রিক এনজিও লোন পদ্ধতি – লোনের যোগ্যতা ও সুদের হার (আপডেট তথ্য)

রিক এনজিও লোন বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি আশার আলো। এটি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি মাধ্যম। সঠিক ব্যবহার ও পরিশোধের মাধ্যমে এই ঋণ গ্রামীণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। 

রিক এনজিও লোন পদ্ধতি

আজকে আমরা রিক এনফজিও লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব যেমন রিক এনজিও লোনের বৈশিষ্ট্য, রিক এনজিও থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া, সুদের হার এবং এই লোনের সুবিধা সমূহ আলোচনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

রিক এনজিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য

রিক এনজিও ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা একটি জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা যারা আমি গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে চলছে । রিকা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে সম্প্রাপ্ত ও ঢাকার ধানমন্ডি এর প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশে সংস্থাটির পরিচালিত হচ্ছে। 

বর্তমানে  রিকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর তথ্য অনুযায়ী তারা সারাদেশে ৪০টির অধিকে জেলায় সক্রিয় রয়েছেন। তবে তাদের ৬৪ জেলার প্রতিটি জেলায় শাখা না থাকলেও প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে।

রিক এনজিও লোন কী

রিক (RIC) একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে। রিক মূলত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকে। রিক থেকে ঋণ নিয়ে প্রান্তিক মানুষরা বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক কাজে যুক্ত হতে পারে, যেমন – কৃষি, গবাদি পশু পালন, ছোট ব্যবসা ইত্যাদি। 

রিক ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ গ্রহীতাদের কারিগরি সহায়তাও প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবা সবার কাছে সহজলভ্য নয়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিক এনজিও লোন গ্রামীণ মানুষের জন্য একটি বিকল্প ও সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

রিক এনজিও লোনের বৈশিষ্ট্য

রিক এনজিও লোনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • ঋণের পরিমাণ: রিক সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে প্রকল্পের ধরন এবং ঋণগ্রহীতার চাহিদার উপর।
  • স্বল্প সুদের হার: রিকের সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
  • পরিশোধের সময়: ঋণের পরিমাণ ও উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে পরিশোধের সময় নির্ধারিত হয়। এটি সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয় এবং কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে লোন পরিশোধ করার জন্য গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ ২ বছর সময় পেয়ে থাকেন।
  • জামানত: রিক সাধারণত জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করে থাকে, তবে ক্ষেত্র বিশেষ ঋণ গ্রহীতার সক্ষমতা ও প্রকল্পের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে জামানত চাইতে পারে।
  • ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া: রিকের ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত। ঋণ আবেদন করার পর মাঠকর্মীরা সরেজমিনে তদন্ত করে ঋণ অনুমোদন করে থাকে।
  • অন্যান্য সুবিধা: রিক ঋণ প্রদানের পাশাপাশি সদস্যদের প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ-  আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন – যোগ্যতা ও সুদের হার (আপডেট তথ্য)

রিক এনজিও থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা

রিক এনজিও (RIC NGO) থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। এর মধ্যে প্রধান যোগ্যতা হলো, ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হতে হবে, যেখানে রিক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও, ঋণ পরিশোধ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি এবং ঋণ ব্যবহারের সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। 

রিক এনজিও থেকে লোন পেতে হলে নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে: 

  • বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর হতে হবে।
  • বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
  • বর্তমান ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য উপযুক্ত কাগজপত্র (যেমন- বিদ্যুৎ বিল, ইউটিলিটি বিল) থাকতে হবে।
  • ঋণ পরিশোধ করার জন্য একটি নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে।
  • ঋণ নিয়ে কী করা হবে তার একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে।
  • যদি পূর্বে কোনো ব্যাংক বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে তার পরিশোধের রেকর্ড ভালো থাকতে হবে।
  • রিক এনজিওর সদস্য হতে হবে এবং সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

রিক এনজিওর নিজস্ব কিছু বিশেষ নিয়মকানুন থাকতে পারে, যা ঋণ পাওয়ার জন্য পূরণ করতে হতে পারে। ঋণের জন্য আবেদন করার আগে, রিক এনজিওর সাথে যোগাযোগ করে তাদের নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।

রিক এনজিও লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

রিক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করার সময় সাধারণত নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলির প্রয়োজন হয়:

  • রিক এনজিও থেকে সরবরাহ করা যথাযথভাবে পূরণ করা আবেদনপত্র। 
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি। 
  • আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।। 
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর পরিশোধের প্রমাণপত্র। 
  • যদি জামানতকারীর প্রয়োজন হয়, তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়ের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। 
  • প্রত্যাশী এনজিও কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত অন্যান্য কাগজপত্র। 

উপরের কাগজপত্র ছাড়াও, রিক এনজিও লোন প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যান্য কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে। তাই, লোন নেবার আগে রিক এনজিও এর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শর্তাবলী জেনে নেয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ-  জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন পদ্ধতি ও সুদের হার (আপডেট তথ্য)

রিক এনজিও লোন আবেদন পদ্ধতি

রিক এনজিও লোন পাওয়ার জন্য একটি সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।রিক এনজিও-তে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে, প্রথমে তাদের নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রে চাওয়া তথ্য পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করার পর, যোগ্য বিবেচিত হলে ঋণ অনুমোদন করা হবে।

রিক এনজিও-তে লোন আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন:

  • শাখা অফিসে যোগাযোগ: রিক এনজিও-র স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করে লোন আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করুন।
  • লোন আবেদন ফরম পূরণ: রিক এনজিও থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন- ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যবসার তথ্য, ঋণের পরিমাণ, ইত্যাদি) সঠিকভাবে পূরণ করুন। 
  • ডকুমেন্টস সংগ্রহ: আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (যেমন- আইডি কার্ড, ব্যবসার লাইসেন্স, জমির দলিল, ইত্যাদি) সংযুক্ত করুন। 
  • আবেদনপত্র জমা দেওয়া: পূরণকৃত আবেদনপত্র এবং ডকুমেন্টস রিক এনজিও-র নির্ধারিত অফিসে জমা দিন।
  • যাচাই-বাছাই: রিক এনজিও আপনার আবেদনপত্র এবং ডকুমেন্টস যাচাই করবে। 
  • ঋণ অনুমোদন ও বিতরন: যাচাই-বাছাই শেষে আপনার আবেদন যদি উপযুক্ত বিবেচিত হয়, তাহলে ঋণ অনুমোদন করা হবে। ঋণ অনুমোদন হলে, রিক এনজিও আপনাকে ঋণ বিতরণ করবে।
  • পরিশোধ: ঋণ পরিশোধের নিয়মাবলী এবং সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সেই অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করুন।

এই সাধারণ ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি রিক এনজিও-তে লোন আবেদন করতে পারেন।

যোগাযোগ

  • প্রধান কার্যালয়: প্লট # 88/A, রোড # 7/A, ধানমন্ডি, ঢাকা-1209 বাংলাদেশ
  • ফোন: 88-02-58152424
  • ইমেইল: info@ric-bd.org
  • ওয়েবসাইট: www.ric-bd.org

আপনার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য বিস্তারিত তথ্য এবং বর্তমান শর্তাবলী জানতে, আপনার নিকটস্থ পপি এনজিওর শাখা অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভালো হবে।

রিক এনজিও কত টাকা লোন দেয়

রিক এনজিও সাধারণত ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে প্রোগ্রামের উপর। বিভিন্ন প্রোগ্রামের অধীনে রিক বিভিন্ন অংকের ঋণ প্রদান করে থাকে। যেমন, “ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ” প্রোগ্রামের অধীনে ঋণের পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, রিক অন্যান্য প্রোগ্রাম যেমন – আমন ধান চাষ, গাভী পালন ও সবজি চাষ খাতেও ঋণ বিতরণ করে থাকে।

রিক এনজিও লোনের সুদের হার

রিক এনজিও লোনের সুদের হার বিভিন্ন প্রকল্পের উপর নির্ভর করে। তাদের সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক বা এনজিওর তুলনায় সাধারণত কম হয়ে থাকে। রিক সাধারণত PKSF (পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন) এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থায়ন করে থাকে। রিক-এর ওয়েবসাইটে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-  দিশা এনজিও লোন পদ্ধতি ও দিশা এনজিও কেমন (আপডেট তথ্য)

রিক এনজিও লোনের সুবিধা

রিক এনজিও থেকে ঋণ নিলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন- সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা, এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি। রিক (Resource Integration Centre – RIC) মূলত গ্রামীণ অর্থনীতি এবং মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। 

রিক এনজিও লোন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বেশ কিছু সুবিধা নিয়ে আসে:

  • এই ঋণের মাধ্যমে অনেকে নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, যা তাদের পরিবারের আয় বাড়ায়।
  • রিক সাধারণত প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। এতে করে যাদের আনুষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ কম, তারা উপকৃত হন।
  • ঋণ প্রদানের পূর্বে রিক ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে, যা তাদের ঋণ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায় এবং ব্যবসায়ে সফল হতে সাহায্য করে।
  • রিক গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য বিভিন্ন কৃষি ও অ-কৃষি খাতে ঋণ দেয়, যা গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করে।
  • রিক মূলত গ্রামীণ মহিলাদের জন্য ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। 
  • রিক বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রকল্প পরিচালনা করে, যেমন- কৃষি ঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ, ইত্যাদি, যা বিভিন্ন পেশা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
  • ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায় এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।

লেখকের শেষ মতামত

রিক এনজিও লোনের মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, সার বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারছেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা বড় করছেন। এমনকি দুর্যোগের সময়ও এই ঋণ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে ও গ্রামের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসছে।

গ্রামীণ উন্নয়নে রিক এনজিও লোনের ভূমিকা অপরিসীম, এবং এটি ভবিষ্যতেও আরও বড় পরিসরে কাজ করবে বলে আশা করা যায়। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “ রিক এনজিও লোন” সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাতে পেরেছি।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment