বাংলাদেশের জনপ্রিয় সরকারি একটি ব্যাংকের নাম হচ্ছে, জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জনতা ব্যাংক লিমিটেড থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোন নেয়া অনেক লাভজনক। আমরা অনেকেই জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন নিতে চাই কিন্তু জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা নেই।
মূলত এজন্য আমরা আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে আজকে জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন, জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন এর উদ্দেশ্য, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া এবং সুদের হার সম্পর্কে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন কি?
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন বলতে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের লোন সুবিধাকে বোঝায়, যা ছোট, মাঝারি এবং বৃহৎ আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই লোনগুলো সাধারণত ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি, নতুন প্রকল্প শুরু করা, যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ বা দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
জনতা ব্যাংক, একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা লোন (Business Loan) প্রদান করে, যা বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন কারা পাবে?
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন কারা পাবে তা নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলঃ
চলতি মূলধন লোন: এটি ব্যবসার দৈনন্দিন খরচ, যেমন কাঁচামাল ক্রয়, মজুরি পরিশোধ, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়।
মেয়াদী লোন: এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হয়, যেমন নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, কারখানা নির্মাণ বা ব্যবসা সম্প্রসারণ। এর পরিশোধের মেয়াদ তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ হয়।
এসএমই লোন: জনতা ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (SME) উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই লোনগুলো নতুন SME ব্যবসা শুরু করা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য দেওয়া হয়। এসএমই লোনের ক্ষেত্রে জামানতের শর্তাবলী তুলনামূলকভাবে নমনীয় হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে জামানতবিহীন লোনও দেওয়া হয়।
কৃষি লোন: কৃষি খাতের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের জন্য কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের এই লোন দেওয়া হয়।
বিশেষায়িত লোন: কিছু নির্দিষ্ট খাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষ লোন প্রকল্প থাকে, যেমন:
- মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন লোন
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উন্নয়ন লোন
- তাঁত লোন
- বাইসাইকেল লোন,
- প্রশিক্ষিত যুবদের লোন,
- নারী বান্ধব স্কুটারস লোন ইত্যাদি।
বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট লোন: বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, শপিং মল, অফিস স্পেস তৈরি বা কেনার জন্য এই লোন দেওয়া হয়।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন নেওয়ার যোগ্যতা ও শর্তসমূহ
জনতা ব্যাংকের ব্যবসা লোন নিতে আপনার কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স সাধারণত ২১ বছরের বেশি হতে হবে এবং লোনের মেয়াদপূর্তির সময় ৬৫ বছরের কম হতে হবে।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির সকল বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে এবং অনুমোদিত ব্যক্তিরা আবেদন করবেন।
- প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার ক্ষেত্রে, সাধারণত কমপক্ষে ২-৩ বছরের সফল ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়।
- নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে, একটি সুস্পষ্ট এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (CIB) রিপোর্ট ক্লিন থাকতে হবে। অর্থাৎ, পূর্বে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে খেলাপি থাকা যাবে না।
শর্তাবলী:
- জনতা ব্যাংকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি সক্রিয় ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে, যার মাধ্যমে লোনের অর্থ বিতরণ ও কিস্তি পরিশোধ হবে।
- ব্যাংক কর্মকর্তারা লোনের আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারেন।
- ব্যবসার নিয়মিত ও সঠিক হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের প্রমাণপত্র দেখাতে হতে পারে।
- লোন শুধুমাত্র বৈধ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। ব্যক্তিগত বা অবৈধ কাজে লোনের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জনতা ব্যাংক থেকে ব্যবসা লোন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রদান করতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে।
- টিন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- ব্যবসায়িক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
- জনতা ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত যথাযথভাবে পূরণকৃত লোন আবেদন ফরম।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ ৬-১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- আয়ের প্রমাণপত্র (ট্যাক্স রিটার্ন বা অন্যান্য ডকুমেন্ট) প্রদান করতে হবে।
- জামানতের কাগজপত্র (যেমন: জমির দলিল, ফ্ল্যাটের কাগজপত্র ইত্যাদি) প্রদান করতে হবে.
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- পরিচালকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে
- ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রদান করতে হবে।
অন্যান্য কাগজপত্রঃ
- সর্বশেষ ২-৩ বছরের আর্থিক বিবরণী দিতে হতে পারে, যার মধ্যে লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং ব্যালেন্স শীট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- ব্যবসার লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে কিছু বিক্রয় ও ক্রয় চালানের কপি দিতে হতে পারে।
- চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে বর্তমান স্টক এবং প্রাপ্য বিলের বিস্তারিত বিবরণী দিতে হতে পারে।
- যদি ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষীয় গ্যারান্টি প্রয়োজন হয়, তবে গ্যারান্টারদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, আয়ের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- যদি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমানে কোনো লোন থাকে, তার বিস্তারিত বিবরণী (যদি প্রযোজ্য হয়)।
লোনের আবেদন করার আগে জনতা ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করে একজন লোন কর্মকর্তার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি আপনার ব্যবসার ধরন এবং প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের একটি তালিকা দিতে পারবেন।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন আবেদন
জনতা ব্যাংক থেকে ব্যবসা লোন পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এটি আপনার ব্যবসার ধরন, লোনের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয় জামানতের ওপর ভিত্তি করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে একটি সফল আবেদনের জন্য প্রতিটি ধাপ ভালোভাবে অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন আবেদন প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলঃ
নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ: আপনার ব্যবসার অবস্থান অনুযায়ী নিকটস্থ জনতা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ব্যাংকের একজন ব্যবসা লোন কর্মকর্তার সাথে দেখা করুন। এরপরে আপনার ব্যবসার ধরন, লোনের উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয় লোনের পরিমাণ এবং পরিশোধের সক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য, যেসব কাগজপত্র লাগবে তা সংগ্রহ করুন। কী কী কাগজপত্র লাগবে তা ইতোমধ্যে উপরে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর ফটোকপি করে নিন। এছাড়া, জনতা ব্যাংকের হেল্পসেন্টারে কল করে কিংবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেখে নিতে পারবেন। কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
আবেদন ফরম পূরণ ও জমাদান: জনতা ব্যাংক থেকে ব্যবসা লোনের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। এরপরে সেই ফরমটি সতর্কতা এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করুন যাতে কোনো তথ্য যেন বাদ না পড়ে। সকল কাগজপত্র আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার সময় একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে ভুলবেন না।
ব্যাংক কর্তৃক যাচাই-বাছাই ও পরিদর্শন: আপনার সকল নথিপত্র জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনার আবেদনপত্র এবং প্রদত্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। এরপরে তারা আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ব্যবসা পরিচালনা পদ্ধতি, পণ্যের বাজার, সাপ্লাই চেইন এবং উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে চাইবেন। প্রয়োজনে আপনার আর্থিক অবস্থা এবং লোন পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে তারা আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যবসার রেকর্ড এবং ক্রেডিট হিস্টোরি (CIB রিপোর্ট) জানতে চাইবেন।
লোন অনুমোদন ও চুক্তি স্বাক্ষর: জনতা ব্যাংক সকল যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে এবং আপনি সকল শর্ত পূরণ করলে, আপনার লোন আবেদন অনুমোদিত হবে। লোন অনুমোদন হওয়ার পরে ব্যাংকের সাথে একটি লোন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। এই চুক্তিতে লোনের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের মেয়াদ, মাসিক কিস্তি এবং অন্যান্য শর্তাবলী বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
লোন বিতরণ: পরের ধাপে চুক্তি স্বাক্ষর এবং সকল আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর, লোনের অর্থ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে বিতরণ করা হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে লোনের অর্থ ধাপে ধাপে বিতরণ করা হয়, বিশেষ করে যদি বড় অংকের লোন হয়।
নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ: লোনের অর্থ বিতরণ হওয়ার পর থেকে চুক্তি অনুযায়ী নিয়মিত মাসিক/ত্রৈমাসিক কিস্তিতে (EMI) লোনের আসল এবং সুদ পরিশোধ করতে হবে। কিস্তি পরিশোধের জন্য ব্যাংক হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয় অর্থ কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে, অথবা আপনাকে নিয়মিতভাবে ম্যানুয়ালি কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
জনতা ব্যাংক যোগাযোগ ঠিকানা
- ওয়েবসাইট: (http://www.jb.com.bd)
- মেইল: info@janatabank-bd.com
আপনার ব্যবসার জন্য জনতা ব্যাংক থেকে লোন পেতে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলে লোন পেতে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন সুদের হার
জনতা ব্যাংকের ব্যবসা লোনের সুদের হার প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবর্তনশীল। বর্তমানে কিছু লোনের সুদের হার ১৩.০০% (পরিবর্তনশীল) এবং কিছু বিশেষায়িত ঋণের ক্ষেত্রে ১২.০০% (পরিবর্তনশীল) হতে পারে।
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোনের মেয়াদ ও পরিশোধের নিয়ম
লোনের ধরন অনুযায়ী মেয়াদ ভিন্ন হয়। চলতি মূলধন লোন সাধারণত ১ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য, আর মেয়াদী লোন বা বড় প্রকল্পের জন্য ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
জনতা ব্যাংক থেকে ব্যবসা লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্য, গ্রাহকদের সাধারণত মাসিক কিস্তি (EMI) বা নির্দিষ্ট সময় পর পর সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়। পরিশোধের নিয়মাবলী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় প্রদত্ত লোন চুক্তিতে উল্লেখ থাকে। এছাড়াও, গ্রাহক চাইলে জনতা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে লোন পরিশোধ করতে পারেন।
লেখকের শেষ মতামত
জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোনের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা শাখা থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করুন। লোনের শর্তাবলী এবং সুদের হার সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে একটা বিষয় জেনে রাখাটা জরুরি সেটা হচ্ছে, লোনের জন্য আবেদন করার সময় সকল কাগজপত্র সঠিক এবং আপডেটেড রাখুন। লোনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৭ থেকে ১৫ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে।
এই ছিলো জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সকল ধরণের প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো হয়েছে। জনতা ব্যাংক আমাদের সকলের জন্য ব্যবসা লোন প্রদান করে থাকে তাই আপনিও চাইলে এই ব্যাংক থেলে ব্যবসা লোন নিয়ে সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
আজকের এই আর্টিকেলের সাহায্যে নিশ্চই জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন সম্পর্কিত বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনাদের জনতা ব্যাংক ব্যবসা লোন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা মতামত থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।