আজ আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সম্পকে জানব। চিকিত্সক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে নিজের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উপরও জোর দেন। এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রায় সব মানুষেরই হয়ে থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম জানানো হবে। তাই আপনাদের এই রোগ নিয়ে খুব সাবধান থাকতে হবে নাহলে দেখবেন যে কিছু না কিছু বিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন।
প্রতিদিন আপনারা যদি দুটি করে কলা খান তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন সহজেই। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কেও বলা হবে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার কিছু সিরাপ এর নাম।
এখন যেই সিরাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেই সিরাপগুলো নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পিছনে কিছু বিশেষ কারণ থাকে। যখন সে কারণগুলা অবলম্বন করা হয় তখনই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা শুরু হতে থাকে এবং তা আস্তে আস্তে আমাদের বিভিন্ন রকমের কষ্টের সম্মুখীন করে। ঠিকমতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করার কারণে। খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা ব্যবহার করলে এবং ফাস্ট ফুডের খাবার অতিরিক্ত খাবার ফলে।
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে শতকরা এবং আমিষযুক্ত খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে। নিয়মিত শরীর চর্চা না করার কারণে। দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে বা বসে থাকলে। অতিরিক্ত মানসিক চিন্তা হলে। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় চা কফি পান করলে। আয়রন ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ যে ওষুধগুলো রয়েছে সেগুলো সেবন করলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্যতা এখন প্রায় প্রত্যেকটি ঘরে ঘরেই এই সমস্যা দেখা দ্দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দিলে দেহে নানান ধরনের সমস্যা হতে দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো থেকে রেহায় পেতে আমরা অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম জানতে চাই।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একটি সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য বাজারে বেশকিছু সিরাপ রয়েছে। যে সিরাপ গুলি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রোগী মুক্তি পেতে পারেন।
আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য যে সিরাপ গুলি খাওয়ার মাধ্যমে দূর হবে সেগুলোর তালিকা নিচে নিম্নে দেয়া হলঃ
১। মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া (milk of magnesia)
যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি এই মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া সিরাপটি নিয়ম অনুযায়ী সেবন করেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে এবং আপনার মল অনেক নরম হয়ে যাবে পায়খানা ক্লিয়ার হবে।
তাই বাজার থেকে এই ঔষধটি কিনে আপনি খুব সহজেই সেবন করতে পারেন। তবে এই সিএফটি খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া ভালো।
তাই বাজার থেকে এই ঔষধটি কিরে এসে আপনারা সেবন করতে পারেন। তবে এই সিরাপটি খাওয়ার আগে আপনারা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ দিবেন কেননা তাদেরকে আগে জানাতে হবে যে আপনার কি কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা টি হয়েছে।
মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়ার সেবন বিধি
ক. প্রাপ্ত বয়স্ক
- ১৫-৩০ মি.লি. ঘুমানোর আগে বা নাস্তার আগে।
খ. শিশু
- ৭ বছরের উপরে, ৭.৫-১৫ মি.লি.ঘুমানোর আগে।
- ৩-৭ বছর, ৫-১০ মি.লি. ঘুমানোর আগে।
গ. ব্যবহার
নিম্নলিখিত সমস্যার ক্ষেত্রে মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া সিরাপ সেবন করতে পারেন–
- এসিড বদহজম,
- হোলি কোষ্ঠকাঠিন্য,
- ডিস এফসিয়া,
- পেট ফাঁপা,
- গ্যাস্ট্রিক আলসার,
- পেট খারাপ,
- এন্টাসিড থেরাপি,
- গ্যাস্ট্রিক এসিডের দমন ইত্যাদি
উল্লিখিত সমস্যা থাকলে মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া আপনি খেতে পারবেন।
১। অ্যাভোলাক সিরাপ (Avolac syrup)
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অভোলাক সিরাপ খেতে পারেন। এভোলাক্স সিরাপে মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারবেন। উপরে মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া যেরকম বর্ণনা করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই আপনি এই সিরাপটির মাধ্যমে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারবেন।
অ্যাভোলাক সিরাপের সেবন বিধি
ক. প্রাপ্ত বয়স্ক
- প্রাপ্ত বয়স্ক্দের ক্ষেত্রে ১৫ মি.লি দিনে ২ বার সেবনযোগ্য।
খ. শিশু
- শিশু (৫ থেকে ১০ বছরের) – ১০ মি.লি দিনে ২ বার (সকালে ও রাতে) সেবনযোগ্য।
- শিশু (৫ বৎসরের নিচে) – ৫ মি.লি দিনে ২ বার (সকালে ও রাতে) সেবনযোগ্য।
- শিশু (১ বৎসরের নীচে) – ২.৫ মি.লি দিনে ২ বার (সকালে ও রাতে) সেবনযোগ্য।
গ. ব্যবহার
নিম্নলিখিত সমস্যার ক্ষেত্রে মিল্ক অফ অ্যাভোলাক সিরাপ সেবন করতে পারেন–
- কোষ্ঠ কাঠিন্য,
- হেপাটিক এনসেফালােপ্যাথি
- হেপাটিক কোমা।
এছাড়াও আরও অন্যান্য সিরাপ রয়েছে যেগুলো কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা দূর করে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাভোলাক এবং মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া এই দুটি সিরাপ বেশি কাজে আসে। নিচে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করার আরও কিছু সিরাপের নাম উল্লেখ করে দিচ্ছি।
- Lactulose syrup
- Dulcoflex syrup
- Dlac Syrup
- Dulax Syrup
- Creamffin Plus Syrup
- Adovas Syrup
- Carmina syrup
- Ezylax syrup
- Serelose Syrup
এইগুলো সিরাপখুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে। তবে হ্যাঁ যেই ওষুধই সেবন করুন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যেকোন সিরাপ বা ওষুধ সেবন করবেন।
আরেকটি কথা মনে রাখবেন উল্লিখিত সিরাপ গুলি ব্যবহার করা আগে আপনার যদি কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধের নাম
সাধারণত যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা কিন্তু কোনভাবেই সুখে শান্তিতে কোন খাবার খেতে পারবে না। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধের নাম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই আপনাদের ঘরোয়া উপায়ে কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে দেখবেন যে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
তাই আপনারা ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ভালো করতে হলে ফাইবার যুক্ত এবং আঁশ জাতীয় খাবার খাবেন। দেখবেন খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনারা বিভিন্ন ডাক্তারি ঔষধ আছে সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এই কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ ভালো করতে পারেন।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা আছে তারা এমিসেট ৮ এম জি ট্যাবলেট এবং ভমিটপ এই ঔষধ দুটা খাবেন। দেখবেন যে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন কারণ এ ঔষধ দুটো হচ্ছে খুব ভালো তা খেলে কোনরকম কোন শরীরে ক্ষতি হবে না। কারণ অন্য যদি ঔষধগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো কিন্তু শরীরে ক্ষতি হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই আপনাদের যেই কোন ঔষধ খেলে তা দেখে শুনে খাওয়া উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম
সাধারণত যাদের শরীর প্রচুর পরিমাণে শুষ্ক তাদের কিন্তু এই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তাইতো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবেই ধারণা দিয়ে দেওয়া হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ আছে তাদের কিন্তু প্রচুর পরিমাণে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তখন কিন্তু তারা কোন খাবার খেয়ে শান্তি পাই না।
কারণ যেই খাবারগুলো খাবে সেই খাবারগুলো কোনভাবেই দ্রুত হজম হয় না। তাই তখন তারা কোনভাবেই এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শান্তি পায় না এই কারণে তখন বিপদের মধ্যে থাকে। তাইতো আপনারা ডাক্তারি ঔষধ মতে কিছু ট্যাবলেট আছে যেগুলো খেলে দেখবেন যে খুব দ্রুতই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ ভালো হয়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে খুব খারাপ একটি রোগ এটি যদি হয়ে থাকে তখন কিন্তু আপনাদের বার বার হবে তাই আপনারা এই ঔষধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুতই আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করতে পারেন। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করার কিছু ট্যাবলেট নিচে দেওয়া হলো:
- এমিগো ৮ এম জি ট্যাবলেট
- ওন্সেট ৮ এম জি ট্যাবলেট
- এমসেট ৮ এম জি ট্যাবলেট
- ওন্ডেম ৮ এম জি ট্যাবলেট
- সেট্রোনেম ৮ এম জি ট্যাবলেট
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার হোমিও ঔষধ
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে হলে অনেক অনেক হোমিও ঔষধ খাই তবে খেতে পারে কোন সমস্যা নেই। কারণ হোমিও ঔষধ গুলো বিদেশি হওয়ার কারণে যত রকমের কঠিন সমস্যা গুলো এই হোমিও ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে ভালো হয়ে যায়। তাইতো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে অবশ্যই ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে ভালো করতে হবে না হলে কিন্তু কোন ভাবে ভালো করতে পারবেন না। এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিয়ে যদি আপনারা বাড়িতে বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদের পাইলসের হয়ে যেতে পারে তখন কিন্তু মহা বিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন।
তাই তো আপনাদের এই সমস্যাগুলো দূর করতে হলে অবশ্যই আপনাদের ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে তা ভালো করতে হবে। যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তারা গ্রাফাইটস ঔষধ খেতে পারেন।
হোমিও ঔষধের মধ্যে হচ্ছে এক নম্বর ঔষধ এই ঔষধটা খেলে পেটের যত রকমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সব একেবারে ভালো হয়ে যাবে। তাই আপনারা নিঃসন্দেহে এটি খেতে পারেন শরীরের কোন ক্ষতি করবে না পেটের সমস্যা একেবারে দূর করে দেবে।
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য লেকটিহেপ সিরাপ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বাচ্চাদের জন্য এই সিরাপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। লেক্টিহেপ সিরাপটিতে রয়েছে ল্যাক্টুলোজ এর মত গ্লুকোজ অনুর সমতুল্য যা গ্যালাক্টোজ এবং সার্বিটোল ধারণ করে। যা শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় সাহায্য করে।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আরো একটি সিরাপ খাওয়ানো যায় যা হলো যাইফিল এই সিরাপটি বাচ্চাদের দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় দিতে সাহায্য করে।বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে মিল কম ম্যাগ্নেসিয়া এই সিরাপটিও খুব কার্যকরী।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
গর্ভাবস্থায় picolax সিরাপ সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। এই সিরাপটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অনেক ভালো কাজ করে। lactulose ল্যাকটোলোজ সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ভালো কাজ করে।
lactihep সিরাপটিও গর্ভ অবস্থায় সেবন করতে পারেন। অ্যাভোলাক সিরাপটিও সেবন করতে পারেন এই সিরাপটি গর্ভ অবস্থায় সেবন করা যায় শিশু নিরাপদে থাকে। গর্ভাবস্থায় মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া সিরাপটিও সেবন করতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত মায়েদের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর করতে আঁশ যুক্ত খাবার এবং ফাইবার যুক্ত খাবার সাহায্য করবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি যদি আঁষ বা ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। অনেক খাবার আছে যেগুলোতে ফাইবার পাওয়া যায় আবার আপনারা প্রচুর পরিমাণে পানি খেয়েও কিন্তু আপনাদের শরীরে ফাইবার লেভেল বাড়াতে পারেন।
সাধারণত আপনাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে তারা প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন এবং আঁশ জাতীয় খাবার খাবেন অ্যালোভেরা খাবেন।তাহলে তখন দেখবেন যে আপনাদের কোনভাবেই আর কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। তখন আপনার পায়খানা ঠিকঠাক থাকবে এবং সময়মতো হবে। এই কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই খারাপ তা আপনাদের এটি হলে খুব দ্রুত ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিটা মানুষেরই হয়ে থাকে তবে এই গরমের দিন একটু কমই হয় শীতের সময় এই রোগ প্রচুর পরিমাণে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক। এই
কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে শরীরে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো নিয়মিত ফলো করা উচিত।
খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। যেমন যেসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁস আছে সেইসব খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। যেমন সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা, লাল চালের মত গোটা শস্য দানা খেতে হবে তবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিরাময় পাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে থেকে রুচিত প্রতিদিন ৩০ গ্রাম ফাইবার সেবন করতে হবে।
তবে খাবারের তালিকায় হুট করে ফাইবার যুক্ত করা উচিত নয়। হঠাৎ ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেললে বায়ুর সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পেট ফাঁপা তলপেটে তীব্র ব্যথা সহ নানান ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার তালিকায় পরিমাণ অল্প অল্প করে বাড়াতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া ঔষধ হচ্ছে ইসুবগুলের ভুষি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সবগুলের ভুষি সেবন করতে পারেন। ইসবগুলের ভুষি একটি চমৎকার ঘরোয়া ঔষধি। এতে প্রচুর পরিমাণে সাইবার রয়েছে।
সাধারণত ইসবগুলের ভুষি সেবন করার কথা বাপ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এটি নির্দিষ্ট কোন আছে বলে মানুষের অজানা। তাই চলুন ইসবগুলের ভুষি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। ভুসি খেলে সারাদিনই অন্তত ২ লিটার পানি পান করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করার ব্যবস্থা নিতে হবে। মন ভালো প্রশান্তিমূলক কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ডিপ্রেশন কিংবা উদ্বিগ্নতা রোগে ভুগেন তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা নিন। আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য আস্তে আস্তে সেরে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হতেই পারে তবে এটি হলে তা সহজে ভালো করা যায়।যদি আপনারা এটি ভালো না করতে পারেন তাহলে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন। আপনারা খাবার খেয়ে অল্প কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন ব্যায়াম করবেন। তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে একেবারে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
নাহলে যদি খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়েন বা ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে বদহজম হয়ে যেতে পারে আবার এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয়ে যেতে পারে।তাই আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন, হালকা দৌড়াবেন, জগিং করবেন ও সাঁতার কাটবেন এই কাজগুলো করলে দেখবেন যে কোষ্ঠকাঠিন্যে রোগ থেকে একেবারেই মুক্তি পেয়ে গেছেন।
দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রায় সময় হয়ে থাকে। তবে এটি ভালো করারও অনেক রকমের উপায় আছে। আপনারা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন দেখবেন যে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ একেবারে দূর হয়ে যাবে। যে কোন খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই আপনাদের বেশি করে পানি পান করতে হবে।
নাহলে একেবারে পেটের মধ্যে গ্যাস হয়ে গিয়ে অনেক রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। খাবারে যদি না খেতে পারেন তাহলে অনেক রকমের সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন। এই রোগ এমন একটি রোগ যেটি হলে কোন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। তাই অবশ্যই দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় জানতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়
যখন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগবেন তখন আপনার ভেতরে কিছু সমস্যা দেখা দেবে এবং সেগুলো অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে থাকবে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হচ্ছে সব সময় আপনার শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকবে। কোন কাজ করার মাধ্যমে আপনি শান্তি পাবেন না।
একটু সময় কাজ করলে দেখবেন আপনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন। সব সময় আপনার ভিতরে অবসাদ জড়িয়ে থাকবে। এই ক্লান্তি দূর করার জন্য আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন কোন ভাবে আপনার ঘুম হবে না। অনিদ্রা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যাবে চোখের নিচে আস্তে আস্তে কালো দাগ পড়তে শুরু হবে।
কোন পড়ালেখা করার সময় বা কোন কাজ করার সময় মনোযোগ দিতে পারবেন না। মনোযোগ আস্তে আস্তে সব কিছু থেকে উঠে যেতে থাকবে এবং আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে মনোযোগ দিতে চাইলেও মনোযোগ সেখানে দেওয়া সম্ভব না। শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে ।
মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয় আপনি স্বাভাবিক অবস্থাতে থাকলেও দেখা যাবে মাথা ঘুরতে শুরু হয়েছে অথবা আপনার সামনে সবকিছু ঘুরছে। ক্যান্সারের অনেকগুলো ধরন রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে কোলন ক্যান্সার যখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তখন ক্ষুধার চাহিদা অনেকটা কমে যায় এবং এখান থেকে কোলন ক্যান্সার হতে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার
কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। সেই খাবারগুলোতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের পেটের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সবুজ যে সব শাক সবজি রয়েছে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
যেসব ফল রয়েছে যেগুলো খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাওয়া যায় যেমন আপেল পেয়ার জলপাই এরকম আরো যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো সব সময় খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাবেন। সবচেয়ে জরুরী যে খাবার তা হচ্ছে কলা প্রতিদিন কমপক্ষে ও তিনটি করে কলা খেতে হবে।
গরমকালে দিনে দুই থেকে একবার শরবত খাওয়ার। ইসবগুলের ভুসি খাবেন। আপনি এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে থাকলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজেই সমস্যা ভালো হয়ে যাবে এবং আপনি এই ব্যথা দায়ক রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম জানতে পেরেছেন।
এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম সম্পর্কে জানতে পারবে।