জরুরী লোন বাংলাদেশ (আপডেট তথ্য) – জরুরী লোন দেয় কোন ব্যাংক?

আর্থিক বিপদকালীন সময়ে মানুষের জন্য এই জরুরী লোন আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের হয়তো অনেকেরই জরুরি লোন নেওয়ার দরকার পড়ে কিন্তু  জরুরী লোন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নেই। এজন্য আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার জন্য এই পোস্টে জরুরী লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

জরুরী লোন বাংলাদেশ

জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়, কোন কোন ক্ষেত্রে জরুরী লোন দেওয়া হয় ও কোন কোন ব্যাংক জরুরী লোন দিয়ে থাকে সহ জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে ঋণ নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল।

আপনারা যারা জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং জরুরী লোন গ্রহণ করতে চান তাদেরকে এই পোস্টটি পড়ার আহ্বান করছি। কারণ জরুরী লোন নেয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত প্রয়োজন সে বিষয়গুলো এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ লোন সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

জরুরী লোন কি

জরুরী লোন হল এমন একটি ঋণ যা দ্রুত আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত জরুরি প্রয়োজনে খরচ, যেমন চিকিৎসা বিল, জরুরি ভ্রমণ বা অন্যান্য ব্যয় মেটাতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান জরুরী লোনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। 

অনেক সময়, এগুলোকে “পার্সোনাল লোন” হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ “জরুরী ঋণ” কর্মসূচি পরিচালনা করে।

আপনার যদি হঠাৎ করে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পার্সোনাল লোন বা ইনস্ট্যান্ট লোন স্কিমগুলো বিবেচনা করতে পারেন। আবেদন করার আগে তাদের শর্তাবলী, সুদের হার এবং প্রক্রিয়াকরণের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি।

জরুরী লোনের বৈশিষ্ট্য

সহজ আবেদন প্রক্রিয়াঃ জরুরী লোনের মূল লক্ষ্যই হল মানুষের কাছে দ্রুততম এই ঋণ পৌঁছে দেওয়া। আর তাই গ্রাহককে দ্রুততম ঋণ প্রদানের জন্য জরুরী লোনের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে।

দ্রুত আবেদন গ্রহণঃ জরুরী লোন আবেদনকারীর আবেদন ঋণ প্রদানকারী সংস্থা বা ব্যাংক গ্রহণ করে ও ভেরিফাই করে যদি দেখেন যে আবেদনকারীর জরুরী লোন প্রয়োজন এবং জরুরি লোনের জন্য ভ্যালিড এবং সঠিক ইনফরমেশন থাকে তাহলে খুব দ্রুত সময়ে জরুরী লোনের আবেদনটি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে জরুরী লোন প্রদান করা হয়।

স্বল্প মেয়াদী লোনঃ এই জরুরী লোনের মেয়াদ সীমা অনেক কম হয়ে থাকে। অল্প সময়ে মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু স্বল্প মেয়াদী ঋণ ব্যবস্থা হলেও বিপদকালীন সময়ে এই ঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে হাতে অর্থ পাওয়া যায় এবং বিপদ কাটিয়ে ওঠা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারঃ কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে এই জরুরী লোন প্রদান করা হয় যেমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, বাড়ি মেরামত ও নির্মাণ ক্ষেত্রে, পারিবারিক প্রয়োজনে। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে এই জরুরী লোন প্রদান করা হয়। 

এক কথায় বলা যায় যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিক চাপের মুখে পড়েন তখন এই লোন সেই দুর্যোগকালীন সময় মোকাবেলা করতে সহযোগিতা করে। আর এই উদ্দেশ্যেই মূলত জরুরী লোন প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুনঃ-  উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় - ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা লোন

কোন কোন ক্ষেত্রে জরুরী লোন দেওয়া হয়

জরুরী লোন মূলত তাৎক্ষণিক আর্থিক সংকট মোকাবিলায় দেওয়া হয়, যখন দ্রুত অর্থের প্রয়োজন হয়। এই লোনগুলো ব্যক্তিগত ঋণের একটি বিশেষ ধরন, যা দ্রুত অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে জরুরী লোন দাতা প্রতিষ্ঠান গুলো জরুরি লোন দিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্র গুলো নিম্নে দেয়া হলো।

  • চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা
  • বাড়ির জরুরি মেরামত ও সংস্কার
  • শিক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে
  • ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে
  • ব্যক্তিগত আর্থিক সংকট ক্ষেত্রে
  • পার্সোনাল লোন
  • ওভারড্রাফট

উল্লিখিত বিষয়ের জরুরি লোঞ্জ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন জরুরী লোনের মূল উদ্দেশ্যই হলো তাৎক্ষণিক আর্থিক সংকট মোকাবিলা করা। এই লোনগুলো সাধারণত দ্রুত বিতরণ করা হয়, এবং আবেদনকারীর আয় ও ক্রেডিট হিস্টরি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জরুরী লোন পাওয়ার যোগ্যতা

এই লোনের জন্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে থাকে। এই যোগ্যতাগুলো মূলত আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতা এবং ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই করার জন্য। যেহেতু জরুরি লোন দিয়ে থাকে তাই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানভেদে যোগ্যতা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে যেগুলো যোগ্যতা না থাকলেই নয় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ 

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স সাধারণত ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
  • আবেদনকারীর ঋণ পরিশোধের সময়কাল শেষে সাধারণত ৬০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আবেদনকারীর একটি সক্রিয় ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে।
  • কিছু ব্যাংক ঋণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে জামিনদারের প্রয়োজন হতে পারে।
  • আবেদনকারীর পূর্বে নেওয়া কোনো ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে কোনো খেলাপি রেকর্ড থাকা যাবে না।
  • বেতনভোগী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মাসিক আয় সাধারণত ১৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে হবে, যদিও ব্যাংকভেদে এটি ভিন্ন হয়ে থাকে।
  • ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে বৈধ ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা থাকতে হবে এবং  ন্যূনতম মাসিক আয় সাধারণত ২৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে হবে। 

আপনার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন এবং আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পার্সোনাল লোনের শর্তাবলী যাচাই করা উচিত। তাদের ওয়েবসাইটে অথবা সরাসরি শাখায় যোগাযোগ করে সর্বশেষ এবং বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।

জরুরী লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জরুরী লোনের জন্য আপনার যেসকল কাগজপত্র লাগবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ

  • প্রথমে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে।
  • তারপর জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন সনদ এইসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।
  • আবেদুকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • ইউটিলিটি বিলের যে কোন একটি কপি জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট চাওয়া হতে পারে।
  • যেহেতু জরুরি ঋণ তাই মাসিক কিস্তি পরিশোধের জন্য কিছু অগ্রিম তারিখের চেক চাওয়া হতে পারে।
  • এছাড়াও আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রয়োজন হবে।
  • ব্যবসার শেষ ২-৩ বছরের ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি।
আরো পড়ুনঃ-  ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন (আপডেট তথ্য) - প্রয়োজনীয় কাগজ ও সুদের হার

জরুরী লোন বাংলাদেশ আবেদন প্রক্রিয়া

জরুরী ভিত্তিতে লোন নিতে হলে আপনার পছন্দের ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা শুধু আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটা জানিতে দিব বাকি কাজ আপনাকেই সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকংশ ব্যাংকই জরুরী ভিত্তিতে লোন প্রদান করে থাকে। 

নিচে জরুরী ভিত্তিতে লোন পাওয়ার উপায় বা জরুরী লোন বাংলাদেশ আবেদন প্রক্রিয়া নিচে নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ ক্রয়া হলঃ  

ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে: বিভিন্ন ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তাদের পার্সোনাল লোনের বিস্তারিত তথ্য থাকে। সুদের হার, লোনের পরিমাণ, পরিশোধের মেয়াদ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়াকরণের সময় দেখে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যাংকটি নির্বাচন করুন। এছাড়াও আপনি কত দিনে লোন শোধ করবেন এবং মুনাফা কত দিতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেজন্য জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে একটি সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে: জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এখানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, লোনের পরিমাণ, মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে: ব্যাংক থেকে জরুরী ভিত্তিতে লোন পেতে হলে আপনার নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়।  যা আমরা ইতিমধ্যে পরে আলোচনা করেছি/

সঠিক প্রমাণ প্রদান করতে হবে: জরুরী ভিত্তিতে লোন পেতে হলে অবশ্যই সঠিক প্রমাণ প্রদান করতে হবে। তাছাড়া রোমানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। সঠিক প্রমাণ না দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার লোনের আবেদন বাতিল করে দিবে। তাই আপনি যেই তথ্য গুলো দিবেন তা যেন সঠিক হয়।

কাগজপত্র জমা দেওয়া: পূরণ করা আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সাধারণত যে কাগজপত্রগুলো চাওয়া হয় তা আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। আপনারা ভালোভাবে দেখে নিবেন কিংবা প্রয়োজনে মাঠকর্মীর সাথে কথা বলে আরও অন্যান্য কাগজপত্র লাগবে কিনা তা জেনে নিতে হবে। 

যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া: তারপর ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে বা ভেরিফাই দেখবে যে সব তথ্য সঠিক কিনা। তারপর যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করে নেওয়া হবে। তাছাড়া এর পরও যদি আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয় তাহলে আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করবে।

ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ: সকল যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ট হলে ঋণের আবেদন অনুমোদন করে যদি তাদের মনে হয় সকল তথ্য সঠিক তখন আপনার একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে দিবে।

ঋণ পরিশোধ: ঋণ বিতরণ হওয়ার পর, চুক্তি অনুযায়ী সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। কিস্তিগুলো সাধারণত প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত দিনে জমা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুনঃ-  সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন - সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা

জরুরী লোন দেয় কোন ব্যাংক?

দেশের আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান গুলোতে এই জরুরী লোন প্রদান করে থাকে। তবে আপনি যে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরী লোন নিতে ইচ্ছুক। সে ব্যাংকের জরুরী লোনের সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা ও শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত অবশ্যই জেনে নিবেন। নিচে যে সকল ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান জরুরী লোন দিয়ে থাকে সেই সকল ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম দেওয়া হল।

বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ:

  • বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ব্রাক ব্যাংক
  • বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  • সোনালী ব্যাংক
  • ইস্টার্ন ব্যাংক
  • পূবালী ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক
  • জনতা ব্যাংক
  • সিটি ব্যাংক 
  • প্রাইম ব্যাংক
  • ইউনিয়ন ব্যাংক
  • আইএফআইসি ব্যাংক
  • ওয়ান ব্যাংক 
  • ঢাকা ব্যাংক 
  • ট্রাস্ট ব্যাংক
  • ডাচ-বাংলা ব্যাংক
  • স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক

বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান 

  • বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  • আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড
  • সিভিটি ফাইন্যান্স লিমিটেড
  • লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি
  • টিভিএস ক্রেডিট
  • আইপিডিসি ফাইন্যান্স
  • প্রাথমিক কৃষি ক্রেডিট কোম্পানি
  • সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস

মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এখন বিকাশ নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্য সীমিত অঙ্কের ইনস্ট্যান্ট লোন সুবিধা প্রদান করে, যা খুব ছোটখাটো জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু ‘জরুরী লোন’ সাধারণত পার্সোনাল লোনেরই একটি ধরন, তাই লোনের উদ্দেশ্য এবং দ্রুত বিতরণের শর্তাবলী দেখে ব্যাংকগুলোর পার্সোনাল লোনের পণ্যগুলো যাচাই করা উচিত।

জরুরী লোন এর সুবিধা ও অসুবিধা

জরুরী লোন হঠাৎ করে আসা আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য দ্রুত সমাধান দিতে পারে। তবে এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হল;

সুবিধা

  • জরুরী লোনের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়।
  • জামানতবিহীন লোন পাওয়া যায়
  • অনেক অল্প সময়ে দ্রুত অর্থের যোগান পাওয়া সম্ভব হয়।
  • প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি লোন নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও এই লোন পাওয়া যায়।
  • এই লোনের টাকার পরিমানও তুলনামূলক বেশি হয়।
  • কোন কিছু জামানত ছাড়াই এই লোন পাওয়া যায়।
  • এই লোন বিপদের মুহুর্ত কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করে।

অসুবিধা

  • জরুরী লোন পরিশোধের সময়সীমা কম।
  • সুদের হার তুলনামূলক অনেক বেশি।
  • এই লোনের জন্য সকল ধরনের মানুষ উপযুক্ত নয়।
  • মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে জরুরী মুহূর্তে এই লোন গ্রহণ করে এটাও একটি অসুবিধা।

লেখকের শেষ মতামত

বাংলাদেশে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত ঋণ বা ইনস্ট্যান্ট লোন হিসেবে এই প্রয়োজন মেটায়। এই ধরনের লোনের মূল সুবিধা হলো দ্রুত অনুমোদন ও বিতরণ, যা সংকটের সময় অত্যন্ত জরুরি। এটি সাধারণত জামানতবিহীন হয়ে থাকে এবং কম কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করা যায়।

সঠিক পরিকল্পনা এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারের মাধ্যমে জরুরী লোন আপনার আর্থিক সংকট দূর করতে সক্ষম তবে আপনি যদি এই লোন অপরিকল্পিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যতের জন্য বড় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment