কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬ – যাওয়ার খরচ ও বেতন কত জানুন

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: কানাডা হলো পড়াশোনা, চাকরি এবং ভ্রমণের জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিবাসীরা প্রতিনিয়ত কানাডায় প্রবেশ করছে। কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে আগ্রহীদের প্রথমে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬

কানাডা বিশ্বের অন্যতম একটি বৃহৎ এবং উন্নত দেশ, যার অর্থনীতিও অনেক বেশি শক্তিশালী। এই উন্নত রাষ্ট্রে বিভিন্ন সেক্টরে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। 

এছাড়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ ও ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কানাডায় কোন কাজের বেতন কত সেই সম্পর্কে জানতে হবে। তাই এসকল বিষয়ে আপডেট তথ্য পেতে আজকেই এই পোষ্টটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অহরহ প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন। এজন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা খুবই জরুরি।

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার বর্তমানে কোনো সুযোগ নেই। আপনি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে স্বপ্নের দেশ কানাডায় পাড়ি জমাতে পারবেন। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সবার আগে একটি জব অফার লেটার প্রয়োজন। 

বৈধ কাজের অফার পাওয়ার জন্য আপনাকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কানাডার চাকরি খুঁজতে হবে। চাকরির জন্য আবেদনকারীদের কোম্পানি অনলাইনে সাক্ষাৎকার নিয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে থাকে।  অনলাইনে চাকরি খুঁজতে হলে, আপনি LMIA লিখে সার্চ করলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট সামনে আসবে। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জব অফার লেটার পাওয়ার পর, কানাডা সরকারের কাছ থেকে LMIA ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনি নিজে নিজে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আগ্রহীদের আগে কানাডা যাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

আপনি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে অনলাইনে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া, কেউ চাইলে ঝামেলা এড়াতে বিশ্বস্ত এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। এজেন্সি নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে আপনার যাবতীয় কাজগুলো করে দেবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে?

কানাডা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে যেসব কাগজপত্র দরকার:

আরো পড়ুনঃ বুলগেরিয়া যেতে কি কি লাগে? জেনে নিন

  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • জব অফার লেটার
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পাসপোর্ট
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • সিভি
  • LIMA Approval Document
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • ইংরেজি ভাষা দক্ষতা

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?

বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে আপনার কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কানাডা কাজের ভিসা প্রসেসিং করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আপনি নিজে নিজে এই ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।

বর্তমানে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ কম লাগে। তবে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা কাজের ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি লাগে।

কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ২০২৬

কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে উচ্চমানের জীবনযাত্রা, নিরাপদ পরিবেশ এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই উন্নত দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস, পড়াশোনা, কাজ বা ভ্রমণের জন্য ভিসার আবেদন করে থাকেন।

ভিসা আবেদন করার প্রথম ধাপ হলো কানাডা ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করা। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে কানাডা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে অথবা অনলাইন থেকে কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিয়ে আপনাকে ধাপে ধাপে কাজটি করতে হবে। আসুন, ধাপে ধাপে জেনে নিই এই স্বপ্নের যাত্রাপথের বিবরণ।

১: ভিসার ধরন বেছে নিন: আপনার কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, কিংবা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স প্রত্যেকটির জন্য আলাদা যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া রয়েছে।

২: যোগ্যতা যাচাই করুন: আপনাকে কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) এর নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী আপনার যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থিক সামর্থ্য এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন।

৩: অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলুন: আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনাকে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইট (www.canada.ca) এ গিয়ে একটি জিসিসি (GCKey) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি ভিসা ফরম পূরণ করা থেকে শুরু করে আপনার ভিসার অবস্থা পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত কাজ করতে পারবেন।

৪: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন: নিচের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো ভিসার ধরন অনুযায়ী সংগ্রহ করুন:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আবেদন ফরম
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • স্পন্সরশিপ লেটার
  • শিক্ষাগত সনদ
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

৫: আবেদন ফরম পূরণ করুন: ভিসা ফরম পূরণ করার সময় সঠিক তথ্য ব্যবহার করুন। ভুল তথ্য প্রদান করলে আপনার আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬: আবেদন ফি প্রদান করুন: আপনার ভিসার ধরন এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে যে নির্ধারিত আবেদন ফি রয়েছে, তা অনলাইনে জমা দিন।

৭: বায়োমেট্রিক ও সাক্ষাৎকার: ফি পরিশোধ করার পর, আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে।

৮: আবেদন সাবমিট এবং প্রসেসিং: সবকিছু জমা দেওয়ার পর আপনার আবেদনটি প্রসেসিংয়ে (Processing) চলে যাবে। এই সময়ে আপনি জিসিসি (GCKey) অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে আপনার ভিসার অবস্থা চেক করুন।

৯: ভিসার ফলাফল: আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। এরপর, পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প করার জন্য আপনাকে নির্ধারিত কেন্দ্রে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় ধাপগুলো অনুসরণ করলেই কানাডা ভিসা পাওয়ার পথটি সহজ হয়ে যায়। স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রায় ধৈর্য এবং সচেতনতা-ই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় সঙ্গী।

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে। উন্নত এই দেশে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে যেতে পারবেন, যেমন: কৃষি ভিসা, শ্রমিক ভিসা, জব ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬

বিভিন্ন ভিসার ক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ নিম্নরূপ:

  • টুরিস্ট ভিসা: বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়।
  • স্টুডেন্ট ভিসা: প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা লাগতে পারে।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা লাগে।

নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে কানাডা যাওয়ার খরচ কম হয়ে থাকে। তবে, বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসা খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে। মনে রাখবেন, কানাডা যাওয়ার অফিসিয়াল খরচ সাধারণত কম।

কানাডা সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৬

বাংলাদেশ থেকে অনেকে পড়াশোনা বা চাকরির উদ্দেশ্যে কানাডায় যেতে আগ্রহী হন। যারা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কাজ করতে যেতে চান, তাদের জন্য দেশটির সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। কানাডা ফেডারেল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বর্তমান সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি ঘন্টা হলো ১৭.৩০ কানাডিয়ান ডলার। 

বর্তমানে কানাডায় কর্মীদের আনুমানিক সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা  সাধারণত কর্মীদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা বেসিক ডিউটি থাকে। কেউ ওভারটাইম কাজ করলে অবশ্যই তাদের কাজের বেতন আরও বেশি হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশী প্রবাসীরা কানাডায় কাজ শুরু করার সময় শুরুর দিকে কিছুটা কম বেতন পেতে পারেন। তবে, বৈধভাবে কাজের জন্য গেলে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকলে, দেশের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অবশ্যই তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কানাডা যেতে আগ্রহী সবারই সেখানকার বর্তমান সর্বনিম্ন বেতন কত, সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত।

কানাডা কাজের বেতন কত?

কানাডা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির একটি দেশ, যেখানে কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এই দেশে কাজের বেতন ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে কানাডায় কাজের বেতন মাসিক প্রায় ৩ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি তালিকা ২০২৬

তবে, কাজের বেতন কাজের ধরন, কর্মীদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। দেশটিতে কাজের একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত করে দেওয়া আছে, যা শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

কানাডার নাগরিকদের জন্য বর্তমান গড় মাসিক বেতন প্রায় ৫,৪০৪ মার্কিন ডলার। যাদের কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি, তারা স্বাভাবিকভাবেই এই গড়ের চেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন।

  • কানাডা কৃষি কাজের বেতন: কানাডা কৃষি কাজের বেতন প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • কানাডায় ক্লিনারের বেতন: কানাডায় ক্লিনারের বেতন প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা।
  • কানাডা ড্রাইভিং ভিসা বেতন: কানাডা ড্রাইভিং ভিসা বেতন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • কানাডা রেস্টুরেন্ট বেতন: কানাডা রেস্টুরেন্ট বেতন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কানাডা কোন কাজের বেতন বেশি?

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা দেশটিতে যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য কোন কাজগুলোতে বেশি বেতন পাওয়া যায়, সেই বিষয়ে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীরা সাধারণত দক্ষতা-নির্ভর কাজ করে থাকেন, তবে উচ্চশিক্ষিতরা মেধা-নির্ভর পেশায় নিয়োজিত হন।

বর্তমানে কানাডায় বেশ কিছু পেশায় ভালো বেতন পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • স্বাস্থ্য ও আইন: সার্জেন, ডেন্টিস্ট, ফিজিশিয়ান, আইনজীবী, এবং সাইকোলজিস্ট।
  • প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা: আইটি ম্যানেজার।
  • দক্ষতা-ভিত্তিক কাজ: ড্রাইভিং, প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান এবং কনস্ট্রাকশন শ্রমিক।
  • অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র: ফুড ডেলিভারি এবং কৃষি শ্রমিক।

এই কাজগুলোতে চাহিদা এবং শ্রমের মূল্য অনুযায়ী ভালো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।

কানাডা কোন কাজের চাহিদা বেশি?

কানাডা একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশ হওয়ায় এখানে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মীদের জন্য কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের কানাডায় বর্তমানে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি, তা জেনে রাখা দরকার। কানাডায় যেসব কাজের চাহিদা বেশি;

  • ড্রাইভিং, 
  • ফুড ডেলিভারি,
  • ওয়েল্ডিং, 
  • কনস্ট্রাকশন, 
  • প্লাম্বার, 
  • কৃষি শ্রমিক, 
  • ইলেকট্রিশিয়ান, 
  • কার্পেন্টার ইত্যাদি ।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৬

বাংলাদেশ সরকার এবং কানাডার মধ্যে কোনো সরাসরি শ্রমচুক্তি নেই। ফলে, কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে, আগ্রহী ব্যক্তিরা নিজেদের উদ্যোগে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কানাডা যেতে পারেন, কারণ বাংলাদেশে কানাডার দূতাবাস রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রধানত তিনটি ক্যাটাগরিতে কানাডা যাওয়া যায়:

  • স্টুডেন্ট ভিসা: এই ভিসা পেতে হলে শিক্ষার্থীদের কানাডার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার থাকতে হবে।
  • টুরিস্ট ভিসা: টুরিস্ট ভিসা পেতে আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতা, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (eTA) এবং ভালো ট্রাভেল রেকর্ড থাকা প্রয়োজন।
  • ওয়ার্ক ভিসা: কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কানাডার কোনো কোম্পানি থেকে জব অফার লেটার প্রয়োজন হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে যে কেউ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী নিজে নিজে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। তবে, কেউ চাইলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য কোনো এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা কনসালটেন্সি সার্ভিসও নিতে পারেন।

কানাডা যাওয়ার এজেন্সি ২০২৬

বাংলাদেশে কানাডা ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য অনেক এজেন্সি রয়েছে। নিচে কয়েকটি এজেন্সির তথ্য তুলে ধরা হলো:

এজেন্সির নামঠিকানা
কানাডা ভিসা প্রসেসিং সেন্টার১১৬ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা ১২০৫
ওয়েস্টফোর্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসহাউস নং ১৫, রোড নং ০৭, ঢাকা ১২১২
লেগাটো ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ভিসা কনসাল্ট্যান্টস (LIVC)এপ্ট# বি২, সুপার নোভা, হাউস# ১০৭, ১২১৩ রোড নং ১৩, ঢাকা ১২১৩

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা: তালিকাভুক্ত এই এজেন্সিগুলোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কানাডা ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে সর্বদা নিজ দায়িত্বে ও সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেবেন।

FAQs

কানাডার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা?

কানাডার ১ ডলার বাংলাদেশের ৮৭ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে কানাডার বিমান ভাড়া কত?

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কানাডার বিমান ভাড়া ২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাড়ার তারতম্য নির্ভর করে এয়ারলাইনস, ফ্লাইটের ক্লাস, ভ্রমণের সময় এবং টিকিট কখন বুক করা হচ্ছে তার ওপর।

কানাডা ভিসা আবেদন ফি কত?

কানাডা ভিসার আবেদন ফি ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত এই ফি ১০০ থেকে ২৫০ কানাডিয়ান ডলারের মধ্যে হয়।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে কানাডায় পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় ২০ ঘণ্টা থেকে ৩০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এই সময়কাল নির্ভর করে ফ্লাইটে বিরতি এবং গন্তব্যস্থলের দূরত্বের ওপর।

বাংলাদেশ টু কানাডা কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে কানাডার দূরত্ব প্রায় ১০,৯৯৪ কিলোমিটার।

কানাডা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে?

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে, যারা পড়াশোনা বা কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে আগ্রহী, তাদের IELTS পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬.০ স্কোর থাকতে হবে। উল্লেখ্য, এই স্কোরের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যান্ডে কমপক্ষে ৫.৫ থাকা জরুরি।

কানাডা যেতে কত বছর বয়স লাগে?

কানাডায় ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে, পর্যটক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে কানাডা যাওয়ার জন্য বয়সের কঠোর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তবে সাধারণত দেখা যায়, ভিসা আবেদনকারীদের বয়স যদি ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হয়, তবে তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

লেখকের শেষ মতামত

আশা করছি আপনারা এতক্ষণে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি কানাডায় যাওয়ার খরচ ও সেখানে কোন কাজের বেতন কত তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

Leave a Comment