পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময়

কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে অনেকেই। অন্য একটি দেশে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রস্তুতি নিতে হয় এবং অনেক কিছুই সংগ্রহ করতে হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময়

সাধারণত একজন ব্যক্তি অন্য দেশের প্রবেশ করার জন্য নির্দিষ্ট দেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। ভিসা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন ধরনের জটিলতা থাকা যাবে না। দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা PCC হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রদানকৃত একটি অফিসিয়াল নথি যা প্রমাণ করে যে একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এটি পুলিশের দ্বারা জারি করা হয় এবং সাধারণত ভিসা প্রসেসিং, ইমিগ্রেশন, বিদেশে চাকরি, বা বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন হয়। 

এই সার্টিফিকেটটি নিশ্চিত করে যে আবেদনকারী আইনগতভাবে পরিচ্ছন্ন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক মামলা বা অভিযোগ নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যে কোন দেশে যাওয়ার সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় তাই এই সার্টিফিকেটের গুরুত্ব অনেক। 

এজন্য আমরা যারা বাহিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি তাদের অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয় এবং আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদন

অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াঃ

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনার পাসপোর্টে প্রদত্ত স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানার যেকোন একটি ঠিকানায় আবেদন করবেন। এটি হতে হবে মেট্রোপলিটন বা জেলা পুলিশের আওতাধীন এরিয়া। 

যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরুপ ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রদত্ত জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে স্ক্যান করতে হবে। 

দেশের বাইরে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তার পক্ষে দেশে থাকা যে কেউ খুব আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে মূলত আপনি যে দেশে রয়েছেন সেই দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত ফটোকপির স্ক্যানকপি দরকার পড়বে। যদি কুরিয়ারযোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চান তবে তা Application form উল্লেখ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদনঃ

১। অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে আপনাকে প্রথমে Registration করতে হবে। Registration করার জন্য ভিজিট করুন এখানে

২। Registration সম্পন্ন করে আপনাকে লগ-ইন করে Apply মেনুতে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনার সামনে একটি Application form আসবে। সেই Form এ আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। 

৩। Application form এর Upload অপশনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের স্ক্যানকপি Upload করুন।

৪। এই পর্যায়ে আপনার প্রদত্ত সকল Information দেখানো হবে। কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়লে তা Back বাটনে ক্লিক করে পরিবর্তন করা যাবে। তবে Application টি চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার পর তা আর কোন পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না।

৫। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন ফি পরিশোধ করার জন্য Pay Offline বাটনে ক্লিক করুন। চালানের মাধ্যমে ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে Instruction ফলো করুন। 

বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১) কোডে করা ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ট্রেজারী চালান অথবা অনলাইনে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত সার্ভিস চার্জসহ ফি প্রদান করুন।

৬। চালানের মূল কপিটি আপলোড করার পূর্বে অবশ্যই এর উপর এপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বরটি লিখে দিন। তা নাহলে আপনার পেমেন্টটি গ্রহণযোগ্য হবেনা এবং আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনের আপডেট পেতে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন PCC S এরপর আপনার আবেদনের রেফারেন্স নম্বর লিখে পাঠিয়ে দিন 6969 নম্বরে। ফিরতি এসএমএস এ পেয়ে যাবেন আপনার আবেদনের সর্বশেষ আপডেট।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন এর বিভিন্ন স্ট্যাটাস

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যাচাই করার সময় আপনি বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। প্রতিটি স্ট্যাটাসের মানে কী এবং কোন অবস্থায় আপনি কী বুঝবেন, তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

  • Pending for Payment: যদি এই স্ট্যাটাস দেখেন, বুঝতে হবে আপনার আবেদন ফি এখনও পরিশোধ হয়নি। ফি পরিশোধ করলে এই স্ট্যাটাস পরিবর্তিত হবে।
  • Application Submitted: এই স্ট্যাটাসের মানে আপনার আবেদন সঠিকভাবে জমা হয়েছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে।
  • Payment Received: এই স্ট্যাটাস দেখলে বুঝবেন যে ফি পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে।
  • Under Verification: এর অর্থ আপনার আবেদন বর্তমানে সংশ্লিষ্ট থানা তদন্ত করছে।
  • Certificate Printed: এটি বোঝায় যে থানার তদন্ত শেষে সবকিছু ঠিক থাকলে সার্টিফিকেট প্রিন্ট করা হয়েছে।
  • By OC: এর মানে, সার্টিফিকেট প্রিন্টের পর এটি থানার অফিসার ইন চার্জ (OC) এর স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
  • Signed By DC/SP: এই স্ট্যাটাস দেখলে বুঝবেন, OC স্বাক্ষর করার পর সার্টিফিকেট এখন সংশ্লিষ্ট জেলার বা মহানগরের ডিসি/এসপি’র স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
  • Ready For MoFA Verification: এর অর্থ হলো, সার্টিফিকেট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে, যাকে MoFA Verification বলা হয়।
  • Ready for Delivery: MoFA Verification এর পর রিপোর্ট সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।
  • Delivered: সব প্রক্রিয়া শেষে যখন সার্টিফিকেট আপনার হাতে পৌঁছাবে, তখন এই স্ট্যাটাসটি দেখাবে।
  • Application Rejected: এই স্ট্যাটাসের মানে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়েছে, হয়তো কিছু তথ্য ভুল ছিল বা সঠিকভাবে আবেদন করা হয়নি।
  • এই তথ্যগুলো আপনাকে প্রতিটি স্ট্যাটাস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃ-  পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে - পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার সাথে সাথে পেয়ে যাবেন না। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কেননা আপনার আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পুনঃনিরীক্ষা করার জন্য সরকারি কিছু ম্যানুয়াল রয়েছে। যেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স টি হাতে পাবেন। সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেটটি হাতে পেতে পারেন। 

তবে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বা কাজের পরিপ্রেক্ষিতে সময়টা আরো বেশিও লাগতে পারে। তাছাড়াও আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া নির্ভর করে অনেকটাই আপনার উপজেলাধীন থানা পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর। যদি পুলিশ অফিসারের অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে সার্টিফিকেট পেতে একটু বেশি বেশি দেরি হবে। তবে খুব বেশি কাজ না থাকলে ৩ – ৪ দিনের ভিতরে আপনি আপনার হাতে পেতে পারেন।

আবেদনের ভুলভ্রান্তি হতেই পারে এটা স্বাভাবিক। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মানে উক্ত ব্যক্তির নিজস্ব এলাকার সে বাসিন্দা কিনা, তার নামে কোন মামলা আছে কিনা তিনি আরো কোন রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন কিনা এ সকল বিষয়ে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট প্রদান করা। আবেদনের ভুল ধরা তার কাজ নয়।

লেখকের পরামর্শ থাকবে অবশ্যই আপনি জানাশোনা কারো কাছে আবেদন করবেন। প্রয়োজনের অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেবেন। সঠিক নিয়মে আবেদন করে সঠিকভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করুন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক বাংলাদেশ

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন হতে পারে, যেমন বিদেশে ভ্রমণ, কাজ বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে। এটি পেতে হলে পুলিশ আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই করে থাকে। আপনি চাইলে পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বর্তমান অবস্থা চেক করতে পারেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় আপনার অতীতের সব তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। আগে আপনার নামে কোনো মামলা ছিল কিনা, থাকলে তা সমাধান হয়েছে কিনা বা এখন কোনো ফৌজদারি মামলা রয়েছে কিনা—এসব বিষয় ভালোভাবে যাচাই করা হয়। এছাড়াও, আপনার দেওয়া সব তথ্য সঠিক কিনা সেটিও নিশ্চিত করা হয়।

যদি আপনি আগেই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করে থাকেন, তবে একই অ্যাকাউন্টে লগইন করে সরাসরি My Account এর নিচে থাকা “Police Clearance Status” এ গিয়ে আপনার আবেদনটির সর্বশেষ আপডেট দেখতে পাবেন।

নোটঃ ডক্টর ইউনুস বলেছেন, আগামীতে আর পাসপোর্ট বানানোর সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন হবে না

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক করতে যেসব তথ্য দরকার হবে:

  • রেফারেন্স নাম্বার
  • পাসপোর্ট নাম্বার
  • রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার

যখন আপনি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন, আবেদন সম্পন্ন হলে একটি রেফারেন্স স্লিপ প্রদর্শিত হয়। যদি আপনি নিজে আবেদন না করে অন্য কাউকে দিয়ে আবেদন করিয়ে থাকেন, তাহলে তার কাছ থেকে রেফারেন্স স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে। 

সেই স্লিপে আপনার রেফারেন্স নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার এবং রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার উল্লেখ থাকবে, যা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার উপায়

যারা বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো সার্টিফিকেট হাতে পাননি, তারা সহজেই অনলাইনে আবেদনটির বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য এখন আর অফিসে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আবেদন থেকে শুরু করে স্ট্যাটাস জানার পুরো প্রক্রিয়াই এখন অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। মাত্র কয়েক মিনিটেই অনলাইনে আপনি জানতে পারবেন আপনার আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস জানতে মূলত দুইটি উপায় আছে:

  • অনলাইনের মাধ্যমে
  • মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে

এখন কিভাবে আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা চেক করবেন তার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া দেখানো হলো। তার আগে চলুন জেনে নেই, স্ট্যাটাস চেক করতে কী কী তথ্য প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ-  দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি মোবাইল নাম্বার

১। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক

পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে পুলিশ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস চেক করার আরও বিশদ পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো। আসুন, ধাপে ধাপে জেনে নিই কিভাবে সহজে এটি করা যায়।

ধাপ ১: বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমে এই ওয়েবসাইট pcc.police.gov.bd-এ প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে হবে কিংবা পূর্বে অ্যাকাউন্ট থেকে থাকলে লগইন করতে হবে। 

ধাপ ২: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক করুন

লগইন করে Menu অপশন থেকে আপনাকে “My Account” অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে “Account Information” এ ক্লিক করতে হবে। তাহলেই আপনি ফরম দেখতে পাবেন। ফরমে থাকা ১ম ঘরে আপনার রেফারেন্স নাম্বার এবং ২য় ঘরে পাসপোর্ট নাম্বার লিখে “Search” বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

“Search” অপশনে ক্লিক করলে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তবে আবেদন করার সময় যেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন, সেই অ্যাকাউন্টে লগইন করার পরে “My Account” অপশনের নিচে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার আবেদনটির বর্তমান অবস্থার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।

২। এসএমএস এর মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক করার আরও একটি সহজ পদ্ধতি হলো এসএমএস এর মাধ্যমে স্ট্যাটাস জানা। মোবাইলের মাধ্যমে সরাসরি এসএমএস পাঠিয়ে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। এজন্য আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন: PCC <স্পেস> S <স্পেস> রেফারেন্স নাম্বার, তারপর এটি পাঠিয়ে দিন ২৬৯৬৯ নম্বরে।

সহজ ভাবে বুঝুন

  • প্রথমে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনটি খুলুন।
  • এরপর লিখুন: PCC S রেফারেন্স নাম্বার (উদাহরণস্বরূপ: PCC S 123456789)।
  • এখন এই এসএমএসটি ২৬৯৬৯ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন
  • কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি ফিরতি মেসেজে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
  • এভাবে সহজেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের স্ট্যাটাস মোবাইলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন, অফিসে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়াই।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে

আপনারা যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে চান এবং আপনাদের জানা নেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে তাহলে চলুন এবার জেনে আসি আপনার কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে।

  • কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি
  • আবেদনকারীর বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা মেট্রোপলিটন বা জেলা পুলিশের অধীনে হওয়া দরকার।
  • এমআরপি পাসপোর্ট যদি ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রদত্ত জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি।
  • প্রবাসী নাগরিকদের ক্ষেত্রে নিজ দেশের জাষ্টিস অব পিস (Justice of Peace) কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্ট তথ্য পাতার স্ক্যানড কপি
  • সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে ৫০০ টাকার অনলাইন বা অফলাইন চালান দিতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়

বর্তমানে ঘরে বসেই এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যায় যদিও কিছুদিন আগে এই সার্টিফিকেট করার জন্য স্থানীয় থানাতে যেতে হতো। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট Bangladesh Police Clearance Service এ নিজের ব্যক্তিগত তথ্য এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন করার পর অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সার্টিফিকেট অনুমোদন পাবে আপনি সেটা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন তার কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার সার্টিফিকেটটি থানা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য কত টাকা লাগে

যারা নিজেদের কাজের উদ্দেশ্যে দেশ থেকে দেশের বাইরে যেতে জানে এবং দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য তো আপনাদের অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে যার জন্য আপনাদেরকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আপনাদের আবেদন করার পাশাপাশি ব্যাংক ড্রপ করতে হবে।

যার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে এটাও আপনার জেনে রাখতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক যে কোন শাখা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চালান (কোড ১-৭৩০১-০০০১-২৬৮০) ৫০০/- পাঁচশত টাকা অনলাইনে বা অফলাইনে চালান ক্রেডিট ডেবিট কার্ড ও বিকাশের মাধ্যমেও অনলাইনে চালান পরিশোধ করতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারিং সার্টিফিকেট হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কর্তৃক প্রদত্ত একটি প্রত্যয়ন পত্র বাংলাদেশ একজন সুনাগরিকের প্রমাণপত্র হচ্ছে এই সার্টিফিকেট। তাছাড়া আমি আপনি যে কোন প্রকারের অপরাধের সাথে জড়িত নেই অথবা আমি আপনি কোন দেশের ক্ষতিকরক নয়। 

আরো পড়ুনঃ-  সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - বিদেশ যাওয়ার নিয়ম

এই মর্মে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় তাই মূলত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। উপরোক্ত সকল কাগজ ১ম শ্রেণীয় সরকারী গেজেটের কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে স্ক্যান করতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয়

আপনি যদি দেশ থেকে বাইরে দেশের কোন কাজে অথবা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করণীয় কি আপনার যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর রিজেক্ট হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কেন আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলো তারপরে সেটার সমাধান করতে হবে।

আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন রিজেক্ট হয়ে গেলে সেটা পুনরায় এডিট করে সমাধানের কোন সুযোগ নাই। আপনাকে আবারও নতুন করে আবেদন করে আগের করা ভুলগুলো ঠিক করে নিতে হবে।

তাহলেই আপনারা খুব সহজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল হওয়ার পরেও আবার আবেদন করার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন এবং খুব সহজে দেশের বাইরে ভ্রমণ, লেখাপড়া বা বিজনেসের জন্য যেতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্পলাইন নম্বর

আপনারা অনেকেই আছেন যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। এবং আপনাদের আবেদন করার পর যদি কোন সমস্যা কিংবা ঝামেলা মনে হয় তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্পলাইন নম্বরে কল করে আপনার সমস্যা গুলো সমাধান করে নিতে পারবেন। 

এবং আপনারা যদি আবেদন করার আগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্প নম্বরে যোগাযোগ করে তাদের কথা মত সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে আশা করি আপনারা অনেক কম সময়ের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পারেন। 

এবং আপনারা যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করেন কিংবা আবেদন করার পর কোন সমস্যা হলে তা সমাধান করার জন্য আপনারা ০১৭৫৫৬৬০১৭২ এই নাম্বারে কল দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

লেখকের শেষ মতামত

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা আপনার সৎ চরিত্র এবং অপরাধমুক্ত জীবনের প্রমাণ দেয়। এটি শুধুমাত্র সঠিক তথ্য ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পাওয়া সম্ভব। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আজকাল অনলাইনে সহজেই এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যায়।

যা প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত এবং সুবিধাজনক করে তোলে। সুতরাং, আপনি যদি একজন সৎ নাগরিক হন এবং আপনার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকে, তাহলে পুলিশের এই প্রত্যয়ন পত্র আপনার জন্য সহজেই প্রাপ্তিযোগ্য। আপনার সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে এটি আপনার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে অনেক প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়ক হবে।

এই ছিল আজকের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় সহ অন্যান্য তথ্য জানতে পেরেছেন।

এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত জানাতে জানতে পারবে।

সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় কখন?

সাধারণত ৭ থেকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন?

বাংলাদেশে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মেয়াদ ১৮০ দিন।

আমি কীভাবে আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের স্ট্যাটাস জানতে পারি?

আপনি বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট pcc.police.gov.bd-এ লগইন করে অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার স্ট্যাটাস জানতে পারেন। ওয়েবসাইটে লগইন করে রেফারেন্স এবং পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে খোঁজ করলে স্ট্যাটাস দেখাবে। আর এসএমএস করতে হলে, PCC S রেফারেন্স নাম্বার লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে পাঠান।

যদি আমার আবেদন বাতিল হয়, তাহলে কী করতে হবে?

যদি আবেদন বাতিল হয়ে যায়, তাহলে আপনি আবেদন ফর্মটি পুনরায় পর্যালোচনা করুন। কোন তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নতুনভাবে আবেদন জমা দিতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য কী কী তথ্য দরকার?

আপনাকে আবেদন করার সময় পাসপোর্ট নাম্বার, রেফারেন্স নাম্বার এবং রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য এই একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যাবে কি?

না, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে কি আমি সরাসরি থানায় যেতে হবে?

না, আপনি এখন অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটাল হয়েছে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কি সব ধরনের ভিসার জন্য প্রয়োজন?

অধিকাংশ দেশের ভিসার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, তবে প্রতিটি দেশের নিয়ম অনুযায়ী তা পরিবর্তিত হতে পারে। তাই ভিসার প্রয়োজনীয়তা দেখে নেয়া ভালো।

মামলা থাকলে কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়?

যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ থাকে অথবা পুলিশের কাছে তার নামের সাথে কোনো মামলা রুজু করা থাকে, তাহলে সে এই ছাড়পত্র পেতে সক্ষম হবে না। শুধুমাত্র একজন সৎ এবং দায়িত্বশীল নাগরিক পুলিশ থেকে এই প্রত্যয়ন পত্র পায়। যদি আপনি একজন ভালো নাগরিক হন এবং আপনার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা না থাকে, তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আপনার সৎ চরিত্রের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

Leave a Comment