হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে: হাঙ্গেরি মধ্য ইউরোপের একটি মধ্যম আয়ের দেশ। এই দেশটি পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কাজের বেতন বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এখানে যেতে আগ্রহী হন। সাধারণত পড়াশোনা, চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশিরা এই দেশে যান।

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার ক্যাটাগরি ভিন্ন হয়, আর এই ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার খরচও ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে হলে আগ্রহী ব্যক্তিদের মোট কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে একটি ধারণা রাখা জরুরি। পাশাপাশি, হাঙ্গেরিতে সর্বনিম্ন বেতন কত, হাঙ্গেরি যাওয়ার উপায়, এবং হাঙ্গেরি কাজের ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলোও জেনে রাখা প্রয়োজন।
হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬
হাঙ্গেরি যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ পরিবর্তিত হয়। আপনি যদি নিজে নিজে কাগজপত্র সংগ্রহ করে দূতাবাসে গিয়ে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তবে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হবে।
আরো পড়ুনঃ ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যেতে সাধারণত প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গেলে খরচ কম হয়, যা প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করালে খরচ সাধারণত বেশি লাগে।
অন্যদিকে, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যেতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। হাঙ্গেরি যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের এই খরচের সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন।
হাঙ্গেরি কাজের বেতন কত?
হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন কাজের ক্যাটাগরি, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুসারে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন সাধারণত কম, যার কারণে অনেক দক্ষ প্রবাসী উচ্চ বেতনের আশায় ঐসব দেশে চলে যাচ্ছেন।
ইউরোপের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া সত্ত্বেও, হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন এশিয়ার তুলনায় বেশ বেশি। এই উন্নয়নশীল দেশে কর্মীদের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত আছে।
বর্তমানে, হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কর্মীদের কাজের ধরন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এই বেতন আলাদা হয়।
বাংলাদেশ থেকে যারা হাঙ্গেরির কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য হাঙ্গেরির বেতন কাঠামো সম্পর্কে জানা অপরিহার্য। যদিও এই দেশে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বেতনের ক্ষেত্রে কিছুটা বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়।
হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত
হাঙ্গেরি ইউরোপের একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও, সরকার কর্তৃক কাজের জন্য সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত রয়েছে। এটি ইউরোপের মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দেশে কাজ করার পরিকল্পনা থাকলে হাঙ্গেরিতে বর্তমান বেতনের ধারণা থাকা জরুরি।
বর্তমানে, হাঙ্গেরিতে কাজের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৬৯৮ ইউরো। এই দেশে কর্মীদের সাধারণত সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যদি কেউ ওভারটাইম কাজ করেন, তবে তিনি স্বাভাবিক বেতনের চেয়ে বেশি মজুরি পাবেন।
হাঙ্গেরিতে যেকোনো ধরনের পূর্ণকালীন কাজের ক্ষেত্রেই সরকার নির্ধারিত এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো প্রযোজ্য হবে। তবে, এই দেশে পার্ট-টাইম কোনো কাজ করলে কর্মীরা সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন নাও পেতে পারেন।
হাঙ্গেরি শ্রমিকদের বেতন কত
হাঙ্গেরি বর্তমানে শ্রমিকদের জন্য একটি ব্যাপক চাহিদার গন্তব্য। দেশটির বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন সাইট এবং মালিকানাধীন কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে হাঙ্গেরিতে একজন শ্রমিক প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ফরিন্ট থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ফরিন্ট পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন।
এটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬ হাজার টাকা থেকে ৭৬ হাজার টাকার সমতুল্য। তবে, হাঙ্গেরির মূল শহরগুলোতে কর্মরত একজন শ্রমিকের মাসিক সর্বোচ্চ বেতন প্রায় ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার উপায়
হাঙ্গেরি যেতে হলে আপনার উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে, যেমন: পড়াশোনা, ব্যবসা, ভ্রমণ বা কাজ। প্রত্যেকটির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হয়।
- শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে হাঙ্গেরির কোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে।
- টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীকে নিজের আর্থিক সক্ষমতা এবং ভালো ট্রাভেল রেকর্ড দেখাতে হবে।
- কাজের ভিসার ক্ষেত্রে, হাঙ্গেরিতে আপনাকে বৈধ চাকরির অফার পেতে হবে।
বাংলাদেশে হাঙ্গেরির দূতাবাস রয়েছে। আপনি প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে নিজে অথবা কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনাকে দূতাবাসে গিয়ে একটি ইন্টারভিউ দিতে হবে।
হাঙ্গেরি কোন কাজের বেতন বেশি?
হাঙ্গেরি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হলেও, প্রবাসীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্র রয়েছে যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি আয় করা সম্ভব। যেমন:
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক,
- ইলেকট্রিশিয়ান,
- প্লাম্বার, কাঠমিস্ত্রি,
- ড্রাইভিং,
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্টাফ,
- প্রোডাকশন লাইন অপারেটর,
- প্যাকেজিং কর্মী,
- মেশিন অপারেটর,
- ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এক বা একাধিক কাজের ওপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে। এর ফলে আপনি সেখানে তুলনামূলক বেশি বেতনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
হাঙ্গেরি যেতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে, আর প্রতিটি ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ভিন্ন হয়।
আরো পড়ুনঃ কিরগিজস্তান কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে?
- বৈধ পাসপোর্ট
- হাঙ্গেরি ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসা আবেদন ফি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ট্রাভেল রেকর্ড
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬
অনেকের কাছেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ থাকে, আর তাদের জন্য হাঙ্গেরির কাজের ভিসা একটি সেরা বিকল্প হতে পারে। কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।
বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা বা কাজের জন্য ইউরোপের এই দেশটি একটি চমৎকার গন্তব্য হতে পারে। মধ্যম আয়ের এই দেশে প্রবাসীরা প্রতি মাসে এক লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজও করতে পারে।
হাঙ্গেরিতে কাজ করতে হলে বাংলাদেশী নাগরিকদের সাধারণত ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, কারণ বাংলাদেশ থেকে অনেকে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যায়। এই কারণেই ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াটা একটু কঠিন।
আপনি যদি হাঙ্গেরিতে দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের পরিকল্পনা করেন, তবে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়েই সেখানে প্রবেশ করতে হবে। হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
হাঙ্গেরি কাজের ভিসা প্রসেসিং
হাঙ্গেরির কাজের ভিসা প্রসেসিং বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তুলনামূলকভাবে সহজ, কারণ ঢাকায় হাঙ্গেরি দূতাবাস রয়েছে। এই ভিসার জন্য আপনি নিজে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
যদি আপনি নিজে নিজে আবেদন করতে চান, তাহলে প্রথমে আন্তর্জাতিক জব পোর্টালগুলো ব্যবহার করে হাঙ্গেরিতে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে এবং একটি জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। বিভিন্ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা এই অফার লেটার পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে, আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করেন, তাহলে আপনাকে জব অফার লেটার সংগ্রহের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। এজেন্সি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে নিজেদের দায়িত্বে পুরো ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে দেবে।
ভিসার জন্য আবেদন করার পর, আবেদনকারীদের দূতাবাসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ একটি সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এই সাক্ষাৎকারের জন্য অবশ্যই আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এভাবেই সাধারণত হাঙ্গেরির কাজের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
হাঙ্গেরি কোন কাজের চাহিদা বেশি?
হাঙ্গেরি ইউরোপের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এই উন্নয়নশীল অর্থনীতির কারণে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশি কর্মীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যেতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ ডেনমার্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমানে হাঙ্গেরিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেমন:
- কনস্ট্রাকশন,
- ওয়েল্ডিং,
- প্লাম্বিং,
- ড্রাইভিং,
- ইলেকট্রনিক,
- ড্রাইভিং,
- অটোমোবাইল সার্ভিস ইত্যাদি।
হাঙ্গেরিতে বর্তমানে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক এবং ফ্যাক্টরি শ্রমিক এই দুটি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
হাঙ্গেরি যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের নির্দিষ্ট কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে ভিসা আবেদনের জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হয়। কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যেতে হলে আগ্রহী ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
তবে, যারা হাঙ্গেরির কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে, স্টুডেন্ট এবং ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো বিশেষ বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হয় না।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে
অনেকেই জানতে চান যে হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে। যদি আপনি সঠিকভাবে আবেদন করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টগুলো সঠিক পথে জমা দেন, তাহলে বেশি সময় লাগার কথা নয়।
সেক্ষেত্রে, আপনি ৩ মাসের মধ্যেই হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ৪ থেকে ৫ মাস সময়ও লাগতে পারে হাঙ্গেরি পৌঁছাতে। বর্তমানে কম খরচের কারণে অনেকেই এই দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে হাঙ্গেরি যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে।
বাংলাদেশ টু হাঙ্গেরি বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার বিমান ভাড়া সাধারণত ১ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি ভিসার অনুপাত কত?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসার অনুমোদন পাওয়ার অনুপাত তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। প্রকৃতপক্ষে, এই দেশের ভিসা পাওয়ার হার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির দূরত্ব প্রায় ৬,৬৭৬ কিলোমিটার।
হাঙ্গেরি টাকার মান কত?
হাঙ্গেরি দেশের মুদ্রার নাম হলো হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট (Hungarian Forint), যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো HUF। বর্তমান হাঙ্গেরি ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ০.৩৭ টাকা।
লেখকের শেষ মতামত
হাঙ্গেরি বর্তমানে একটি উন্নত রাষ্ট্র। এই দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। হাঙ্গেরিতে কাজ করতে যাওয়া, সেখানে যেতে কত খরচ হতে পারে, এবং হাঙ্গেরির সর্বনিম্ন বেতন কত এসব বিষয়গুলোই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি, এই আলোচনা থেকে আপনারা হাঙ্গেরিতে কাজ করতে যাওয়ার খরচ এবং দেশটির সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
আজকের এই তথ্যগুলো যদি আপনার কোনো উপকারে আসে, তবেই আমার লেখা সার্থক হবে। তাই পোস্টটি ভালো লাগলে এটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।