খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ

খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে এ ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা নেই। এ ধরনের সিমটম গুলো বিভিন্ন রোগের লক্ষণ বহন করতে পারে। তবে সাধারণ কিছু কারণেও এ ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে। কারণ অনেকের মাথা ধরলে কিংবা পেট ব্যথা হলে এবং গ্যাস্ট্রিকের কারণেও বমি বমি ভাব হতে পারে। 

খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাবখাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ কোন রোগের লক্ষণ

অর্থাৎ শরীর যখন ভালো থাকেনা, খাবারের অনিয়ম হয় তখন এ ধরনের ইঙ্গিত গুলো দেখা যায়। কোন কোন সময় খাবারে অরুচি স্বাভাবিক হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন রোগের লক্ষণ বহন করতে পারে। অনেক সময় খাবারে অরুচি মানসিক টেনশনের কারণে হয়ে থাকে। কারণ অতিরিক্ত টেনশন থাকে খাবারে রুচি থাকে না এবং বমি বমি অনুভব হয়। আজকের এই পোস্টে আমরা খাবারে সবসময় অরুচি ভাব ও বমি বমি ভাব কোন রোগের সম্ভাব্য লক্ষণ ও করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ

আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ এই বিষয়টি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। মাঝেমধ্যে অনেকেই এ ধরনের সমস্যার কথা বলে থাকেন। তবে এই সমস্যাগুলোর মেইন কারণ হচ্ছে সাধারণ জ্বর গ্যাস্ট্রিক আলসার কিংবা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

খাবারে অরুচি এবং বমি বমি ভাব দুটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর লক্ষণ যা প্রায়শই একসাথে দেখা যায়। এই দুটি লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, যার কিছু সাধারণ এবং কিছু গুরুতর হতে পারে।

খাবারে অরুচি এবং বমি বমি ভাব একসাথে দেখা দিলে নিচের রোগ বা সমস্যাগুলোর লক্ষণ হতে পারে:

  • ডায়রিয়া বা আমাশয় হলে পেট মোচর দেই যার ফলে বমি বমি লাগে এবং খাবারের যে আসে।
  • পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাসের সৃষ্টি হলে এবং পেট ফেঁপে গেলে বমি বমি ভাব লাগে এবং খাবার দেখলে অরুচি লাগে।
  • আবার অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা ডিপ্রেশন থাকলে মন মানসিকতা ক্ষুন্ন থাকে যার ফলে খাবারে কোন রুচি থাকে না এবং বমি বমি ভাব অনুভব হয়।
  • হজমে গণ্ডগোল, অতিরিক্ত অ্যাসিড, বা পেটের গ্যাসের কারণে খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অনেক নারীদের গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে অর্থাৎ গর্ভধারণের ২-৩ মাস বমি বমি ভাব হয় এবং খাবারে অরুচি লাগে। হর মনের পরিবর্তন হয় যার কারণে বমি বমি লাগে।
  • পেটে যদি কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত কোন ইনফেকশন হয় যার কারণে খাবার অরুচি লাগে এবং বমি বমি ভাব অনুভব হয় এবং পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে।
  • মেয়েদের যখন প্রত্যেক মাসে পিরিয়ড হয় এ সময় পেটের নিচে দিকে ব্যথা করে যার কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হয় অনেক ক্ষেত্রে খাবারের রুচি হারিয়ে যায়।
  • দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • তীব্র মাইগ্রেন মাথাব্যথার সাথে প্রায়শই বমি বমি ভাব এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা যায়, যা খাবারের ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়।
  • পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্রে ঘা হলে খাওয়ার পর ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং খাবারের প্রতি অনীহা হতে পারে।
  • যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়মিত খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। এটি বুক জ্বালাপোড়ার সাথে সাথে খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • পিত্তথলিতে পাথর থাকলে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর তীব্র বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এবং খাবারে অরুচি হতে পারে।
  • যেকোনো ধরনের ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এর ফলে খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
  • আবার কারো যদি কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায় কিংবা কিডনিজনিত কোন সমস্যা হয় তাহলে দেহের মধ্যে অস্বস্তিকর ভাব চলে আসে যার ফলে খাবার খেতে অরুচি লাগে এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়। 
আরো পড়ুনঃ-  কিভাবে দ্রুত sgpt কমাতে হয় - Sgpt কমানোর উপায় কি

যদি খাবারে অরুচি এবং বমি বমি ভাব দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তীব্র হয়, অথবা এর সাথে অন্য কোনো গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ সঠিক রোগ নির্ণয় এবং সময় মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।

বমি বমি ভাব দূর করার উপায়

বমি বমি ভাব দূর করার জন্য কিছু সহজ এবং কার্যকর উপায় আছে যা আপনি ঘরে বসেই চেষ্টা করতে পারেন। বমি বমি ভাব খুবই অস্বস্তিকর একটি অনুভূতি। এটি দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় আছে যা আপনি ঘরে বসেই চেষ্টা করতে পারেন। তবে যদি বমি বমি ভাব দীর্ঘক্ষণ থাকে বা খুব তীব্র হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দূর করার ঘরোয়া উপায় নিচে উল্লেখ করা হলঃ

আদা: আদা বমি বমি ভাব কমাতে খুব কার্যকর। এক টুকরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চাইলে গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন।

লেবু:  ঠান্ডা লেবুপানি অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। লেবুর ঘ্রাণ বা লেবুপানি বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা চা হিসেবে কিংবা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন কেননা পুদিনা পাতা বমি বমি ভাবের জন্য উপকারি।

পর্যাপ্ত তরল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, বা হালকা ফলের রস পান করুন। ডিহাইড্রেশন বমি বমি ভাব বাড়াতে পারে। একবারে বেশি পানি না খেয়ে অল্প অল্প করে পান করুন।

ঠান্ডা বাতাস: ঘরের জানালা খুলে দিন বা বাইরে খোলা বাতাসে হাঁটুন। ঠান্ডা বাতাস বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।

আরাম করুন: আরামদায়ক স্থানে শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন। শারীরিক পরিশ্রম বমি বমি ভাব বাড়াতে পারে। পেটের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এমন পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন।

তীব্র গন্ধ এড়িয়ে চলুন: রান্না, পারফিউম বা অন্যান্য তীব্র গন্ধ এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো বমি বমি ভাব বাড়াতে পারে।

আকুপ্রেশার: কব্জির ভেতরের দিকে, হাতের তালু থেকে প্রায় দুই আঙুল নিচে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে (P6 বা Neiguan Point) হালকা চাপ দিলে অনেকের বমি বমি ভাব কমে। কিছু মোশন সিকনেস ব্রেসলেটও এই নীতির ওপর কাজ করে।

যদি বমি বমি ভাব দীর্ঘক্ষণ থাকে, তীব্র হয়, অথবা এর সাথে জ্বর, পেটে তীব্র ব্যথা, মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি কোনো অন্তর্নিহিত গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।।

মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ

মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ হতে পারে অবশ্যই এ ব্যাপারে জানতে আগ্রহী অনেকেই। মাথা ঘোরা এবং বৈবাহিক ভাব শরীরের ভেতরের কোন রোগের ইঙ্গিত বহন করতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কারণ ধরা যেতে পারে। কারণ অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে যখন শরীরে পানির ঘাটতি থাকে এবং শরীর ক্লান্ত থাকে তখন মাথা ঘুরে এবং বমি বমি ভাব অনুভব হয়।

আরো পড়ুনঃ-  চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার লক্ষণ - চশমার পাওয়ার কত হলে স্বাভাবিক

মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব একসাথে দেখা দিলে নিচের রোগ বা সমস্যাগুলোর লক্ষণ হতে পারে:

  • অনেক সময় কারো ব্লাড প্রেসার লো হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ না হওয়ার কারণে মাথা ঘুরে এবং অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত রক্ত পায় না, ফলে মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা, সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • বিশেষ করে আমরা যারা তীব্র বাইরে বেশি চলাফেরা করি তাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়  যার ফলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আর এই সময়ে আমাদের মাথা ঝিমঝিম করে এবং বমির হতে পারে।
  • রক্তে যদি শর্করার ঘাটতি হয় আর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো হতে পারে যার কারণে মাথা ব্যাথা, শরীর দুর্বল এবং বমি বমি ভাব অনুভব হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বা দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ঘাম এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে “মর্নিং সিকনেস” নামে পরিচিত বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা খুবই সাধারণ।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণেও মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে মাথা ঘুরতে পারে। তাই যে কোন সমস্যার কারণে যদি কেউ এন্টিবায়োটিক খায় এসময় শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথা ঘোরাটা স্বাভাবিক।

মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব দূর করার উপায়

মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব দূর করার উপায় অবশ্যই হয়েছে। ঘরে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই মাথা ঘোরার বনভূমি ভাব দূর করা যায়। মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব দুটি খুবই অস্বস্তিকর অনুভূতি যা প্রায়শই একসাথে দেখা দেয়। এর কারণ বিভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় এবং সাধারণ কৌশল অবলম্বন করে এই অস্বস্তি কমানো যেতে পারে। যদি এই লক্ষণগুলো তীব্র হয় বা ঘন ঘন দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এখানে কিছু কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো:

  • আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে ১-২ দিলে লেবু ভালোভাবে চিপে হালকা লবণ দিয়ে খেয়ে ফেলেন তাহলে বমি ভাব এবং মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। 
  • আদা বমি বমি ভাব কমাতে খুব কার্যকর। এক টুকরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চাইলে গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন।
  • অনেক সময় লেবুর পাতার ঘ্রাণ ঢুকলেও বমি ভাব দূর হয়। লেবুর পাতা অথবা লেবু নাকের কাছে গন্ধ শুকলে অনেক সময় বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায়। 
  • এছাড়া বাড়িতে যদি যেকোনো টক আচার আমের জলপাই কিংবা বড়ই ইত্যাদির আচার থাকলে খেতে পারেন বা মুখে দিয়ে থাকলেও অনেক সময় বমি বমি ভাব দূর হয়। 
  • পুদিনা পাতার রস খেলে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কমানো যায়। অর্থাৎ পুদিনা পাতার রস যদি আপনি চিবিয়ে খান তাহলে এ ধরনের উপসর্গগুলো কমে যাবে। 

সারাদিন বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ

সারাদিন বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ এ ব্যাপারে অনেকে জানালাম প্রকাশ করেছেন। সারাদিন বমি বমি ভাব অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটি মূলত হতে পারে শরীরের ভেতরে কোন সমস্যা অথবা রোগের ইঙ্গিত বহন করতে পারে এছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোন ব্যাঘাত করলে এবং স্বাস্থ্য হানি হলে ও খাবারের কোন গন্ডগোল হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ-  ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট - ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা

সারাদিন বমি বমি ভাব হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমনঃ

  • তাড়াহুড়ো করে খাওয়া,
  • অতিরিক্ত ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া, 
  • তেল যুক্ত খাবার খাওয়া,
  •  খালি পেটে থাকা, 
  • দেরিতে খাবার খাওয়া ইত্যাদি 

উল্লিখিত কারণে এসিডিটি ফ্লাক্স হওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে। 

নারীদের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ নারীরা প্রেগনেন্সির প্রথম দিকে প্রায় ২-৩ মাস পর্যন্ত বমি বমি ভাব অনেক ক্ষেত্রে বমি হওয়া দেখা যায়। কেননা প্রেগনেন্সির সময় নারীদের হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায় বিধায় বমি বমি ভাব হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

প্রত্যেকটা মানুষ করো না কোন মানসিক চপ দুশ্চিন্তায় ভোগে। যখন এই দুশ্চিন্তা অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং মাথায় চাপ পড়বে তখন অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে পেটে অস্বস্তি হয় এবং বমি বমি ভাব অনুভব হয়। বর্তমানে মাইগ্রেনের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের এ ধরনের সমস্যা গুলো প্রচুর পরিমাণে দেখা দেয়। বেশি আলোতে গেলে বা মাথায় চাপ পড়লে এই মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি পায় এবং বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে।  আবার যারা বাইরের খাবার বা স্ট্রিট ফুড বেশি বেশি খায় তাদের অনেক সময় সময় বদহজম হয়ে থাকে যার ফলে পেটে গ্যাস জমে সারাদিন বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে।

আবার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আক্রমণের ফলে যখন লিভারের সমস্যা হয় বা লিভার দুর্বল হয়ে পড়ে তখন খাবার অরুচি এবং সারা দিন বমি বমি ভাব অনুভব হয় এবং শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।

সবসময় বমি বমি ভাব হওয়ার কারণ কি

সবসময় বমি বমি ভাব হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • হজমের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা
  • পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগ
  • বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • হরমোনাল কারণ
  • মানসিক ও স্নায়বিক কারণ
  • অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণ

যদি আপনার সবসময় বা দীর্ঘ সময় ধরে বমি বমি ভাব থাকে, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যার সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রয়োজন।

খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হওয়ার কারণ

খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হওয়া একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি, যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটি সাময়িক হজম সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, আবার কোনো অন্তর্নিহিত শারীরিক অসুস্থতার ইঙ্গিতও হতে পারে।

খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • অতিরিক্ত খাওয়া
  • চর্বিযুক্ত বা মশলাদার খাবার
  • খাদ্যে বিষক্রিয়া
  • খাবারে অসহিষ্ণুতা 
  • বদহজম
  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স/গ্যাস্ট্রাইটিস
  • পিত্তথলির সমস্যা
  • গর্ভাবস্থা
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
  • পেটের সংক্রমণ ইত্যাদি।

যদি খাওয়ার পর বমি বমি ভাব প্রায়শই হয় বা এর সাথে জ্বর, তীব্র ব্যথা, দুর্বলতা বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে বলা যায় যে ছোট উপসর্গ অনেক সময় বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে। খাবারে অরুচি দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে এবং বমি বমি ভাব প্রায় কয়েক দিন চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাভাবিক বা ঘরোয়া উপায়ে সমস্যার সমাধান না করা গেলে অন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । তাই এ ধরনের সমস্যা গুলো বারবার হলে অবশ্যই সাধারণভাবে না সারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment