ডিলেনটিন সিরাপ হচ্ছে মূলত রেনেটা লিমিটেড এর একটি ওষুধ। যার মূল কাজ হল আমাদের দেহের কৃমি রোগ নিরাময় করা। ডিলেনটিন সিরাপ এ Pyrantel Pamoate নামক মূল উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা দেহের কৃমি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। আপনি কি delentin কিসের ঔষধ ও delentin খাওয়ার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন?
আমাদের আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। তাহলে delentin কিসের ঔষধ তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডিলেনটিন সিরাপ এর কাজ কি, delentin 10 ml খাওয়ার নিয়ম, delentin syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম ইত্যাদি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা জেনে নিতে জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে ডিলেনটিন সিরাপ এর সমস্ত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ অবদি পড়ুন।
delentin কিসের ঔষধ
delentin সিরাপ রেনেটা লিমিটেড উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এর গ্রুপ নাম হল Pyrantel Pamoate। আমরা অনেকেই এই সিরাপ কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে সেটা জানি না। চলুন প্রথমে আমরা এই বিষয়ে জেনে নেই।
delentin সিরাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের কৃমি রোগ দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই সিরাপে বিদ্যামান মূল উপাদান বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের যদি হঠাৎ করে কৃমির সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই সিরাপটি খাওয়ার নির্দেশনা দেন।
ডিলেনটিন সিরাপ এর কাজ কি
এটি একটি তরল সাসপেনশন। delentin 10 ml এর কাজ হল কৃমি রোগ ভালো করা। বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের যদি হঠাৎ করে কৃমির সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই সিরাপটি খাওয়ার নির্দেশনা দেন। কৃমির কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমনঃ
- পুষ্টিহীনতা,
- রক্তস্বল্পতা,
- খাবারের অরুচি,
- পেট মোটা হয়ে যাওয়া,
- শরীর শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
আর ছোট বাচ্চাদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই তারা তখন কৃমির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনা। তবে ঔষধ বাদেও এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর দ্বারা কৃমি ভালো করা সম্ভব কিন্তু শিশুরা ওই খাবারগুলো কখনো খেতে চায় না কারণ ওই ধরনের খাবার গুলো সবই তিক্ত স্বাদ যুক্ত। এই সিরাপটি ছোটদের জন্য যেমন কার্যকর ঠিক একইভাবে বড়দের জন্য কৃমির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
delentin খাওয়ার নিয়ম
delentin 10 ml খাওয়ার নিয়ম বয়স অনুসারে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি বয়স অনুসারে খাওয়ার নিয়মের নির্দেশনার পার্থক্য রয়েছে। তবে আপনার জন্য কোন নিয়মটি সবথেকে ভালো ফলাফল প্রদান করবে সেটি শুধুমাত্র ডাক্তাররাই বলতে পারবে। আবার কৃমির ধরনের উপরেও খাওয়ার নিয়মের প্রভাব রয়েছে। তো চলুন বয়স অনুসারে এই সিরাপটি খাবার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
১ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
জন্ম থেকে শুরু করে এক বছর বয়সী বাচ্চাদের চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত কখনোই কোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। তাই আপনার বাচ্চার বয়স যদি এক বছর হয়ে থাকে এবং তার যদি কৃমির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কখনোই খাওয়াবেন না।
এছাড়া ওষুধের নির্দেশনা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে এক বছর বয়সী বাচ্চাদের কখনোই কৃমির ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। হতে পারে তাদের জন্য অন্য চিকিৎসা পদ্ধতি চালু রয়েছে।
২ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
দুই বছরের বাচ্চাদের যদি কৃমির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে সঠিক নিয়মে এই সিরাপটি সেবন করাতে হবে। আর সর্বপ্রথম জেনে নিতে হবে আপনার বাচ্চার কোন ধরনের কৃমির সংক্রমন হয়েছে। এই সিরাপটি কেঁচো কৃমির চিকিৎসা সবথেকে বেশি নির্দেশিত এবং সবথেকে কার্যকর।
তবে অন্যান্য কৃমির চিকিৎসায়ও এটি সেবন করানো যাবে। প্রথমে 10 ml এর সাসপেনস বোতলের মুখ খুলতে হবে। এরপর পরিমিত পরিমাণ পানি দিয়ে সিরাপে পরিণত করতে হবে।
তারপর প্রথম দিন খাবারের পরে একচামচ পরিমাণ সিরাপ দিনে একবার খাওয়াতে হবে এবং ৭ দিন পরে আবার খাওয়াতে হবে। এভাবে ১৪ দিন খাওয়ানোর পরে কৃমি ভালো হয়ে যায় তাহলে delentin সিরাপটি আর খাওয়াতে হবে না। তবে প্রতি ৩ মাস পর পর কৃমির সিরাপ খাওয়ানো ভালো।
৩ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
দুই বছর আর তিন বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়মের কোন পার্থক্য নেই। তাই উপরে উল্লেখিত দুই বছরের বাচ্চাকে যেভাবে ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক একই নিয়মে তিন বছরে বাচ্চাকেও সেবন করাতে হবে।
৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
দুই থেকে দশ বছরের বাচ্চার পর্যন্ত একই নিয়মে সেবন করাতে হবে। তাই যেহেতু পাঁচ বছর দুই থেকে
দশ বছরের অন্তর্ভুক্ত তাই পাঁচ বছরের বাচ্চাকেও ঠিক একই নিয়মে সেবন করানোর নির্দেশনা রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে
১০ বছরের উপরের বয়সী বাচ্চাদের থেকে যেকোনো বয়সী মানুষদের জন্য এই সিরাপটি প্রথমবারে একদিনে দুইবার খাওয়ানোর পরে পরবর্তীতে সাত দিন পরে আবার খাওয়াতে হবে। যেহেতু এটি ১০ এম এল সিরাপ তাই এক সপ্তাহ পরে আরো একটি নতুন বোতল ক্রয় করে সেটি খাওয়াতে হবে। তবে যারা গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী রয়েছে তাদের কোনোভাবেই এই সিরাপটি খাওয়ানো যাবে।
শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
দুই বছরের নিজের শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার সময় অবশ্যই পরিবারের বাকি সদস্যরাও কৃমির ওষুধ খেয়ে নিবেন। এতে করে পরিবারের সকলেই সহজেই কৃমি থেকে নিস্তার পাবেন।
কৃমির সংক্রামক হওয়ায় একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাই যখন ক্রিমের ওষুধ খাবেন শিশুসহ পরিবারের সকলেই একত্রে খেয়ে নি সেবন করবেন। শিশুদের জন্য কৃমির সিরাপ রয়েছে বাচ্চাদের জন্য এটি সেবন করলে অধিক ফল পাওয়া যায়। প্রথম রোজ সেবনের ৭ থেকে ১০ দিন পরে অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ সেবন করতে হবে তা না হলে পুনরায় কৃমি সংক্রমনের সম্ভাবনা থেকে যাবে।
প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী কৃমির ওষুধ সেবন করলে সহজেই কৃমি থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। তারপরেও যদি সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
সাধারণত কোন শিশুকে এক বছর বয়স হওয়ার আগে কৃমির ওষুধ দেয়া ঠিক হবেনা। যখন আপনার শিশুর বয়স ১ বছর অতিক্রম করবে তখন প্রতি ৬ মাস পরপর শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়াবেন। এবং প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর পরবর্তী ৭ থেকে ১০ দিন পর পুনরায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং শিশুকে প্রাথমিক ডোজ দিতে হবে।
মূলত কৃমিনাশক যে ঔষধ গুলো রয়েছে সেই ঔষধ গুলো শরীরে অবস্থানরত কৃমি গুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয় কিন্তু যে সকল কৃমির ডিম এবং লার্ভা রয়েছে সেগুলোকে মারতে পারে না এজন্য অবশ্যই প্রত্যেক ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত এবং নিজের শিশুরা কৃমির ওষুধ খাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
১ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
১ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ সেবন করানোর ক্ষেত্রে আমাদের খাওয়ানোর নিয়ম অবশ্যই জেনে নেওয়া জরুরি। কেননা কৃমির ধরন, শিশুর ওজন এবং তার দেহের অবস্থা মোতাবেক ঔষধের ডোজ এবং ব্যবহারের নিয়ম দেয়া হয়ে থাকে। সাধারণভাবে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলো-
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার বাচ্চার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সঠিক ঔষধ ও ডোজ নির্ধারণ করবেন।
খালি পেটে সেবনঃ ১ বছরের বাচ্চাদেরকে কৃমির ঔষধ মূলর খালি পেটে সেবন করানো হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সেবন করাতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো।
প্রয়োজনীয় ডোজঃ আপনার বাচ্চার বয়স এবং ওজনের উপর ভিত্তি করে ডোজ নির্ধারিত হয়ে থাকে। ১ বছরে্র কাছাকাছি শিশুদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম ১ বার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এক বছরের বেশি হলে ৪০০ মিলিগ্রাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পানির পরিমাণ বাড়ানোঃ কৃমির ঔষধ সেবনে আপনার বাচ্চার দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে তাই এমতবস্তায় এটা এড়ানো উচিত। এজন্য আপনার শিশুকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে। এখানে খাওয়ানোর পরই পানি খাওয়াতে হবে এমন কোন কথা বলা হয়নি। যখন শিশু পানি পান করে, সেই সময়গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
পায়খানা চেক করাঃ আপনার বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ সেবন করানোর পরে খেয়াল করে দেখবেন যে তার পায়খানার ধরন পরিবর্তি্ন হচ্ছে কিনা। অনেক সময় দেখা যায় পায়খানার সঙ্গে কৃমি বা ডায়রিয়া হতে পারে। এটি স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। তবে সমস্যা বাড়লে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
পুনরায় সংক্রমণ প্রতিরোধঃ কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর পুনরায় সংক্রমণ এড়াতে শিশুর হাত ভালোভাবে ধোঁয়া, নখ কেটে রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিছানা পত্র ব্যবহার করানো এবং খেলনা গুলি পরিষ্কার রাখা জরুরী।
উপরের উলিক্ষিত এই নিয়ম অনুসারে আপনার বাচ্চাকে যদি কৃমির ওষুধ সেবন করান তাহলে এই সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শিশু দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারবে।
delentin 10 ml কতদিন খাওয়া যাবে
এই সিরাপ যেহেতু ৭ দিন পর পর সেবন করতে হয় সেহেতু ২ সপ্তাহ খাওয়ার পরে যদি কৃমির সমস্যা নিরাময় না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আরও ১ সপ্তাহ সেবন করতে হতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেবনযোগ্য।
delentin syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ডিলেনটিন সিরাপ হচ্ছে মূলত বিউটামিরেট সাইট্রেট জাতীয় একটি মেডিসিন তাই উপকারিতা রয়েছে এর পাশাপাশি দেহে ক্ষতিকর প্রভাবও দেখা দিতে পারে। এই সিরাপ অধিকংশ সময় নিরাপদ হলেও আপনি যদি অতিমাত্রায় সেবন করেন কিংবা আপনার বাচ্চাকে যদি বেশি মাত্রায় সেবন করান তাহলে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। আর সেগুলো ক্ষতিকর প্রভাব জেনে রাখা ভালো।
delentin 10 ml এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে
- মাথা ব্যথা,
- পেট খারাপ,
- খাবারে অনীহা,
- মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি।
তবে আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে সেবন করতে পারেন তাহলে সকল ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
delentin syrup এর সতর্কতা
ডিলেনটিন সিরাপ কাশির প্রতিফলনকে দমন করে এবং তাই কফের ওষুধের সাথে একযোগে ব্যবহার এড়ানো উচিত, কারণ এটি শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা ধারণ করতে পারে, যা ব্রঙ্কোস্পাজম এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি কাশি 7 দিনের বেশি সময় ধরে থাকে (12 বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে 3 দিনের বেশি) ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
উল্লিখিত সর্তকতা অনুসরণ করলে, ডিলেনটিন সিরাপ সেবনে নিরাপত্তা বজায় রাখা সহজ হবে। তো আশা করছি এই অংশ থেকে আপনারা ডিলেনটিন সিরাপ এর সতর্কতা জেনে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন। এবার চলুন, ডিলেনটিন সিরাপ এর দাম কত তা জেনে নেওয়া যাক।
delentin syrup এর দাম
আপনারা অনেকেই delentin syrup এর দাম জানতে চেয়েছেন বিধায় আমরা পোষ্টের শেষে এর সম্ভাব্য দাম তুলে ধরেছি। delentin syrup এর দাম নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- Delentin Oral Suspension (Pyrantel Pamoate)
- 10 ml bottle: 16.05 Taka
তবে কিছু কিছু সময় জায়গা ভেদে এই সিরাপের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। তাই এই ওষুধ সিরাপ কেনার আগে অবশ্যই এর মেয়াদ ও দাম দেখে কেনা জরুরি।
লেখকের শেষ মতামত
এতক্ষণ ধরে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি হয়তো ডিলেনটিন সিরাপ সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছেন। এটি আমাদের খুবই কার্যকরী সিরাপ, যা দেহের কৃমি নিরাময়ের জন্য শর্ট উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে থাকে। এটি বিশেষ করে বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের যদি হঠাৎ করে কৃমির সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই সিরাপটি খাওয়ার নির্দেশনা দেন।
তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনি যে কোনো ধরনের সিরাপ সেবন করবেন সেই সিরাপের ভালো মন্দ বুঝে তারপরে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এরপরে এই সিরাপ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন তাহলে আশা করা যায় এর সঠিক কার্যকারিতা উপভোগ করা সম্ভব হবে।
এটি ছিল আজকের delentin কিসের ঔষধ? delentin খাওয়ার নিয়ম এবং delentin syrup সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড। পরিশেষে আমরা একটা কথা বলে আজকের আলোচনা শেষ করতে চাই সেটা হচ্ছে, আপনি যদি প্রতিনিয়ত শুস্ক কাশির সমস্যায় ভোগেন তাহলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা নিয়ে এই ডিলেনটিন সিরাপ সেবন করতে পারেন এটি আপনার জন্য একটি ভালো সমাধান হতে পারে।