গরু মোটাতাজা করনের খাদ্য তালিকা – গরু মোটাতাজা করনের পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক, আপনি কি গরু মোটাতাজাকরন পদ্ধতি কী? গরু মোটাতাজাকরনের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি এবং গরু মোটাতাজাকরনে খাদ্যের তালিকা কেমন হবে। এসব তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

গরু মোটাতাজা করনের খাদ্য তালিকা

অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে গরু মোটাতাজা করে আমাদের দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র মোচন হচ্ছে। গরু মোটাতাজাকরন স্বল্পমেয়াদি লাভজনক ব্যবস্থা। গরু মোটাতাজাকরনের পদ্ধতি এবং গরুর খাবারের  তালিক সঠিক হলে কম সময়ে গরু মোটাতাজা করা যায়। কিন্তু সঠিক নিয়ম আমরা অনেকেই জানি না। যারা গরু মোটাতাজা করে লাভবান হতে চান তারা সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জেনে নিন।

গরুর বাসস্থান

গরুর বাসস্থাস সঠিক না হলে গরু পালন করে লাভবান হওয়া যায় না। গরু মোটাতাজা করতে স্থান নির্বাচন করা জরুরি। প্রতিটি প্রানির সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য  সঠিক বাসস্থান প্রয়োজন। গরুও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে গবাদিপশুর বাসস্থান সঠিক পদ্ধতিতে করতে হবে। চলুন বিস্তারিত জানা যাক। প্রথমেই আমরা ঠিক করবো গরুর সংখ্যা। দুই নিয়মে গরু পালন করা যায়। এক সারিতে এবং দুই সারিতে। দুই সারি করে যদি আমরা করতে চাই তাহলে ১০ টি গরুর জন্য প্রতি সারিতে ৫ টি করে গরু রাখবেন। আর মাঝে একটা মাপ করে রাস্তা করবেন। যেভাবে আপনার হাঁটাচলা সুবিধা হয়। এক সারি গরু এবং মাঝের রাস্তার হিসাব করলেই ঘড়ের জায়গার হিসাব বেড়িয়ে যাবে। গরুর ঘরে খাদ্য সরবরাহের জন্য ৫ ফুট প্রসস্থ রাস্তা থাকা প্রয়োজন।

গরুর বাসস্থানের জায়গাতে নিচের সুবিধাগুলো রাখবেন-

  • উঁচু ও বন্যামুক্ত এলাকা হতে হবে।
  • ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • দুধ মাংস বাজারজাত করতে যেন সুবিধা হয়
  • বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের সঠিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • গোয়াল ঘরে যেন সূর্যালোক পড়ে আলো ও বাতাস যাতে পায় সে যায়গা বাছাই করতে হবে।
  • গোয়াল ঘরের চার পাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • খামারে প্রতিদিন এন্টিসেপটিক স্প্রে করতে হবে। এতে রোগের সংক্রামন কমবে।

গরুর যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং সহজে যাতে পরিষ্কার করা যায় সেজন্য সিমেন্ট বালু দিয়ে ভালোভাবে ঢালায় করে নিলে ভালো। গরুর খাবারের জন্য খাবার হাউস নিচু করে বানাবেন।  এতে গরুর খেতে সুবিধা হবে। উপরের নিয়মগুলো ফলো করে গরুর জন্য বাসস্থান তৈরি করবেন। আশা করি সফল হবেন।

গরু মোটাতাজাকরন পদ্ধতি

গরু মোটাতাজাকরন হলো খুবই অল্প সময়ে গরুকে পরিপুষ্ট করে তোলা। আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা বেশি সে অনুযায়ী উৎপাদন কম। আর তাই গরু মোটাতাজাকরন জরুরি। এতে মাংসের চাহিদাও মিটবে খামারিরাও অধিক লাভবান হবে। গরু মোটাতাজা হলে মাংসের পাশাপাশি দুধও ভালো হয়। গরু মোটাতাজাকরন পদ্ধতি হলো গরু ব্যবসায়ীদের  ভালো একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে তারা অধিক লাভবান হয়। গরু মোটাতাজাকরনের মাধ্যমে আমাদের দেশের বেকার যুবকেরা খুব সহজেই কর্মসংস্থান তৈরি করছে। অনেকে গরু মোটাতাজা করনের জন্য হরমোন ইনজেকশান ব্যবহার করছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার না করে কিভাবে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরন করা যায় বিস্তারিত জানা যাক।

আরো পড়ুনঃ-  কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার বৈশিষ্ট্য

গরু মোটাতাজাকরনের জন্য সঠিক গরু নির্বাচন, গরুর বাসস্থান, কৃমি মুক্তকরন, গরুর স্বাস্থ পরীক্ষা ও সঠিক খাবার খাওয়াতে হয়। গরু মোটাতাজা করনে এসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

গরু নির্বাচন: গরু মোটাতাজাকরনে সঠিক গরু নির্বাচন করা জরুরি। এমন গরু বাছাই করতে হবে যাতে গরু দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গরুর বয়স ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। গরুর গায়ের চামড়া যেন ঢিলা হয়। হাড়গুলো হতে হবে মোটা এবং মাথা ও ঘার হতে হবে প্রসস্থ। পা সোজা এবং পা গুলো খাটো আকৃতির হতে হবে। রোগমুক্ত গরু নির্বাচন করতে হবে।

বাসস্থান নির্মান:  প্রতিটি গরুর জন্য দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট ও উচ্চতা ৮ ফুটের করতে হবে। ঘরের ভিতরে আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কৃমি মুক্তকরন: গরু ক্রয় করার পর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। কৃমি গরুকে পুষ্টিহীন করে দেয়।

স্বাস্থ পরিক্ষা: গরু অসুস্থ কিনা ডাক্তার দেখিয়ে পরিক্ষা করে নিবেন।  অসুস্থ হলে নিয়মিত চিকিৎসা করবেন।

সুষম খাদ্য খাওয়ানো: গরু মোটাতাজা করতে চাইলে গরুকে সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। সঠিক খাবারে গরুর ওজন বৃদ্ধি পায়।

সঠিক পরিচর্য: গরু মোটাতাজা করতে গরুকে শুধু সঠিক খাবার নয় সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। পাশাপাশি গরুকে গোসল করাতে হবে।

উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলে গরু দ্রুত বৃদ্ধি পাবে সুস্থ ও সবল থাকবে।

গরুর খাবার বানানো

গরু মোটাতাজা করনে গরুর খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সঠিক খাবার গরুকে স্বাস্থবান করে তোলে। গরুকে সঠিকভাবে সঠিক খাবার খাওয়ালে গরুর ওজন দৈনিক ১ কেজি পর্যন্ত বাড়ে। গরুর খাদ্য তালিকায় আঁশজাতীয় খাদ্য, দানাদার খাদ্য, খনিজ ও পানি থাকা অত্যবশকীয়। চলুন তাহলে জানা যাক কোন গাভীকে কতটুকু খাদ্য দিতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরু মোটাতাজাকরনে  গরুর খাবারের তালিকায় প্রতিদিন কাঁচা ঘাস রাখতে হবে। গরুর ওজন যদি  ১০০ কেজি হয় তাহলে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে। আর সংকর জাতের গাভীর জন্য ১৫ থেকে ২০ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে এবং দুধালো গাভীর জন্য ৬ থেকে ৮ কেজী খাওয়াতে হবে।

খড়: খড়ের পুষ্টি গাভীর জন্য তুলনা মূলকভাবে কম। তবে খড় গরুর পাকস্থলী ঠিক রাখে। ১০০ কেজি গরুর জন্য দৈনিক ২ থেকে ৩ কেজি এবং গরুর ওজন যদি ৩০০ কেজি হয় সেক্ষেত্রে দৈনিক ৬ থেকে ৯ কেজি খড় দিতে হবে ।

দানাদার খাদ্য: দানাদার খাদ্যে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই খড় ও কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি গরুকে দানাদার জাতীয় খাদ্য দিতে হবে। ১০০ কেজি দেশি গাভীকে দৈনিক ১.৫ কেজি এবং ৩০০ কেজি সংকর জাতের গাভীকে ৪ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি - কোয়েল পাখির খাবার

উপরের তথ্য অনুযায়ী গরুকে খাবার দিবেন। আশা করি গরু অল্পদিনেই স্বাস্থবান হয়ে উঠবে।

ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মাপার  সূত্র

গরু পালন ও গরু ক্রয় করতে গরুর ওজন জানা জরুরি। গরু পালন করার ক্ষেত্রে নিয়মিত গরুর ওজন মাপা প্রয়োজন। গরুর ওজন জানা থাকলে সে অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা যায়। খামারে লাভ করতে হলে যে বিষয় গুলোর প্রতি গুরত্ব দিতে হবে তার একটি হলো গবাদি পশুর ওজন নির্নয় করা। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি ওজন মাপা খুব কঠিন কাজ। কিন্তু ফিতা দিয়ে খুব সহজেই ওজন নির্নয় করা যায়।

ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মাপার সূএ-

দৈর্ঘ্য (ইঞ্চি) X বুকের বেড় (ইঞ্চি) X ২/৬৬০ = পশুর মোট ওজন। ধরি, আপনার পশুটির দৈর্ঘ্য ৫১ ইঞ্চি এবং বুকের বেড় ৫৬ ইঞ্চি। তাহলে পশুর আনুমানিক ওজন হবে (৫১X৫৬X৫৬)/৬৬০ = ২৪২.৩৩ কেজি।

ওজন মাপার পদ্ধতি: গরুকে সোজা করে দাড় করিয়ে ,গরুর সামনের পা থেকে পিছনের লেজের গোড়া পর্যন্ত কত ইঞ্চি লম্বা ফিতে দিয়ে মেপে নিন। এরপর গরুর সামনের পায়ের পিছন দিয়ে ফিতা ঢুকিয়ে বুকের বেড়ের দৈর্ঘ্য কত ইঞ্চি দেখে নিন। এবার দৈর্ঘ্য দুটি ক্যালকুলেটারের ইনপুট দিয়ে গরুর মোট ওজন পরিমাপ করুন।

উপরের পদ্ধতি দিয়ে সহজে গরুর ওজন নির্নয় করে নিন। একজন গরু পালনকারীর অবশ্যয় গরুর ওজন নির্নয় করা জরুরি।

গরু মোটাতাজা করনে দানাদার খাদ্যের তালিকা

গরু মোটাতাজা না করলে কোনো খামারি লাভবান হতে পারেনা। এজন্য গরুকে ঘাস, লতাপাতার পাশপাশি দানাদার খাদ্য দেওয়া জরুরি। দানাদার খাদ্য গরুর খাদ্য তালিকায় থাকলে গরু স্বল্প সময়ে অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে। দানাদার খাদ্যের মধ্যে রাখবেন- চালের কুড়া, গমের ভুসি, ভূট্টা, বিভিন্ন রকমের খৈল , ছোলা, খেসারি, সয়াবিন, শুকনা মাছের গুড়া ইত্যাদি।

গরু মোটাতাজা করনের দানাদার খাদ্যের তালিকা নিম্বরুপ

দানাদার খাদ্যের আদর্শ নমুনা (১)

  • গমের ভূষি ৩০ কেজি
  • চালের কুড়া ১০ কেজি
  • খেসারীর ভূষি ২৬ কেজি
  • ভাঙা ছোলা ১০ কেজি
  • খৈল ২০ কেজি
  • ঝিনুকের পাউডার ৩ কেজি
  • লবন ১ কেজি
  • উই ভিটামিন  ১০০ গ্রাম

খাদ্যের আদর্শ নমুনা (২)

  • গমের  ভূষি ৪০ কেজি
  • চালের গুড়া ১৫ কেজি
  • খেসারী ভূষি ২০ কেজি
  • ভাঙা ছোলা ১০ কেজি
  • খৈল ১৬ কেজি
  • ঝিনুকের পাউডার ৩ কেজি
  • লবন ১ কেজি
  • DB  ভিটামিন ১০০ গ্রাম

খাদ্যের আদর্শ নমুনা (৩)

  • গমের ভূষি ২০ কেজি
  • চালের কুড়া ২০ কেজি
  • খেসারীর ভূষি ২০ কেজি
  • ভাঙা ছোলা ১৬ কেজি
  • খৈল ২০ কেজি
  • ঝিনুকের পাউডার ৩ কেজি
  • লবন ১ কেজি
  • উই ভিটামিন ১০০ গ্রাম

দুধের গরুর খাবার তালিকা

গাভীর দুধের উৎপাদন বাড়াতে চাইলে দুধালো গাভীকে পর্যাপ্ত পরিমান খাওয়া জরুরি। গরুর দুধ দেওয়ার সময়কালে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হয়। দুধের গরুর খাবার তালিকায় কোন কোন খাবার থাকলে দুধ বেশি হবে তা গরু পালনকারির জানা দরকার। দুধের গরুর খাবার তালিকায় আঁশজাতীয়, দানাদার জাতীয় খাদ্য, খনিজ ও পানি থাকতে হবে।

আঁশজাতীয় খাদ্য: গাভীর খাদ্য তালিকায় আঁশজাতীয় খাবার দেওয়া জরুরি। গাভীর খাদ্যে প্রতিদিন প্রয়োজন অনুযায়ী সুষম বা আঁশজাতীয় খাদ্য খাওয়াতে হবে। আঁশ বা ছোবড়া জাতীয় খাদ্য গরুর দুধ বৃদ্ধি করে, গরুকে সুস্থ ও স্বাস্থবান রাখে। প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গাভীর জন্য দৈনিক ২ কেজি খড় বা ৬ কেজি সবুজ ঘাস খাওয়াতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  কবুতর পালন পদ্ধতি - কেন কবুতর পালন করবেন

দানাদার জাতীয় খাদ্য: গাভীর জন্য দানাদার খাদ্য তালিকায় চালের কুড়া, গমের ভূষি, ভুট্টা, খৈল,শুকনো মাছের গুড়া ইত্যাদি রাখতে পারেন। দানাদার খাদ্য গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গরুর দেহকে মোটাতাজা করে দুধের উৎপাদন বাড়ায়। প্রথম ৫ লিটার দুধ পাওয়ার জন্য  ৩ কেজি দানাদার এবং পরে ৩ লিটার দুধ পাওয়ার জন্য ১ কেজি করে দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।

খনিজ: গাভীর হাড় গঠন করতে খনিজ পদার্থ অত্যান্ত গুরত্বপূর্ন। হাড়ের গুড়া গাভীর জন্য মোট দানাদার খাদ্যের ১%  এবং খাবার লবন ১% করে দিতে হবে।

পানি: গাভীকে সুস্থ ও সবল রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খাওয়াতে হবে। গাভীকে দুধালো অবস্থায় পানি পান করা খুবই কার্যকর। একটি দুধালো গাভীকে দৈনিক ৩৫ থেকে ৪০ লিটার পানি খাওয়াতে হবে।

প্রতিদিন গাভীকে সুষম খাদ্য খাওয়াবেন। খাদ্যের পাশাপাশি শারিরিক যত্ন নিবেন।

গরু মোটাতাজাকরন ঔষধ

গরুকে মোটাতাজাকরন করার জন্য খাদ্যের পাশাপাশি ঔষধের মাধ্যমেও গরুকে মোটাতাজা করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা গরুকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ঔষধ খাওয়াচ্ছে। যার ফলে গরু দ্রুত ফুলে যাচ্ছে। এসব মাংস খাওয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আমরা আজকে এমন কয়েকটি ঔষধের নাম বলবো যেগুলো ক্ষতিকারক নয় এবং গরুকে খাওয়ালে গরুর রুচি বৃদ্ধি পাবে ও স্বাস্থবান হবে।

গরু মোটাতাজা করনে লিভার টনিক: গরু মোটাতাজা করনে বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে। এর মধ্যে লিভার টনিক কার্যকরি একটি ঔষধ। কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ার পর গরুর রুচি কমে যায়। লিভার টনিক খাওয়ালে গরুর রুচি ফিরে আসে। কয়েকটি লিভার টনিকের নাম হলো-

  • লিভাবেট ১০০ মিলি
  • লিবারটন ১০০ মিলি
  • সুপার লিব ১ লিটার
  • রেনিলিভ ১ লিটার

গরু মোটাতাজা করনে ক্যালসিয়াম: গরুকে নিয়মিত ক্যালসিয়াম খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো। ক্যালসিয়াম গরুর হাড়কে মজবুত করে। গরু মোটাতাজা হয়। কয়েকটি ক্যালসিয়ামের নাম হলো-

  • ডিসিবি গ্লোড
  • রেনাকেল পিসান
  • ডিসিপি প্লাস

গরু মোটাতাজা করনে ভিটামিন মিনারেল ও এমাইনো এসিড: গরুকে মোটাতাজা করতে লিভার টনিক ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন এবং এমাইনো এসিড খাওয়াতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে গরুর ওজন বৃদ্ধি পাবে। নিচে কিছু ভিটামিন ও এমাইন এসিডের নাম দেওয়া হলো-

  • ডিবি অ্যালান
  • ভিটামিন ডিভি
  • মেগাপিট
  • রেনোভিট

পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গরুর শারিরিক অবস্থা বিবেচনা করে মোটাতাজা করন ঔষধ খাওয়া ভালো। গরু মোটাতাজাকরনের পদ্ধতি ও গরু মোটাতাজাকরনের খাদ্যের তালিকা সম্পর্কে উপরে সকল তথ্য দেওয়া হলো আশা করি উপকৃত হবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

গরু মোটাতাজা করনের খাদ্য তালিকা – গরু মোটাতাজা করনের পদ্ধতি সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি গরু মোটাতাজা করনের খাদ্য তালিকা – গরু মোটাতাজা করনের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment