বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করতে চাই। তারা পরিবারের আর্থিক খরচ চালানোর পাশাপাশি নিজেদের হাত খরচ এর জন্য পার্ট টাইম জব করে থাকে। আর বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে পার্ট টাইম জবের অভাব নেই বললেই চলে, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচুর পার্ট টাইম জব অফার পেয়ে যাবেন।
নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকলেই আপনি খুব সহজেই পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। আর পার্ট টাইম জব গুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে কল সেন্টার জব। কেননা আপনি নিজের বাসায় বসে থেকেই এই কল সেন্টার সার্ভিস কাজ করতে পারবেন এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন এতো জনপ্রিয়? এবার চলুন কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব কিভাবে পাবেন এবং কল সেন্টারে চাকরির যোগ্যতা হিসেবে কি কি থাকতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাক।
কল সেন্টারে কাজ কি
কল সেন্টারে কাজ কি বা কল সেন্টারে কী ধরনের কাজ করা হয় এই বিষয়ে আমাদের জেনে রাখা উচিত। কল সেন্টার হলো এমন একটি কেন্দ্র যেখানে একটি কোম্পানি তার গ্রাহকদের সাথে টেলিফোন, ইমেল, লাইভ চ্যাট, বা সোশ্যাল মিডিয়ার মতো বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহক সেবা প্রদান, তথ্য আদান-প্রদান, বিক্রয়, এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা।
কল সেন্টারের কাজকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. ইনবাউন্ড কল:
এগুলো হলো সেই কলগুলো যা গ্রাহকরা কল সেন্টারে করেন। এই ক্ষেত্রে, কল সেন্টার এজেন্টরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা কল গ্রহণ করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা প্রশ্নের উত্তর দেন। ইনবাউন্ড কলের প্রধান কাজগুলো হলো:
- এটি ইনবাউন্ড কলের সবচেয়ে বড় অংশ। গ্রাহকরা কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য জানতে, বিল সংক্রান্ত সমস্যা, ডেলিভারি স্ট্যাটাস, বা সাধারণ প্রশ্ন নিয়ে ফোন করেন।
- বিশেষ করে টেকনিক্যাল সাপোর্ট কল সেন্টারে, গ্রাহকদের প্রযুক্তিগত সমস্যা (যেমন ইন্টারনেট সংযোগ, সফটওয়্যার ত্রুটি) সমাধানে সহায়তা করা হয়।
- কোনো পণ্য বা সেবার মান নিয়ে গ্রাহকের অসন্তোষ থাকলে তার অভিযোগ গ্রহণ করা এবং সমাধানের চেষ্টা করা।
- নতুন অফার, পণ্যের বৈশিষ্ট্য, সেবার শর্তাবলী ইত্যাদি বিষয়ে গ্রাহকদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া।
- খুচরা বিক্রেতা বা ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর কল সেন্টারে গ্রাহকদের অর্ডার গ্রহণ বা বিদ্যমান অর্ডার বাতিল করতে সহায়তা করা।
২. আউটবাউন্ড কল (Outbound Calls):
- এগুলো হলো সেই কলগুলো যা কল সেন্টার এজেন্টরা গ্রাহকদের কাছে করেন। এই কাজের উদ্দেশ্য বিভিন্ন হতে পারে:
- নতুন পণ্য বা সেবার প্রচার করা এবং গ্রাহকদের কাছে সেগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করা। এটি অনেক কল সেন্টারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
- কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের মতামত জানতে তাদের সাথে যোগাযোগ করা। এটি বাজার গবেষণার একটি অংশ।
- গ্রাহকদের বকেয়া বিল পরিশোধ, অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ মনে করিয়ে দেওয়া, বা কোনো চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়ে জানানো।
- নতুন গ্রাহকদের তথ্য যাচাই করা বা কোনো লেনদেনের নিশ্চিতকরণ করা।
- গ্রাহকদের কোনো সমস্যা সমাধানের পর সেটি সঠিকভাবে সমাধান হয়েছে কিনা, তা জানতে ফলো-আপ কল করা।
কল সেন্টারের কাজের দায়িত্ব:
- কম্পিউটার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা
- লক্ষ্য পূরণ করা
- স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করা
- ডাটা এন্ট্রি করা
- গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা
- উভয় শিফটে কাজ করা
কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব
কল সেন্টারে পার্ট-টাইম চাকরি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং যারা অতিরিক্ত আয় করতে চান, তাদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। যেহেতু কল সেন্টারগুলো প্রায়শই ২৪/৭ পরিচালিত হয়, তাই তারা বিভিন্ন শিফটে কর্মীদের প্রয়োজন হয়, যা পার্ট-টাইম কাজের জন্য উপযুক্ত।
পার্ট-টাইম কল সেন্টার জবের সুযোগ ও সুবিধা:
শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ: যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে চান, তাদের জন্য পার্ট-টাইম কল সেন্টার জব খুব ভালো একটি বিকল্প। এটি তাদের পড়াশোনার সময়সূচী নষ্ট না করে আয় করার সুযোগ করে দেয়।
flexible শিফট: অনেক কল সেন্টারে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা বা রাতের বিভিন্ন শিফট থাকে। এর ফলে কর্মীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী সময় বেছে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ৪ ঘণ্টার শিফটও পাওয়া যেতে পারে।
অভিজ্ঞতা অর্জন: কল সেন্টারে কাজ করার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং গ্রাহক সেবা সম্পর্কে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের অন্য যেকোনো চাকরিতে সহায়ক হতে পারে।
বেসিক যোগ্যতা: সাধারণত, পার্ট-টাইম কল সেন্টার জবের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি (HSC) বা সমমান হলেই চলে। তবে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা (বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায়) এবং বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান অপরিহার্য।
আয়: মাসিক বেতন ৮,০০০-১২,০০০ টাকা বা ক্ষেত্রবিশেষে তার বেশি হতে পারে। অনেক কল সেন্টারে ঘণ্টা হিসেবেও বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও, সেলস কমিশন, পারফরম্যান্স বোনাস এবং উৎসব বোনাস পাওয়ার সুযোগ থাকে।
নেটওয়ার্কিং: একই পেশায় থাকা অন্যান্য মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে, যা ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারে কাজে লাগতে পারে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা তৈরি হয়।
কোথায় আবেদন করবেন:
- অনলাইন জব পোর্টাল:
- বিডিজবস (Bdjobs.com),
- সম্ভব (Shomvob.com),
- জরা (Jora.com.bd),
- ক্যারিয়ারজেট (Careerjet.com.bd) ইত্যাদি
উল্লিখিত ওয়েবসাইটে কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব এর বিজ্ঞপ্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও অনেক কল সেন্টার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবার ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন চাকরির গ্রুপে কল সেন্টার জবের বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করা হয়।
কল সেন্টারে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য আবেদন করার আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং কাজের সময়সূচী ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হলে আর আপনি যদি চাপ সামলাতে পারেন তাহলে কল সেন্টারের জব আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব করা যায়?
এখানে কিছু প্রধান ধরনের প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো যেখানে আপনি পার্ট-টাইম কল সেন্টার জবের সন্ধান করতে পারেন:
১. বিপিও (Business Process Outsourcing) কোম্পানি:
বাংলাদেশের বেশিরভাগ কল সেন্টারই বিপিও কোম্পানিগুলোর অধীনে পরিচালিত হয়। তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ক্লায়েন্টের জন্য কল সেন্টার সেবা প্রদান করে। এই কোম্পানিগুলোতে পার্ট-টাইম চাকরির ভালো সুযোগ থাকে, কারণ তাদের বিভিন্ন শিফটে কর্মীদের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখযোগ্য কিছু বিপিও কোম্পানি:
- Genex Infosys Ltd.
- Digicon Technologies Ltd.
- ASL BPO:
- FifoTech:
- SkyTech Solutions:
- Virgo
- Call Point Business Solutions Ltd.
- Essential Infotech
- Synergy Solutions
২. মোবাইল অপারেটর কোম্পানি
যদিও অনেক মোবাইল অপারেটর তাদের কল সেন্টার কার্যক্রম বিপিও কোম্পানিগুলোকে আউটসোর্স করে থাকে, কিছু অপারেটর এখনও নিজস্ব কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার বা কল সেন্টারে লোকবল নিয়োগ দেয়। পার্ট-টাইম নিয়োগের সুযোগ এখানে তুলনামূলক কম হলেও, মাঝে মাঝে বিজ্ঞপ্তি দেখা যেতে পারে। যেমন:
- গ্রামীণফোন
- রবি
- বাংলালিংক
- এয়ারটেল (রবির সাথে একীভূত)
৩. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কল সেন্টার থাকে যেখানে গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় বা সমস্যা সমাধান করা হয়। তবে এখানে পার্ট-টাইমের চেয়ে ফুল-টাইম জবের সুযোগ বেশি থাকে।
৪. ই-কমার্স ও ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম
বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসারের কারণে অনেক অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম এবং ডেলিভারি সার্ভিসেস তাদের গ্রাহক সহায়তার জন্য কল সেন্টার বা কাস্টমার সাপোর্ট টিম গঠন করে। এখানে পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ থাকতে পারে।
৫. হেলথকেয়ার/হাসপাতাল:
কিছু বড় হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, তথ্য প্রদান বা সাধারণ জিজ্ঞাসার জন্য কল সেন্টার পরিচালনা করে।
৬. অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান:
বিভিন্ন বৃহৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি, ট্রাভেল এজেন্সি, বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তাদের গ্রাহক বা শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের জন্য নিজস্ব কল সেন্টার বা কাস্টমার সার্ভিস ডেস্ক পরিচালনা করতে পারে।
কল সেন্টারে চাকরির যোগ্যতা
কল সেন্টারে চাকরির যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করেন। কল সেন্টারে কাজ করার জন্য মূলত কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। উচ্চশিক্ষা ছাড়াই আপনি সহজেই কল সেন্টারের চাকরি পেতে পারেন। এটি কেবল শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কিছু ব্যক্তিগত গুণাবলী ও ব্যবহারিক দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কল সেন্টারে চাকরির জন্য আপনার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- নূন্যতম মাধ্যমিক পাস
- পরিষ্কার ভাষায় সুন্দরভাবে কথা বলার ক্ষমতা
- যোগাযোগ দক্ষতা
- কম্পিউটার জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা
- গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা
- একটি দলে কাজ করার ক্ষমতা
- গ্রাহক সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা
- ধৈর্যশীল এবং মনোযোগী হওয়া
- দীর্ঘ সময় কাজ করার ইচ্ছা
- চাপের মুখে কাজ করার ক্ষমতা
- বিক্রয় দক্ষতা
- দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা
ফোন কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে ওই কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে হয় বিভিন্ন কোম্পানিকে। আপনার যদি উপরের একটির বেশি দক্ষতা থাকে তবে আপনি সহজেই কল সেন্টারের চাকরি পেতে পারেন।
কল সেন্টারের চাকরির জন্য আবেদন করার আগে যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন, তাদের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত, কারণ কোম্পানিভেদে যোগ্যতার তারতম্য হতে পারে।
কেন কল সেন্টারে পার্টটাইম জব করবেন?
কল সেন্টারে পার্ট-টাইম কাজ করার অনেক সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং যারা অতিরিক্ত আয়ের পাশাপাশি কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান তাদের জন্য। নিচে এর কিছু প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো:
- পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ
- মূল্যবান কর্ম-অভিজ্ঞতা অর্জন
- অপরিহার্য দক্ষতা বৃদ্ধি
- নমনীয় কাজের সময়সূচী
- কর্মপরিবেশ ও নেটওয়ার্কিং
- ক্যারিয়ারের সিঁড়ি
- সহজ প্রবেশাধিকার
- শারীরিক পরিশ্রম কম
সব মিলিয়ে, কল সেন্টারে পার্ট-টাইম জব কেবল আর্থিক সহায়তাই দেয় না, বরং কর্মজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কল সেন্টারের বেতন
কল সেন্টারে বেতনের পরিমাণ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। এই কারণগুলো হলো:
- প্রতিষ্ঠানের ধরন
- কাজের ধরন
- অভিজ্ঞতা
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- কর্মঘণ্টা (ফুল-টাইম বনাম পার্ট-টাইম)
- স্থান
১। ফ্রেশার বা এন্ট্রি-লেভেল:
সাধারণত ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু প্রতিষ্ঠানে ৯,০০০ থেকে ১০,৫০০ দিয়ে শুরু হয়। তবে পার্ট-টাইম চাকরির ক্ষেত্রে বেতন ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টা হিসেবেও বেতন দেওয়া হয়।
২। ১-২ বছরের অভিজ্ঞতাসহ:
অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতন ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ বা তার বেশি হতে পারে। অনেক বিজ্ঞাপনে ২০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ পর্যন্ত বেতন অফার করা হয়, বিশেষ করে যদি ১ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা থাকে।
৩। সিনিয়র পদ বা বিশেষ দক্ষতা:
যদি আপনি টিম লিডার, সুপারভাইজার বা কোনো বিশেষ টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য কাজ করেন, তাহলে বেতন ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ বা তারও বেশি হতে পারে।
অন্যান্য সুবিধা:
বেতনের পাশাপাশি কল সেন্টারের কর্মীরা আরও কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যেমন:
- পারফরম্যান্স বোনাস/কমিশন
- ওভারটাইম বোনাস
- উৎসব ভাতা
- বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা
- মোবাইল বিল/ইনস্যুরেন্স সুবিধা
কল সেন্টারের বেতন একটি পরিবর্তনশীল বিষয় এবং এটি কোম্পানির আকার, সুনাম, এবং পলিসির ওপরও অনেক নির্ভর করে। আবেদন করার আগে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে বেতনের বিস্তারিত তথ্য দেখে নেওয়া ভালো।
লেখকের শেষ মতামত
একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি কিছু যোগ্যতা নিয়ে নিঃসন্দেহে কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন এবং পরিবারকে আর্থিকভাবে ও সহায়তা করতে পারবেন।
কল সেন্টারে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য আবেদন করার আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং কাজের সময়সূচী ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হলে আর আপনি যদি চাপ সামলাতে পারেন তাহলে কল সেন্টারের জব আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে।