ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন (আপডেট তথ্য) – প্রয়োজনীয় কাগজ ও সুদের হার

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা। এটি একটি জামানতবিহীন লোন যা অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের দেশের ভেতরে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নিতে পারেন। এই লোনটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন মূলত সেইসব পরিবারের জন্য, যেখানে অভিভাবকের একটি স্থিতিশীল আয় আছে এবং তিনি তার সন্তানকে দেশের ভেতরে বা বাইরে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াতে চান কিন্তু এককালীন বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে। আজকের এই পোষ্টে আমরা ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সম্পর্কে আপডেট তথ্য জেনে নিব। ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের যোগ্যতা, লোন নিতে কি কি লাগবে, আবেদন প্রক্রিয়া, সুদের হারসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে জানবো।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন কি

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য দেয়া হয়। যা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই লোনের মাধ্যমে শুধু টিউশন ফি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের হোস্টেল খরচ, বইপত্র কেনা, ল্যাপটপ কেনা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও মেটানো যায়। লোনের অর্থ একবারে বিতরণ না করে, শিক্ষার্থীর সেমিস্টার বা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিতরণ করা হয়।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের যোগ্যতা

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের জন্য যোগ্যতা মূলত নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ, এবং লোনের পরিমাণের উপর। সাধারণভাবে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই বাংলাদেশের স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থাকতে হবে এবং লোন পরিশোধের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস থাকতে হবে। ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন পাওয়ার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা সমূহ থাকতে হবে তা আরও বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হল:

  • আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ২৩ বছর হতে হবে। এবং লোনের মেয়াদপূর্তির সময় আবেদনকারীর বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে। 
  • অভিভাবকদের প্রতি মাসের আয় সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা হতে হবে। ( তবে শর্ত প্রযোজ্য)
  • অবশ্যই ব্র্যাক ব্যাংক পূর্বে সচল অ্যাকাউন্ট/হিসাব নম্বর থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর অবশ্যই বাংলাদেশের স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি থাকতে হবে।
  • লোন পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীর একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস থাকতে হবে অথবা তার অভিভাবকের আয়ের উৎস থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • এই লোনের জন্য কোনো জামানত প্রয়োজন হয় না। তবে, একজন পার্সোনাল গ্যারান্টর থাকতে হবে। 

এই লোনটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তাই আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আরও অন্যান্য যোগ্যতা থাকতে হতে পারে এজন্য সঠিক তথ্যের জন্য, আপনার নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করা উত্তম।

আরো পড়ুনঃ-  ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ব্র্যাক ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং তথ্যের প্রয়োজন হয়। আবেদনকারী এবং গ্যারান্টরের যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ 

আবেদনকারীর জন্য:

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজে ২ কপি ছবি।
  • বেতনভোগী চাকুরীজীবীর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ৬ মাসের স্যালারি সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ৬-১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি 
  • ৫ লক্ষ টাকার অধিক লোনের জন্য সর্বশেষ ট্যাক্স রিটার্নের কপি প্রয়োজন হতে পারে।
  • যদি অন্য কোনো ব্যাংক থেকে লোন বা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে থাকেন, তবে তার প্রমাণপত্র।
  • ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত “আগামী” পার্সোনাল লোনের আবেদন ফরম, যা আবেদনকারী ও গ্যারান্টরের স্বাক্ষরসহ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

গ্যারান্টরের জন্য:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি।
  • পেশাগত পরিচয়ের জন্য ভিজিটিং কার্ড।
  • ক্ষেত্রবিশেষে গ্যারান্টরের আয়ের প্রমাণপত্র বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগতে পারে।

কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা আবেদনকারীর পেশা এবং লোনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। সঠিক তথ্যের জন্য, নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন প্রক্রিয়া

এই লোনের আবেদন প্রক্রিয়া মূলত অভিভাবকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। নিচে ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়াটি উল্লেখ করা হলো:

যোগাযোগ ও তথ্য সংগ্রহ: প্রথমেই আপনার নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন। সেখানে গিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাকে ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেবেন এবং আপনার ও আপনার সন্তানের যোগ্যতার প্রাথমিক যাচাই করবেন।

আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই: ব্যাংক আপনার পেশা, ন্যূনতম মাসিক আয় যাচাই করবে। এরপরে আপনার সন্তান কোন প্রতিষ্ঠানে, কী কোর্সে ভর্তি হতে চলেছে বা অধ্যয়নরত আছে, সে বিষয়েও তারা তথ্য নিবে। 

আবেদন ফরম সংগ্রহ ও পূরণ: যোগ্যতা যাচাই করার পরে আপনি যদি যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে ব্যাংক আপনাকে ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের আবেদন ফরম প্রদান করবে। এরপরে আপনাকে সেই ফরমটি সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া: জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, আয়ের প্রমাণপত্র, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণের সনদপত্রের ফটোকপি, গ্যারান্টরদের তথ্য ইত্যাদি জমা দিন। আমরা উপরের অংশে ব্র্যাক ব্যাংক শিক্ষা লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। সেগুলো সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন - সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্তসমূহ

যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন: কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর, ব্যাংক আপনার আবেদন এবং জমা দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনার আয়ের উৎস, ক্রেডিট হিস্টোরি এবং শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোর্সের যথার্থতা পর্যালোচনা করবেন। যদি সবকিছু সন্তোষজনক হয়, তাহলে আপনার লোনের আবেদন অনুমোদিত হবে।

লোন বিতরণ (ফেজ ডিসবার্সমেন্ট): লোন অনুমোদিত হলে, অনুমোদিত লোনের সম্পূর্ণ অর্থ একবারে বিতরণ করা হয় না। এটি “ফেজ ডিসবার্সমেন্ট” পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর সেমিস্টার বা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাধিক ধাপে (যেমন ৩, ৪, ৬ বা ১২ মাসের ফেজে) সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে অথবা নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে বিতরণ করা হয়। প্রথম ফেজ ডিসবার্সমেন্টের সময় লোনের যাবতীয় ফি এবং চার্জ কেটে নেওয়া হয়।

লোন পরিশোধ: লোন বিতরণ শুরু হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে (EMI) লোন পরিশোধ করতে হবে। মাসিক কিস্তি প্রতিটি ফেজ ডিসবার্সমেন্টের সাথে সমন্বয় হয়। আবেদন করার আগে ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অথবা সরাসরি শাখায় গিয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নীতিমালা জেনে নিন। সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে ও সময়মতো জমা দিন। এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে আপনি ব্র্যাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার সন্তানের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের পরিমাণ

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে। এই লোনের একটি বিশেষ সুবিধা হলো, লোনের পরিমাণ শিক্ষার্থীর মোট টিউশন ফি-এর সর্বোচ্চ ১৩০% পর্যন্ত হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ: যদি শিক্ষার্থীর মোট টিউশন ফি ৮,০০,০০০ টাকা হয়, তাহলে ব্র্যাক ব্যাংক তাকে সর্বোচ্চ ১,০৪০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন দিতে পারে। এই লোনের মাধ্যমে শুধু টিউশন ফি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের হোস্টেল খরচ, বইপত্র কেনা, ল্যাপটপ কেনা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও মেটানো যায়। লোনের অর্থ একবারে বিতরণ না করে, শিক্ষার্থীর সেমিস্টার বা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিতরণ করা হয়। সবচেয়ে সঠিক এবং আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতির জন্য প্রযোজ্য লোনের পরিমাণ জানতে, আপনার নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করা অথবা তাদের হটলাইন ১৬২২১ নম্বরে কল করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ-  সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন - সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের সুবিধা

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সুদের হার ও মেয়াদ

ব্র্যাক ব্যাংক এই লোনের জন্য প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার অফার করে। সুদের হার পরিবর্তনশীল হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। 

পরিশোধের মেয়াদ: ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এই দীর্ঘমেয়াদী পরিশোধ ব্যবস্থা অভিভাবকদের মাসিক কিস্তির চাপ কমিয়ে দেয।

পরিশোধের পদ্ধতি (ফেজ ডিসবার্সমেন্ট): এই লোনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো ফেজ ডিসবার্সমেন্ট (Phase Disbursement)। এর মানে হলো:

  • অনুমোদিত লোনের সম্পূর্ণ অর্থ একবারে বিতরণ করা হয় না।
  • এটি শিক্ষার্থীর সেমিস্টার বা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাধিক ধাপে (যেমন ৩, ৪, ৬ বা ১২ মাসের ফেজে) বিতরণ করা হয়।
  • প্রতিটি ধাপের সময়কাল সমান হয়।
  • মাসিক কিস্তির পরিমাণ লোনের প্রতি ফেজ ডিসবার্সমেন্টের সাথে পরিবর্তনশীল হবে।
  • লোনের যাবতীয় ফি এবং চার্জ লোনের প্রথম ফেজ ডিসবার্সমেন্টের সময় কেটে নেওয়া হয়।

যদি পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে লোনের জন্য আবেদন করা হয়, তাহলে সর্বশেষ ধাপ ডিসবার্সমেন্টের পর লোন পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়:

  • ৪ মাসের ফেজ ডিসবার্সমেন্টের ক্ষেত্রে: সর্বশেষ ধাপ ডিসবার্সমেন্টের পর অতিরিক্ত ১৬ মাস সময় পাবেন।
  • ৬ মাসের ফেজ ডিসবার্সমেন্টের ক্ষেত্রে: সর্বশেষ ধাপ ডিসবার্সমেন্টের পর অতিরিক্ত ১৮ মাস সময় পাবেন।

সুতরাং, ব্র্যাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর। সুদের হার পরিবর্তনশীল এবং এটি লোনের ধাপে ধাপে বিতরণের (ফেজ ডিসবার্সমেন্ট) উপর ভিত্তি করে পরিশোধের সময়সূচি ও কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য সুদের হার এবং কিস্তির পরিমাণ জানতে, ব্র্যাক ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করাই সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে, ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অভিভাবকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং সুবিধাজনক আর্থিক সমাধান।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন এর মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি এবং যাবতীয় আনুষঙ্গিক খরচ মেটানো। এই লোনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইউজিসি অনুমোদিত সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের জন্য এই লোন সুবিধা পাওয়া যায়।

আজকের এই আর্টিকেলের সাহায্যে নিশ্চই ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সম্পর্কিত বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনাদের ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা মতামত থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment