আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে কথা বলব। আমাদের চারপাশে সমস্যা টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। অন্য কিছু নয় আমি কথা বলছি কমন একটি সমস্যা চুলকানি। চুলকানি নামক শব্দটি শুনলে শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে। চুলকানি অনেক বিরক্তিকর একটা সমস্যা, তাই না?
অনেকে ডাক্তার দেখান, আবার অনেকে ঘরে বসেই চিকিৎসা করতে চান। তবে মনে রাখবেন, কোন ওষুধটা আপনার জন্য ভালো হবে, সেটা একজন ডাক্তারই ভালো বলতে পারবেন। এলার্জির সমস্যায় সবচেয়ে বেশি যে ঔষধটা খাওয়া হয় সেটা হলো অ্যান্টিহিস্টামিন।
আমাদের শরীরে যখন এলার্জি হয়, তখন হিস্টামিন নামের একটা জিনিস বের হয়, আর এই অ্যান্টিহিস্টামিন সেই হিস্টামিনকে আটকে দেয়। যারা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করতে চান, তারা সাধারণত এন্টিহিস্টামিন বা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকেন।
আপনি যদি চুলকানির জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু ঔষধের নাম জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এখানে আমি কিছু ঔষধের নাম বলবো, যেগুলো আপনার চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি তা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো। বর্তমানে অনেকেই এলার্জি এবং চুলকানি জাতীয় রোগে ভুগতেছেন যা কোনরকমেই ভালো হচ্ছেনা তাই যারা এই সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগছেন তারা এই আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
এলার্জি কি
মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি ব্যবস্থা থাকে। মানবদেহে যখন রোগ প্রতিরোধা এর ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করে না অর্থ যে সকল মানবদেহে সঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর নয় সেই সকল মানবদেহে এলার্জি দেখা দেয়। প্রতিটি মানবদেহে একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষমতা আছে।
যদি কোন কারণে এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয় তখনই আমাদের শরীরে এলার্জির আবির্ভাব ঘটে। যে সকল ব্যক্তির রক্তে এলার্জি পরিমাণ বেশি থাকে তাদেরকে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের প্রত্যেকের দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা থাকে।
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন ঠিক ভাবে কাজ করে না অর্থাৎ যে সকল জিনিস আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় তাদের উপর প্রতিক্রিয়া করে তখনই এলার্জি হয়। আইজিইর এর পরিমান যাদের র*ক্তে বেশি থাকে সাধারনত তাদের এলার্জি বেশি দেখা দেয়।
এলার্জির প্রকারভেদ
যে সকল ব্যক্তি এলার্জি রোগে আক্রান্ত তাদের একটি বিষয় জানতে হবে। এলার্জি কত প্রকার এবং কি কি তাই আপনারা এলার্জি কত প্রকার ও কি কি জানেন না। তারা অবশ্যই নিচের লিস্ট অনুযায়ী এলার্জির প্রকারভেদ জেনে নিন।
- স্কিন এলার্জি।
- ল্যাটেক্স এলার্জি।
- ফুড এলাজি।
- পোলেন এলার্জি।
- ঠান্ডা জনিত এলার্জি।
- ডাস্ট এলার্জি।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
আপনারা যারা এলার্জির সমস্যায় জর্জরিত তাদের জন্য বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানির ওষুধের নাম এবং খাওয়ার নিয়ম আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো।
আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার এলার্জির ওষুধের নাম প্রকাশ করা হবে। যদি আপনার এলার্জির অবস্থা জটিল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন।
- Rupatadine 10 mg (Rupa/Rupatrol/Duvent)
- খাওয়ার নিয়ম 0+0+1 ( ২৪ ঘন্টায় রাত একবার)
- Cetirizine 10 mg(Alatrol/Artizin/Cetizin)
- খাওয়ার নিয়ম 0+0+1 (২৪ ঘন্টায় রাতে একবার)
- Chlorpheniramine 4mg( Histacin/Histal/ Histagen)
- খাওয়ার নিয়ম 1+1+1(সকাল+দুপুর+রাতে তিন বেলা)
- Fexofenadine-60mg,20mg,180mg(Fexo/Fenadine)
- 0+1+0 (120mg-60mg দিন একটি করে বা 60mg হলে সকালে এবং রাতে)
- Loratadine 10mg(Loratadine/ Loratine/Pretin)
- খাওয়ার নিয়ম 0+0+1(শুধুমাত্র রাতে একটি করে)
চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি
এলার্জি মানেই চুলকানি যদি শরীরে এলার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই চুলকাবে। এলার্জি জাতীয় চুলকানি অনেক অস্বস্তিকর হয়ে থাকে। এবং এই এলার্জি বিভিন্ন কারণে হতে পারে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার এলার্জির কারণ কি এবং কি জাতীয় এলার্জি। তারপরে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে বা ঔষধ সেবন করতে হবে।
এলার্জির চুলকানিবার সমস্যা দূর করার জন্য নিম্নের ঔষধ গুলো বহুল ব্যবহৃত বা প্রচলিত। চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
Alatrol 10 mg: Alatrol 10 mg এলার্জি তাৎক্ষণিকভাবে ভালো করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার দেহে যদি প্রাথমিক এলার্জি দেখা দেয় তাহলে এই ঔষধ সেবন করতে পারেন তাহলে আপনার দেহের চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।
Cetirizine 10 mg: এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ট্যাবলেটটি এলার্জি ভালো করার জন্য বেশ প্রচলিত এবং কার্যকরী। অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যার ক্ষেত্রে এই ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ সেবন করলে ভালো উপকারিতা পাবেন।
Loratadine: Loratadine হল নন-ড্রাউজি এন্টিহিস্টামিন জাতীয় মেডিসিন, যা শরীরের চুলকানি দূর করতে বেশ ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
Cetirizine: এটিও এলার্জি থেকে চুলকানি নিরাময় করার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। সেটিরিজিন মেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি খুব দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে।
Diphenhydramine: ডিফেনহাইড্রামিন হচ্ছে মূলত শক্তিশালী এন্টিহিস্টামিন, যা আমাদের দেহের এলার্জি থেকে চুলকানি দ্রুত নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম
এলার্জি থেকে সৃষ্ট চুলকানি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ কিন্তু বেশ বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন খাদ্য এলার্জি, ধুলা, ফুলের পরাগ, পশুর লোম, মশার কামড়, কিংবা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
যখন এলার্জি হয়, শরীরে হিস্টামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক মুক্ত হয় যা ত্বকের চুলকানির প্রধান কারণ। এলার্জি চুলকানি কমানোর জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।
১। এন্টিহিস্টামিন ঔষধ
এন্টিহিস্টামিন হলো এমন একটি ঔষধ যা শরীরের হিস্টামিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে চুলকানি, ত্বকের র্যাশ এবং ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। এলার্জি চুলকানি নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে সাধারণভাবে ব্যবহৃত ঔষধগুলোর মধ্যে এন্টিহিস্টামিনের প্রয়োগ অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই ঔষধগুলি খাবার আকারে বা টপিক্যাল ক্রিম হিসেবে পাওয়া যায়।
২। লোরাটাডিন (Loratadine)
লোরাটাডিন একটি নন-ড্রাউজি এন্টিহিস্টামিন যা এলার্জি চুলকানির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরের হিস্টামিন বন্ধ করে, যা এলার্জি থেকে আসা চুলকানি এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৩। ডিফেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine):
এই ঔষধটি সাধারণত রাতের বেলা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়, কারণ এটি চুলকানি নিরাময়ে বেশ কার্যকর হলেও ঘুমিয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি প্রায়শই দ্রুত চুলকানি কমিয়ে দেয় এবং ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪। কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম ও মলম
কর্টিকোস্টেরয়েড হলো এক ধরনের হরমোনাল ঔষধ যা ত্বকের প্রদাহ, চুলকানি এবং র্যাশ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং এলার্জিজনিত চুলকানি নিরাময়ে বেশ কার্যকর।
৫। মোমেটাসন (Mometasone):
মোমেটাসন একটি শক্তিশালী কর্টিকোস্টেরয়েড, যা তীব্র চুলকানি এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। এটি দিনে একবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং দ্রুত চুলকানি নিরাময়ে সহায়তা করে।
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির
চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম। চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের চুলকানি ঔষধের নাম গুলো এই পাঠের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। মানুষের শরীরে বিভিন্ন কারণে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে।
তবে আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং সঠিক ওষুধ খান তাহলে কিছুদিনের ভিতরেই আপনার এই চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
তবে আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে এটি আপনার শরীরে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বর্তমান সময়ে স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ আমাদের সকলের কাছে অনেক জনকে এবং গ্রহণযোগ্য।
- Bilista 20 mg
- Fexo 120 mg
- Flugal 50mg
- Rupatrol 10 mg
- Tebast 10 mg
এ স্কয়ার কোম্পানির শুধুমাত্র চুলকানি ট্যাবলেটই নিয়ে আসেনি। বরং এ স্কয়ার কোম্পানির বেশ কিছু চুলকানি দূর করার জন্য ক্রিম ও নিয়ে এসেছে। চুলকানি দূর করার জন্য স্কয়ার কোম্পানির সেই সকল ক্রিমগুলো হলো
- Ezex Cream
- Fungidal HC Cream
- Togent Cream
তবে আমি আপনাদের একটা পরামর্শ অবশ্যই দেব সেটা হচ্ছে আপনি চুলকানির ঔষধ অথবা ক্রিম যেটাই ব্যবহার করেন না কেন তার আগে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।
চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম
চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নামগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- Aloe vera cream
- Calamine cream
- Betamethasone cream
- Hydrocortisone cream
- Benzyl peroxide cream
- Salicylic acid cream
- Chlorhexidine cream
আপনার চুলকানি দূর করার জন্য উপরের এই ক্রিমগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে স্কয়ার কোম্পানির ক্রিমগুলোও ব্যাবহার করতে পারেন। তবে আমি আপনাদের একটা পরামর্শ অবশ্যই দেব সেটা হচ্ছে আপনি চুলকানির ঔষধ অথবা ক্রিম যেটাই ব্যবহার করেন না কেন তার আগে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।
এলার্জি থেকে চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: ধুলা, ধোঁয়া এবং অন্যান্য এলার্জেন থেকে দূরে থাকতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিতভাবে বিছানার চাদর, কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ধোয়া উচিত, যাতে ধুলো-ময়লা জমতে না পারে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে খাদ্যের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা থাকার কারণে থেকে এলার্জি বা চুলকানি হয়ে থাকে এজন্য আসলে আপনার কোন খাবারে এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা হচ্ছে সেটা আগে চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা।
বায়ু পরিশোধক ব্যবহার: ঘরের বায়ু পরিষ্কার রাখার জন্য বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ঘরের এলার্জেন কমাতে সহায়ক।
এলার্জি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি
এখন আমাদের এলার্জি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কেও জানা উচিত। আমরা তো সকলেই চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম এবং এলার্জি ঔষধের নাম জানতে পারলাম। তবে আপনি জানেন কি এলার্জি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি?
আপনি যদি এলার্জি দূর করার ঔষধগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও আমাদের মাথায় রাখা উচিত। চলুন তাহলে এই বিষয়েও আমরা জেনে নেই। যদি এলার্জি চুলকানির জন্য ঔষধ খাওয়া হয় তাহলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
তবে সেটি হবে হালকা এবং সাময়িক। তবে অনেক ক্ষেত্রে গুরুতরো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অ্যান্টিহিস্টামাইনগুলির সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে
- মুখ শুষ্কতা
- শরীরে ক্লান্তি আসা
- অতিরিক্ত মাথাব্যথা করা
- সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব হওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া
স্টেরয়েড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে
- মাথা ব্যাথা করা
- শরীরের উচ্চ রক্তচাপ
- শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া
- পেশী অতিরিক্ত ব্যাথা করা
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় ?
এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়? এই প্রশ্নটিই অনেকটা অযৌক্তিক হলেও সময়ের সাথে সাথে যৌক্তিক হতে শুরু করেছে। এলার্জি হচ্ছে ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা পরিবেশের কোনো এলার্জেনের কারণে শরীরে হাইপারসেনসিটিভিটি দেখায় কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়।
যে কোন ওষুধের ওই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তার পাশাপাশি যদি কোন ঔষধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা হয় তাহলে সেটা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অ্যালার্জির হার ৩০% থেকে ৪০% বেড়ে গেছে। সাথে সাথে, অনেক বিশেষজ্ঞ দীর্ঘ সময়ের জন্য অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন।
যে সকল ঔষধ এলার্জির জন্য ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো অ্যান্টিহিস্টামাইন, কর্টিকোস্টেরয়েড, মাস্ট সেল স্টেবিলাইজার, লিউকোট্রিন ইনহিবিটারস, অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি, এপিনেফ্রিন শট ইত্যাদি। তবে বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত এলার্জির একটি ঔষধ হলো মোনাস ১০ ট্যাবলেট।
সব সময় মনে হবে যেন একটু ঘুমোতে পারলে শরীরের শান্তি পাওয়া যেত। কিন্তু যতোই ঘুমানো হোক না কেন শরীরের ঘুম আর শেষ হবে না।
এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বা মূত্রত্যাগ কঠিন হয়ে যাওয়া, শরীরে শুষ্কতা অনুভব করা এবং ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত বেশি পরিমাণে এলার্জির ঔষধ সেবন করা যাবে না।
এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা
অনেকের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে এলার্জি হয়ে থাকে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি আর সে সকল খাবার খাওয়ার সাথে সাথে এলার্জির সমস্যাটা বেশি হয়ে উঠে। সেজন্য আপনাদের জেনে রাখা ভালো এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা।
এতে করে সেই খাবারগুলো আপনারা এড়িয়ে চলতে পারবেন। তো এই অংশে দেখে নিন এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা নাম গুলো।
- গরুর মাংস
- দুধ
- ডিম
- চিনাবাদাম
- চিংড়ি মাছ
- ইলিশ মাছ
- বেগুন
- কচু
- গম
- কাকড়া
- আখরোট
- গাজর
- টমেটো
এখানে যেগুলো খাবারের নাম বলা হলো সেগুলো খাবারের মধ্যে এলার্জির সমস্যা বেশিরভাগ থাকে তবে এগুলো খাবার বাদে আরো অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খাবারের মধ্যে এলার্জি রয়েছে।
তোর যে কোন খাবার খাওয়ার পরে আপনার যদি এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে বুঝবেন সেই খাবারে আপনার এলার্জির সমস্যা রয়েছে। সেগুলো খাবার খাবেন না তাহলেই দেখবেন আপনি এলার্জির সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবেন।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এলার্জি চুলকানি দূর করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে এলার্জি চুলকানি নিরাময় হয়ে যায়। এলার্জি হতে পারে এমন খাবার যেমন
- গরুর মাংস,
- চিংড়ি মাছ,
- বেগুন,
- কচুর লতা,
- পুঁইশাক,
- ইলিশ মাছ ইত্যাদি
উল্লিখিত খাবারে অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। আর সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে আপনি যে রুমে বা যে জায়গায় থাকবেন অবশ্যই সেই রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। কখনোই ময়লাযুক্ত বিছানার চাদর বা বালিশ ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে একবার করে গরম পানি দিয়ে ওই সকল জিনিসপত্র ধুয়ে নিবেন তাহলে আপনার স্কিন এলার্জি হবে না।
এলার্জি চুলকানি দূর করার জন্য খাদ্যাভ্যাসের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেগুলো খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা বেশি হয় সেগুলো খাবার কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা। যদি এলার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে এলার্জি চুলকালি তেমন একটা হবে না।
লেখকের শেষ মতামত
এখানে আপনাদেরকে শুধুমাত্র জানানোর উদ্দেশ্যে ঔষধের নাম গুলো বলা হয়েছে। আপনারা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজের ইচ্ছেতে কোন ঔষধ সেবন করেন তাহলে পরবর্তীতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই কখনো নিজ ইচ্ছাতে কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।
আপনার শরীরের চুলকানি দূর করার জন্য আপনি বাজারের বিভিন্ন ধরণে ঔষধ সেবন করতে পারেন। এছাড়াও আমরা যেই সকল ঔষধের নাম উল্লেখ করেছি সেগুলো খেতে পারেন। ঔষধের পাশাপাশি আপনি চুলকানির জন্য ক্রিমও ব্যাবহার করতে পারেন।
তবে আপনার কোন সমস্যার জন্য সেই চুলকানি হয়েছে সেটি আগে খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবথেকে উচিত হবে।