আপনি কি ঔষধ ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, এই লাইসেন্স ঔষধের খুচরা ও পাইকারি বিক্রি, মজুত এবং সরবরাহ করার অনুমতি দেয়।
ড্রাগ লাইসেন্স প্রতিটি ফার্মেসি, মেডিকেল শপ খোলার পূর্বে সংগ্রহ করা প্রতিটি ব্যবসায়ীর জন্যই অপরিহার্য। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের বৈধতার দলিল। আজকে এই লেখার মাধ্যমে ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো
ড্রাগ লাইসেন্স কি?
ড্রাগ লাইসেন্স হচ্ছে মূলত DGDA কর্তৃক প্রদত্ত একটি সরকারি অনুমোদন বা সার্টিফিকেট, যা কোনো ঔষধ, ভ্যাকসিন বা মেডিকেল পণ্য উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ বা বিক্রির জন্য প্রয়োজন হয়। এটি নিশ্চিত করে যে ঔষধটি মানবদেহের জন্য নিরাপদ, কার্যকর এবং গুণগত মানসম্পন্ন।
ড্রাগ লাইসেন্সের উদ্দেশ্য:
- নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর প্রভাব যাচাই করা।
- গুণমান নিয়ন্ত্রণ: ঔষধের উপাদান, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও সংরক্ষণ মান যাচাই করা।
- ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল: ঔষধের কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়া প্রয়োজন।
- অবৈধ ঔষধ প্রতিরোধ: নকল বা অননুমোদিত ঔষধ বাজার থেকে দূর করা।
ড্রাগ লাইসেন্স কেন প্রয়োজন?
বাংলাদেশে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪০ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী, কেউ যদি ওষুধ বিক্রি করতে চান (খুচরা বা পাইকারি), তাহলে তার অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে। এটি জনগণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ড্রাগ লাইসেন্স হচ্ছে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি লাইসেন্স, যা ঔষধ বিক্রি বা সরবরাহের জন্য বাধ্যতামূলক। এটি জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনগত দিক।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ড্রাগ লাইসেন্স অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
বর্তমানে অনলাইনে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। বাংলাদেশের সকল সরকারি সেবক এ অনলাইন ভিত্তিক করার জন্য ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই BHB প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে অটোমেটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং অ্যান্ড রিনিউয়াল সিস্টেম (ADLRS) তৈরি করেছেন।
আপনি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে ড্রাগ লাইসেন্সের আবেদন করতে চাইলে, সর্বপ্রথম আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতের পর স্ক্যান করে কম্পিউটার বা মোবাইলে সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যা যা কাগজপত্র লাগবে সেগুলো সাবমিট করে বা তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সমপন্ন করতে হবে।
আর রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার প্রোফাইল ভেরিফিকেশন চাইবে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এবং স্ক্যানকৃত কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করে দিতে হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে সেই আবেদন সাবমিট হলে, আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রদত্ত তথ্য ও আপলোডকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। তারপর তাদের অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে অনুমোদন দেন।
ড্রাগ লাইসেন্স অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:
- ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (DGDA) ওয়েবসাইটে যান:https://dgda.portal.gov.bd/
- “অনলাইন সেবা” ক্লিক করুন।
- “ড্রাগ লাইসেন্স” নির্বাচন করুন।
- “নতুন আবেদন” ক্লিক করুন।
- নির্দেশাবলী মেনে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- লগইন করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান করা কপি আপলোড করুন।
- নির্ধারিত ফি প্রদান করুন।
- আবেদন জমা দিন।
আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস যদি ঠিক ঠাক থাকে তাহলে ADLRS দুই কর্ম সপ্তাহের মধ্যেই আপনার আবেদন অনুমোদন করে লাইসেন্স প্রদান করবেন।
ড্রাগ লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে
ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সকল নিয়ম কানুন মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সঙ্গে দিলে খুব সহজে ড্রাগ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। ঔষধ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণত দুটি ক্যাটাগরিতে ড্রাগ লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। নিচে তা তুলে ধরা হলো-
- মডেল ফার্মেসি
- মেডিকেল শপ
মডেল ফার্মেসির জন্য নিয়োজিত গ্রাজুয়েট এ গ্রেড ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে সত্যায়িত রেজিস্ট্রেশনের কপি এবং তাদের অঙ্গীকারনামা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
মেডিকেল শপের জন্য নিয়োজিত বিসি গ্রেট এর ফার্মাসিস্টের সত্যায়িত রেজিস্ট্রেশনের কপি এবং দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা ও ভাড়ার রশিদের ফটোকপি আবেদন ফরমের সাথে দাখিল করতে হবে।
বাংলাদেশে ড্রাগ লাইসেন্স (ঔষধ উৎপাদন, আমদানি বা বিক্রয়ের লাইসেন্স) এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাইসেন্সের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। নিচে সাধারণ ডকুমেন্টের তালিকা দেওয়া হলো:
১. ঔষধ বিক্রয়/বাজারজাতকরণ লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র
ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
- ফরম -৭ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। (ড্রাগ লাইসেন্স ফরম ডাউনলোড করুন)
- ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি সত্যায়িত ।
- আবেদনকারীর NID Card এর ফটোকপি।
- ট্রেজারে চালানোর মূল কপি জমা দিন।
- আবেদনকারীর ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র।
- ফার্মাসিস্টের সার্টিফিকেট অঙ্গীকারনামা ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিনামা
- কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন
- DGDA-অনুমোদিত ঔষধের তালিকা
- স্টোরেজ সুবিধার বিবরণ (ঠান্ডা সংরক্ষণ, লাইট কন্ট্রোল ইত্যাদি)
- মূলধন ও আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
২. ঔষধ উৎপাদন লাইসেন্সের জন্য যা যা লাগবে
- আবেদন ফর্ম (DGDA-প্রদত্ত ফরম পূরণকৃত)
- ট্রেড লাইসেন্স (বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য)
- কোম্পানির নিবন্ধন সনদ (জয়েন্ট স্টক/একমালিকানা/পার্টনারশিপ ডিড)
- ফার্মেসি কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন (যদি প্রযোজ্য)
- ফ্যাক্টরি লাইসেন্স (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে)
- জিএমপি (GMP) সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- প্রস্তুতকারীর ঠিকানা ও ফ্যাক্টরি লেআউট প্ল্যান
- যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন সুবিধার তালিকা
- কর্মীদের যোগ্যতার সনদ (ফার্মাসিস্ট, টেকনিশিয়ান ইত্যাদি)
- প্রস্তাবিত ঔষধের তালিকা (ফর্মুলেশন সহ)
- স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP)
- মূলধন ও ব্যাংক সনদ
- ট্যাক্স clearance সার্টিফিকেট (TIN ও VAT রেজিস্ট্রেশন)
- পরিবেশগত ছাড়পত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
৩. ঔষধ আমদানি লাইসেন্সের জন্য যা যা লাগবে
- আবেদন ফর্ম (DGDA ফরম)
- ট্রেড লাইসেন্স
- কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সনদ
- আমদানি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC)
- এক্সপোর্টার কান্ট্রির GMP সার্টিফিকেট (উৎপাদনকারীর)
- প্রোডাক্ট ডসিয়ার (ঔষধের গুণগত মান, উপাদান, ব্যবহার ইত্যাদি)
- ফ্রি সেল সার্টিফিকেট (FSC) বা স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (বিদেশী রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ থেকে)
- প্রস্তাবিত ঔষধের নমুনা ও টেস্ট রিপোর্ট
- মূলধন প্রমাণের ব্যাংক সনদ
- DGDA কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য ডকুমেন্ট
সমস্ত কাগজপত্র সত্যায়িত ও ইংরেজি/বাংলায় অনুবাদিত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) হতে হবে। DGDA সময়ে সময়ে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চাইতে পারে (যেমন: স্টABILITY স্টাডি রিপোর্ট, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডেটা ইত্যাদি)। আবেদন জমা দেওয়ার পর ইনস্পেকশন ও ল্যাব টেস্টিং হতে পারে।
ড্রাগ লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
ড্রাগ লাইসেন্স ফি মেট্রোপলিটন ও পৌরসভার মধ্যে হলে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২৫০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে (ইউনিয়ন কাউন্সিলের অন্তভূক্ত এলাকায়) হলে ১৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকার উপর আরো বাড়তি ১৫% ভ্যাট প্রদান করতে হবে। তাছাড়া আর কোন বাড়তি ফি আপনাকে প্রদান করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে লাইসেন্স ফি পরিবর্তিত হতে পারে।
✅ মূল সারাংশ
লাইসেন্স ধরণ | নতুন ফি (পৌর) | নতুন ফি (গ্রাম) | নবায়ন ফি (পৌর) | নবায়ন ফি (গ্রাম) |
খুচরা | 2,500 + VAT | 1,500 + VAT | 1,800 + VAT | 700 + VAT |
পাইকারি | 2,500 + VAT | 1,500 + VAT | ~5,000 + VAT | একই |
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ডিজিএ (DGDA)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় অফিস থেকে হালনাগাদ ফি যাচাই করুন। খরচ প্রতিষ্ঠানের ধরন এবং ঔষধের ক্যাটাগরির (জেনেরিক, প্যাটেন্ট, হোমিওপ্যাথিক ইত্যাদি) উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। প্রক্রিয়া জটিল হলে ড্রাগ কনসালট্যান্ট নিয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে।
আরও বিস্তারিত জানতে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (DGDA)-এ যোগাযোগ করুন:
- 🔗 www.dgda.gov.bd
- 📞 হেল্পলাইন: +৮৮০২-৫৫০৬৫২২১।
(ফি কাঠামো সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সরাসরি DGDA-র সাথে confirm করা উচিত)।
ড্রাগ লাইসেন্স কত দিনে পাওয়া যায়
ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সকল নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করা এবং সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদান করে থাকলে ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে ড্রাগ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা
ড্রাগ লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই নিজে ফার্মাসিস্ট হতে হবে অথবা একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে হবে। ফার্মাসিস্ট সাধারণত তিন ধরণের হয়-
- গ্রেড-এ
- গ্রেড-বি
- গ্রেড-সি
ড্রাগ লাইসেন্স কেন করতে হয়?
ড্রাগ লাইসেন্স কেন করতে হয়? — এই প্রশ্নের উত্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা দেশের জনস্বাস্থ্য, ঔষধের মান এবং ব্যবসার বৈধতা—এই তিনটি বিষয়ের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
✅ ড্রাগ লাইসেন্স করার কারণ:
১. জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা
- বাংলাদেশে নকল ও নিম্নমানের ঔষধের প্রবণতা রয়েছে।
- ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ বিক্রি করলে ভুল ওষুধ বা ভেজাল ঔষধ মানুষের জীবন বিপন্ন করতে পারে।
- লাইসেন্সধারী দোকানে DGDA নিয়মিত নজরদারি চালায়, ফলে ভেজাল ঔষধ বিক্রি কঠিন হয়।
২. আইনি বাধ্যবাধকতা
- ঔষধ নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪০ অনুসারে, ঔষধ বিক্রির জন্য ড্রাগ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
- লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ—জরিমানা, জেল, বা দোকান সিলগালা হতে পারে।
৩. ব্যবসার বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা
- একজন লাইসেন্সধারী ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবে আপনি একজন বিশ্বাসযোগ্য উদ্যোক্তা।
- হাসপাতাল, ডাক্তার এবং রোগীরাও শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী দোকান থেকে ঔষধ কিনতে নিরাপদ মনে করে।
৪. সরবরাহ চেইনে অংশ নিতে হলে প্রয়োজন
- পাইকারি প্রতিষ্ঠান বা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র লাইসেন্সধারীদের কাছে ঔষধ সরবরাহ করে।
- আপনি লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ কিনতে বা অর্ডার দিতে পারবেন না।
৫. ঔষধের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ
- প্রতিটি ঔষধ আন্তর্জাতিক মান (GMP, WHO, FDA) অনুযায়ী উৎপাদিত হচ্ছে কি না তা যাচাই করা।
- ঔষধের সক্রিয় উপাদান (API), মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ও সংরক্ষণ শর্ত পর্যবেক্ষণ করা।
৬. ক্লিনিক্যালি কার্যকরী ঔষধ নিশ্চিত করা
- লাইসেন্স প্রদানের আগে ল্যাব টেস্টিং ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্বারা ঔষধের কার্যকারিতা প্রমাণিত হতে হয়।
- ভুয়া বা অকার্যকর ঔষধ (যেমন: ক্যানসার বা ডায়াবেটিসের “মিরাকেল ক্যুর”) প্রতিরোধ করা।
৭. অবৈধ ঔষধ বাজার নিয়ন্ত্রণ
- মাদক বা অপব্যবহারযোগ্য ঔষধ (যেমন: মর্ফিন, ট্র্যাঙ্কুয়িলাইজার) অবৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ রোধ করা।
- অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বন্ধ করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) কমানো।
৮. সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায়
- লাইসেন্সের মাধ্যমে ঔষধ শিল্পকে ট্যাক্স ও রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক-এর আওতায় আনা।
- অবৈধ আমদানি বা চোরাচালান রোধ করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা।
৯. ভোক্তাদের আস্থা অর্জন
- লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঔষধে ভোক্তাদের আস্থা তৈরি হয় (যেমন: প্যারাসিটামল কেনার সময় DGDA-অনুমোদিত ব্র্যান্ড পছন্দ করা)।
- ফার্মেসি বা হাসপাতালে শুধুমাত্র লাইসেন্সকৃত ঔষধ সরবরাহ বাধ্যতামূলক করা।
এই নিয়মগুলো লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের মানতে হয়, যা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে।
ড্রাগ লাইসেন্স না নিলে কী সমস্যা?
- জরিমানা বা মামলা: DGDA বা সরকার কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
- ঔষধ বাজেয়াপ্ত: অবৈধ ঔষধ জব্দ ও ধ্বংস করা হতে পারে।
- গ্রেফতার: মাদক বা ভুয়া ঔষধের ক্ষেত্রে মামলা ও শাস্তি হতে পারে।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে বলতে চাই — ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা, আইনি বৈধতা অর্জন এবং স্বাস্থ্যখাতে একটি নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য ব্যবসা পরিচালনা করা। আপনি যদি নিজের ফার্মেসি খুলতে চান, তাহলে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা শুরু করা ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ। আশা করছি অনলাইনে কিভাবে ড্রাগ লাইসেন্স আবেদন করতে হয় তা জানতে পেরেছেন।