ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো – ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ

শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম কতটা প্রয়োজনীয় তা আমরা সকলেই জানি। কারণ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের হাড়ের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা আমাদের জরুরি।

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে অনেকেই আছেন যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেয়েও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারছেন না তাদের জন্য রয়েছে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। তবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট বাচ্চা পর্যন্ত ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে পড়তে পারে এবং পড়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। শরিলে ক্যালসিয়ামের অভাব কেন দেখা দেয় ও এর লক্ষণ গুলো কি কি এবং শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় সহ ক্যালসিয়াম বাড়ানোর জন্য কোন ওষুধটি ভালো এ বিষয়গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে কি হয়

মাতৃ গর্ভে থাকা অবস্থা থেকে শুরু করে একেবারে বয়স্ক বুড়ো পর্যন্ত প্রত্যেকের শরীরের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের শরীরের কাঠামোর যে মূল অংশটুকু রয়েছে সেটা হচ্ছে আমাদের হাড়। 

এবং সেই হারকে শক্ত করে ধরে রাখতে এবং হাড়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও হার ক্ষয় রোধ করতে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আমাদের সকলকে সাহায্য করে। তাই যদি বলা হয় যে ক্যালসিয়ামের কার্যকারিতা গুলো বলে শেষ হবার নয়। 

আমাদের শরীরে থাকা হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে এবং এর পাশাপাশি এই হারগুলোকে শক্ত করতে ক্যালসিয়ামের অবদান অনেক বেশি। সাধারণত দেখা যায় যে ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে হাড়জনিত কোন সমস্যা্র কারণে ডাক্তারের কাছে যায় তাহলে খ্যেয়াল করে দেখবেন তিনি আপনাকে ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট সেবন করতে বলবে। 

এছাড়াও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভিন্ন এক্সিডেন্ট এর মাধ্যমে যাদের হাড় ভেঙে যায় তাদের জন্য প্রধান ঔষধ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের ঔষধ। এর কারণ হচ্ছে মূলত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নিয়মিত খেলে দেহের হাড় গুলোকে জোড়া লাগাতে পারবেন যেটা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা খাবারগুলো খেয়ে সম্ভব নয়। 

ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাত শক্ত করতে সহায়তা করে থাকে। তবে এর পাশাপাশি আমাদের স্নায়ু ও হৃদয় স্পন্দনের কাজে এমনকি মাংসপেশি উন্নত করতেও অনেক ভালো ভূমিকা পালন করে। 

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার উপায় ও ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ দূর করার জন্য আমাদের সবাইকে জানতে হবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নির্বাচন করার সময় আপনার শারীরিক অবস্থা, বয়স, খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। 

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়, যেগুলোতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ডি৩ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টের উদাহরণ দেওয়া হলো:

ক্যালসিয়াম ভিটামিন D3 ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন D একসাথে নেওয়া যেতে পারে, কারণ ভিটামিন D ক্যালসিয়ামের শোষণ উন্নত করতে সহায়ক। ভিটামিন D ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে এবং ক্যালসিয়ামের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন D এর অভাব থাকে, তবে এই ধরনের ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খুবই উপকারী হতে পারে।

শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে চান, তবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো, যাতে আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সাপ্লিমেন্ট নির্বাচন করা যায়।

তবে যারা ইন্টারনেটে সার্চ করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য কিছু ভালো কোম্পানির ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। আশা করছি আপনারা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গুলোর নাম জানতে পেরে উপকৃত হবেন।

  • এ-ক্যাল ডি (A-Cal D)
  • ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
  • ওভোক্যাল-ডি (Ovocal-D)
  • ক্যালবোন-ডি (Calbon-D)
  • ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
  • কোরালক্যাল-ডি (Coralcal-D)
  • ক্যালসিন-ডি (Calcin-D)
  • ক্যালকোরাল-ডি (Kalcoral-D)
  • কোরালবেস্ট-ডি (Coralbest-D)
  • কোরালক্যাল-ডিএক্স (Coralcal-Dx)

উপরে উল্লেখিত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ছারাও বাজারে আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে গ্রহণ করা উচিত।

উল্লিখিত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর মধ্যে ভালো বেশ কয়েকটি ট্যাবলেট রয়েছে যেমন: A-Cal D, D3 Must 2000 iu, Calbo D, Ovocal D । তবে আমার সাজেস্ট থাকবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সিলেক্ট করা। তিনি আপনাকে ভালো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম সাজেস্ট করতে পারবেন। মূলত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নির্ভর করে আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্যর উপর।

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আপনার জন্য কোনটা ভালো হবে সেটা একমাত্র ডাক্তারের ভালো বলতে পারবে।তবে আমরা এখানে ভালো কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করেছি। আপনার স্বাস্থ্য এবং শরীরের জন্য কোনটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভালো হবে সেটা জানার জন্য একমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কোন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট আপনার জন্য উপযুক্ত, তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নির্বাচন এবং গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুনঃ-  বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো গাইনি ডাক্তার - বাংলাদেশের সেরা গাইনী ডাক্তার

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আমাদের অবশ্যই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নিয়ম মেনে খেতে হবে। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার ও কিছু নিয়ম রয়েছে। যারা ক্যালসিয়াম অভাবে ভুগছেন অথবা যারা গর্ভবতী মহিলারা আছেন তারা যদি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে চান তাহলে অবশ্যই খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে খাবেন।

তবে আপনি চাইলে খাবার খাওয়ার পরেও সেবন করতে পারবেন তবে খাওয়ার সাথে সাথে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করবেন না। খাবার খাওয়ার অন্তত এক থেকে দেড় ঘন্টা পর খেতে হবে। এছাড়াও যদি আপনি কোন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেন তাহলে তো সেই কথা অনুযায়ী আপনাকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে। 

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ

বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করা যায়। কারণ খাবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পুষ্টি সমৃদ্ধ বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি ও ফলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এছাড়াও মাছ-মাংস, ডিম দুধেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম। আপনি চাইলে এ ধরনের খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। 

তবে অনেকেই রয়েছেন যাদের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ হয়ে ওঠে না। তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে বিভিন্ন ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। এখন আমরা জানবো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির কিছু ঔষধের নাম সম্পর্কে।

  • এ-ক্যাল ডি (A-Cal D)
  • ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
  • ওভোক্যাল-ডি (Ovocal-D)
  • ক্যালবোন-ডি (Calbon-D)
  • ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
  • কোরালক্যাল-ডি (Coralcal-D)
  • ক্যালসিন-ডি (Calcin-D)
  • ক্যালকোরাল-ডি (Kalcoral-D)
  • কোরালবেস্ট-ডি (Coralbest-D)
  • কোরালক্যাল-ডিএক্স (Coralcal-Dx)

উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। তাই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি উপরে উল্লেখিত যে কোন ব্র্যান্ডের একটি ক্যালসিয়াম ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কোন ঔষধি সেবন করা উচিত নয়। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন।

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়

প্রাকৃতিকভাবে আপনি যদি মোটা হতে না পারেন তাহলে বিভিন্ন উপায় রয়েছে মোটা হওয়ার। তবে এই উপায়গুলো যতটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী ততটাই আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে তার কারণ হলো যেকোনো সময় আপনার সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমরা যে খাবারগুলো খায় সেই খাবারগুলোতে প্রত্যেকটি পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ। 

তাদের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো সরাসরি ভাবে মোটা হতে আমাদের সাহায্য করে। তবে আপনি যদি মনে করেন বাইরে থেকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন এবং তার মাধ্যমে মোটা হবেন তাহলে এটা আপনার জন্য একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত ক্যালসিয়াম প্রত্যক্ষভাবে আপনাকে মোটা করতে সাহায্য করে না। 

ক্যালসিয়াম এমন একটি উপাদান যেই উপাদানটি আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মাংসপেশির গঠনেও ক্যালসিয়াম অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। তবে বিষয়টি এমন নয় যে সরাসরি ভাবে ক্যালসিয়াম ওষুধ সেবনের মাধ্যমে যে কেউ মোটা হতে পারবে। 

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় তা যদি আপনি জানতে আমাদের সাইডে এসে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারন আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের জানাবো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়।

যেহেতু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এজন্য এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবন করা উচিত। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করেন তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং হাটের্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। মূলত হার্টের নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়াও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কিডনি পাথর, বমি হওয়া, পেট ব্যথা ইত্যাদি হতেও পারে। এছাড়াও এখন শোনা যাচ্ছে যে বেশি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে কিডনি বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক নিয়মে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করা। 

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা

দাঁত ও হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য অনেকেই ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন।  হাড়ের ক্ষয় বেশি হলে অস্টিওপোরেসিসের মত মারাত্ম রোগ দেখা দিতে পারে। 

সাধারণত আমরা জানি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারেন। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে বাদাম, টক দই, সামুদ্রিক মাছ, মরিঙ্গা পাতা, দুধ, সবুজ শাকসবজি, তিল, মসুর ডাল,চিজ, ছোলা ইত্যাদি। 

এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। 

কারণ খাবার খেয়ে যদি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। তবে অবশ্যই কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন না।

বাদাম: বাদামে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। তাই বাদামের উপকারিতা বিবেচনা করে আমাদের খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখার প্রয়োজন। আপনি আপনার পছন্দমত চীনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা আখরোট খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-  রাজশাহীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার - গাইনি ডাক্তারের তালিকা রাজশাহী

টক দই: আপনি যদি নিয়মিত টক দই খান তাহলে দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি দাঁত ও হাড়কে মজবুত করবে এছাড়াও এটি আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে, ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

মসুর ডাল: ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হল মসুর ডাল। এই ডালে ক্যালসিয়াম ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল রাখতে পারেন। 

সবুজ শাকসবজি: শাক সবজির মধ্যে বিশেষ করে পাতাযুক্ত শাকসবজিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা প্রয়োজন।

দুধ: আমাদের দেহ গঠনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম। দুধ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দুধে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। যেমন ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে এবং পেশীকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও ভালো ঘুমের জন্য যে সকল ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশিরভাগই দুধে পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত দুধ খাদ্য তালিকায় রাখলে ঘুম ভালো হয় ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। তবে অনেকের দুধ হজম করতে সমস্যা হয়, তারা কিন্তু দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।

মরিঙ্গা পাতা: সজনে পাতার পাউডার খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে দুধের চেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও জিংক পাওয়া যায়। তাই সজনে পাতাকে বলা হয় সোর্স অফ এনার্জি। যে কারণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের মধ্যে সজনে পাতা অন্যতম। এছাড়াও নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।

চিজ: দুগ্ধ জাতীয় খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হলো চিজ। এতে ক্যালসিয়াম ছাড়াও ফসফরাস, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। নিয়মিত চিজ গ্রহণ করলে আমাদের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। 

ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল

আপনি কি ক্যালসিয়ামযুক্ত ফল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আমাদের শরীরে যে খনিজ পদার্থ গুলির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। 

যে কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রাখা জরুরি। জেনে রাখা ভালো একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন আমরা জানব কোন কোন ফলে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে এপ্রিকট সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে। সালাত এবং ব্রেকফাস্টে যোগ করে আপনার আহারে এপ্রিকট রাখতে পারেন। এপ্রিকট খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।

কলা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই আপনি যদি ক্যালসিয়াম জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে প্রতিদিন দুইটি করে কলা খান। আনুমানিক দুটি কলাতে প্রায় ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার

আইরন এবং ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ আয়রন শরীরের রক্ত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠনকে মজবুত করতে সহায়তা করে থাকে। বেশ কিছু খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই আইরন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার সমূহ সম্পর্কে।

প্রথমে আমরা জানবো আয়রন যুক্ত খাবার সম্পর্কে:

  • পালং শাক
  • জলপাই
  • গরুর কলিজা
  • গরুর মাংস
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ
  • ব্রকলি
  • ডার্ক চকলেট
  • টুনা মাছ

এবার আমরা জানব ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে:

  • দুধ
  • বাদাম
  • টক দই
  • সবুজ শাকসবজি
  • মসুর ডাল
  • চিজ
  • তিল
  • মরিঙ্গা পাতা
  • শুকনো ফল
  • সামুদ্রিক মাছ
  • ছোলা

ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ

খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা আমাদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তখন এটির অভাবে বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে কিনা সেটা নির্ণয় করা খুব জরুরী। 

ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণগুলো শরীরে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এগুলো সাধারণত হাড়, পেশি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করে। নিচে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির প্রধান লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. হাড়ের দুর্বলতা: হাড় সহজে ভেঙে যাওয়া। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া (অস্টিওপোরোসিস)। হাড়ে ব্যথা এবং অস্বস্তি।

২. দাঁতের সমস্যা: দাঁতের মজবুতি কমে যাওয়া। দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া।

৩. হৃদযন্ত্রের সমস্যা: অনিয়মিত হৃদস্পন্দন। রক্তচাপের সমস্যা।

৪. ত্বক ও নখের সমস্যা: ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। নখ ভেঙে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়া।

৫. শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণ: বৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে যাওয়া। দাঁত উঠতে বিলম্ব। রিকেটস (হাড় নরম হওয়া)।

৬. গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা হতাশা সহ মেজাজ খারাপ হওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কারো মাঝে এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সেবন করবেন।

এমন টা হতে থাকলে এক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাতির কারণে অস্টিওপেনিয়া এবং অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এমন হলে তা হাড় গুলোকে পাতলা করে তোলে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে ফেলে।

আরো পড়ুনঃ-  বুকের মাঝখানে ব্যথা হলে করণীয় - বুকে ব্যথার ঔষধ

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার উপায়

১. খাদ্যাভ্যাসে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যুক্ত করুন:

  • দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি।
  • সবজি: বাঁধাকপি, ব্রোকলি, পালং শাক।
  • সামুদ্রিক খাবার: মাছ (বিশেষ করে ছোট মাছ যেগুলো হাড়সহ খাওয়া যায়)।
  • বাদাম ও বীজ: আমন্ড, তিলের বীজ।
  • ফল: কমলা, আপেল।
  • ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার: ক্যালসিয়াম ফোর্টিফাইড সিরিয়াল, সয়া দুধ।

২. ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন: ভিটামিন ডি ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়। সূর্যালোক: প্রতিদিন সকালে ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকা। খাবার: ডিমের কুসুম, মাশরুম, ফ্যাটি মাছ। প্রয়োজনে ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।

৩. খাদ্যাভ্যাসে সংশোধন করুন: অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো শরীর থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়ায়। অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার করুন।

৪. ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি ক্যালসিয়ামের অভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় বা হাড়ের দুর্বলতা দেখা দেয়, তবে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা মেনে চললে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সহজ হবে।

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়

ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের একটি অপরিহার্য খনিজ, যা হাড়, দাঁত, পেশি, স্নায়ু, এবং হৃদযন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিশ্চিত করার জন্য কিছু সহজ উপায় রয়েছে, যেগুলি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের ক্যালসিয়াম স্তর বাড়াতে সাহায্য করে।

সবার শরীরের জন্যই ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এই ঘাটতি মেটাতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। 

বিভিন্ন ধরনের খাবারে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখেন সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি হবে।

এছাড়াও, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে যদি খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া না যায়। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টগুলি বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়, যেমন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল।

তবে, সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়। এ ছাড়া, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের সময় ভিটামিন D-এর সঙ্গেও নেওয়া উচিত, কারণ এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত শর্করা এবং ক্যাফেইনের পরিমাণ কমানোও ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত কফি বা সফট ড্রিঙ্ক খাওয়া শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ কমিয়ে দিতে পারে। তাই, এই ধরনের পানীয়গুলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা

ক্যালসিয়াম +যুক্ত খাবারের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন আপনার খাবারের প্রতিদিন বাদাম, দুধ, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ডাল, তিল, সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার। এছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শুকনো ফল। যা আপনার ক্যালসিয়ামের ঘারতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে

ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়ার পরও যদি আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে যায় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। তবে সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর না করে খাবার খেয়ে যদি ক্যালসিয়াম পূরণ করা যায় সে ক্ষেত্রে খাবার খেয়ে ক্যালসিয়াম পূরণ করা উচিত। 

ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান ক্যালসিয়ামের শোষণকে ব্যাহত করতে পারে এবং শরীরের পুষ্টির শোষণের প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এজন্য, ধূমপান এবং মদ্যপান কমানোর মাধ্যমে শরীরের ক্যালসিয়াম স্তর স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।

ক্যালসিয়াম অভাব জনিত রোগ

মানবদেহের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে হাইপোক্যালসেমিয়া হতে পারে। সাধারণত এই রোগটি ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ হিসেবেই পরিচিত। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের দীর্ঘমেয়াদি অভাবের জন্য হাড়ের ক্ষয়, দাঁতের সমস্যা, মস্তিষ্কের জটিলতা সহ ছানিও হতে পারে। 

এছাড়াও ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বড়দের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে এর মধ্যে অস্টিওপোরোসিস অন্যতম।

অস্টিওপোরোসিস হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কারণে আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। 

এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানবো ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয়।  ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগ এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে কিছু গুরুতর রোগ এবং অবস্থার উল্লেখ নিচে করা হলো:

১. অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis): হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষত বয়স্ক নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

৩. অস্টিওমালেসিয়া (Osteomalacia): প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হাড় নরম হয়ে যাওয়া। সাধারণত ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা বজায় রেখে এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

লেখকের শেষ মতামত

ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ, যা হাড়, দাঁত, পেশি, স্নায়ু, এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থ কার্যক্রম নিশ্চিত করে। ক্যালসিয়ামের অভাব শরীরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন হৃদযন্ত্রের অনিয়ম, দাঁতের ক্ষয়, পেশির দুর্বলতা,  হাড়ের দুর্বলতা এবং স্নায়ু সমস্যা।

এই কারণে, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, পনির, দই, শাকসবজি, মাছ, বাদাম, এবং সয়া প্রভৃতি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ক্যালসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে পারি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারি।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment