ডায়রিয়া হলে করণীয় – ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া একটি রোগ, যা মানবদেহে দেখা যায়। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন কমপক্ষে  তিনবার বা তার বেশি তরল  প্রকৃতির মলত্যাগ করলে সেটাকে ডায়রিয়া রোগ বলা হয়। ডায়রিয়া হলে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু করণীয় বিষয় আছে, যেগুলো ডায়রিয়া রোগিকে করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ডায়রিয়া হলে কি করতে হবে।

ডায়রিয়া হলে করণীয়

ডায়রিয়ার সমস্যা যাদের হয়ে থাকে তারা আজকের আর্টিকেলটি পড়লে উপকৃত হবেন। কারণ আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হচ্ছে, ডায়রিয়া জনিত সমস্যা এবং এ থেকে সমাধানের উপায় সম্পর্কে। স্বাস্থ সুরক্ষায় বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

পেটের সমস্যা থেকে ডায়রিয়া নামক রোগটি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারনে এ রোগটি হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রামন করলে, দূষিত খাবার বা পানীয় পান করলে, খাদ্যঅভ্যাসের কারনে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে অথবা অতিরিক্ত টেনশন থেকেও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ডায়রিয়া হলে খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কারণ পেটের সমস্যা থেকেই ডায়রিয়া হয়ে থাকে।

ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। যার ফলে শরীর পানি শূন্য হয়ে দুর্বল হয়ে যায়। পানিশূন্যতা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে অনেক সময় রোগিকে বাঁচানো যায় না। তাই  পানিশূন্য দূর করতে এ সময় তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমণে খেতে হবে। ডায়রিয়ার জন্য বিশেষ কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই শুধু পানিশূন্য প্রতিরোধে কিছু খাবার খাওয়া উচিত।

পানি: ডায়রিয়ার সমস্যা হলে প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন। ডায়রিয়া হলে অনেক সময় শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়, শরীরকে দুর্বল করে দেয়। দুর্বলতা কাটাতে অতিরিক্ত পানি পান করবেন।

খাবার স্যালাইন: ডায়রিয়া রোগির খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী একটি খাবার। পানিশূন্যতা প্রতিরোধে স্যালাইন দ্রুত কাজ করে, এটি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া রোগি শক্তি পায়।

ডাবের পানি: ডায়রিয়া রোগির শরীর থেকে অতিরিক্ত লবন ও পানি বের হয়ে যায়। আর এ লবন ও পানির ঘাটতি দূর করতে ডাবের পানি সহায়ক ভুমিকা রাখে।

ভাতের মাড়: ডায়রিয়া রোগির জন্য উপকারি একটি খাবার হলো ভাতের মাড়। তাই ডায়রিয়া হলে ভাতের মাড় খেতে পারেন।

চামড়া ছাড়া মুরগি: ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রনে চামড়া ছাড়া মুরগি খাওয়া ভালো। এটি খাওয়ার ফলে  ডায়রিয়া কন্ট্রোলে আসে এবং রোগির শরীরে শক্তির জোগান দেয়।

ফলের রস: ফলের রস থেকে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। তাই ডায়রিয়া হলে কমলা, ডালিম এসব ফলের রস করে খাবেন।

চিড়ার পানি: চিড়ার পানি থেকে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। তাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিরা চিড়ার পানি খাবেন।

শরীরের দুর্বলতা কাটাতে এসব খাবার ডায়রিয়া হলে খাবেন। বিশেষ করে তরল জাতীয় এবং নরম খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এসব খাবার রোগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে সাহায্য করে। তবে শুধু এসব খাবার খাবেন না, সাথে স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারবেন। শুধু তেল মসলার দিকে খেয়াল রেখে খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় - এলার্জি কত ধরনের

শিশুর  ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

বড়দের মতো শিশুদেরও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। বড়দের তুলনায় এ সমস্যা শিশুদের মধ্যে তুলনমূলকভাবে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শিশুদের এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এছারাও শিশুদের দেহে ভাইরাস সংক্রামন ডায়রিয়া হওয়ার বিশেষ কারণ। ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে শিশুদের  পানিশূন্যতা হয়। ডায়রিয়ার আক্রান্ত শিশুর সঠিক যত্ন মায়েরা না নিলে শিশুর প্রানঘাতি হতে পারে। তাই এ সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ডায়রিয়া হলে শিশুরা অস্থিরতা অনুভব করবে, বার বার বমি করবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত জেনে নিন-

ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি ও লবন বের হয়ে যায়, যার ফলে শিশু পানিশূন্যতায় ভোগে। তাই শিশুর পানিশূন্যতা দূর করতে আক্রান্ত শিশুর খাবারের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর বয়স যদি ৬ মাসের কম হয়, তাহলে শিশুকে কিছুক্ষন পর পর মায়ের বুকের দুধ দিন। এর পাশাপাশি অন্য কোনো খাবার শিশুদের দিবেন না।

শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হলে, শিশুকে প্রথমত পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন পানি খাওয়াবেন। এছারাও স্যালাইন, লেবুর সরবত, গুড়ের শরবত,ফলের জুস, ভাতের মাড়, ডাবের পানি, লাচ্ছি, মাখন, দই এসব খাওয়াবেন। পটাশিয়ামযুক্ত খাবার কলা, আম, পেঁপে, কমলাসহ টক জাতীয় ফলগুলো খাওয়াবেন, এগুলো শিশুদের শরীরে লবন ও পানির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এছারাও স্বাভাবিক খাবারগুলো যেমন খিচুরি, আলু সিদ্ধ, কলা সিদ্ধ, মুরগির মাংসের স্যুপ, মাছ, শাকসবজি  প্রভৃতি খাবারগুলো দিতে পারেন। অনেকেই এসব খাবার দিতে বারণ করলেও এসব খাবার ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে খাওয়াবেন। কারণ এসব খাবার না খাওয়ার ফলে শিশুদের পুষ্টিজনিত সমস্যা হতে পারে। আর এসব খাবার শিশুদের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করে।

ডায়রিয়া শিশুদের খাবার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, যে খাবারগুলো খাওয়াবেন, স্যালাইনসহ অনান্য খাবার অবশ্যই অতিরিক্ত খাওয়াবেন না। রান্না করা খাবারগুলোতে অতিরিক্ত তেল মসলা এড়িয়ে চলবেন, বাইরের জুসসহ যেকোনো খাবার  এবং শক্ত জাতীয় খাবারসহ যে খাবারগুলো হজমে সমস্যা হয় সে খাবারগুলো মোটেও শিশুকে দিবেন না।

ডায়রিয়ার সমস্যায় আক্রান্ত শিশুকে বাড়িতে নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা, তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। পাশাপাশি উপরের বলা খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াবেন।

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতা পূরনের জন্য এমন কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেতে পারেন। পানির ঘাটতি পূরনের জন্য বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি ওষুধ আপনি খেতে পারবেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। ডায়রিয়ার সমস্যা হলে বাড়িতে শুধু আপনি ওষুধ হিসেবে স্যালাইন এবং পাশাপাশি একটি জিংক ট্যাবলেট প্রতিদিন খেতে পারবেন। এছার ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।

বাজারে বিভিন্ন দোকানে বা বিভিন্ন পরিবারের মানুষরা ডায়রিয়া হলে এমন কিছু ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, লপেরামাইড, কোডিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজলসহ, বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বলে। তবে ডাক্তারের পরমর্শ ছাড়া এসব ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক নয়।

আরো পড়ুনঃ-  রাজশাহীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার - গাইনি ডাক্তারের তালিকা রাজশাহী

ডায়রিয়ার সমস্যাই পেটে অস্বস্তি হয়, বারবার টয়লেট যেতে হয় যার ফলে আমরা ওষুধ খুঁজি। তবে ডায়রিয়ার সমস্যাই ছোটদের দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেও আমরা বড়রা দ্রুত ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বাড়িতে খাবার স্যালাইন এবং পানিশূন্যতা দূর হয় এমন খাবারগুলো খেয়ে প্রথমে দেখা যেতে পারে।  অনেক সময় ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেলেই ভালো হয়ে যায়, ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে জটিল কোনো লক্ষন প্রকাশ পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। লক্ষনগুলো জেনে নিন-

  • অতিরিক্ত পেটে ব্যাথ্যা
  • রক্ত বা আঠালো কোনো জাতীয় পায়খানার রাস্তায় বের হওয়া
  • বাড়িতে স্যালাইন বা পানিশূন্যতা পূরনের খাবারগুলো খেয়ে ডায়রিয়ার অবস্থার উন্নতি না হওয়া
  • শরীরের তাপামত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে চলে যাওয়া

উপরের এ লক্ষনগুলো প্রকাশ পেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না।

ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

ডায়রিয়ার জন্য অনেক সময় আমরা নিজেরা দায়ী থাকি। সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে অনেক সময় ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। ডায়রিয়ার সমস্যা হলে আমাদের সবধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা হয় ফলে ডায়রিয়ার সমস্যা ভালো না হয়ে আরও বেড়ে যায়। ডায়রিয়া হলে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে কোন খাবারগুলো ডায়রিয়া হলে খাওয়া যাবেনা এবং খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। জেনে নিন ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে না।

ফল: উচ্চমাত্রায় ফাইবার আছে এমন ফল ডায়রিয়া হলে খাওয়া যাবে না। উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে এমন ফলগুলোর মধ্যে আপেল , নাশপাতি রয়েছে।

চিনি জাতীয় খাবার: চিনি জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার ডায়রিয়া রোগিদের খাওয়া যাবে না।

ক্যাফেইন: ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা, কফি ডায়রিয়ার সমস্যাকে আরও জটিল করে দেয়। তাই ডায়রিয়া হলে এ খাবার বাদ দিন।

মসলাযুক্ত খাবার: মসলাযুক্ত খাবার মলের পরিমান বাড়িয়ে দেয় যার ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই মসলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না।

দুধ বা দুধজাতীয় খাবার: দুধে হজমে সমস্যা হয়, তাই ডায়রিয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত দুধ বা দুধজাতীয় কোনো খাবার খাবেন না।

তৈলাক্ত বা ঝাল খাবার: তেলে ভাজা খাবার পাশাপাশি ঝাল খাবার ডায়রিয়া রোগিদের এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবারে গ্যাস হয়, ফলে ডায়রিয়ার সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

মদ্যপান: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তিরা মদ্যপান সহ বিভিন্ন অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ডায়রিয়া প্রথমে জটিল হয় না, সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করলে এ রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

কি খেলে পাতলা পায়খান বন্ধ হয়

ব্যকটেরিয়াজনিত একটি রোগ হলো ডায়রিয়া। ডায়রিয়ার সমস্যা হলে অতিরিক্ত তরল বা পাতলা আকারে মল বের হয়। ডায়রিয়া থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হচ্ছে নিজেদের সচেতন থাকা। তাহলেই এ রোগ মোকাবেলা করা যাবে। ডায়রিয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এমন খাবার খেতে হবে যাতে পাতলা পায়খানা হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে পাতলা পায়খান বন্ধ করা যায়। অনেকেই পাতলা পায়খানা কি খেলে বন্ধ করবেন প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি খেলে পাতলা পায়খান বন্ধ হয়-

আরো পড়ুনঃ-  কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - ভিটামিন এর কাজ কি

ডালিম: পাতলা পায়খান বন্ধ করতে আপনি ডালিম ফল খেতে পারেন। পাতলা পায়খানার সমস্যাকে অনেক কমিয়ে আনবে। তবে যেকোনো ফল পাতলা পায়খানায় কম করে খাবেন। কারণ হজমে সমস্যা হতে পারে। শুধু মল শক্ত করতে অল্প করে খেলেই হবে।

আঙ্গুর: পাতলা পায়খানাকে দূর করতে আঙ্গুর ফল খাবেন।

আপেল: পাতলা পায়খানা হলে আপেল খাবেন, আপেলে থাকা পেকটিন নামক উপাদান মলকে শক্ত করে।

দারুচিনি ও মধু: এক গ্লাস উষ্ম জলের মধ্যে এক চা চামচ দারুচিনি গুড়ো ও এক চা চামচ খাঁটি মধু ভালোভাবে মিশিয়ে, সকালে খালি পেটে পান করুন। পাতলা পায়খানার সমস্যা অনেকটায় কমিয়ে আনবে।

মেথি: মেথি পাতলা পায়খানার সমস্যা সমাধানে উপকারি একটি উপাদান। পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে দুই চা চামচ শুকনো মেথি গুড়া নিয়ে এক গ্লাস জলের সাথে মিশিয়ে পান করুন, আরাম পাবেন।

কাঁচ কলা: পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে প্রাচীন কাল থেকে কাঁচ কলার ব্যবহার হয়ে আসছে। কাঁচকলা সেদ্ধ করে দিনে কয়েকবার খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়। কাঁচকলায় থাকা আয়রন, পটাশিয়াম মলকে শক্ত করতে ভুমিকা রাখে।

দই বা ঘোল: দই বা ঘোল পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ভুমিকা রাখে। তাই পাতলা পায়খানার সমস্যা হলে বন্ধ করতে দই বা ঘোল খাবেন।

ওটস: পাতলা পায়খানার সমস্যা হলে ওটস খাবেন। ওটসের মধ্যে জল শুষে নেওয়ার ক্ষমতা আছে , যার ফলে মলকে সহজেই শক্ত করে।

সরিষার বীজ: সরিষার বীজে কিছু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে  যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে উপকারি ভূমিকা পালন করে থাকে। এ গ্লাস পানিতে, দুই  থেকে চার চা চামচ সরিষার বীজ মিশিয়ে এ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর  এ পানি দিনে তিন থেকে চারবার  পান করুন।

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সমস্যা হলে উপরের বলা খাবার গুলো খাবেন এবং যে খাবার গুলো খাওয়া যাবে না সেগুলো এড়িয়ে চলবেন। শরীরের অবস্থান বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডায়রিয়ার সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন। সতর্ক হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সাস্থকর পরিবেশে থাকবেন, বিশুদ্ধ পানি পান করবেন, পঁচা বাসি খাবার এড়িয়ে চলবেন, স্যানিটারি পাকা পায়খানা ব্যবহার করবেন, মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুবেন,  সর্বপরি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকবেন। এভাবে চলাফেরা করলে শুধু ডায়রিয়ার সমস্যা নয়, বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ডায়রিয়া হলে করণীয় – ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডায়রিয়া হলে করণীয় – ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment