দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় – দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ

দাঁতের সমস্যা নিয়ে আমরা প্রায় সবাই ভোগান্তিক। বিভিন্ন কারনে আমাদের দাঁতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে সমস্যা থেকে বাঁচতে রুট ক্যানেল চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। দাঁতের সমস্যার একটি  চিকিৎসার নাম হলো রুট ক্যানেল। দাঁতকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহন করা হয়। দাঁতকে সুরক্ষা করার জন্য প্রায় এখন রুট ক্যানেল করা হচ্ছে। তবে রুট ক্যানেল কখন করবো, রুট ক্যানেল কতটা নিরাপদ, রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী থাকে এবং এটি করার জন্য কত খরচ হয় এমন প্রশ্ন অনেকের মধ্যে আসে। তবে সঠিক তথ্য আপনাদের  জানা নেই। সঠিক তথ্য জানতে হলে আমাদের আর্টিকেল টি পুরোটাই পড়বেন। মূলত আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ সম্পর্কে।

দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয়

দাঁত আমাদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ন একটি অংশ। তারপরেও আমরা দাঁতের সঠিক যত্ন নেই না, ফলে আমাদের দাঁতের সমস্যা নিয়ে ভুগতে হয়। তবে চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নতি হওয়ায় এ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে। দাঁতের রুট ক্যানেল করলে দাঁতের সমস্যা রোধ করা যায় এবং দাঁতকে আবার সুস্থ করা যায়। দাঁতের রুট ক্যানেল সম্পর্কে সঠিক ধারনা আমাদের মধ্যে অনেকের নেই, অনেকেই আবার জানেন না রুট ক্যানেল কেন করা হয়। চলুন দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় জেনে নিই।

রুট ক্যানেল কেন করা হয়

দাঁতের সমস্যা সমাধানের জন্য রুট ক্যানেল করা হয়। রুট ক্যানেল নামটা এখন সবার কাছে পরিচিত। তবে দাঁতের সমস্যা হলেই কি রুট ক্যানেল করতে হবে?  রুট ক্যানেল কখন করবো এবং রুট ক্যানেল কেন করা হয় অনেকেই সেটা বুঝতে পারি না। রুট ক্যানেল কখন করবো এবং রুট ক্যানেল কেন করা হয় চলুন বিস্তারিত জানা যাক।

 দাঁতের মধ্যে তিনটি স্তর থাকে-  দাঁতের সবথেকে উপরের অংশটা হলো এনামেল, এরপর থাকে ডেন্টিন এবং সব নিচের অংশটা হলো দাঁতের মজ্জা। দাঁতের সমস্যা যখন হতে শুরু করে তখন প্রথমে এনামেল থেকেই সমস্যাটা শরু হয়। এরপর সে সমস্যা ডেন্টিনকে অতিক্রম করে দাঁতের মজ্জা পর্যন্ত চলে যায়। তখন দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা এবং দাঁত শিরশির করে। তখন  চিকিৎসকের কাছে গেলে, তারা রুট ক্যানেল করতে বলেন। দাঁতের যেকোনো সমস্যা যদি, দাঁতের মজ্জা পর্যন্ত গরুত্বর ভাবে চলে যায় তাহলে দাঁতে রুট ক্যানেল করতে হবে।

রুট ক্যানেল কখন করবেন? কিভাবে বুঝবেন রুট ক্যানেল করতে হবে। বাড়িতে থেকেই অনেকেই সেটা জানতে চান। আপনার দাঁতে গর্ত হয়ে আছে, ঠান্ডা, গরম কিংবা মিষ্টি কোনো জাতীয় জিনিস খেলে আপনার দাঁত শিরশির করে ওঠে এবং দাঁতে ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা কখনও ২০ সেকেন্ড মতো থাকে এর বেশি থাকেনা। আবার কখনও এই ব্যথা বেশি সময় অর্থাৎ আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা বা তার থেকেও বেশি সময় ধরে যদি ব্যথা হয়। তাহলে বুঝবেন আপনার রুট ক্যানেল করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ব্যথা আসছে আবার চলে যাচ্ছে। ঘুমাতে যাচ্ছেন ব্যথা অনেকটায় বেড়ে যায়, আবার ঘুমের সময় অতিরিক্ত ব্যথায় আপনার ঘুম ভেঙে গেল এবং শেষ পর্যায়ে অতিরিক্ত ব্যথার ফলে সেই ব্যথা আপনার মাথা, চোখ ও কানেও চলে যায়, সেক্ষেত্রে আপনি বুঝবেন আপনার দাঁতে অবশ্যই রুট ক্যানেল করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ই ক্যাপ খেলে কি হয়

আপনার দাঁতের সংক্রামিত মজ্জা বের করে পুনরায় আবার মজ্জা কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার অসুস্থ দাঁত সুস্থ হয়ে যায় এবং আপনি আবার সবকিছু চিবিয়ে খেতে পারেন। তাই দাঁতমজ্জায় সমস্যা হলে, আপনার দাঁতটি নষ্ট না করে  রুট ক্যানেল চিকিৎসা নিন।

দাঁতের রুট ক্যানেল করার নিয়ম

দাঁতের নিচের অংশে যে মজ্জা রয়েছে, সে মজ্জা যদি কোনো কারনে সংক্রামিত হয়। তাহলে দাঁতের রুট ক্যানেল করার মাধ্যমে সংক্রামিত মজ্জার সংক্রমন  দূর করা হয় এবং দাঁতকে পুনরায় আবার ঠিক করে দেওয়া হয়। অনেকে বলেন রুট ক্যানেল করতে ব্যথা হয়, তাই রোগিরা রুট ক্যানেল করতে ভয় পায়, তবে ভয়ের কোনো কারন নেই। রুট ক্যানেল করার সময় কোনো ব্যথা হবে না।

রুট ক্যানেল করার নিয়ম: রুট ক্যানেল করার জন্য প্রথমেই চিকিৎসকেরা আপনার দাঁতের নার্ভ  অবশ করে নিবে, যাতে চিকিৎসা চলাকালিন সময়ে আপনি ব্যথা না পান। এরপর দাঁতের উপরি ভাগ থেকে শুরু করে মজ্জা পর্যন্ত ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। নার্ভ এর ভিতর পুরোপুরি ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য ডাক্তাররা কিছু ফাইলের সাহায্য নেয় এবং ভালোভাবে পরিষ্কার হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য এক্সের সাহায্য নেয়। দাঁতের ভিতরে অনেক সূক্ষ্য জায়গা থাকে, যেগুলো ফাইলের মাধ্যমে পরিষ্কার করা যায় না, সেজন্য আবার ডাক্তাররা কিছু কেমিকাল দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করে নেই। দাঁতের ভিতরে থাকা সকল জীবানু এভাবে বের করে এবং তার সাথে দাঁতের সকল নার্ভ বের করে নেয়। এবার দাঁতকে ভালোভাবে শুষ্ক করে, দাঁতের যে জায়গায় নার্ভ ছিল সে জায়গা ভরাট করে নেই। এরপর শেষ পর্যায়ে দাঁতে ফিলিং দিয়ে দাঁতের উপরিভাগ ভরাট করে এবং দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। এভাবেই রুট ক্যানেল করে থাকেন চিকিৎসকেরা।

রুট ক্যানেল আপনার দাঁতের স্বাস্থ ভালো রাখতে এবং ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করতে অবশ্যই আপনার রুট ক্যানেল করতে হবে। এই চিকিৎসা সঠিকভাবে পেতে ভালো ডেন্টিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।

রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী থাকে

দাঁতের সমস্যা হলে, সেই দাঁত একপর্যায়ে এসে আমাদের আর সমস্যা হওয়া দাঁতটি থাকে না। তবে এখনকার সময়ে আপনার দাঁতের যদি কোনো সমস্যা হয় এবং সে সমস্যা দাঁতের মজ্জা পর্যন্ত চলে যায়। তবুও আপনি দাঁত ফিরে পাবেন, এর জন্য আপনাকে রুট ক্যানেল চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। রুট ক্যানেল করার ফলে আমাদের দাঁত জীবানুমুক্ত হয় এবং দাঁতে আর কোনো ব্যথা হয়না। রুট ক্যানেল করার পর দাঁত ১০০% শক্তিশালী না হলেও এটি ৯০% শক্তিশালী হয়। তবে রুট ক্যানেল যারা করতে চায় তাদের মনে একটি ভয় কাজ করে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে রুট ক্যানেল করলে কতদিন সেটা স্থায়ী হয়।

আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে লম্বা হওয়া যায় - লম্বা হওয়ার লক্ষন

রুট ক্যানেল করার পর কতদিন স্থায়ী থাকে সেটা নির্ভর করবে আপনার সঠিক চিকিৎসা এবং চিকিৎসার পর দাঁতের সঠিক যত্নের ওপর। অনেকেই মনে করেন রুট ক্যানেল করেছি, দাঁতে আর যত্ন নেওয়া লাগবে না। তবে এ ধারনা ভুল, ক্যানেল করার পর আপনার দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁতে আবার পুনরায় সমস্যা দেখা দিবে।

কিভাবে দাঁতের যত্ন নিবেন দেখে নিন:

  • রুট ক্যানেল করা দাঁতের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কিছু খাওয়া যাবে না। তবে একেবারেই শক্ত জিনিস খাওয়া যাবে না, সেটা বললে ভুল হবে। অতিরিক্ত শক্ত সেটা আপনার স্বাভাবিক দাঁতের জন্যেও ক্ষতিকর।
  • নিয়মিত সকালে ও ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করবেন।
  • প্রতিদিন একবার হলেও ডেন্টাল ফ্লস দিয়ে দাঁতে থাকে খাবারের কনাগুলো পরিষ্কার করবেন।
  • বছরে দুবার না গেলেও অন্তত একবার অবশ্যই ডেন্টাল চেকাপ করতে হবে। দাঁত সুস্থ অবস্থাতেও একবার করে দাঁতের পরীক্ষা করে নিতে হয়।
  • সবসময় খাবার খাওয়ার পর কুলকুচি করবেন।
  • ডাক্তারের দেওয়া ওষুধগুলো নিয়মিত যেভাবে যতদিন খেতে বলবে, ততদিন খেতে হবে।

রুট ক্যানেল করার পর আপনি যদি দাঁতের সঠিক যত্ন নিতে পারেন। তাহলে আপনার দাঁত দীর্ঘদিন স্থায়ী থাকবে, আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ বছর। তবে আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন, রুট ক্যানেল অবশ্যই দক্ষ ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে করতে হবে।

রুট ক্যানেলের ক্ষতিকর দিক

রুট ক্যানেল দাঁতের চিকিৎসায় খুবই গুরত্বপূর্ন একটি ট্রিটমেন্ট। দাঁতকে আমরা বাঁচাতে রুট ক্যানেল চিকিৎসা নিয়ে থাকি। তবে রুট ক্যানেল করবো, পরে আবার ব্যথা বা অন্য কোনো ক্ষতি হবে কি না। সে বিষয়টা আমাদের জানা দরকার।

রুট ক্যানেল যদি আমরা ভালো ডেন্টিস্টের কাছে না যায় তাহলে আমাদের ক্যানেল করা দাঁতে আবার ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় দাঁতের রুট ক্যানেল করার সময় ডাক্তাররা ভালো করে চিকিৎসা করে না। ফলে দাঁতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে না। যার কারনে দাঁতের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো আবার সমস্যার সৃষ্টি করে।

ক্যানেল করার পর যে ওষুধগুলো চিকিৎসকেরা খেতে দেয়, সেই ওষুধগুলো কারও ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে ক্যানেল করা না হলে দাঁতের সংবেদনশীলতা , ব্যথা ও ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এ সমস্যাগুলো আর থাকে না।

আরো পড়ুনঃ-  দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন

যে দাঁতে রুট ক্যানেল করা হবে সেই দাঁত যদি কোনো কারনে পরবর্তীতে তুলতে চান, তাহলে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। দাঁতের রুট ক্যানেল করার পর শক্ত হাড় চিবানো অথবা জোরে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না।

দাঁতে রুট ক্যানেল যদি আপনি ভালো ডেন্টিস্টের কাছ থেকে করে নেন। তাহলে আপনার দাঁতে কোনো ক্ষতি হবে না। ভালো চিকিৎসার সাথে আপনাকে ভালোভাবে তারা পরমর্শ দিয়ে দিবেন। সে অনুযায়ী যদি আপরি দাঁতের যত্ন নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ক্যানেল করা দাঁতে কোনো ক্ষতি হবে। তারপরেও যদি কোনো সমস্যা বুঝতে পারেন, সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ

দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ

বর্তমান সময়ে অনেক দাঁতের চিকিৎসক আছে। সকল ডাক্তার খরচ একইরকম নেই না, আপনার দাঁতের ধরন ও অবস্থান বুঝে খরচ হবে। তারপরেও আনুমানিক কিছু ধারনা খরচ সম্পর্কে বলা যায়। খরচের ধারনা যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে রুট ক্যানেল করতে আপনার সুবিধা হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু ডাক্তাররা খরচ বেশি নিয়ে নেই। তাই খরচ সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকা ভালো।

দাঁতের মধ্যে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারনে, সমাধানের এক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে রুট ক্যানেল। বিদেশি ডাক্তারের কাছে যদি আপনি রুট ক্যানেল করতে চান তাহলে খরচ বেশি হবে। বাংলাদেশে দাঁতের চিকিৎসার খরচ কম হয়ে থাকে। দাঁতে যদি আপনি শুধু রুট ক্যানেল করতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৩০০০ টাকা মতো। রুট ক্যানেল করার পর দাঁতে ক্যাপ পড়ালে খরচ একটু বেশি হয়। দাঁতে ক্যাপ পড়ালে খরচ হতে পারে ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা। এর থেকে কম বেশি হতে পারে। আপনি যদি কোনো ভালো ডেন্টিস্টের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে চান সেক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে। আর যদি নরমাল কোনো ডেন্টিস্টের কাছে যান তাহলে খরচ কম হবে।

তবে খরচ বেশি নিলেও ভালো চিকিৎসকের মাধ্যমে রুট ক্যানেল করাবেন। কারন ভালো চিকিৎসকের দ্বারা রুট ক্যানেল করা দাঁতে পরবর্তীতে কোনো সংক্রামন বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রুট ক্যানেল যারা করবেন অবশ্যই দাঁতের সঠিক যত্ন নিবেন, সুস্থ দাঁতের থেকেও বেশি যত্ন নিতে হয় ক্যানেল করা দাঁতে। সঠিক যত্ন না নিলে, আপনি যতই ভালো ডেন্টিস্টের কাছে চিকিৎসা করান না কেন। সে রুট ক্যানেল বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

লেখকের শেষ বক্তব্য

দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় – দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় – দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment