ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব – ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কি কি লাগে

ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় একটি CMS বা ব্লগিং সফটওয়্যার। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বর্তমানে ইন্টারনেটে যতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে ৪৩ শতাংশেরও বেশি ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস এ ব্যবহার করা হয়েছে। 

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব

সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই সফটওয়্যারটি এখন ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার বা সাধারণ একজন ব্লগারের নিকটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি ওয়েবসাইট ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজগুলোর ব্যাপারে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কি কি ।

তাই আজকের এই পর্বে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত এ সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর বিষদভাবে ও যথাযথভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব। যাতে করে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত কোন তথ্য নিয়ে আপনাক আর দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতে না হয়। তবে এজন্য আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ওয়ার্ডপ্রেস কি

ওয়ার্ডপ্রেস হল সাধারনত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। এটি একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) এবং ওয়েব পাবলিশিং এপ্লিকেশনস যা PHP ও MySQL দ্বারা তৈরিকৃত ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার।

ম্যাট মুলেনওয়েগ ২০০৩ সালের ২৭শে মে এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৮১০ মিলিয়ন ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যা মোট ওয়েবসাইটের ৪৩% প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি এটি থেকেই বোঝা যায় যে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কতটা জনপ্রিয়। 

কন্টেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রধান উপাদান। এক্ষেত্রে কন্টেন্ট বলতে ব্লগসাইটে ব্যবহৃত যেকোন ধরনের ছবি, রং, আর্টিকেল এবং যাবতীয় যেকোন রকমের তথ্য হতে পারে। ওয়েবসাইটের মধ্যে এর কন্টেন্টগুলোকে সঠিকভাবে বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়ার নামই হলো কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট। আর ওয়ার্ডপ্রেস হলো সেরকমই একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস।

ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একটি CMS সফটওয়্যার। এটি সর্বপ্রথম ২০০৩ সালের ২৭শে মে ম্যাট মুলেনওয়েগের হাত ধরে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। আর এরপর থেকে সময়ের ধারাবাহিকতায় এর জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। 

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব

প্রথমেই আমাদের জানতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপাররা আসলে মুলত কি করে থাকে, বা আপনি যখন একজন প্রফেসনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হবেন তখন আপনি কি করবেন? একজন প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার মুলত ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল এসেট তৈরি করে থাকে। 

যেমন ওয়ার্ডপ্রেস থিম, প্লাগিন, ওয়ার্ডপ্রেস পেজ বিল্ডারের জন্য বিভিন্ন এক্সটেন্সন বা এডন এবং সেগুলো বিভিন্ন সফটওয়্যার মার্কেটপ্লেসে (থিমফরেস্ট, ক্রিয়েটিভ মার্কেট, টেমপ্লেট মনস্টার) বিক্রি করে করে থাকে অথবা নিজের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বিক্রি করে।

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হওয়ার জন্য কি কি শেখা লাগে?

প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর কোন জিনিসটা শিখতে চাচ্ছেন? আপনি কি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখতে চান নাকি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট? আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখতে চান তাহলে আপনার কোদিং জানা বাদ্ধতামুলক না। 

শুধু আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসের থিমগুলো সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসের অসংখ্য থিম আছে যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ফ্রি আবার অনেকগুলো প্রিমিয়াম। আপনাকে সেই থিমগুলোর সেটিং, অপশন, থিমের কোঁথায় কি আছে, ইত্যাদি বেশি বেশি শিখতে হবে। 

এগুলোর সাথে আবার ওয়ার্ডপ্রেস এর কিছু জনপ্রিয় পেজ বিল্ডার আছে সেগুলো সম্পর্কেও একটা ভালো ধারনা রাখতে হবে। কিভাবে পেজ বিল্ডার ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হয়, নতুন নতুন পেজ কিভাবে কোদিং ছাড়া তৈরি করতে হয় এই বিষয়গুলো শিখতে হবে। তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খুব অনায়াসে তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

এখন চলুন জেনে নেই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে কি কি শিখতে হবে?

আপনাকে প্রথমেই ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখতে হবে। কারন যেকোনো ওয়ার্ডপ্রেস থিম অথবা প্লাগিন বলেন না কেনো সেগুলো প্রথমেই আগে ডিজাইন করা হয়, এরপর ওয়ার্ডপ্রেস থিম বা প্লাগিন এ রুপান্তর করা হয়। তাই আগে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট তা ভালভাবে শিখতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট এর বেসিক জানলেই হয় কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট করার জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট এডভান্স আপনাকে জানতেই হবে। এরপর আপনাকে পিএইচপি ভাষা শিখতে হবে। এটা যদি আপনি এডভান্স শিখতে পারেন তাহলে ভালো। আর যদি না পারেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য পিএইচপি বেসিকটা জানলেই হবে। 

কারন ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করার জন্য যেই যেই অপশন বা ফাংশনালিটি প্রয়োজন সেগুলো ইতিমধ্যে তৈরি করা আছে। আমরা শুধু এগুলো ব্যবহার করবো। পিএইচপি যদি আপনি ভালো করে শিখতে পারেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস আপনার কাছে পানির মত সহজ হয়ে যাবে। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম , প্লাগিন, পেজ বিল্ডারের বিভিন্ন এক্সটেনশন বানাতে পারবেন এবং সেগুলো সফটওয়্যার মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব

ওয়ার্ডপ্রেস এর বেসিক থেকে শুরু করে এডভান্স পর্যন্ত আপনি বিভিন্ন টাইপের কোর্স করে শিখতে পারবেন। যেমনঃ

  • ভিডিও কোর্স,
  • লাইভ কোর্স,
  • আর্টিকেল কোর্স
  • ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষা বই ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ-  ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম - ফ্রি টাকা ইনকাম apps

এই বিষয়গুলোর ছোট্ট বিশ্লেষণ করলে হয়ত আপনারা সহজেই বুঝবেন।

(১) ভিডিও কোর্স 

ভিডিও কোর্স বলতে আপনি সেখানে ধাপে ধাপে ভিডিও টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন যেখানে প্রতিটা বিষয়ের উপরে আলোচনা করা থাকবে। ভিডিও কোর্স আবার ফ্রি এবং পেইড হয়ে থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষার ফ্রি কোর্স গুলো সাধারণত ইউটিউবে পাবেন। আর ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষার পেইড কোর্স গুলো বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। পেইড কোর্স গুলো টাকার দিয়ে কিনতে হয়।

(২)  লাইভ কোর্স অর্থাৎ, টাকার বিনিময়ে কোর্স করা

লাইভ কোর্স গুলো ২ প্রকার।

  • সরাসরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে কোর্স করা,
  • ইন্টারনেটের সাহায্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্স করা।

এই দুটি বিষয় হয়ত বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নেই। আপনারা এই বিষয়ে জানেন। [ না জানলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন ] লাইভ কোর্স গুলোরি মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগবে তা প্রতিষ্ঠান বা প্রশিক্ষক এর উপর নির্ভর করে। কারণ, প্রতিষ্ঠান বা প্রশিক্ষক থেকে সরাসরি কোর্স করার মানে হলো তারা যেই সময় নির্ধারণ করে দেবেন আপনাকে সেভাবেই যেতে হবে।

এই ধরণের কোর্স ৩-৬ মাস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এই সময়ে আপনাকে কাজের উপযোগী করে তুলতে পারবেন না। সকলেই জানেন ইন্টারন্যাশানাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখন অনেক বেশী কমপিটিশন। আপনি সেইসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য অনেক বেশী দক্ষতা নিয়েই প্রবেশ করতে হবে। নাহয় কাজ পাওয়া দুষ্কর।

লাইভ কোর্স করে শিখতে কতদিন সময় লাগেবে? উত্তরঃ সাধারণত প্রশিক্ষক বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো সরাসরি ভাবে ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স করাতে ৩-৬ মাসের সময় নেয়। তবে কোর্স করার পর আপনাকে এই বিষয়ে পাকাপোক্ত হতে আরো ১ বছর সময় দেওয়া উচিত।

(৩) বিভিন্ন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়া।

আর্টিকেল কোর্স গুলো সাধারণত ফ্রি হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে পেইড আর্টিকেল থাকে। তবে বেশীর ভাগ আর্টিকেলই ফ্রি। আমাদের কথাই বলি। আপনি যদি আমার ওয়ার্ডপ্রেসের উপর তৈরি আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়েন তবে আমি আশাবাদী আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক বিষয়াদি জানতে পারবেন।

তাছাড়া, ইন্টারনেটে আরো অগণিত ওয়েবসাইট আছে যারা ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন টিপস শেয়ার করে। তাদের আর্টিকেলও পড়তে পারেন। আপনি যদি এভাবে কিছুদিন কন্টিনিউ করেন তবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত বিভিন্ন জ্ঞান আয়ত্ব করে নিতে পারবেন।

(৪) বাজারে ওয়ার্ডপ্রেসের উপর বিভিন্ন বই পাওয়া যায়।

তাছাড়া, ইন্টারনেটে ওয়ার্ডপ্রেসের উপর অগণিত pdf রয়েছে। যেগুলো সংগ্রহ করে আপনি পড়তে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষা বই গুলো ক্রয় করার সময় বইয়ের ভেতর অংশ দেখে নেওয়া উচিত। – কেননা, নতুন হিসেবে আপনার কাঙ্খিত বইটিতে যদি টিউটোরিয়াল বা ছবি আকারে ওয়ার্ডপ্রেস এর ফিচার সমূহ সম্পর্কে আলোচনা পান, তবে আপনার জন্য এটি দারুণ একটি এডভান্টেজ তৈরি করবে। যে কোন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট এর বই ক্রয় করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই।

মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন তাই আমরা এখন জানবো কীভাবে এই ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হবে। মূলত যেকোন স্কিল শেখার জন্য ফ্রি ও পেইড ২ ধরনের রিসোর্স আছে। ফ্রি রিসোর্স এর মধ্যে রয়েছে ইউটিউব, অনলাইন ব্লগ, ফ্রি সেমিনার ইত্যাদি।  পেইড রিসোর্স এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন / অফলাইন কোর্স, পেইড ওয়ার্কশপ ইত্যাদি। 

ফ্রি রিসোর্স থেকে খুব সহজেই ওরপে শিখতে পারবেন কিন্তু প্রফেশনালি এবং বেস্ট প্র্যাকটিস আয়ত্ত করতে প্রয়োজন দক্ষ মেন্টরের সাহায্য।  তাই আজই ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পদক্ষেপ নিন এবং এই সেক্টরে নিজের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে একধাপ এগিয়ে যান।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কি কি লাগে

আমাদের অনেকেরই মনে একটা প্রশ্ন জাগে যে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আসলে কি কি লাগে বা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে আমাদের কি কি দরকার পড়বে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার সম্পূর্ণ গাইডলাইন জেনে নেওয়া যাক।

ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। ব্লগিং, ই-কমার্স, কর্পোরেট ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও সাইট থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে। যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান, তবে এই গাইডলাইনটি আপনাকে ধাপে ধাপে সাহায্য করবে।

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য যা যা লাগবে

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে:

  • কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
  • ওয়েব ব্রাউজার (Chrome, Firefox, Edge ইত্যাদি)
  • মৌলিক কম্পিউটার জ্ঞান (ফাইল ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যবহার)
  • ধৈর্য্য ও শেখার আগ্রহ (ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক কিছু শেখার আছে!)

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার ধাপসমূহ

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

১। ওয়ার্ডপ্রেস শেখার সুবিধা:

  • ব্যবহারে সহজ (কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট বানানো যায়)
  • থিম ও প্লাগিনের মাধ্যমে অসীম কাস্টমাইজেশন সুবিধা
  • SEO-ফ্রেন্ডলি (গুগলে র্যাঙ্ক করা সহজ)
  • বিশ্বব্যাপী চাহিদা (ফ্রিল্যান্সিং বা জবের জন্য ভালো অপশন)
  • ব্লগিং, ই-কমার্স, বিজনেস সাইটসহ সব ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়

২। ওয়ার্ডপ্রেসের প্রকারভেদ

👉ওয়ার্ডপ্রেস দুই ধরনের:

  • WordPress.com (হোস্টেড ভার্সন, ব্যবহার সহজ কিন্তু সীমাবদ্ধ)
  • WordPress.org (সেলফ-হোস্টেড, সম্পূর্ণ কন্ট্রোল, বেশি সুবিধা)

আপনাকে WordPress.org শিখতে হবে, কারণ এটি দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ কাস্টমাইজেবল ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।

৩। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন

👉ওয়ার্ডপ্রেস শেখার প্রথম ধাপ হলো এটি ইনস্টল করা। দুইভাবে ইনস্টল করতে পারেন:

ক) লোকাল সার্ভারে ইনস্টল (প্র্যাকটিসের জন্য)

  • XAMPP/WAMP ইনস্টল করুন (লোকাল সার্ভার সেটআপের জন্য)
  • ডাটাবেস তৈরি করুন (phpMyAdmin ব্যবহার করে)
  • ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করুন (wordpress.org থেকে)
  • ওয়ার্ডপ্রেস কনফিগার করুন (wp-config.php ফাইল এডিট করে)
  • ইনস্টলেশন সম্পন্ন করুন (ব্রাউজারে লগিন করে সেটআপ শেষ করুন)
আরো পড়ুনঃ-  ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে

খ) লাইভ হোস্টিংয়ে ইনস্টল (রিয়েল ওয়েবসাইটের জন্য)

  • ডোমেইন ও হোস্টিং কিনুন 
  • cPanel-এ গিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন (Softaculous বা Manual Install)
  • সেটিংস সম্পন্ন করুন (সাইট টাইটেল, ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড সেট করুন)

৪। ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড পরিচিতি

ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পর এডমিন প্যানেলে (ড্যাশবোর্ড) প্রবেশ করুন। ড্যাশবোর্ডের মূল অংশগুলো হলো:

  • পোস্টস (ব্লগ আর্টিকেল ম্যানেজমেন্ট)
  • মিডিয়া (ইমেজ, ভিডিও আপলোড)
  • পেজস (স্ট্যাটিক পেজ যেমন About Us, Contact)
  • কমেন্টস (ব্লগ কমেন্ট ম্যানেজমেন্ট)
  • অ্যাপিয়ারেন্স (থিম কাস্টমাইজেশন)
  • প্লাগিনস (অতিরিক্ত ফিচার যোগ করা)
  • ইউজারস (অ্যাডমিন ও অন্যান্য ইউজার ম্যানেজমেন্ট)
  • সেটিংস (সাইটের সাধারণ কনফিগারেশন)

৫। থিম ইনস্টল ও কাস্টমাইজেশন

👉ওয়ার্ডপ্রেস থিম দিয়ে ওয়েবসাইটের ডিজাইন পরিবর্তন করা যায়। থিম ইনস্টল করার পদ্ধতি:

  • অ্যাপিয়ারেন্স > থিমস > Add New-এ ক্লিক করুন
  • ফ্রি বা প্রিমিয়াম থিম সার্চ করুন
  • ইনস্টল ও অ্যাক্টিভেট করুন
  • কাস্টমাইজ করুন (লোগো, কালার, ফন্ট, মেনু সেটআপ)

৬। প্লাগিনস ইনস্টল ও ব্যবহার

👉প্লাগিনস দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসে নতুন ফিচার যোগ করা যায়। কিছু অপরিহার্য প্লাগিন:

  • Elementor (ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ পেজ বিল্ডার)
  • Yoast SEO (SEO অপ্টিমাইজেশনের জন্য)
  • WooCommerce (ই-কমার্স সাইটের জন্য)
  • Contact Form 7 (কন্টাক্ট ফর্ম তৈরি)
  • Akismet (স্প্যাম প্রোটেকশন)

👉 প্লাগিন ইনস্টল করার নিয়ম:

  • প্লাগিনস > Add New-এ যান
  • প্লাগিন সার্চ করুন
  • ইনস্টল ও অ্যাক্টিভেট করুন

৭। কন্টেন্ট ক্রিয়েশন (পোস্ট ও পেজ)

👉ব্লগ পোস্ট তৈরি:

  • পোস্টস > Add New-এ ক্লিক করুন
  • টাইটেল ও কন্টেন্ট লিখুন
  • ফিচার্ড ইমেজ ও ক্যাটাগরি সেট করুন
  • পাবলিশ করুন
  • স্ট্যাটিক পেজ তৈরি (About Us, Contact):
  • পেজস > Add New-এ যান
  • কন্টেন্ট লিখুন
  • পাবলিশ করুন

৮। ওয়ার্ডপ্রেস সিকিউরিটি ও মেইনটেন্যান্স

👉ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখার জন্য:

  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  • রেগুলার ব্যাকআপ নিন (UpdraftPlus প্লাগিন ব্যবহার করে)
  • SSL সার্টিফিকেট ইনস্টল করুন (HTTPS এক্টিভ করুন)
  • প্লাগিন ও থিম আপডেট রাখুন

৯. ওয়ার্ডপ্রেসে SEO শেখা

👉গুগলে র্যাঙ্ক করার জন্য:

  • কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন
  • ইউআরএল স্লাগ অপ্টিমাইজ করুন
  • ইমেজে Alt ট্যাগ যোগ করুন
  • ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক দিন
  • Yoast SEO প্লাগিন ব্যবহার করুন

১০. ওয়ার্ডপ্রেসে ই-কমার্স (WooCommerce)

👉যদি অনলাইন স্টোর বানাতে চান:

  • WooCommerce প্লাগিন ইনস্টল করুন
  • প্রোডাক্ট অ্যাড করুন
  • পেমেন্ট গেটওয়ে কনফিগার করুন (bKash, PayPal, Stripe)
  • শিপিং ও ট্যাক্স সেটআপ করুন

১১. ওয়ার্ডপ্রেস ট্রাবলশুটিং

👉সাধারণ সমস্যা ও সমাধান:

  • হোয়াইট স্ক্রিন অফ ডেথ: প্লাগিন/থিম ডিজেবল করুন
  • ইন্টারনাল সার্ভার এরর: .htaccess ফাইল রিনেম করুন
  • কানেকশন টাইমআউট: মেমোরি লিমিট বাড়ান

১২। ওয়ার্ডপ্রেস শেখার রিসোর্স

  • YouTube টিউটোরিয়াল (WPCrafter, WPBeginner)
  • অনলাইন কোর্স (Udemy, Coursera, LinkedIn Learning)
  • ওয়ার্ডপ্রেস ডকুমেন্টেশন (wordpress.org/support)
  • ফেসবুক গ্রুপ ও ব্লগ (বাংলা ওয়ার্ডপ্রেস কমিউনিটি)

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ১-২ ঘণ্টা সময় দিন, প্র্যাকটিস করুন এবং ধৈর্য্য ধরুন। সফলতা আসবেই! ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে ইনস্টলেশন, থিম/প্লাগিন ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, SEO ও সিকিউরিটি সম্পর্কে জানতে হবে। ধাপে ধাপে শিখলে এটি খুব সহজ! আশা করি, এই গাইডলাইনটি আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পথে সাহায্য করবে।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে

শুরুতেই আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর কতটুকু শিখতে চান বা জানতে চান? প্রশ্নটি এজন্যই করলাম, আমাদের সকলেই WordPress কে শিখে একই ধরণের কাজ করবো না। মনে করেন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন ব্লগিং করার জন্য, বা উ-কমার্স এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য, অথবা ওয়ার্ডপ্রেসের উপর সাধারণ মানুষকে সহযোহিতা করার জন্য।

এমন আরো বিভিন্ন নিয়তে আমরা WordPress শিখতে পারি। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে ওয়ার্ডপ্রেস শিক্ষাকে ৩ টি স্তরে বিভিক্ত করা যায়।

  • বেসিক ওয়ার্ডপ্রেস,
  • মাধ্যমিক ওয়ার্ডপ্রেস এবং
  • এডভান্স ওয়ার্ডপ্রেস।

এর স্তর গুলোর উপর নির্ণয় করতে হবে ”ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে বা লাগবে”।

(১) বেসিক ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক বিষয়বস্তু একজন নতুন ইউজারকে জানার জন্য ৮-১০ দিন সময় লাগতে পারে। বেসিক ওয়ার্ডপ্রেস বলতে একটি WordPress ওয়েবসাইটে কিভাবে লগইন করতে হয়, ডেশবোর্ড পরিচিতি, পোস্ট করার নিয়ম, প্লাগইন বা থিম ইনিস্টল ইত্যাদি ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো বেসিক WordPress এর মধ্যে যায়।

আপনি যদি এই ধরণের ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান তবে ৮-১০ দিন এর বেশী সময় লাগবে না। খুব বেশী মনোযোগ দিয়ে শিখতে হয়ত ৫ দিনেই ওয়ার্ডপ্রেস এর বেসিক বিষয়বস্তু শিখে যাবেন। এই ধরণের WordPress অভিজ্ঞতা থেকে আপনি ব্লগিং বা ই-কমার্স জাতীয় ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করতে পারবেন।

(২) মাধ্যমিক ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে বর্তমানে প্রায় মানুষই ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন বিষয়াদি জানেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর মাধ্যমিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা হলো এমন, যেই অভিজ্ঞতায় আপনি যে কোন ধরণের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে পারবেন। বিষয়টি আরেকটু স্পষ্ট করা যাক-

একজন মাধ্যমিক পর্যায়ের ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটে যে কোন প্লাগইন বা থিম ইনিস্টল করা থেকে শুরু করে কাস্টোমাইজেশনের কাজ করতে পারে। গুগল এনালিইটিক্স, গুগল সার্চ কনসোল, এসইও এবং সিকিউরিটি বিষয়ক বিষয়বস্তুর কাজও মাধ্যমিক পর্যায়ের ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা করতে পারে। তাছাড়া, ওয়েবসাইটের ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে পারে এমন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদেরকে মাধ্যমিক লেভেলের ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী বলা যায়।

আরো পড়ুনঃ-  টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট - ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট

এই ধরণের ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আপনাকে একটি প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ, ওয়ার্ডপ্রেসের উপর দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে। নাহয় আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত সমস্যা গুলো প্রাক্টিক্যাল ভাবে পাবেন না, আর সমস্যা গুলো না পেলে সমাধান করার প্রক্রিয়া শিখবেন কিভাবে? এই ধরণের মাধ্যমিক পর্যায়ের ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে ৬-১২ মাস লেগে যেতে পারে।

কোন ক্ষেত্রে এর চেয়েও অধিক সময় লাগতে পারে। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র প্লাগইন এবং থিম কাস্টোমাইজেশনের কাজ শিখতে চান, তবে হয়ত ৩-৬ মাস লাগতে পারে। মনে রাখবেন, প্লাগইন এবং থিম কাস্টোমাইজেশনের বিষয়টি ১ মাসেও আয়ত্ব করা সম্ভব। তবে বেশী সময় দিয়ে শিখলে অভিজ্ঞতার মধ্যে খুবই চমৎকার একটি ইমপ্রুভমেন্ট দেখতে পাবেন।

(৩) এডভান্স ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ক যারা পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন তাদেরকে এডভান্স ওয়ার্ডপ্রেস অভিজ্ঞতার স্তরে রাখা যায়। এই ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দীর্ঘ সময় ওয়ার্ডপ্রেস শেখার কাজে ব্যয় করতে হয়। এটি মূলত ওয়েব ডিজাইন বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর পর্যায়ের কাজ। 

যাতে কখনো কোনো ক্লাইন্ট আপনার কাজের সেম্পল দেখতে চায় তখন আপনি আপনার সেই পোর্টফলিও ওয়েবসাইট দেখাতে পারেন। এতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শেখার পর এখন আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট টা শিখতে হবে। তখন আপনাকে নিজেই কাস্টম কোডিং করে ওয়েবসাইট প্রথমে ডিজাইন করতে হবে এবং তারপর ডেভেলপমেন্ট। 

আর এই জন্য অবশ্যই আপনাকে পিএইচপি শিখতে হবে। প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা করে ১ মাস পিএইচপি এর বেসিক শিখবেন।এখন বাকি ৩ মাস ধরে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শেখা শুরু করবেন। 

তবে শেখার সময়টা নির্ভর করে আপনি আজ কতটুকু সময় দিচ্ছেন তার উপর। আমি শুধু আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে সাথে কিছু নিয়মনীতি শেয়ার করলাম। কারন আমি নিজেও একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কী ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়?

এখনআমরা জানবো কি কি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা যায়ঃ

  • বিজনেস ওয়েবসাইট
  • ই-কমার্স স্টোর
  • ব্লগ ওয়েবসাইট
  • পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট
  • ফোরাম ওয়েবসাইট
  • সোশ্যাল কমিউনিটি ওয়েবসাইট
  • মেম্বারশিপ ওয়েবসাইট, ইত্যাদি।

উল্লেখিত ওয়েবসাইট ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করতে পারবেন। এখন বর্তমানে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি হচ্ছে।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায়

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে এ গিয়ে যেমন ক্লায়েন্টকে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তেমনি নিজের ওয়েবসাইট থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

👉ই-কমার্স: আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের WooCommerce এই প্লাগইনটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পরিণত করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের বিজনেস তৈরি করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

👉ডিসপ্লে এডস: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স পেলে সেখান থেকে নিজের ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

👉স্পন্সরড পোস্ট: আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ এ স্পন্সর এর পোস্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।  

👉এফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি নিজের ওয়েবসাইটে অন্য কারোর পণ্যের প্রচার করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

👉ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়: আপনি নিজের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য যেমন : বিভিন্ন ধরনের কোর্স ,বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এসব বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

👉 সেবা প্রদান: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের সেবা অফার করতে পারেন যেমন আপনি বিভিন্ন কোর্স সক্রান্ত সেবা প্রদান করতে পারেন । 

এই উপায়গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যার মাধ্যমে অনেক বেশি ট্র্যাফিক রেগুলার আপনার ওয়েবসাইটে এ ভিজিট করলে তার মাধ্যমে আপনি নিজের ইনকাম বাড়িয়ে নিতে পারবেন। 

প্রত্যেক বছর ২ মিলিয়নের উপরে ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি হচ্ছে। ১.১ মিলিয়নের উপরে ডোমেইন প্রতি ৬ মাসে ওয়ার্ডপ্রেসে রেজিস্টার হচ্ছে। এটির সাহায্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০০ এর উপরে ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।। যেটি ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার উদাহরণ। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে চান তবে ওয়ার্ডপ্রেস হতে পারে আপনার জন্য সঠিক একটি মাধ্যম। 

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে আপনি সেটি যেমন নিজের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন তেমনি আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েবসাইটের প্রচুর কাজ রয়েছে যা আপনাকে সহজেই কাজ পেতে সাহায্য করবে কেননা কাজ বেশি থাকাতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আর তাই ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হতে পারে আপনার এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যম।

লেখকের শেষ মতামত

ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহার করে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটে নানা ধরনের কনটেন্ট সংরক্ষণ করা যায়। শুধু তাই নয় ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে সাইট তৈরির জন্য কোনরকম কোডিং করার প্রয়োজন হয় না। এটি শুধুমাত্র ডোমেইন এবং হোস্টিং ব্যবহার করে বিনামূল্যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করা যায়।

এই ছিল আজকের ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব – ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কি কি লাগে তা জানতে পেরেছেন।

এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।

Leave a Comment