বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা – বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ

বিসিএস এর পূর্নরুপ হলো বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বিসি এস হলো একটি পরীক্ষার নাম, এই পরীক্ষায় পাস করলে সরকারি প্রথম শ্রেনীর চাকরিতে যোগদান করা যায়। সবচেয়ে সম্মানি এবং সবচেয়ে বড় পদের চাকরি হলো বিসিএস ক্যাডারের চাকরি। তাই সবাই চাই বিসি এস ক্যাডার হতে। বিসিএস ক্যাডার যারা হতে চান তাদের বিসিএস সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে রাখতে হবে। আমরা আজকের আর্টিকেলে বিসিএস সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, যেগুলো আপনার বিসিএস হতে জানা প্রয়োজন।

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা

আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন, বিসিএস পরিক্ষায় জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন, বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে, কতবার দিতে পারবেন এই বিসি এস পরীক্ষা তার সাথে জানিয়ে দিব বিসিএস পরীক্ষার যাবতীয় বিষয়সমূহ। চলুন তাহলে  আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

বিসিএস পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার আগে প্রার্থী এ চাকরির যোগ্য কিনা সেটা বিবেচনা করা হয়। মূলত চার ধরনের যোগ্যতা প্রার্থীদের জন্য বিবেচনা করা হয়। চার ধরনের যোগ্যতা হলো- শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, নাগরিকত্ব এবং শারিরিক যোগ্যতা। চার ধরনের যোগ্যতার মধ্যে একটি হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা। তাই জানতে হবে বিসিএস পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন। অনেকের মধ্যে দেখা যায় তারা শুধুমাত্র বিসিএস সিলেবাস নিয়েই আগ্রহী, অপরপক্ষে বিসিএস পরীক্ষার জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারনা নেই। কিন্তু বিসিএস হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবার ধারনা থাকা উচিত। তাই চলুন জেনে নিই বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমম থাকা উচিত।

আমরা অনেকেই মনে করি বিসিএস, এত বড় মানের একটি পরীক্ষা, তাহলে এই পরীক্ষায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চয় অনেক বেশি লাগবে। অনেকেই ভেবে থাকেন সিজিপিএ’ অনেক বেশি লাগবে, কম সিজিপিএ’ নিয়ে ক্যাডার হওয়া যায় না। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেই হতাশ। হতাশ হবেন না, যাদের বিশ^বিদ্যালয় পরীক্ষায় ভালো সিসিপিএ’ নেই তারাও কিন্তু বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। তবে এর নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে সেটা আপনাদের জানতে হবে।

বিসিএস পরীক্ষায় যদি আপনি অংশগ্রহন করতে চান, তাহলে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ করতে হবে। স্নাতক  হলো ৪ বছর মেয়দী কোর্স। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আপনি যদি ৪ বছর অনার্স এ পাশ করে থাকেন এবং পাশাপাশি মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে থাকেন, তাহলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে শুধু অনার্স পাশেরাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এমন না, যেকোনো ধরনের ৪ বছর মেয়াদী কোর্স যদি আপনি করে থাকেন, তাহলেই কিন্তু আবেদন করতে পারবেন। আপনি যাই করুন কারিগরি থেকে পড়ুন, মেডিকেল করুন কিংবা বুয়েট যাই হোক না কেন, শুধু শর্ত হলো ৪ বছর মেয়দী কোর্স আপনার সম্পূর্ন থাকতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন  করেন ডিগ্রী শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবো কিনা, সেক্ষেত্রে বলতে চায় যারা ডিগ্রি পাশ করেছেন তারা বিসিএস এ অংশ নিতে পারবেন তবে আপনাকে ডিগ্রি পাশের  পর মাস্টার্স বা স্নাতককোত্তর পাশ করতে হবে। কারন ডিগ্রি হলো ৩ বছর মেয়াদী কোর্স, তাই আপনাকে ডিগ্রীর সাথে মাস্টার্স পাশ করতে হবে। তাহলেই আপনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

আরো পড়ুনঃ-  লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ টিপস

এরপর সবগুলো পরীক্ষায় এসএসসি থেকে স্নাতক , যেকোনো দুটিতে দিত্বীয় শ্রেনী বা সমমান এবং ১ টি তে তৃতীয় শ্রেনী বা সমমান এর নিচে পেলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে

শিক্ষাজীবন শেষ করে প্রায় আমাদের সবার লক্ষ্য থাকে ভালো একটি চাকরি করা। বাংলাদেশে যে ধরনের সরকারি চাকরি আছে সবার থেকে উপরের স্তরের চাকরি হলো বিসিএস ক্যাডার। আর বিসিএস ক্যাডার হতে অবশ্যই বিসি এস পরীক্ষা দিতে হয়। বিসিএস পরীক্ষা দিতে প্রথমেই শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে নজর দিতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা দিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কত লাগে সেটা আমরা শ্রেণীতে আলোচনা করেছি। প্রায় সবজায়গায় শ্রেণীতে বোঝানো থাকে বিসিএস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় রেজাল্ট জিপিএ সিস্টেমে বের হয়, তাই অনেক শিক্ষার্থীর বুঝতে অসুবিধা হয়, যে তারা বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে কিনা। এ সম্যসা প্রায় সবার মধ্যে দেখা যায়, তারা জিপিএ থেকে শ্রেনী বের করতে পারে না। তাই যারা জিপিএ থেকে শ্রেনী বের করতে পারে না, তাদের জানতে হবে কিভাবে জিপিএ থেকে শ্রেণী বের করতে হয়। দেখে নিন কিভাবে জিপিএ থেকে শ্রেনী বের করবেন।

মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এর ক্ষেত্রে:

৩ বা তদুর্ধ্ব = প্রথম শ্রেণী

২ থেকে ৩ এর কম = দিত্বীয় শ্রেণী

১ থেকে ২ এর কম = তৃত্বীয় শ্রেণী

অনার্স বা স্নাতকের ক্ষেত্রে:

৩ বা এর উপরে = প্রথম শ্রেণী

২.২৫ থেকে ৩ এর কম = দিত্বীয় শ্রেণী

১.৬৫ থেকে ২.২৫ এর কম = তৃত্বীয় শেণী

তাহলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা প্রথম, দিত্বীয় শ্রেণীতে থাকবে অর্থ্যাৎ পয়েন্ট হতে হবে ২ পয়েন্ট থেকে তার উপরে  তারা পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু তৃত্বীয় শ্রেণীতে যারা থাকবে তারা বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না। অপরপক্ষে অনার্স বা স্নাতকের ক্ষেত্রেও প্রথম, দিত্বীয় শ্রেণী আবেদন করতে পারবেন অর্থ্যাৎ পয়েন্ট যদি ২.২৫ এর থেকে কম না হয়,  কিন্তু তৃত্বীয় শ্রেণীতে যারা থাকবে তারা  আবেদন করতে পারবেন না। আর যদি যেকোনো ১ টি পরীক্ষাতে ৩য় শ্রেণী পেয়ে থাকেন তাহলেও সুযোগ আছে। তবে একবারের বেশি ৩য় শ্রেণীতে থাকা যাবে না।

উপরের তথ্য অনুযায়ী আপনার রেজাল্ট এর সাথে মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন  কি না।

বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ

বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়

বিসিএস পরীক্ষার জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের প্রায় সবার মনে এ প্রশ্ন এসে থাকে, যে বিসিএস পরীক্ষা কতবার দিতে পাওয়া যায়। বিসিএস পরীক্ষা আপনি কতবার দিতে পারবেন সেটা আপনার বয়সসীমার অপর নির্ধারিত। বিসিএস পরীক্ষা দিতে যেসব যোগ্যতা লাগে, সেসব যোগ্যতার মধ্যে বয়সীমা রয়েছে। যেকোনো বয়সের প্রার্থী বিসি এস দিতে পারবেন না। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীর একটি নির্দীষ্ট বয়সসীমা নির্ধারন করা হয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষায় যারা অংশ্রগ্রহন করবেন, তাদের বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ২১ এবং সর্বচ্চো বয়স ৩০ হতে হবে। বাংলাদেশের সরকারি কমিশন যে মাসে বিসিএস এর বিজ্ঞাপন জারি করবে সে সময়ের ১ম তারিখে যদি আপনার বয়স ২১ বছরের কম হয় অথবা ৩০ বছরের বেশি হয় তাহলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন না। তবে কোটার ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম রয়েছে। যদি আপনি মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বা কন্যা, প্রতিবন্ধী এবং স্বাস্থ ক্যাডারের প্রার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে সর্বচ্চো বয়স হতে হবে ৩২ বয়স। আবার বিসিএস সাধারন শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, স্বাস্থ ক্যাডারের শিক্ষা উপজাতীদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়স হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  নতুনদের বিশ্ববিদ্যালের ভর্তির প্রস্তুতি - বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

সুতরাং আপনার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে যেসব যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেসবই যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে,  কোটা থাকলে ৩২ বয়স এবং কোটা না থাকলে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যতগুলো পরীক্ষা হবে সবগুলোতে অংগ্রহন করতে পারবেন।

তবে বর্তমানে সরকার দুইবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষার সুযোগ বন্ধের বিষয়ে চিন্তা করছেন। বাংলাদেশের পাবালিক সার্ভিস কমিশনের সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে। বয়স অনুযায়ী একজন প্রার্থী একাধিক বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে তাদের বিসিএস পরীক্ষার অভিজ্ঞতা বেড়ে যায়। এতে করে যারা প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন তারা চাকরির করার সুযোগ পায় না। এ কারনে একাধিক বার পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে যাতে একজন প্রার্থী না পারে সেজন্য আলোচনা চলছে। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ধে প্রকশিত হয় নি।

বিসিএস পরীক্ষার শারিরিক যোগ্যতা

বিসিএস বাংলাদেশের একটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতির নাম। এ পরীক্ষায় অনেকেই চায় অংশ নিতে, তবে সবাই এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েও ক্যাডার হতে পারে না। বাংলাদেশের সর্বস্তরের চাকরির পরীক্ষা এই বিসিএস পরীক্ষা। তাই যে কেই চাইলেই এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ক্যাডার হতে পারে না। আপনি যদি বিসিএস ক্যাডার হতে চান। তাহলে আপনাকে চারটি বিষয়ে যোগ্যতা থাকতে হবে, যার একটি হলো শারিরিক যোগ্যতা। আপনি শারিরিক যোগ্যতা ছাড়া বিসিএস পরীক্ষায় অংগ্রহন করতে পারবেন কিন্তু শারিরিক যোগ্যতা ছাড়া ক্যাডার হতে পারবেন না। আপনার শারিরিক যোগ্যতা কেমন হলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে, ক্যাডার হতে পারবেন নিচের তথ্য থেকে জেনে নিন।

বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনার অবশ্যই শারিরিক যোগ্যতা থাকতে হবে। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। মেডিকেল টেস্টে উচ্চতা, ওজন, বক্ষ পরিমাপ, দৃষ্টিশক্তি যাচাই এবং মূত্র পরীক্ষা করা হয়।

আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে, আপনার সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট হতে হবে এবং ওজন সর্বনিম্ন ৪৯.৯৯ কেজি হতে হবে। পুলিশ ও আনসারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে, সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং ওজন সর্বনিম্ন ৫৪.৫৪ কেজি হতে হবে।

আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে, আপনার সর্বনিম্ন উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং ওজন সর্বনিম্ন ৪৩.৫৪ কেজি হতে হবে। অপরদিকে পুলিশ ও আনসার ক্যাডার মহিলার জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট এবং ওজন ৪৫.৪৫ হতে হবে। তবে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ওজন কম হলে বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

ক্যাডার হতে আপনার দৃষ্টিশক্তিও পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা করে দেখানো পর যদি আপনার চোখে কোনো সমস্যা থেকে থাকে এবং চশমা পড়ার পর যদি সমস্যা আর না হয় তাহলে আপনি যোগ্য বলে প্রমানিত হবেন। এরপর আসি বক্ষ পরিমাপ নিয়ে, আপনার বক্ষ পরিমাপ কেমন হলে আপনি যোগ্য হবেন দেখে নিন-

  • আপনার জুতাসহ উচ্চতা যদি ১৫২.৪০-১৬৫.১০ সে.মি এর নিচে হয় তাহলে পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ হতে হবে ৭৬.২০ সে.মি।
  • জুতাসহ উচ্চতা যদি ১৬৫.১০-১৭২.৭২ সে.মি এর নিচে হয় তাহলে পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ হতে হবে  ৭৮.৭৪ সে.মি।
  • জুতাসহ উচ্চতা যদি ১৭২.৭২-১৭৭.৮০ সে.মি এর নিচে হয় তাহলে পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ হতে হবে ৮১.২৮ সে.মি।
  • জুতাসহ উচ্চতা যদি ১৭৭.৮০-১৮২.৮৮ সে.মি এর নিচে হয়  তাহলে পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ হতে হবে ৮৩.৮২ সে.মি।
  • জুতাসহ উচ্চতা যদি ১৮২.৮৮ সে.মি এর তুদুর্ধ্ব হয় তাহলে পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ হতে হবে ৮৬.৩৬ সে.মি।
আরো পড়ুনঃ-  পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় - একজন আদর্শ ছাত্রের বৈশিষ্ট্য

এ ছিল পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ পরিমাণ এবং জুতাসহ সকল উচ্চতার ব্যক্তির সর্বচ্চো প্রসারণের মাত্রা একই হবে আর সেটা হলো ৫.০৮ সে.মি.

সর্বশেষে যে পরীক্ষার কথা বলছি, সেটা হলো মূত্র পরীক্ষা। বিসিএস পরীক্ষার উত্তীর্ন হয়ে ক্যাডার হতে আপনার এ পরীক্ষাটিও করানো হবে। পরীক্ষায় যদি আপনি সফল হন, তাহলে ক্যাডার বলে বিবেচিত হতে পারবেন আপনিও। এ ছিল বিসিএস পরীক্ষার শারিরিক যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ

বিসিএস পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সিলেবাস রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো অনুশীলন করলেই বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে পারবেন। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া যায়। বিসিএস পরীক্ষা দিতে হলে আমাদের এ পরীক্ষায় বিষয়সমূহ গুলো বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন তাহলে বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ বিস্তরিত ভাবে জেনে নিই।

বিসিএস পরীক্ষা ৩ টি ধাপে শুরু হয়, প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, ২য় ধাপ লিখিত পরীক্ষা এবং ৩য় ধাপ ভাইভা পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বর , ভাইভা পরীক্ষাই ২০০ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষাই ৯০০ নম্বর থাকে। লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর ৪৫০ লাগে। বিসিএস এ প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর মূল পরীক্ষার সাথে যোগ হয় না, এই পরীক্ষা শুধু বাছইয়ের জন্য নেওয়া হয়। বিসিএস ক্যাডারের  লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষার নম্বর দেখে বিবেচনা করা হয়।

বিসিএস পরীক্ষায় ১০ টি বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে, সে ১০ টি বিষয় সম্পর্কে ক্যাডার হতে চাইলে ধারনা নিতে হবে। বিসিএস পরীক্ষার ১০ টি বিষয়সমূহ হলো-

  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-৩৫ নম্বর
  • English Language and Literature -35 Number
  • বাংলাদেশ বিষয়বলি-৩০ নম্বর
  • আন্তর্জাতিক বিষয়বলি-২০ নম্বর
  • সাধারন জ্ঞান-১৫ নম্বর
  • কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-১৫ নম্বর
  • গানিতিক যুক্তি-১৫ নম্বর
  • মানসিক দক্ষতা-১৫ নম্বর
  • নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন-১০ নম্বর
  • ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা-১০ নম্বর

বিসিএস পরীক্ষায় এ ১০ টি বিষয়ের ওপরে মোট ২০০ নম্বর থাকে। বিসিএস পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরে আলাদা কোনো প্রশ্ন আসবে না। ভালোভাবে সিলেবাস অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় কমন পাওয়া যায়। বিসিএস কঠিন কিছু নয়, সঠিক পরিকল্পনা, ইচ্ছাশক্তি এবং চেষ্টা থাকলে আপনিও হতে পারবেন বিসিএস ক্যাডার। তাই সময় নষ্ট না করে শুরু করুন বিসিএস পরীক্ষার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতি।

লেখকের শেষ বক্তব্য

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা – বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা – বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment