বর্তমানে মানবদেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরনের বিশেষ একটি খাদ্য উপাদান হলো ডিম। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য ডিম খাওয়া সুস্বাস্থের জন্য ভালো। ডিমে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডিম খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়, তবে এ উপকারের কথা আমরা সবাই জানিনা। তাই ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেই মতবাদ সৃষ্টি করে থাকি। অনেকেই বলে থাকি ডিম খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো নয়, ডিমে এলার্জি হয়। তবে সব ডিমে এবং সবার ক্ষেত্রে ডিমে এলার্জি বা ক্ষতি হয় না। আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করবো দেশি মুরগির ডিম সম্পর্কে।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লেই জানতে পারবেন দেশি মুরগির ডিমে কি কি পুষ্টিগুন থাকে, মুরগির ডিমের উপকারিতা কি, মুরগির ডিমে এলার্জি আছে কি না এবং সেই সাথে জানিয়ে দেব ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক আছে কি না। চলুন শুরু করা যাক দেশি মুরগির ডিম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা
ডিম খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার, তার সাথে সুস্বাস্থের জন্য বেশ উপকারি। ডিম আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি, বিভিন্ন রান্নার স্বাদ বাড়াতেও কিন্তু ডিম খুবই উপকারি। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সুস্বাস্থের জন্য দেশি মুরগির ডিমে বেশি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। কারন দেশি মুরগির খাবার প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়ে থাকে। ডিম আমাদের শরীরের স্বাস্থের জন্য যেমন উপকারি তেমনি ভাবে আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থের জন্য ডিম উপকারি। ডিম দিয়ে আমরা বিভিন্ন প্যাক বানিয়ে চুল ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারি, এতে চুল ও ত্বক ভালো থাকবে। ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেই মনে করি ডিমের সাদা অংশ শরীরের জন্য ভালো, কুসুম খাওয়া সুস্বাস্থের জন্য ভালো নই। তবে এ ধারনা সম্পূর্ন ভুল প্রতিদিন কুসুমসহ দুইটা দেশি মুরগির ডিম খেলে স্বাস্থের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দৈনিক কুসুুমসহ একটি ডিম খেতে বলেছেন। তবে কেউ কেউ বলেন সুস্থ মানুষেরা দুটি করে এবং যাদের হার্ট বা শরীরে অন্য কোনো সমস্যা আছে, তারা একটি করে ডিম খাবেন।
ডিম আমার সবাই খাই, কেউ সেদ্ধ করে কেউ অমলেট বানিয়ে অথবা কেউ রান্না করে। তবে ডিমের উপকার সম্পর্কে জানি কি? যদি জানা না থাকে তাহলে জেনে নিন, দেশি মুরগির ডিমে কি উপকার পাওয়া যায়।
- প্রোটিনের সবথেকে ভালো উৎস হলো ডিম। যা খাওয়ার ফলে হাড় শক্ত ও মজবুত হয়।
- গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির এক ভালো উৎস হলো ডিম। নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খেলে গর্ভের শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে এবং সুস্থ থাকে। গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ডিম রাখুন।
- ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ’ যা আমাদের চোখের স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। প্রতিদিন ডিম খেলে চোখ সুস্থ থাকবে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ডায়াবেটিস রোগিদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একটি করে ডিম রাখুন।
- দুর্বল শরীরে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবেন। শরীরের শক্তি ও এনার্জি এনে দিবে।
- ত্বকের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন, তাহলে নিয়মিত ডিম খান ত্বক হবে উজ্জল ও নমনীয়।
- ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ ভালো রাখে এবং মাংসপেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- নখ ও চুলের স্বাস্থ ভালো থাকে নিয়মিত ডিম খেলে। ডিমে থাকে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামাইনো এসিড যা আমাদের হাতের নখ ও চুলের স্বাস্থকে ভালো রাখে।
- নিয়মিত ডিম খেলে স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গবেষনায় দেখা গেছে সপ্তাতে ৬ টি ডিম খেলে স্তনে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে।
- প্রতিদিন ডিম খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যার সমাধান হয়। ডিমে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যার সমাধান করে।
- সর্দি, ঠান্ডা, জ্বর , কাশিকে দুরে রাখে ডিম। এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সিদ্ধ করে ডিম খান।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে ডিম, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখুন। ডিম খেলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব জায়গায় উপকার পাওয়া যায়। তবে ডিম অতিরিক্ত তেল মসলা দিয়ে রান্না বা ভাজা যাবে না। এতে ডিমের পুষ্টিগুন হারিয়ে যায়। সিদ্ধ ডিম স্বাস্থের জন্য বেশি উপকারি। তবে যাদের শরীরের কোলেস্টরের মাত্রা বেশি থাকেনা, তারা অল্প তেল দিয়ে, অল্প সময় দিয়ে ডিম ভেজে খেতে পারেন।
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুন
ডিমে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পুষ্টির ঘাটতি পূরনে ডিম অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন একটি খাবার। ডিমের মধ্যে থাকে প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন এ’, ভিটামিন ই’, ডি, কে, সি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসেয়িাম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগসেনসিয়াম, জিঙ্ক, ৯ ধরনের অ্যামাইনো এসিডসহ আরও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ডিমের মধ্যে রয়েছে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ডিম খাওয়ার ফলে। পুষ্টি উপাদান খাদ্যের তালিকায় প্রথমেই ডিম আসে। ডিমকে প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের প্রধান উৎস বলা হয়ে থাকে। ডিম খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার মেলে সেটা আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
ডিমের এত পুষ্টি উপাদান থাকা সত্তেও ডিম নিয়ে মানুষের কিছু ভুল ধারনা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ডিমের কুসুম নিয়ে মানুষের যত ঝামেলা। তবে ডিম খেলে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। আপনার শরীরে হার্টের সমস্যা থাকলেও কুসুমসহ প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারবেন।
কোন ধরনের ডিমে পুষ্টি বেশি
ডিম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, প্রায় সবধরনের ডিম আমরা খাবার তালিকায় রেখে থাকি। হাঁস, মুরগি, ব্রয়লারসহ বিভিন্ন পাখির ডিম আমরা খেয়ে থাকি। তবে জানি কি কোন ধরনের ডিমে পুষ্টি বেশি আর কিভাবে খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। তাহলে জেনে নিন কোন ধরনের ডিমে পুষ্টি বেশি থাকে।
ডিম মুরগির হোক অথবা হাঁসের সব ডিমের মধ্যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যেসব হাঁস-মুরগিকে বেশি পরিমানে ওমেগো থ্রি ফ্যাটি এসিড কিংবা ভিটামিন এ’ ও ভিটামিন ই’ যুক্ত ফিড খাওয়ানোর হয় সেসব হাঁস-মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি থাকে। দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিমের যদি তুলনা করা হয় তাহলে ফার্মের মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি থাকে। তবে ফার্মের মুরগিকে যদি খাওয়ানো হয় শামুকের গুঁড়া, খৈল, শুটকি মাছের গুঁড়া, গম, ভুট্রাসহ অনেক ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। ফার্মের মুরগির ডিম, দেশি মুরগির ডিমের থেকে আকারে বড় হয়। তবে এখনকার গবেষনায়, ফার্মের মুরগির মধ্যে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কিছু খামারিরা এসব ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে ফার্মের মুরগির খাবার তৈরি করছে। তাই ফার্মের মুরগির ডিম এখন বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠছেনা।
হাঁস ও মুরগির ডিমের পুষ্টি গুনাগুন বিবেচনা করলে দেখা যায়- মুরগির ডিমের থেকে হাঁসের ডিম আকারে বড় হয়। ওমেগো থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ’, প্রোটিনসহ বিভিন্ন উপাদান হাঁসের ডিমে বেশি রয়েছে। মুরগির ডিমের থেকে হাঁসের ডিমে আয়রনের পরিমানও বেশি থাকে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায় হাঁসের ডিমে পুষ্টি বেশি রয়েছে। তবে হাঁসের ডিমে পুষ্টি বেশি থাকলেও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেশি থাকে। তাই যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে, তারা হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো।
কোয়েল পাখির ডিম খেলেও স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারি। কোয়েল পাখির ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম থাকে। তাই এ ডিম খাওয়া বেশ উপকারি। বয়স বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত ডিম খেতে নিষেধ করেন, সেক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম বয়স্কদের খাওয়াতে পারেন। দেহের বিভিন্ন শরীরবৃত্তিও কাজে সহায়ক হয় কোয়েল পাখির ডিম।
কোন ধরনের ডিম বেশি পুষ্টি, সেটা নির্ভর করবে হাঁস ও মুরগির খাবারের ওপর। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যত বেশি হাঁস-মুরগিকে খাওয়ানো হবে, সে অনুযায়ী ডিমে পুষ্টি বাড়বে। দেশি অর্থাৎ বাড়িতে পালিত হাঁস-মুরগির ডিম খাওয়ার জন্য বেশি উপকারি বলে আমরা মনে করি। কারন এ ডিম সম্পূর্ন পাকৃতিক উপায়ে তৈরি এবং বাড়িতে পালিত হাঁস- মুরগির ডিমে ক্ষতিকর কোনো উপাদান মিশিয়ে খাবার তৈরি করা হয় না। তবে হাঁসের ডিম বেশি বড় হওয়ায়, এ ডিম শরীরে বেশি শক্তির জোগান দেয়। সুুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে হাঁসের ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারি, কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা আছে, তারা হাঁসের ডিম খাবেন না। সুতরাং সব ধরনের ডিমে সবার জন্য উপকারের মাত্রা একই নয়।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ডিম কিভাবে খেলে পুষ্টি উপাদান বেশি পাওয়া যায়। তাদের জন্য বলবো ডিমের যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পেতে চান তাহলে অবশ্যই সিদ্ধ ডিমটায় খাবেন।
মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে
পুষ্টিগুনে ভরপুর ডিম প্রায় আমরা সবাই খেতে পচ্ছন্দ করি। ডিম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডিম খেলে আমাদের শরীরে নতুন করে শক্তির সঞ্চার ঘটে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয় একটি মাত্র ডিম খেলে। ডিম আমরা যারা খাই, তাদের মনে প্রায় প্রশ্ন আসে ডিম খেলে এলার্জি হয় কিনা। অনেকেই আমরা ভাবি মুরগির ডিম খেলে অ্যালার্জি হয়। ফলে আমরা অনেকেই ডিম খাই না। তবে মুরগির ডিম খেলে সবার ক্ষেত্রে এলার্জি হয় না। তাই প্রথমে ডিম খেয়ে দেখুন, যদি অ্যালার্জির লক্ষনগুলো আপনার শরীরে প্রকাশ পায়, তাহলে ডিম খাবেন না। ডিম খেলে অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা অনেকেই আমরা বুঝতে পারি না। তারা জেনে নিন ডিম খেলে এলার্জি জনিত কি কি লক্ষন গুলো প্রকাশ পায়।
- অ্যালার্জির কারনে চোখে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল এবং ফুলে যাওয়া এসব লক্ষন প্রকাশ পেলে বুঝবেন আপনার অ্যালার্জির কারনে এসব হচ্ছে।
- ডিম থেকে অ্যালার্জি হলে তল পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, মাথা ধরা, ডায়রিয়া এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীর অনবরত চুলকাতেই থাকে এবং শরীরের ত্বক লাল ও ত্বকের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যেতে পারে।
- হাঁচি, কাশি, এবং হাঁপানি ও শ্বাসপ্রশাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে অ্যালার্জির কারনে।
- গলার কিছু পরিবর্তন দেখা যায় অ্যালার্জির কারনে, গলা ফুলে যায় ও ব্যাথা করে।
- বুক ধরফর করা, দম বন্ধ হয়ে আসা এবং রাতে ভালো ঘুম না আসা এসব এলার্জির কারনে হতে পারে।
উপরের লক্ষন গুলো যদি আপনার শরীরে ডিম খাওয়ার পর প্রকাশ পায়। তাহলে ডিম না খাওয়াই ভালো। তারপরেও যদি আপনি ডিম খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে খেতে পারেন। সব ধরনের ডিমে অ্যালার্জি হয় না এবং সবার ক্ষেত্রে ডিম খেলে অ্যালার্জি হয় না। যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে তাদের বেশি ডিম খেলে অ্যালার্জি হয়। তবে অ্যাজমা রোগিরাও আগে ডিম খেয়ে দেখুন, অ্যালার্জির লক্ষনগুলো প্রকাশ পেলে আর খাবেন না।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
ব্রয়লার মুরগির ডিম জনপ্রিয় একটি খাবার। ব্রয়লার মুরগির একটি ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সবার উচিত স্বাস্থ ভালো রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া। সুস্বাস্থের জন্য যেসব উপাদান আমাদের শরীরে প্রয়োজন তা প্রায় সকল উপাদান ডিমের মধ্যে রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম খেলে আমাদের মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এখনকার খামারিরা ব্রয়লার মুরগিকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু উপাদানে তৈরি খাবার মুরগিকে খাওয়াচ্ছে। ফলে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে এ ডিম।
ব্রয়লার মুরগিকে ক্ষতিকর এসিড যুক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ বাড়ার বদলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বেশির ভাগে ব্রয়লার মুরগির মধ্যে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া ও জীবানু রয়েছে। যার ফলে এসব মুরগির ডিমে পুষ্টি উপাদান থাকার বদলে, ক্ষতিকর উপাদান থাকছে। যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির স্বাস্থ বৃদ্ধি করতে এখন মুরগিকে অধিক পরিমানে চর্বিযুক্ত ক্যাটল ফিডগুলো খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে এসব মুরগির ডিমে প্রচুর চর্বি থাকছে। আর অধিক পরিমানে চর্বিযুক্ত ডিম খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো নয়।
সব ব্রয়লার মুরগির ডিম স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর, এটা বলা ভুল। মুরগির খাবারের ওপর ডিমের পুষ্টি নির্ধারিত। ব্রয়লার মুরগিকে যদি ভালো মানের খাবার দেওয়া হয়, তাহলে সব ধরনের ডিমের থেকে ব্রয়লার মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি থাকে। আমরা তো ডিম দেখে আর চিনতে পারবোনা মুরগিকে ঠিক কেমন খাবার দেওয়া হয়। তাই পরিশেষে বলতে চাই, ডিমের যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পেতে চান তাহলে বাড়িতে পালিত দেশি হাঁস ও মুরগির ডিম প্রতিদিন সিদ্ধ করে একটি অথবা দুটি খাবেন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা – মুরগির ডিমের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা – মুরগির ডিমের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।