বর্তমান সময়ে প্রতিটা অফিসিয়াল কাজে ওয়েবসাইট ছাড়া কোনো ব্যবসার কথা ভাবাই যায় না। আর সেই ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে গেলে প্রথমেই ওয়েব হোস্টিং এর দরকার হয়। হোস্টিং একটি সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রচলিত এবং উপলব্ধ করে সকল ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন করে।
এটি ওয়েবসাইটের সামরিক পারদর্শিতা, দৃশ্যমানতা এবং দৃশ্যমানতা সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভাল হোস্টিং সেবা সার্ভারের দায়িত্বশীলতা, স্থায়িত্ব, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য সংরক্ষণ এবং গ্রাহক সমর্থনে ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
শেয়ারর্ড হোস্টিং ওয়েবসাইট শুরু করার জন্য সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। তবে এটি দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করার আগে এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো জেনে রাখতে হবে। কারণ শেয়ারর্ড হোস্টিং সুবিধা ও অসুবিধা উভয়ই রয়েছে।
শেয়ারর্ড হোস্টিং কি
সহজ কথায় বলতে গেলে ওয়েবসাইট ডাটা অনলাইনে স্টোর করে রাখার জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজ সুবিধাকে হোস্টিং বলে। তো এখন অবশ্যই হোস্টিং কি সে সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। আরো সহজ এক্সাম্পল দেই, আপনি এখন যে পোস্টটি পড়ছেন, তা একটি হোস্টিং সার্ভারে থাকা ওয়েবসাইট থেকে দেখতে পাচ্ছেন।
হোস্টিং এর ধরন এবং কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে এর দাম এবং নাম নির্ধারণ করা হয়। যেমন আমাদের এই লেখার মুল উদ্দেশ্য শেয়ারর্ড হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। তো শেয়ারর্ড হোস্টিং বাদেও আরও কয়েক প্রকার হোস্টিং সার্ভিস আছে। তবে আমরা আজকে শুধুমাত্র শেয়ারর্ড হোস্টিং সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
মূলত শেয়ারর্ড হোস্টিং এর নাম থেকেই এই সার্ভিস সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। আমরা জানি হোস্টিং হল কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক স্পেস, সিপিইউ এবং র্যাম ক্যাপাবিলিটির সমস্থি। শেয়ারর্ড হোস্টিং হলো এই সমন্বিত নির্দিষ্ট পরিমাণ রিসোর্স ইউজারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া।
শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
শেয়ার্ড হোস্টিং সাধারণত সহজেই প্রযোজ্য এবং নতুন ওয়েবসাইট মালিকরা এটি ব্যবহার করতে পারেন যারা অল্প ট্রাফিক এবং সাধারণ মানের ওয়েবসাইট পরিচালনা করছেন।
এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজেই কন্ট্রোল প্যানেল, এক-ক্লিক স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার এবং মেইল সেটাপ প্রয়োজন করে যা ওয়েবসাইট পরিচালনায় সহায়তা করে। যখন কোনো হোস্টিং সার্ভারকে বিভিন্ন ব্যক্তি কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করে ৷ তখন তাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলা হয়। অর্থ্যাৎ, এই পদ্ধতিতে একই সার্ভারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কে হোস্ট করা হয়ে থাকে।
মনে করুন, আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে খুব অল্প পরিমানে ভিজিটর আসে। এখন আপনার জন্য ১ জিবি অথবা ২ জিবি হোস্টিং হলেই যথেস্ট। সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। ওয়েবসাইট শুরু করার জন্য শেয়ারর্ড হোস্টিং বেশি জনপ্রিয়।
তবে শেয়ারর্ড হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করার আগে শেয়ারর্ড হোস্টিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখা উচিত, কেননা শেয়ারর্ড হোস্টিং এ যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তো চলুন শেয়ারর্ড হোস্টিং এর সুবিধা অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা
শেয়ার্ড হোস্টিং খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং তার জন্য কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। এটি যে কোন ধরনের ওয়েব সাইটে হোস্ট করা যায়। এছাড়া শেয়ার্ড হোস্টিং-এর প্রদানকারীরা তার ব্যবহারকারিদের একটি কন্ট্রোল প্যানেল দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে খুব সহজে ওয়েব সাইটের কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১। সার্ভার মেইনটেনেন্স
শেয়ার্ড হোস্টিং- ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারিকে সার্ভার মেইনটেনেন্স সংক্রান্ত কোন সমস্যা ফেস করতে হয় না, এসকল দায়িত্ব বহন করে হোস্টিং প্রদানকারী। হোস্টিং প্রদানকারীদের থেকে গ্রাহকরা কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পেয়ে থাকেন।
২। অনেক সাশ্রয়ী
শেয়ার হোস্টিং এর কস্ট ডেডিকেটেড হোস্টিং এর চেয়ে তুলনায় অনেক কম।ক্ষেত্রবিশেষে,আপনার একটি সাইটের শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য মাসে $১.৫ থেকে $১০ ডলার কস্ট হবে।আপনার ওয়েবসাইটের ধরণ এবং ফিচারের উপর কস্ট নির্ভর করবে।
অপরদিকে একই সুবিধার জন্য ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য আপনার কস্ট লাগবে প্রতি মাসে $৮০ থেকে $২৫০ এবং ভিপিএস সার্ভারে $১০ থেকে $৫০।শেয়ারড হোস্টিং অনেক বেশি সাশ্রয়ী কেননা হোস্টিং কস্ট সার্ভারের অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করা যায়।
৩। এক্সপার্ট না হলেও চলবে
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সার্ভার এডমিনিস্ট্রেশনে যদি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে শেয়ারড হোস্টিং হবে আপনার জন্য গ্রেট চয়েস।হোস্টিং প্রোভাইডাররা কাজগুলি করে দেবে তাই আপনার খুব বেশি টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলেও চলবে।
কিন্তু ডেডিকেটেড সার্ভারের ক্ষেত্রে হোস্টিং প্রোভাইডারদের হেল্পার জন্য এক্সট্রা পে করতে হবে।আবার নিজে থেকে করতে গেলে সেটিং আপ,এডমিনিস্ট্রেটিং এবং সার্ভার ম্যানেজিং এর মতো কাজগুলি আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
৪। সার্ভার মেইনটেনেন্স অন্তর্ভুক্ত
আপনি টেকনিক্যাল কিছু সাপোর্ট পেয়ে যাবেন সেগুলো হলো:
- সাইট মনিটরিং
- সাইট মনিটরিং
- কোনো প্রবলেম হলে ইনস্ট্যান্ট এলার্ট
- কোনো ইস্যুর সমস্যা হলে রিপেয়ারিং
৫। ব্যান্ডউইথ এবং কাস্টমাইজেশন ইমপ্রুভ হবে
শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি পাবেন ২-৫জিবির এর বেশি স্টোরেজ যা ছোট থেকে মাঝারি ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ট। এটা ছোট বা মাঝারি ধরণের বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ঠ!
শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনাকে শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি আপলোড করতে হবে এবং তারপর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেন নাম সেট করতে হবে।
এছাড়াও শেয়ার্ড হোস্টিং এ আরও বেশ কয়েকটি সুবিধা পাবেন যেমনঃ
- শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সাবডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন।
- আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজনেস ইমেল Create করতে পারবেন।
- শেয়ার্ড হোস্টিং এ Cpanel ফুল কন্ট্রোল পাবেন।
- SSL এর সুবিধা পাবেন।
- আনলিমিটেড সাব ডোমেইন
- আনলিমিটেড ইমেইল
- আনলিমিটেড ডেটাবেস
- ৯৯.৯% আপটাইম
- ফ্রি cPanel
- ফ্রি ডোমেইন কন্ট্রোলার
- ফ্রি লাইফ টাইম এসএসএল
শেয়ার্ড হোস্টিং এর অসুবিধা
১। ডাউনটাইম
আপনি যখন আপনার হোস্টিং প্ল্যান অন্য অনেক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করবেন তখন আপনার রিসোর্স এর মধ্যে লিমিটেশন থাকবে। আপনার সাইট ওভার লোডেড সমস্যায় পড়তে পারে যদি একই সময়ে অন্য সাইটের ডিমান্ড রেট বেশি থাকে। এর ফলে আপনার সাইট ডাউন করবে এবং ভিজিটরা সেই সময় আর আপনার সাইট ভিজিট করতে পারবে না!
এছাড়া এমন হতে পারে যে, আপনি যে সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করছেন সেই সাইটের ট্রাফিক বেশি হওয়ায় আপনার সাইট স্লো করছে। এটা অবশ্যই আপনার সাইটের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন সাইটের পেজ লোড হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে ৪০% ভিজিটর তখন ওই সাইট লিভ করে! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গুগোল দেখেছ, সাইটের পেজ লোড হতে বেশি সময় নিলে ৭০% স্মার্টফোন ভিজিটর ওই সাইট লিভ করে!
২। অনির্ভরযোগ্য
এগুলো ম্যালওয়ার ও ভাইরাস দ্বারা সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। আর একটি সাইট আক্রান্ত হলে (যেহেতু তারা একই সার্ভার শেয়ার করছে) স্বাভাবিকভাবেই ওই সার্ভারের বাকি সাইটগুলোও আক্রান্ত হয়।
৩। লিমিটেড রিসোর্স
বড় ওয়েবসাইট যাদের প্রতিমাসে প্রচুর ভিজিটর আসে এবং ডজন খানেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে প্রতিটি পেজে তাদের জন্য শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান চয়েজ করা ভালো সিদ্ধান্ত নয়! আপনাকে আপনার রিসোর্সগুলোকে অন্য অনেক ওয়েবসাইট সাথে শেয়ার করতে হবে।
৪। নিরাপত্তা
আপনি সাইটের সিকিউরিটির ঝুঁকিতে থাকতে যদি শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান ইউস করেন! কেননা আপনার সাইট অনেকগুলো ওয়েবসাইটের সাথে একই সার্ভারে থাকে!
৫। কাস্টমাইজড অপশন থাকে না
শেয়ারড হোস্টিং আগে অনেক কাস্টমাইজড করার সুযোগ ছিলো যা বর্তমান প্রোভাইডররা দিচ্ছে না। ডেডিকেটেড সার্ভারের তুলনায় শেয়ারড হোস্টিং এ সুযোগ সামান্যই! শুধুমাত্র ওই সার্ভার বা ফায়ারওয়ালের সাথে কনফিগারেড করা এপ্লিকেশনগুলোই ইউস করতে পারবেন!
আপনি যদি এ কন্ট্রোল নিজের হাতে নিতে চান তাহলে আপনাকে হোস্টিং চেঞ্জ করতে হবে। ভিপিএস হোস্টিং ব্যাবহারকারি ওয়েবসাইটের তুলনায় শেয়ারড হোস্টিং ব্যাবহারকারি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক কম থাকে।
শেয়ার্ড হোস্টিংয়ে সীমিত রিসোর্স থাকে। এর মানে হল যে আপনার ওয়েবসাইট যদি খুব বেশি ভিজিটর আসে, তাহলে এটির স্পিড স্লো হয়ে যেতে পারে বা এমনকি ডাউন হতে পারে। শেয়ার্ড হোস্টিংয়ে সিকুরিটির ঝুঁকি রয়েছে। যদি অন্য কোন ওয়েবসাইট নিরাপত্তাহীন হয়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটও ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
আশা করি শেয়ার্ড হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি, সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনি জানবেন, যে কখন আপনার এই হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত।
শেয়ারর্ড হোস্টিং কোথায় থেকে কিনবো?
এবার আসবো মূল বিষয়ে, আপনি এতোক্ষন ধরে শেয়ারর্ড হোস্টিং সম্পর্কে জানলেন। কিন্তুু প্রশ্ন হলো যে, আপনি এই শেয়ারর্ড হোস্টিং কোথা থেকে কিনবেন। অনেক কম্পানি নানা উৎসবে অফার দিয়ে থাকে। সেসয়ম আপনি আরো কম টাকায় শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শেয়ারর্ড হোস্টিং কম্পানি Dianahost থেকে আপনি খুব সহজেই শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। এখান থেকে আপনি পছন্দের হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন, হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। যা কখনোই কাম্য নয়।
ওয়েব হোস্টিং কি
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ওয়েব হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডেটা (যেমন: ছবি, টেক্সট, ভিডিও) ইন্টারনেটে একটি সার্ভারে জমা রাখা। এই সার্ভারগুলো সবসময় ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে, তাই যে কেউ আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে ব্রাউজ করলেই ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবে।
ধরুন, আপনার কম্পিউটারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে, যেগুলো আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চান। তাহলে আপনি কী করবেন? হয় পেনড্রাইভ দিয়ে কপি করে দেবেন, অথবা Google Drive-এর মতো কোনো ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করবেন, তাই তো?
ওয়েব হোস্টিং অনেকটা তেমনই। আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু একটা অনলাইন স্পেসে রাখা হয়, যেখানে সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করতে পারে।
ওয়েব হোস্টিংকে একটি বিল্ডিংয়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। আপনার ডোমেইন নাম হলো সেই বিল্ডিংয়ের ঠিকানা, আর ওয়েব হোস্টিং হলো সেই বিল্ডিংয়ের ভিত। ভিত যত মজবুত হবে, আপনার বিল্ডিং (ওয়েবসাইট) ততটাই সুরক্ষিত থাকবে।
প্রতিটি ওয়েবসাইটের ভেতরে অনেকগুলো ডাটা যেমন ইমেজ, টেক্সট, ভিডিও ইত্যাদি জমা থাকে। এখন এ সকল তথ্য বা ফাইল জমা থাকার জন্য প্রয়োজন পরে স্টোরেজের। আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা মেমোরি কার্ড বা হার্ড ড্রাইভের প্রধান কাজ হলো ফাইল জমা রাখা।
যেখান থেকে আমরা প্রয়োজন মত ফাইল ব্যবহার করতে পারি বা অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে দিতে পারি। কম্পিউটার বা মোবাইলের স্টোরেজে যেমন ফাইল জমা থাকে। ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটের ফাইল জমা রাখার জন্য স্টোরেজের প্রয়োজন পরে।
আমরা যখন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করি তখন আমাদের পার্সোনাল কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভার কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়। এতে আমরা আমাদের সার্ভারে থাকা ইমেজ, অডিও, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি ফাইল ব্রাউজ করতে পারি।
ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কিত কোম্পানিগুলি সার্ভারগুলি মেরে ধরে রাখে এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলির ডেটা প্রদান করে। এই সেবা ওয়েবসাইটগুলি একটি ওয়েব সার্ভারে স্থানান্তর করে, যা সাধারণত সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি পরিচালনা করে।
ওয়েব হোস্টিংয়ের উদাহরণ
ধরুন, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন যাতে আপনার ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। আপনি এই ওয়েবসাইটটি আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করতে চান।
কিন্তু আপনার কম্পিউটারে এই সমস্ত ফাইল সংরক্ষণ করলে, আপনার বন্ধু এবং পরিবার আপনার ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবে না। কারণ আপনার কম্পিউটার তাদের কম্পিউটার বা মোবাইলের সাথে সংযুক্ত নয়।
এক্ষেত্রে, আপনাকে একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভার বা হোটিং স্টোরেজ নিতে হবে। আর সেই ওয়েব হোস্টিং সার্ভারে আপনার সমস্ত ফাইল এবং ডেটা সংরক্ষণ করতে পারবেন। তারপর, আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা আপনার বন্ধু এবং পরিবারকে দিতে পারবেন।
তারা আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে ব্রাউজার ইনটার করলে, ওয়েব হোস্টিং সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি ব্রাউজারের কাছে পাঠাবে। ফলে আপনার বন্ধু এবং পরিবার আপনার ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবে।
তবে তার জন্য আপনার একটি ভ্যালিড ডোমাইন থাকতে হবে যাকে ওয়েব এড্রেস বলা হয়ে থাকে। ডোমাইন নাম কি বা ডোমাইন মানে কি এই নিয়ে আমাদের ব্লগে অন্য একটি আর্টিকেল আছে। আপনি বিস্তারিত জানতে ঐ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে একটি ওয়েবসাইটে অনলাইন এ রাখার জন্য অবশ্যয় Domain and Hosting লাগবে। যে আমাদের Website এর ডোমাইন নাম learn-bd.com
ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার
আপনি যখনি কোন ওয়েবসাইট বানানোর চিন্তা করবেন তার সাথে প্রথমে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কোন ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করবেন।
কেননা ওয়েব হোস্টিং বিভিন্ন ধরনের হয়, প্রতিটি হোস্টিং এর ধরনের নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তাগুলির উপর নির্ভর করে আপনার জন্য ঠিক কোন ধরনের ওয়েব হোস্টিং দরকার সেটা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
এখানে, আমি ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি। এবং কোন হোস্টিং এর কাজ কেমন তার সাথে প্রতিটি হোস্টিং এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলিও নিয়ে আলোচনা করব।
ওয়েব হোস্টিং প্রধানত তিনটি প্রকারের হয়ে থাকে:
- শেয়ার্ড হোস্টিং
- ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার হোস্টিং
- ডেডিকেটেড সার্ভার হোস্টিং
তবে এছাড়াও আরো কয়েক ধরনের হোস্টিং এর প্রকার রয়েছে যেগুলা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা যায়। আর সেই প্রকারগুলা নিয়ে আপনাকে জানতে হবে।
- ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting)
- রিসেলার হোস্টিং(Reseller Hosting)
- ফ্রি হোস্টিং (Free Hosting)
ওয়েব হোস্টিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
এক কথায় সকল ওয়েবসাইট সহ যাবতীয় ফাইল সব সময় এক্সেস যোগ্য হয় শুধু মাত্র হোস্টিং এর কারণে। হোস্টিং ছাড়া যদি আপনি ওয়েবসাইট চালাতে চান তবে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার সব সময় চালু রাখতে হবে। তবে কম্পিউটারে সব সময় ওয়াইফাই কানেকশন ও দিয়ে রাখতে হবে।
যদি কোনো কারণে আপনার কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায় তবে আপনার ওয়েবসাইট ও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমরা তো সবাই কম্পিউটার সব সময় অন রাখতে পারিনা। এই জন্য এমন কোনো কম্পিউটার সার্ভার ভাড়া করি যা কখনই বন্ধ হয়না। আর সেখানেই আমাদের ওয়েবসাইট রাখি। এতে করে আমাদের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়না।
ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর
ওয়েব হোস্টিং এর গুরুত্ব বোঝার আগে বুঝতে হবে ওয়েব হোস্টিং জিনিসটা মূলত কি?
যখন হোস্টিং প্রোভাইভার কোন একটি ওয়েবসাইটের জন্যে একটি ওয়েব সার্ভারে সাইটির ফাইলগুলি সংরক্ষণ করার জন্যে নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে দেয়, সেটিই মূলত হোস্টিং। এই পর্যন্ত অনলাইনে আপনি যত ওয়েবসাইট দেখেছেন সবগুলোই ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করা আছে।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে কতটুকু জায়গা বা হোস্টিং স্পেস রয়েছে, আবার সেটি কি কম থাকবে না বেশি থাকবে তার সবটুকুই নির্ভর করে আপনি আপনার সাইটের জন্যে কোন টাইপ হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার করছেন। কিছু টাইপের হোস্টিং এর মধ্যে রয়েছে শেয়ার্ড হোস্টিং, ডেডিকেটেড হোস্টিং, ভিপিএস, রিসেলার।
ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে আপনি স্পেস অর্থাৎ হোস্টিং কিনে রাখবেন। আপনার সাইটের সমস্ত ফাইলগুলো যেমনঃ html, css এই ফাইলগুলো পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ছবিগুলো হোস্টিং এর মধ্যে থাকবে এবং অনলাইনে ফাইলগুলো দৃশ্যমান হবে।
এখন কিছু কারণ উল্লেখ করবো যে কেন ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণঃ
👉⭐ যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্যেই হোস্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটি কোম্পানি যদি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে তাহলে তাকে অবশ্যই ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে। আপনি একটি সাইট তৈরি করলেন, এখন মানুষের সম্মুখে সেটিকে আনতে হলে অবশ্যই সাইটিকে আগে আপনার অনলাইনে ডিস্পেলে করে রাখতে হবে।
🧨 টিপসঃ যদি ওয়েবসাইট বিজনেসের জন্য হয়, সর্বদাই ভালো মানের হোস্টিং নেবার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি কম দামের হোস্টিং ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনার সাইট প্রায়সময় ডাউন থাকবে এবং কাস্টমার আপনার কাছে পৌঁছাতে পারবে না, সাইট থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্য কোন সাইট থেকে শপ করে নিবে।
👉⭐ আপনি আপনার সাইটের জন্যে হোস্টিং নিয়েছেন মানে আপনি হোস্টিং এর পাশাপাশি আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ও পেয়ে যাচ্ছেন। তেমন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ওয়েবমেইল। যেই মেইলটি আপনি আপনার ব্যবসায়িক নামের সাথে মিল রেখে করতে পারবেন। এটি কোন সাধারণ জিমেল না। ব্যবসায়িক ডোমেইন নামের সাথে মিল রেখেই আপনি ওয়েবমেইলটি তৈরি করতে পারবেন যেটা আপনাকে সি প্যানেল থেকে তৈরি করতে হবে।
✅ সাধারণ ইমেইলঃ
learn-bd@gmail.com, learn-bd22@gmail.com
✅ ওয়েবমেইল বা বিজনেস ইমেইলঃ
contact@learn-bd.com, support@learn-bd.com
এই মেইল নামগুলো আপনার বিজনেসকে মানুষের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং এই টাইপের মেইলগুলো আপনার ব্যবসাকে রিপ্রেজেন্ট করতে সহায়তা করবে।
👉⭐ হোস্টিং আপনাকে অসংখ্য ট্রাফিকের সাথে প্রতিনিয়ত ডিল করা সুযোগ করে দেয়। কেননা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বর্তমানে অসংখ্য কোম্পানি গুলোর ৪০-৫০ শতাংশ ট্রাফিক অনলাইন থেকেই আসে। ( যেমনঃ গুগল অর্গানিক, গুগল এ্যাডস, সোশ্যাল মিডিয়া, এছাড়া কি়ছু আছে)
তো, আপনি যদি ভালো হোস্টিং ব্যবহার না করেন, আপনি আপনার সাইট থেকে ভিজিটর হারাতে থাকবেন। আপনার লস হবে। এখন আপনি বুঝে নিন শুধু হোস্টিং নয়, ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
👉⭐ আপনি যদি কোন হোস্টিং কোম্পানির হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার না করে নিজেই ওয়েব সার্ভার তৈরি করে ওয়েবসাইট হোস্ট রাখতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রথমে সার্ভার তৈরি করতে হবে, রেগুলার সার্ভার মেইনটেইন করার জন্যে ও একজন সার্ভার এ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ দিতে হবে। যেটি মোটে ও সহজলভ্য নয় বরং ব্যয়বহুল।
👉⭐ এছাড়া ও আপনি ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ নিলে পাশাপাশি আরো কিছু ফিচার পাবেন যেমনঃ সাবডোমন তৈরি, আপনার সাইটের রেগুলার ব্যাকআপ, সাইটে কোন ম্যালিসিয়াস ফাইল আছে কিনা অর্থাৎ সাইট স্ক্যান ইত্যাদি ইত্যদি আরকি। এ সুবিধাগুলো আপনি শুধু তখনই পাবেন যখন আপনি কোন কোম্পানির হোস্টিং ব্যবহার করবেন।
👉⭐ ওয়েব হোস্টিং ছাড়া আপনি ওয়েবসাইট অনলাইনে আনতে পারবেন না কিন্তু হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটের জন্যে আরো প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
👉⭐ সেরা ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারী সার্ভার এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যা বিশেষ পারফরমেন্স ও গতিশীলতা সরবরাহ করে। এটি নিশ্চিত করে যে আপনার ওয়েবসাইট দ্রুততম বেলায় লোড হবে এবং ব্যবহারকারীদের সুস্থতা উপায় সরবরাহ করবে।
👉⭐ সেরা ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারীগুলি এই সুবিধাগুলির সমন্বয়ে উন্নত ওয়েবসাইট অভিজ্ঞতা ও উচ্চ পারফরমেন্স সরবরাহ করে যা আপনার ওয়েবসাইটের বিকাশ এবং কর্মক্ষেত্রের উন্নতি করবে। প্রভাইডার বেছে নিতে আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনগুলি ও পরিবর্তকতা উপর গভীরভাবে বিচার করতে হবে।
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে, তবে অবশ্যই আপনার হোস্টিং প্রয়োজন পড়বে। কেননা, হোস্টিং ছাড়া এই ফাইলগুলোকে আপনি রাখবেনই বা কোথায় আর বিশ্বব্যাপী তা প্রচার হবেই বা কি করে? অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইটকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে হলে এমন কোন জায়গায় রাখতে হবে যেখান থেকে রিসোর্স ব্যবহার করে সবাই অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে খুঁজে পায়।
সুতরাং হোাস্টিং আবশ্যিক একটি বিষয়। আপনি বলতে পারেন, ভাই আমি তো গুগল ব্লগারে সাইট চালাই। আমার তো হোস্টিং প্রয়োজন নাই। জি, আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে না ঠিকই কিন্তু গুগল আপনার ফাইলগুলো কোথায় রাখে বলুন তো। এই ফাইলগুলো কিন্তু গুগল এর সার্ভার থেকে লোড হয়। এবার বুঝতে পারছেন নিশ্চয়।
ওয়েব হোস্টিং কিভাবে কাজ করে?
সার্ভার: ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিগুলো শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করে, যেগুলোকে সার্ভার বলা হয়। এই সার্ভারগুলো ডেটা সেন্টারগুলোতে রাখা হয়, যেখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকে।
ডোমেইন নাম: আপনার ডোমেইন নাম (যেমন: example.com) হলো আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা। যখন কেউ এই ঠিকানা লিখে ব্রাউজ করে, তখন ডোমেইন নেম সার্ভার (DNS) সেই রিকোয়েস্টটি আপনার হোস্টিং সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়।
ব্রাউজার: যখন আপনার হোস্টিং সার্ভার রিকোয়েস্ট পায়, তখন সেটি আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো ব্রাউজারে পাঠিয়ে দেয়। ব্রাউজার সেই ফাইলগুলোকে পড়ে এবং আপনার ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করে।
বিষয়টা আরেকটু সহজ করে বলা যাক। মনে করুন, আপনি একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন। আপনি মেনু দেখে খাবার অর্ডার করলেন। ওয়েটার সেই অর্ডারটি কিচেনে নিয়ে যায়। কিচেন হলো সার্ভার, যেখানে আপনার খাবারের উপকরণ (ওয়েবসাইটের ফাইল) রাখা আছে। কিচেন আপনার অর্ডার অনুযায়ী খাবার তৈরি করে ওয়েটারের (ব্রাউজার) মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে দেয়।
ওয়েব হোস্টিং কোথায় থেকে কিনবেন
যদি আপনার মাস্টার কার্ড না থাকে, তাহলে আপনি বাংলাদেশি হোস্টিং প্রদানকারীদের কাছ থেকে হোস্টিং কিনতে পারেন। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী বিকাশ, নগত, উপায় এবং ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
এতে করে আপনি সহজেই যেকোন সময় পেমেন্ট প্রদান করে আপনার প্রয়োজনীয় হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হোস্টিং প্রদানকারী হল Dianahost
আপনার যদি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট কার্ড থাকে, তাহলে আপনি আন্তর্জাতিক হোস্টিং প্রদানকারীদের কাছ থেকে হোস্টিং কিনতে পারেন। তারা বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের জন্য হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
আপনার কোন হোস্টিং কেনা উচিত
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনাকে একটি হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানি নির্বাচন করতে হবে। হোস্টিং হল অনলাইন স্টোরেজ যা আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলিকে ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করে এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।
অনলাইন বাজারে বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানি রয়েছে, প্রতিটিটির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আপনার জন্য কোন হোস্টিং সঠিক তা নির্ধারণ করতে, আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তাগুলি বিবেচনা করা হল হোস্টিং নির্বাচন করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি। আপনার ওয়েবসাইটটি কী ধরণের কাজের জন্য হোস্ট করবেন? এটি কতটা ট্র্যাফিক পাবেন? এটি কোন ধরণের জন্য বেশি প্রয়োজন? এই সকল দিক বিবেচনা করতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইট যদি একটি ছোট ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট হয়, তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়েই হবে। শেয়ার্ড হোস্টিং সাধারণত কম ব্যয়বহুল হয়। যদিও সীমিত বা লিমিটেড সার্ভিস দিয়ে থাকে।
ডিকেটেড হোস্টিং আপনাকে একটি সম্পূর্ণ সার্ভারের অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করার জন্য আরও রিসোর্স প্রদান করে।
VPS হোস্টিং আপনাকে একটি ব্যক্তিগত ভার্চুয়াল সার্ভারের অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা আপনাকে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের তুলনায় কম ব্যয়ে আরও রিসোর্স প্রদান করে। হোস্টিং খরচ পরিবর্তিত হয় আপনার । শেয়ার্ড হোস্টিং সাধারণত সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে থাকে, আর ডেডিকেটেড হোস্টিং সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আপনার বাজেট বিবেচনা করে একটি হোস্টিং নির্বাচন করুন যা আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করে।
লেখকের শেষ মতামত
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে একটি বড় এবং সফল ব্যবসায় ব্লগিং এর কাজে রূপান্তর করতে চান, তাহলে একটি প্রিমিয়াম হোস্টিং সার্ভিস কিনতে হবে।
প্রিমিয়াম হোস্টিং-এর রিসোর্স এবং বৈশিষ্ট্যগুলি আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে। তার সাথে নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট পাবেন যা আপনি ফ্রি হোস্টিং এর মাঝে পাবেন না।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং ওয়েব হোস্টিং গুরুত্ব জানতে পেরেছেন।