবারের উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে খাওয়া উচিত। তাই যারা জাম খান তাদের অবশ্যই জানতে হবে জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকের আর্টিকেলে আমরা জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জেনে যাবেন, জাম খেলে কি হয়। এর সাথে জাম খাওয়ার নিয়ম, জামের বীজের উপকারিতা, জাম খেলে কোনো ক্ষতি হয় কি না এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও জেনে যাবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

জাম খাওয়ার উপকারিতা

জাম খুবই সস্বাদু একটি ফল, শুধু সুস্বাদুই নয় পুষ্টিকরও। জামে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকার। জামের মধ্য থেকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং কার্বোহাইডেসহ বেশ কিছু মিনারেলস পাওয়া যায়। এসব উপাদান জামের মধ্যে থাকায়, জাম খেলে আমরা বিভিন্ন উপকার পেয়ে থাকি। চলুন জেনে নেওয়া যাক জাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি।

  • গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীর হাইড্রেট রাখা প্রয়োজন। আর জাম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর হাইড্রেট থাকে।
  • জাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গরমে আমাদের ঠান্ডাজাতীয় সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়, আর জামে থাকা ভিটামিন সি সেগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • আমাদের শরীরে টক্সিন নামক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর সে ক্ষতিকর পদার্থগুলো জামের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং সি শরীর থেকে বাইরে বের করে আনে।
  • ত্বকের স্বাস্থকে ভালো রাখে জাম, নিয়মিত জাম খেলে ত্বক উজ্জল ও মসৃন হয়। ত্বকের কোলেজন গঠনে করতে সাহায্য করে জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
  • ক্ষতিগ্রস্থ ফুসফুসকে অনেকটাই সুস্থ করতে সাহায্য করে  জাম।
  • শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাই জাম খুবই উপকারী ফল। নিয়মিত জাম খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা অনেকটাই কমে আসে, বিশেষ করে হাঁপানির উপসর্গে ভালো কাজ করে জাম।
  • জামের মধ্যে থাকা ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম দাঁত সুস্থ থাকতে অপরিহার্য। তাই সুস্থ দাঁত পেতে জাম খান।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জাম খুবই উপকারী। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে জাম খাওয়া অপরিহার্য।
  • ব্যকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন সমস্যা আমাদের হয়ে থাকে, সে সমস্যা প্রতিরোধে জাম খুবই উপকারী।
  • ওজন নিয়ন্ত্রনে জামের ভূমিকা রয়েছে। জামের মধ্যে ফাইবার ও ক্যালরি কম থাকে যার কারনে জাম খেলে ক্ষুধা কম লাগে। তাই জাম ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
  • শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যাই জাম খুবই উপকারী। জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমায়।
  • কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে জাম ভালো কাজ করে। জামের মধ্যে থাকা ডায়াটরি ফাইবার, হজম প্রকিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন করে, যার কারনে জাম খেলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে জামের ভূমিকা রয়েছে।
  • হার্টের স্বাস্থ ভালো রাখতে জামের ভূমিকা রয়েছে। জামের মধ্য থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যার ফলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আরো পড়ুনঃ-  মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম

উপরের বলা উপকারগুলো ছাড়াও জামের আরও বেশ কিছু উপকার রয়েছে। তাই জামের উপকারিতাগুলো পেতে হলে গ্রীষ্মকালে নিয়মিত জাম খাবেন।

জাম খাওয়ার নিয়ম

টক মিষ্টি স্বাদের জাম প্রায় আমরা অনেকেই পচ্ছন্দ করি। জামের মধ্য থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারিতা আমরা পেয়ে থাকি। তবে হাজারো স্বাস্থ উপকারিতা থাকলেও জাম খেতে হবে নিয়ম মেনে। পুষ্টিবীদরাও জাম সঠিক নিয়মে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দিনের এমন কিছু সময় আছে যে সময়গুলোতে জাম খাওয়া ঠিক নয়। আবার এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো জামের সাথে খাওয়া ক্ষতিকারক। সে বিষয়গুলো অবশ্যই জাম খাওয়ার আগে জানতে হবে। জাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে তারপর জাম খাবেন, তাহলে স্বাস্থ উপকারিতা বেশি পাবেন এবং জাম খাওয়ার ফলে ক্ষতি হবে না। তো চলুন তাহলে জেনে নিন জাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

  • দৈনিক ১০০ গ্রাম জাম খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারী। এর বেশি প্রতিদিন জাম খেলে স্বাস্থের কিছু ক্ষতি হতে পারে।
  • জাম খালি পেটে অথবা ভরা পেটে খাবেন না। খালি পেটে অথবা ভরা পেটে জাম খেলে পেটজনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: বদহজম, গ্যাসট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সকাল ও দুপুরের মাঝামাঝি সময়টা জাম খাওয়া স্বাস্থের জন্য বেশি উপারী।
  • জামের সঠিক উপকার পেতে হলে জাম খাওয়ার পর পরই পানি খাবেন না। জাম খাওয়ার আধাঘন্টা পর পানি খাবেন অথবা জাম খাওয়ার আগে পানি পান করবেন। এভাবে জাম খেলে স্বাস্থ সুরক্ষিত থাকবে।
  • দুধ বা দুগ্ধজাতীয় কোনো জিনিস জাম খাওয়ার সাথে খাবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে জাম খাওয়ার পর দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারগুলো খেলে শরীরের জন্য সেটা ক্ষতি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার পর দুধ খেলে হজমে সমস্যা হতে দেখা গেছে, তাই জাম খাওয়ার সাথে এসব খাবেন না।
  • জাম অবশ্যই পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর খাবেন। লবন পানি দিয়ে ধুয়েও জাম খাওয়া ভালো।

উপরের নিয়মগুলোর দিকে খেয়াল করে জাম খাবেন। ভুল নিয়মে জাম খেলে স্বাস্থের জন্য সেটা ক্ষতিকর হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

একজক নারীর কাছে গর্ভের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের খুবই সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হয়। খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। কারণ গর্ভাবস্থায়, গর্ভবতী মা যদি সুস্থ থাকে তাহলে গর্ভের সন্তানও সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসবে। তাই গর্ভবতী মায়েরা খাওয়া দাওয়া বিষয়ে অধিক সচেতন থাকে।  অনেক গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় জাম খেতে চান এবং প্রশ্ন করে থাকেন জাম খাওয়া যাবে কিনা। আর জাম খেলে গর্ভাবস্থায় কি কি উপকার হয় সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। জাম গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খেতে পারবেন কোনো অসুবিধা নেয়, শুধু পরিমিত খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় জাম খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় এক নজরে দেখে নিন।

  • গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রায় আয়রনের ঘাটতি হতে দেখা যায়। আর জাম খেলে গর্ভবতী মায়েদের আয়রনের ঘাটতি পূরন হয়।
  • গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা প্রায় হতে দেখা যায়। এ সমস্যা প্রতিরোধ করতে জাম বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। তাই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে জালা থেকে রেহায় পেতে জাম খান।
  • গর্ভবস্থায় প্রায় অনেকের রক্তচাপের সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারনে অনেকের ওজন অস্বাভাবিক ভেবে বেড়ে যায়, যা গর্ভবতী মায়েদের সমস্যাই ফেলে দেয়। এ সমস্যা প্রতিরোধ করতে জাম খান। জামের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।
  • গর্ভের শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে জাম খুবই উপকারী। জাম থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যার কারনে জাম খেলে গর্ভের শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভাবস্থায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারী। আর জামে কম ক্যালোরি থাকায় এটি খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো।
আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর ব্যায়াম

উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন গর্ভবতী মায়েদের জাম খাওয়া কতটা উপকারী। তাই গর্ভবতী মায়ের ও গর্ভের সন্তানের সুস্বাস্থ নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার পরামর্শ নিন। তবে জাম অবশ্যই পরিমিত খাবেন এবং সঠিক নিয়মে খাবেন। আর শরীরে কোনো সমস্যা থাকলে যেমন: ডায়বেটিস, কিডনীর সমস্যা ইত্যাদি যদি থাকে তাহরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জাম খাবার তালিকায় রাখবেন।

জামের বীজের উপকারিতা

জামের বীজের উপকারিতা, শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। তবে আমরা সাধারণত জামের বীজ ফেলে দিয়ে জাম খায়। তবে জামের বীজের মধ্যেও কিছু স্বাস্থ উপকারী গুন রয়েছে। জামের মধ্য থেকেও পুষ্টিগুন পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। জামের বীজ খেতে হলে আগে আপনার জানতে হবে, জামের বীজের উপকারীতা গুলো কি কি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে: ডায়াবেটির নিয়ন্ত্রনে রাখতে জামের বীজের ভূমিকা রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে খুবই চিন্তিত থাকে। তবে জামের বীজ থেকে সহজেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে জামের বীজকে গুড়ো করে, এক চা চামচ গুড়ো করা জামের বীজ নিয়ে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খান। নিয়মিত কয়েকদিন খান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আসবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: গুড়ো করা জামের বীজ, নিয়মিত সকালে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন জামের বীজ খান।

ওজন কমে: আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, খুবই ক্ষতিকারক। তাই ওজনকে কমিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ন। ওজন কমিয়ে আনতে জামের বীজের ভূমিকা রয়েছে। গুড়ো করা জামের বীজ পানির সাথে পান করলে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব।

পেটের সমস্যার সমাধান করে: আমাদের মধ্যে পেটের সমস্যাই পড়ে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। পেটের সমস্যা হলে আমরা ওষুধের মাধ্যমে সেটা সারিয়ে তুলি। তবে প্রতিনিয়ত ওষুধ খেলে কিডনি ও লিভারে সমস্যা হতে পারে। তাই পেটের সমস্যা ঘরোয়া উপায়ে ভালো করতে জামের বীজ বেছে নিন, উপকার পাবেন।

লিভারের প্রদাহ কমায়: জামের বীজ লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুন লিভারের প্রদাহ কমায়।

আরো পড়ুনঃ-  রুপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার - কাঁচা হলুদের ফেইসপ্যাক

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে: আমাদের শরীরে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে না থাকলে হার্ট, কিডনি ও চোখের সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখাটা জরুরি।  আর ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে জামের বীজকে বেছে নিতে পারেন। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে জামের বীজকে গুড়ো করে, পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।

শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়: জামের মধ্য থেকে শক্তিশালী আমিষ পাওয়া যায়। যার কারনে এটি সেবন করার ফলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

খাদ্য হিসাবে জামের বীজ খাওয়া স্বাস্থকর। তাই উপরের বলা স্বাস্থ উপকারিতাগুলো পেতে জামের বীজ ফেলে না দিয়ে জামের বীজ খাবেন।

জাম খেলে কি ক্ষতি হয়

জামের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী, সে বিষয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। জাম খেলে আমাদের শরীরে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে জাম যদি সঠিক নিয়মে খাওয়া হয় তাহলে। আর জাম যদি আপনি নিয়ম মেনে না খান, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জাম প্রতিদিন খান তাহলে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা হতে দেখা যায়। জেনে নিন অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে শরীরের কি ক্ষতি হয়।

ডায়াবেটিস বাড়ে: অতিরিক্ত জাম খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। জামের মধ্যে চিনির উপস্থিতি রয়েছে, যার কারনে অতিরিক্ত জাম খেলে শরীরের মধ্যে সুগারের পরিমাপ বৃদ্ধি পায়। আর এ কারনে অতিরিক্ত জাম খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে পারে: অতিরিক্ত জাম আপনার শরীরের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। জাম যদি অতিরিক্ত খাওয়া যায় তাহলে শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়ে। আর এ কারনে জাম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দাঁতের জন্য ক্ষতিকর: অতিরিক্ত  জাম খাওয়া আমাদের দাঁতের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। জামের মধ্যে থাকা চিনির পরিমাণ দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক।

স্তনদানকারী মায়েদের জন্য ক্ষতিকর: স্তনদানকারী মায়েদেও জন্য জাম অতিরিক্ত জাম খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে দুধ অনেকটাই কমে আসে, তাই সাবধানতার সাথে তাদের জাম খাওয়া উচিত।

হজমের সমস্যা হতে পারে: অতিরিক্ত জাম খেলে খাওয়ার ফলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে দেখা যায়। জামের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যার কারনে অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে দেখা যায়।

অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে: অতিরিক্ত জাম যদি প্রতিদিন খান তাহলে অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেসব উপাদানে অ্যালার্জি হয়, সেসব উপাদান জামের মধ্যে রয়েছে। তাই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত জাম আপনাকে পরিহার করতে হবে।

উপরের অপকারিতাগুলোর দিকে খেয়াল রোখে জাম খাওয়া জরুরি। মাত্রাতিরিক্ত জাম খাওয়া আমাদের সুস্বাস্থের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তাই জামের সঠিক উপকার পেতে সাবধানতার সাথে, সঠিক নিয়মে জাম খাবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- জাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- জাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment