নবজাতকের নাভি যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায় এজন্য অনেক সময় কিছু ঔষধ ও অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে মনে রাখবেন সেগুলো অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
নবজাতকের নাভি যত তাড়াতাড়ি শুকাবে, সংক্রমণের ঝুঁকি তত কমবে। অনেক নতুন বাবা-মা নাভির যত্ন সম্পর্কে সচেতন না থাকলে শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে নাভি শুকানোর প্রক্রিয়াকে সহজ ও নিরাপদ করা সম্ভব।
আজকের ব্লগে আমরা নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার নাম, নবজাতকের নাভি শুকানোর কার্যকর উপায় ও সতর্কতাগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার নাম
নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার এর নাম। বাংলাদেশে শিশুর নাভি শুকানোর জন্য যেসব পাউডার পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে:
- বেবি ড্রাই
- বেবি পাউডার
- ন্যাচারাল বেবি পাউডার
- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বেবি পাউডার
উল্লিখিত পাউডারগুলো মূলত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানযুক্ত হয়ে থাকে। আবার, এগুলো তুলনামূলক অনেক নরম হয় যাতে নাভির ত্ব জ্বালা না করে। তাই আপনি চাইলে আপনার নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের মত নিয়ে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
নবজাতকের নাভি দ্রুত শুকানোর জন্য অনেক বাবা-মা নাভি শুকানোর পাউডার ব্যবহার করার কথা ভাবেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, নবজাতকের নাভিতে সাধারণত কোনো অতিরিক্ত পাউডার বা ওষুধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই।
নবজাতকের নাভি মূলত ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই শুকিয়ে যায়। আর সবচেয়ে নিরাপদ ও ভালো উপায় হলো শুষ্কতা বজায় রাখা ও পরিষ্কার রাখা।
অনেকে বাজারে পাওয়া অ্যান্টিসেপটিক বা মেডিকেল পাউডার নাভির ওপরে ছিটানোর পরামর্শ দেন, তবে এগুলো সবসময় উপকারী নয়। কিছু পাউডার নাভির প্রাকৃতিক শুকানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং কখনো কখনো অতিরিক্ত আর্দ্রতা তৈরি করে, যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাভি শুকানোর জন্য পাউডার ব্যবহারের আগে করণীয়
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত আগে ভাগে কোনো ধরণের পাউডার ব্যবহার করা উচিত নয় অনেক অভিভাবক রয়েছেন যা শিশু জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য পাউডার ব্যবহার করতে চান, কিন্তু এটি চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
- প্রাকৃতিকভাবে নাভি শুকানোর সুযোগ দিন
- বচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল নবজাতকের নাভি পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা।
- অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে
- পাউডার জমে গেলে নাভির চারপাশে আর্দ্র পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যা সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
নবজাতকের নাভি শুকানোর ঔষধ
নবজাতকের জন্মের পর নাভির গোড়া খুব সংবেদনশীল থাকে। এটি সঠিকভাবে শুকানো না হলে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, নাভির সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবজাতকের নাভি সাধারণত জন্মের ৫-১৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে পড়ে যায়। এই সময়ে নাভিকে সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখা উচিত।
নবজাতকের নাভি যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায় এজন্য অনবেক সময় কিছু ঔষধ ও অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে মনে রাখবেন সেগুলো অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু ঔষধ হলো অ্যান্টিসেপটিক পাউডার বেটাডিন সলিউশন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাভির চারপাশে হালকা করে প্রয়োগ করা হয়।
আবার জীবাণুনাশক হিসেবে বেটাডিন সলিউশন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে তবুও এটি বেশিমাআত্রায় ব্যবহার করা উচিত নয়। চিকিৎসক পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।
কিছু ঘরোয়া উপায়েও নবজাতকের নাভি দ্রুত শুকানো সম্ভব। যেমন, প্রতিবার গোসলের পর নরম কাপড় দিয়ে নাভি শুকিয়ে নিতে হবে এবং নবজাতকের পোশাক এমন হওয়া উচিত যেন নাভি পর্যাপ্ত বাতাস পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের দুধের কয়েক ফোঁটা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং দ্রুত শুকানোর সহায়তা করে।
আপনার নবজাতকের যদি খেয়াল করেন যে নাভির চারপাশে লালচে ভাব, পুঁজ বের হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই ধরণের সংক্রমণ দেখা দিলে পরে আরও গুরুতর হতে পারে।
নবজাতকের নাভি সঠিকভাবে শুকানো এবং পরিচর্যার মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। কোনো ধরনের ঔষধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণই নবজাতকের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চার নাভি পরার পর করণীয়
নাভি পরিষ্কার রাখুন: প্রতিদিন শিশুকে গোসল করানোর সময় বাচ্চার নাভি পরিষ্কার করুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে নাভির চারপাশের ত্বক মুছে নিন। নাভির চারপাশের ত্বক পরিষ্কার করার জন্য একটি তুলোর বল দিয়ে ক্লোরহেক্সিডিন দ্রবণ লাগান।
নাভি শুষ্ক রাখুন: নাভির চারপাশের ত্বক শুষ্ক রাখতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন একবার পাউডার বা তেল লাগান। পাউডার বা তেল লাগানোর পর, শিশুকে একটি ডায়াপার পরান।
ডায়াপার পরিবর্তন করা: ডায়াপার ভেজা বা নোংরা হলে দ্রুত পরিবর্তন করুন। ডায়াপার ভেজা বা নোংরা থাকলে নাভির চারপাশের ত্বক আর্দ্র হয়ে যেতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাভিতে চাপ লাগানো এড়িয়ে চলুন: নাভিতে চাপ লাগানোর ফলে নাভির চারপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। শিশুকে গোসল করানোর সময় বা ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় নাভিতে চাপ লাগানোর থেকে বিরত থাকুন।
নাভি বিশেষ করে ১ সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই শুকিয়ে ঝরে পড়ে। নাভি ঝরে যাওয়া পরে আবার নাভি পরিষ্কার করার জন্য কোন ধরণের পাউডার বা তেল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
নবজাতকের নাভি শুকানোর উপায়
সাধারণত, নবজাতকের নাভির অবশিষ্ট অংশ ৭-১৫ দিনের মধ্যে শুকিয়ে পড়ে, তবে এই সময়ের মধ্যে নাভিকে পরিষ্কার ও শুকনো রাখা জরুরি।
নবজাতকের নাভি যত তাড়াতাড়ি শুকাবে, সংক্রমণের ঝুঁকি তত কমবে। অনেক নতুন বাবা-মা নাভির যত্ন সম্পর্কে সচেতন না থাকলে শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে নাভি শুকানোর প্রক্রিয়াকে সহজ ও নিরাপদ করা সম্ভব।
নবজাতকের নাভি শুকানোর জন্য প্রথমেই শুষ্কতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। গোসলের সময় নাভি ভিজতে দেওয়া উচিত নয়, বরং স্পঞ্জ বাথ বা গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় দিয়ে শিশুর শরীর পরিষ্কার করাই উত্তম।
নাভির চারপাশ যদি ভিজে যায়, তবে তা নরম ও পরিষ্কার কাপড়ে আলতোভাবে মুছে শুকিয়ে নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত আর্দ্রতা নাভির শুকানোর প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
আবার অনেকেই অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করলে নাভি দ্রুত শুকাবে এইটা ভেবে বসেন, কিন্তু আসল ব্যপার হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতে, নাভির স্বাভাবিক শুকানোর প্রক্রিয়াকে এসব রাসায়নিক পদার্থ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এজন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের অনুমতি ব্যতিত কোনো ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। নাভির যত্নের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিকভাবে শুকানোর সুযোগ দেওয়া এটিই মূলত সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি ।
ডায়াপার পরানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন এটি নাভির ওপর চাপ সৃষ্টি না করে এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ পায়। অনেক ডায়াপার ব্র্যান্ড এখন নাভি-বান্ধব ডিজাইন তৈরি করেছে, যা শিশুর নাভিকে ঢেকে শুষ্ক রাখতে সহায়তা করে থাকে।
বাচ্চার নাভি শুকানোর সহজ উপায়
১. নাভি পরিষ্কার রাখা: প্রতিদিন শিশুকে গোসল করানোর সময় বাচ্চার নাভি পরিষ্কার করুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে নাভির চারপাশের ত্বক মুছে নিন।
২. নাভি শুষ্ক রাখা: নাভির চারপাশের ত্বক শুষ্ক রাখতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন একবার পাউডার বা তেল লাগান। পাউডার বা তেল লাগানোর পর, শিশুকে একটি ডায়াপার পরান।
৩. ডায়াপার পরিবর্তন করা: ডায়াপার ভেজা বা নোংরা হলে দ্রুত পরিবর্তন করুন। ডায়াপার ভেজা বা নোংরা থাকলে নাভির চারপাশের ত্বক আর্দ্র হয়ে যেতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. নাভিতে চাপ লাগানো এড়িয়ে চলুন: নাভিতে চাপ লাগানোর ফলে নাভির চারপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। শিশুকে গোসল করানোর সময় বা ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় নাভিতে চাপ লাগানোর থেকে বিরত থাকুন।
নবজাতকের নাভি শুকিয়ে ঝরে পড়ার জন্য সাধারণত 7 থেকে 10 দিন সময় লাগে। নাভি ঝরে পড়ার পর আর নাভি পরিষ্কার করার বা পাউডার বা তেল লাগানোর প্রয়োজন নেই। এরপর নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
নবজাতকের নাভি না শুকালে করণীয়
নবজাতকের নাভি সাধারণত জন্মের ৭-১৫ দিনের মধ্যে শুকিয়ে পড়ে। তবে যদি নাভি দীর্ঘদিন ধরে ভিজে থাকে, পানি বা হলুদ রঙের তরল বের হয়, দুর্গন্ধ থাকে বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় নেয়, তাহলে এটি সমস্যা হতে পারে। নাভি না শুকানোর কারণ হতে পারে সংক্রমণ, অতিরিক্ত আর্দ্রতা, বা জন্মগত কিছু সমস্যা। নিচে করণীয় বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
সমস্যার ধরন লক্ষণ করণীয়
- স্বাভাবিকভাবে নাভি শুকাতে দেরি হচ্ছে । ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে নাভি ভিজে থাকছে কিন্তু কোনো দুর্গন্ধ বা লালচে ভাব নেই। নাভি শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখুন, ভিজে গেলে তুলার সাহায্যে আলতোভাবে মুছুন। অতিরিক্ত নাড়াচাড়া করবেন না।
- নাভিতে আর্দ্রতা জমছে বা তরল বের হচ্ছে নাভি ভিজে থাকে, সামান্য পানি বা হলুদ রঙের তরল বের হয়, তবে তেমন দুর্গন্ধ নেই। দিনে ২-৩ বার জীবাণুমুক্ত গজ বা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। নাভি শুকনো রাখার জন্য টাইট পোশাক ও ডায়াপার এড়িয়ে চলুন।
- নাভি থেকে দুর্গন্ধ বা পুঁজ বের হচ্ছে (নাভির সংক্রমণ – Omphalitis) দুর্গন্ধ, লালচে ভাব, ফুলে যাওয়া, পুঁজ বের হওয়া, জ্বর বা শিশুর অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
নবজাতকের নাভিতে ইনফেকশন হলে করণীয়
নবজাতকের নাভিতে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে:
- নাভি লালচে বা ফুলে যাওয়া
- নাভি থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হওয়া
- নাভির চারপাশে ব্যথা বা চুলকানি
- নাভির চারপাশের ত্বক গরম হয়ে যাওয়া
নবজাতকের নাভিতে ইনফেকশন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কারণ, নাভির ইনফেকশন গুরুতর হতে পারে এবং শিশুর জীবনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নবজাতকের নাভি শুকানোর পাউডার দেখে নিন।
নবজাতকের নাভিতে ইনফেকশন হলে করণীয় কি কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
- শিশুকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার শিশুর নাভি পরীক্ষা করে ইনফেকশনের ধরন এবং তীব্রতা নির্ধারণ করবেন। এরপর তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।
- নাভিতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা মলম লাগান। ডাক্তার যদি নির্দেশ দেন, তাহলে নাভিতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা মলম লাগান।
- শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করুন যতটা সম্ভব ঘন ঘন। ডায়াপার ভেজা বা নোংরা হলে তা দ্রুত পরিবর্তন করুন।
এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শিশুর জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই নবজাতকের নাভিতে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে নিচের করণীয়গুলো অনুসরণ করা জরুরি।
নবজাতককে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান
যদি নাভিতে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেক সময় নাভির সংক্রমণ তীব্র হলে শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা বিশেষ ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
নবজাতকের আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন
যদি নবজাতক অতিরিক্ত কান্না করে, খাওয়া কমিয়ে দেয় বা জ্বর আসে, তাহলে এটি ইনফেকশন গুরুতর হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। এমন হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
নবজাতকের নাভি ফুলে যাওয়ার কারণ
নবজাতকের নাভি ফুলে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
নাভির ইনফেকশন: নাভির ইনফেকশনের কারণে নাভি ফুলে যেতে পারে। নাভির ইনফেকশনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে নাভি লালচে বা ফুলে যাওয়া, নাভি থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হওয়া, নাভির চারপাশে ব্যথা বা চুলকানি, নাভির চারপাশের ত্বক গরম হয়ে যাওয়া।
নাভির ছিদ্রের চারপাশের ত্বকের ক্ষত: নাভির ছিদ্রের চারপাশের ত্বকের ক্ষতও নবজাতকের নাভি ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। নাভির চারপাশের ত্বক খুবই পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই এটি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক ফুলে যেতে পারে।
নাভির ছিদ্রের চারপাশে চাপ পড়া: নাভির ছিদ্রের চারপাশে চাপ পড়ার কারণেও নবজাতকের নাভি ফুলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াপারের বাঁধন খুব শক্ত হলে নাভির ছিদ্রের চারপাশে চাপ পড়তে পারে। এতে নাভি ফুলে যেতে পারে।
নাভির চারপাশের ত্বকের অ্যালার্জি: নাভির চারপাশের ত্বকের অ্যালার্জিও নবজাতকের নাভি ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি শিশুকে ডায়াপারের তরল পদার্থ বা নাভির পরিষ্কারক পদার্থের প্রতি অ্যালার্জি হয়, তাহলে নাভি ফুলে যেতে পারে।
নবজাতকের নাভি ফুলে গেলে প্রথমে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে এটি কোনও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ কিনা। যদি নাভি ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো লক্ষণও দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাচ্চার নাভি থেকে রক্ত বের হওয়ার কারণ
নাভির ছিদ্র থেকে রক্তপাতও নবজাতকের নাভি থেকে রক্ত বের হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। নাভির ছিদ্র সাধারণত 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ছিদ্র বন্ধ হতে দেরি হতে পারে। এতে নাভির ছিদ্র থেকে রক্তপাত হতে পারে।
নাভির চারপাশের ত্বকের ক্ষতও নবজাতকের নাভি থেকে রক্ত বের হওয়ার কারণ হতে পারে। নাভির চারপাশের ত্বক খুবই পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই এটি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক থেকে রক্তপাত হতে পারে।
নাভির ইনফেকশনের কারণে নাভি থেকে রক্ত বের হতে পারে। নাভির ইনফেকশনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে নাভি লালচে বা ফুলে যাওয়া, নাভি থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হওয়া, নাভির চারপাশের ত্বক গরম হয়ে যাওয়া, নাভির চারপাশে চুলকানি হওয়া।
নাভির ছিদ্রের চারপাশে চাপ পড়ার কারণেও নবজাতকের নাভি থেকে রক্ত বের হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াপারের বাঁধন খুব শক্ত হলে নাভির ছিদ্রের চারপাশে চাপ পড়তে পারে। এতে নাভির ছিদ্র থেকে রক্তপাত হতে পারে।
নবজাতকের নাভি থেকে রক্ত বের হলে প্রথমে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে এটি কোনও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ কিনা। যদি নাভি থেকে রক্ত বের হওয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো লক্ষণও দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের রুচির সিরাপ কোনটা ভালো এবং রুচির সিরাপ এর নাম সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি রুচির সিরাপ কোনটা ভালো তা জানতে পেরেছেন।
এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও রুচির সিরাপ কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।