শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়

অনেকটাই কঠিন একটি ব্যাপার তবে যদি আপনি ভাল খারাপ মেয়ে ডিফারেন্স করতে চান তাহলে শারীরিক গঠন দেখেই কিন্তু সেটা বুঝতে হবে মূলত কিশোর কিশোরীদের শারীরিক গঠন এক রকম হয় এবং বিবাহিত মেয়েদের গঠন মূলত আরেক রকম হয়ে থাকে তবে কিভাবে বুঝবেন কোন মেয়েটি কেমন এবং শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি।

শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়

মূলত আমাদের সমাজে বিভিন্ন রকম মেয়েদের বসবাস সেখানে বিবাহিত মেয়ে এবং অবিবাহিত মেয়ে অনেক রয়েছে আবার নতুন কেউ যদি বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুজে থাকে তাহলে কিন্তু সে কিভাবে বুঝবে এর আগে কোথাও বিয়ে হয়েছে কিনা এবং তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কিনা এগুলো বুঝার জন্য মেয়েদের গঠন দেখেই মূলত বোঝা যায়।

তবে সব মেয়েদের গঠন কিন্তু একই রকম হয় না অনেক মেয়ে বিবাহ হওয়ার আগেই তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিবর্তন দেখা দিতে পারে তবে সেটা একেবারে যাচাই-বাছাই করা ঠিক হবে না তবে বিশেষ কিছু পদ্ধতি ফলো করে অথবা শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গের দিকে নজর দিলেই এটা বোঝা সম্ভব তবে কিভাবে বুঝবেন এই উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি।

শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়

শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চিনতে হলে প্রথম অবস্থায় তার স্বাস্থ্যের দিকে ফলো করতে হবে। স্বাস্থ্য যদি ভালো হয় তাহলে তার ওই মেয়ের মন-মানসিকতা অনেকটাই ভালো হয়। স্বাস্থ্য ভালো মেয়েদের মন শান্ত প্রকৃতির  এই মেয়েগুলো সঙ্গে ঝগড়া করে কম। খাটো মেয়েদের মনের মধ্যে অনেক ধরনের শয়তানি বুদ্ধি থাকে। লম্বা ছাড়া মেয়েদের বুদ্ধি কম হলেও যেকোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়ে চলাফেরা করতে পারে। খাটো মেয়েদের বুদ্ধি বেশি হয় এবং এরা অতি চালাকি করে থাকে।

শুধুমাত্র এই কয়টি গঠন দেখলে হবে না তার কথাবার্তা তার চাল চলন এগুলো ফলো করতে হবে যদি সে ছেলেদের সাথে বেশি ঘোরাফেরা করে  তারা কেমন এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে। সে পোশাক আশাক কেমন পড়ে এবং ধর্মীয় অনুভূতি কেমন রয়েছে সে বিষয়গুলো জানলেই একটা মেয়ের প্রকৃত চরিত্র টের পাওয়া যাবে।

মেয়ে চেনার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তার মধ্যে একটি শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনা। শারীরিক গঠন দেখে একটি মেয়ে সম্পর্কে বলা খুব অসম্ভব ব্যাপার না। তাই শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো নিম্নরূপ।

  • মুখের আকৃতি যদি একটু লম্বা প্রকৃতির হয় তাহলে তারা একটু খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে।
  • যেই মেয়ে খুব স্বাস্থ্যবান হয়, সেই মেয়ে সাধারণত শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে।
  • মাথার আকৃতি দেখেও মেয়ে চেনা যায়। মাথা লম্বা হলে সেই মেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
  • যদি কোন মেয়ে পাতলা হয়, তবে তারা সকল কাজকর্মে পেছনে থাকতে বেশি ভালোবাসে।
  • যে সকল মেয়েরা খাটো প্রকৃতির, তারা স্বভাবতই যোদ্ধা হয়ে থাকে।

উপরোক্ত লক্ষণ গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও একটি মেয়ে চেনা সম্ভব। এবং তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলা সম্ভব হয়ে ওঠে।

ভালো মেয়ে চেনার উপায়

ভালো মেয়ে চেনার উপায়গুলো নিম্নরূপে আলোচনা করা হলো।

  • ভালো মেয়ের একটি গুণ হচ্ছে সে কখনো লোভী হবে না। অর্থাৎ যে মেয়ের লোভ কম সেই মেয়ে সংসারে উন্নতি করতে সক্ষম।
  • যে মেয়ের মধ্যে কোন অহংকার নেই সে নিঃসন্দেহে ভালো মেয়ে।
  • রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। রাগী মেয়ে কখনোই সংসারে উন্নতি করতে পারে না। তাই যে মেয়ের রাগ নেই তাকে ভাল হিসেবে ধরা যায়।
  • ভালো মেয়েরা সব সময় তর্কবিতর্ক থেকে দূরে থাকে।
  • যারা হিংসা করে না তারা অনেক ভদ্র হয়ে থাকে।
  • পোশাক-আশাকে শালীন হবে। সাধারণত এরা পর্দা করে।
  • কখনো উচ্চস্বরে কথা বলে না।
  • এরা কখনো টিভি বা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে না।

বিয়ের জন্য ভালো মেয়ে চেনার উপায়

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা বর্তমান সময়ে একটি দুরহ ব্যাপার। সবাই চাই পাত্রী যেন ভালো হয়। কিন্তু এই ভালো পাত্রী বা ভালো মেয়ে খোঁজার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

  • ভালো মেয়েদের কখনো অতিরিক্ত বন্ধু-বান্ধব থাকে না। হাতে গোনা গুটি কয়েক বন্ধুবান্ধব থাকে।
  • তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং কথাবার্তায় ভদ্র হয়।
  • এখন আমরা ফেসবুক ছাড়া চলতে পারি না। যখন সময় পাই তখন ব্রাউজিং শুরু করে দেই। কিন্তু ভালো মেয়েরা কখনোই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ে না।
  • সহানুভূতিশীল নারী কখনো খারাপ হতে পারে না। তাদের মনটা অনেক কোমল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
  • বিয়ের জন্য ভালো মেয়ে চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে বংশপরিচয় দেখে চেনা। এক্ষেত্রে বাবা মাকে ভালো হতে হবে।
  • ভালো মেয়েরা বেপরোয়া ভাবে রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করে না। যদি বেপরোয়াভাবে ঘোরাঘুরি করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়েটি খারাপ।
  • ভালো মেয়ে কিনা সেটা তার পোশাক দেখে বোঝা যায়। কারণ ভালো মেয়েরা কখনোই এমন পোশাক পরবে না, যে পোশাক মানুষ খারাপ বলে।
আরো পড়ুনঃ-  নাম দিয়ে রাশি নির্ণয় পদ্ধতি - জন্ম তারিখ দিয়ে রাশি জানার উপায়

মুখ দেখে নারী চেনার উপায়

নারীকে মুখ দেখেও চিহ্নিত করা যায় আসলে সে কোন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তবে মেয়েদের মুখ দেখে সহজেই বোঝা যায় মেয়েটা কোন প্রকৃতির। আসুন জেনে নিই মুখ দেখে নারী চেনার কয়েকটি উপায়।

মুখে যদি অতিরিক্ত দাগ থাকে সে নারী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে অনেকটাই অমনোযোগী। যে কোন পরিস্থিতিতে যদি তার মুখ পরিষ্কার না থাকে তাহলে সে অনেকটাই অলস। মুখের আকার আকৃতি যদি কথা বলার সময় বেশি করে পরিবর্তন করে তাহলে তার চরিত্রের সমস্যা আছে। 

মুখের ভাষা যদি ঠিক না থাকে তাহলে সেই নারীর লজ্জা কম এবং কাউকে রেসপেক্ট করতে জানে না।

মেয়েদের মুখে সাধারণত দাগ সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেয় যে মেয়ের মুখে অতিরিক্ত দাগ থাকে তারা রাত জাগে এবং তাদের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণ হয় না।

সেই সাথে ঘুম না হওয়ার কারণ হলো তারা নিয়মিত ঘুমাতে পারে না বলে তাদের ঘুম হয় না যদি মনের মধ্যে আজেবাজে চিন্তা প্রকাশ করে এবং সে আজেবাজে চিন্তাই মনোযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু তার মুখের পরিবর্তন হবে এবং তার মুখে অনেক দাগ দেখা দিবে।

  • মেয়েদের মুখ যদি একটু লম্বা প্রকৃতির হয় তাহলে সে মেয়েটা খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে।
  • ভ্রু থেকে চোখের দূরত্ব যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে মেয়েটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে।
  • পাশাপাশি দুটি ভ্রূর মাঝখানের দূরত্বটা যদি বেশি হয় তাহলে সে নারীর অনেক সহ্য ক্ষমতা রয়েছে।
  • যে মেয়ের ওপরের ঠোট মোটা হয় সে কথাবার্তায় অনেক ভদ্র হয়ে থাকে।
  • কোন নারীর যদি চোখের পাতায় কোন প্রকারের ভাঁজ পরিলক্ষিত হয় তাহলে সে নারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করে।

এই উপায় গুলো ছাড়াও দাঁত, নাক ইত্যাদি দেখে সহজেই বোঝা যায় নারী কোন প্রকৃতির।

ঠোঁট মোটা মেয়েরা কেমন হয়

মেয়েদের ঠোঁটের ধরণ দেখেই তাদের ব্যক্তিত্ব চেনা যায়, বোঝা যায় তাদের মানসিকতা। বিষয়টি পুরোপুরি ধারণানির্ভর হলেও একেবারে অযৌক্তিক নয়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবী করেছেন, নারীদের ঠোঁট দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব, মানসিকতা, মন-মেজাজ ইত্যাদি ভালোভাবে চেনা যায়। তারা বলছেন, নারীদের ঠোঁট দেখে শতভাগ চেনা না গেলেও অন্তত তাদের যতটুকু চেনা দরকার ততটুকু চেনা যায়।

মোটা ঠোঁট- যে জাতকের ঠোঁট মোটা হয়, তাঁরা রাগী স্বভাবের হয়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই রাশির জাতকরা। তবে এঁরা জেদি স্বভাবের হন। এই জাতকদের মন অশান্ত থাকে। পাশাপাশি ধৈর্যের অভাব দেখা দেয়।

“ঠোঁট মোটা মেয়েরা কেমন হয়” এই ধরনের প্রশ্ন বা ধারণা একটি কুসংস্কার এবং ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি মানুষের ব্যক্তিত্ব, ক্ষমতা এবং মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে। প্রতিটি মানুষই অনন্য এবং তার নিজের চেষ্টা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তার জীবন গড়ে তোলে। তাই, আমরা সবাইকে তাদের ব্যক্তিত্ব এবং মানবিক গুণাবলির মাধ্যমে বিচার করা উচিত, না যে তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা সামাজিক অবস্থানের মাধ্যমে।

পা দেখে নারী চেনার উপায়

সাধারনত জ্যোতিষিরা মানুষের হাত দেখে ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন। তবে ভারতীয় জ্যোতিষের মধ্যে একটি বিশিষ্ট শাখা রয়েছে যার নাম হচ্ছে সামুদ্রিক শাস্ত্র। ‘সামুদ্রিক’, শাস্ত্র বলতে লক্ষণ দেখেই বিচার করে থাকে। গ্রহলক্ষণ বা জন্মপত্রিকায় যাওয়ার আগে সামুদ্রিক বিচার সম্পন্ন করতেন জ্যোতিষীরা। এই সময়ে সামুদ্রিক বিদ্যার চল কমে এলেও অনেকেই আস্থা রাখেন এই পদ্ধতির উপরে।

সত্যাসত্য বিচার পরে। একটা কথা এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে প্রাঞ্জল যে, কতটা খুঁটিয়ে মানব শরীরকে লক্ষ করেছিলেন শাস্ত্রকাররা, তা বোঝা যায় এই ‘বিচার’গুলিতে।

এখানে সামুদ্রিক শাস্ত্রে উল্লিখিত একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা রাখা হল। বিষয়টি মেয়েদের পা। স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম নাকি পদপল্লবেই প্রস্ফূটিত। চলুন তাহলে দেখা যাক, সামুদ্রিক জ্যোতিষ কী বলে।

✅যে নারীর পায়ের পাতা নরম, মোলায়েম, উষ্ণ, হালকা গোলাপি রঙের এবং ঘামহীন, তাঁরা যৌনজীবনে সুখী। কিন্থ জীবনে দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের রয়েছে।

✅যে নারীর পায়ের পাতায় শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, পতাকা বা মৎস্য চিহ্ন রয়েছে, তাঁদের রাজরানি হওয়ার যোগ রয়েছে। কিন্তু ইঁদুর, সাপ অথাবা কাক চিহ্নযুক্তাদের কপালে দারিদ্র্যযোগ রয়েছে।

✅যে নারীর পায়ের নখ গোলাপি রঙের, মেলায়েম এবং কিছুটা বেরিয়ে থাকা ও গোলাকৃতি, তাঁদের জীবনে সুখ ও সম্পদ অবশ্যম্ভাবী। কালো ও ভাঙা নখের মালকিনদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা।

✅যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুল ছোট, তাঁদের আয়ু কম।

✅যে নারীর পায়ের পাতার তলদেশ এবড়ো-খেবড়ো, তাঁরা জটিল চরিত্রের।

✅বুড়ো আঙুল আর পায়ের পাতার তলদেশের মধ্যেকার কার্ভ যদি বেশি বাঁকানো হয়, তবে ধরে নিতে হবে তাঁর আর্থিক অবস্থা সাধারণ।

আরো পড়ুনঃ-  স্বপ্নে জুয়া খেলতে দেখলে কি হয় - জুয়া খেলার পরিণতি

✅যে নারীর পায়ের আঙুল একটি উপরে আর একটি চেপে থাকে, তাঁর বৈধব্যযোগ থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে সামুদ্রিক শাস্ত্র।

✅যদি কোনও নারীর পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুল মাটি স্পর্শ না করে, তাহলে তাঁর স্বামীর তাঁকে ত্যাগ করে অন্য নারী বিবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

✅হাঁটার সময়ে যে নারীর পা থেকে ধুলো ছিটকোয়, তিনি পরিবারের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

✅যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুলের থেকে পাশের আঙুলটি বড়, তিনি দাম্পত্যজীবনে সুখী।

✅যে নারীর গোড়ালি দৃঢ়, তাঁকে কাঙ্ক্ষা না করাই ভাল। যে নারীর গোড়ালি উঁচু, তাঁর দুশ্চরিত্রা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভাগ্যবতী মেয়ে চেনার উপায়

এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে, বিয়ের পর স্ত্রী ভাগ্যে সৌভাগ্যশালী হয়েছেন বহু মানুষ। কারণ নারীরা তাঁদের ভাগ্যের জোরে শুধু নিজের পরিবার নয়, স্বামীর পরিবারেও সৌভাগ্যে ভরিয়ে দিতে পারে। এমন নারীদের কিছু লক্ষণ থাকে। শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে এই লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সেই নারী অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী। তিনি যেখানেই যাবেন, সকলকে সমৃদ্ধ করবেন।

নারী এবং পুরুষ উভয়ের মেলবন্ধনে সংসার সুখের হয়ে ওঠে। কিন্তু সংসার কতটা সমৃদ্ধ হবে তা নির্ভর করে নারীর উপরই। হিন্দু শাস্ত্র এবং জ্যোতিষ মতে নারীকে এ জন্য বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে, বিয়ের পর স্ত্রী ভাগ্যে সৌভাগ্যশালী হয়েছেন বহু মানুষ। 

কারণ নারীরা তাঁদের ভাগ্যের জোরে শুধু নিজের পরিবার নয়, স্বামীর পরিবারেও সৌভাগ্যে ভরিয়ে দিতে পারে। এমন নারীদের কিছু লক্ষণ থাকে। শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে এই লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সেই নারী অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী। তিনি যেখানেই যাবেন, সকলকে সমৃদ্ধ করবেন।

দেখে নিন কী কী সেই লক্ষণগুলি:

১। চোখ এবং মুখ

বড় চোখ এবং গোল মুখের নারীরা সৌভাগ্যবতী হন। শাস্ত্রে নানা রকম চোখের আকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে গোল মুখ, সামান্য উঁচু চিবুক এবং বড় বড় টান চোখ থাকলে বুঝতে হবে সেই নারী অত্যন্ত সুলক্ষণা।

২। চুল তার কবেকার…

একঢাল কোমর পর্যন্ত ছাপানো চুল সৌভাগ্যশালী নারীর অন্যতম লক্ষণ বলে ধরা হয়। তবে চুল সমান হতে হবে। কোথাও পাতলা, কোথাও ঘন হলে হবে না। এঁরা সর্বত্র সৌভাগ্য বয়ে আনেন।

৩। যে মেয়েদের পা এমন

ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী যে মেয়েদর পা লাল, কোমল ও পা ফেললে মেঝের সমতলে পড়ে তাঁদের সৌভাগ্যবতী মনে করা হয়। পায়ের আঙুল পরস্পরের সঙ্গে লেগে থাকলে, সোজা, গোল, মোলায়েম ও ছোট নখ হলে সেই মেয়েরা সুখ ও ঐশ্বর্য প্রদানকারী হয়। এমন স্ত্রী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য সৌভাগ্যবান হন। যে পুরুষের সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মেয়েদের বিয়ে হয়, তাঁদের ভাগ্য বিয়ের পর উন্নতির শিখরে পৌঁছয়।

​৪। তিলের অবস্থান

এই পুরাণ অনুযায়ী যে মেয়েদের শরীরের বাঁ অংশে বেশি তিল থাকে, তাঁরা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জন্য ভাগ্যবতী হন। এমন মেয়েদের ওপর সবসময় লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে। এই বৈশিষ্ট্যের মেয়েরা নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। যে ঘরে এঁদের বিয়ে হয়, সেখানকার সদস্যরা দিন প্রতিদিন উন্নতি করতে থাকেন। ঘর ও পরিবারের সদস্যদের সুখ বৃদ্ধি করেন এই মেয়েরা।

​৫। হাতের আঙুল

ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী যে স্ত্রীর হাতের আঙুল গোল, লম্বা, পাতলা, কোমল, লাল রঙের ও চার আঙুল পরস্পরের সঙ্গে লাগিয়ে রাখলে মাঝখানে কোনও ছিদ্র সৃষ্টি হয় না, তাঁরা সমস্ত ধরনের সুখ-সাধন লাভ করতে পারে। পাশাপাশি এই মেয়েরা সমাজে জনপ্রিয় হয়ে থাকেন। সকলে এঁর প্রশংসা করেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য ভাগ্যবতী হন এঁরা।

৬। হাত ও পায়ের তালু

বিয়ের পর দুধে আলতা গুলে নববধূর সামনে রাখা হয়। একটি কাপড়ের উপর হেঁটে তিনি শ্বশুর দৃহে প্রবেশ করেন। এই রীতি বহু প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত হয়েছে। এর পিছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। শাস্ত্রে বলা রয়েছে, যে নারীর পায়ের মাঝখান মাটিতে স্পর্শ করে না (অর্থাৎ যাঁরা ফ্ল্যাট ফুটেড হন না) এবং যিনি হাতের তালুতে দীর্ঘ ক্ষণ জল ধরে রাখতে পারেন, তিনি খুব সৌভাগ্যশালী হন।

​৭। ঘাড়ের দৈর্ঘ্য

যে মেয়েদের ঘাড় লম্বা, তাঁদের কাছে কখনও অর্থাভাব হয় না। আবার যে মেয়েদের ঘাড়ে চার আঙুলের মাপে তিনটি স্পষ্ট রেখা থাকে, তাঁদের কাছে অনেক গহনা থাকে। স্বামীর জন্য ভাগ্যবান হন এই মেয়েরা। নিজের স্বভাবের কারণে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নিতে পারেন এই মেয়েরা। পরিস্থিতি যেমনই হোক না-কেন, এঁরা সবসময় নিজের স্বামীর পাশে থাকেন।

৮। ​চোখ ও মাথা এমন হলে

আবার সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে মহিলাদের চোখ বড় তাঁরা অত্যন্ত দয়ালু প্রবৃত্তির হন। তাঁদের মধ্যে দান ও পরোপকারের অনুভূতি থাকে। তাঁরা পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের ভালো ভাবে যত্ন নিতে পারেন। আবার যে পরিবারে এই মেয়েদের বিয়ে হয় সেখানে কোনও অর্থাভাব থাকে না। 

আরো পড়ুনঃ-  পরিবেশ কাকে বলে? পরিবেশের প্রধান উপাদান কি কি

অন্য দিকে যে মেয়েদের মাথা চওড়া তাঁরা খুব সহজে জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। এঁরা সমস্ত দিক থেকে নিজের পরিবারের রক্ষা করে। চওড়া মাথাযুক্ত স্ত্রীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী বন। সমস্ত কাজে সাফল্য লাভ করেন এঁরা। কথায় আছে যে ঘরে মহিলা নেই সেই ঘরকে ঘর বলে মনে হয় না। 

সেই ঘর সব সময় অপূর্ণ বলে মনে হয়। একটা বাড়িকে মন্দিরের মতো করে তুলতে মহিলাদের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। নিজের পছন্দ অপছন্দের কথা না ভেবে মহিলারা অন্যের প্রয়োজনের কথা বেশি করে ভাবেন। মহিলাদের বেশ কিছু লক্ষণ থাকে যা দেখে বলে দেওয়া যায় তাঁরা কতটা ভাগ্যবতী। বলে দেওয়া যায় তিনি যে বাড়ির মেয়ে বা বউ হলে সেখানে কতটা ভাগ্যের উদয় ঘটবে।

বিবাহিত মেয়েদের চেনার উপায়

বিবাহিত মেয়েদের চেনার জন্য তাদের শরীরের গঠন দেখলেই বুঝা যায় বিবাহিত মেয়েদের মাজার দিকের সাইজ গুলো অনেকটাই আকৃতিতে বড় হয় এবং বুকের সাইজও অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে। তবে অনেক অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে যাদের মাজার সাইজ এবং বুকের সাইজ আগে থেকে কিন্তু বেশি হয় এটি মূলত শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্যই তাদের পরিবর্তন হয়।

তবে কিশোর অবস্থায় যদি এসব মেয়েদের শারীরিক অঙ্গ এবং বুকের সাইজগুলো যদি বেশি হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে সেই মেয়ে বিবাহিত। আবার অনেকেই চিকনা মেয়ে আছে যারা বিবাহিত কিনা চেনা যায় না এক্ষেত্রে তাদেরকে পোশাকের মাধ্যমেই চিনে নিতে হয়। 

সাধারণত হিন্দু বিবাহিত মেয়েরা কপালে সিঁদুর পরে। কিন্তু মুসলমান মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহিত মেয়েরা সালোয়ার কামিজ থ্রি পিস সহ শাড়ি পড়ার চেষ্টা করে এবং তারা হাতে ছড়িয়ে পরিধান করে সেই সাথে নাকে নাকফুল ব্যবহার করে। শুধুমাত্র বিবাহিত মেয়েরা বেশি মাত্রায় নাকে নাকফুল ব্যবহার করে এই নাকফুল দেখে বুঝে নিতে হবে যে আসলে মেয়েটি বিবাহিত কিনা। 

বিবাহিত মেয়েরা হাঁটাচলা করার ক্ষেত্রে তেমন কোন গুরুত্বসহকারে চলাফেরা করে না। এবং পুরুষ মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য তেমনভাবে সে মুভমেন্ট করে না। পোশাক আশাকের প্রতি তারা যত্নশীল হয় এবং তেমন কোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা নিয়মিত একই পোশাক পরিধান করার প্রবণতা থাকে। 

বিবাহিত মেয়েরা সাধারণত গেঞ্জি বা টি শার্ট টাইপের পোশাকগুলো কখনোই পড়েনা যদিও বা পড়ে থাকে তাহলে খুবই কম বয়সে যাদের বিয়ে হয় তারাই মাত্র এ সমস্ত পোশাকগুলো পড়ে।

অবিবাহিত মেয়ে চেনার উপায়

সাধারণত টি-শার্ট সালোয়ার কামিজ থ্রি পিস পড়ে থাকে। এক হাতে চুড়ি পড়তে পারে আবার এক হাতে চুরি নাও করতে পারে। এদের হাতের আঙ্গুলে রিং পরানো থাকে তবে এক্ষেত্রে স্টাইলিশ রিংগুলো বেশি পড়ে থাকে। এক পায়ে তোড়া ব্যবহার করে অন্য পায়ে ব্যবহার করেনা। বাইরে গেলে তারা ছোট পার্টস ব্যবহার করে অথবা স্কুল কলেজ ব্যাগগুলো ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

নিয়মিত একই রকমের পোশাক পড়ে না প্রত্যেকদিন পোশাক পরিবর্তন করে। সেই সাথে সাজুগুজু করে বের হয় এবং চুল খোলা অথবা চুল বেঁধেই বের হয়। এদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সাইজের দিক থেকে অনেকটাই চিপা চাপা হয়ে থাকে এবং জামাকাপড় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে তারা একেবারে কেয়ারফুলি থাকে।

অবিবাহিত মেয়েরা পুরুষদের এড়িয়ে চলে এবং ভিড়ের মধ্যে তারা চলাফেরা করেনা সেই সাথে তারা একা একা বসে থাকতে পছন্দ করে নিরিবিলি পরিবেশে তারা দাঁড়িয়ে থাকে অথবা বসে থাকে। অবিভীত মেয়েরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে এরা উচ্চ মেজাজে অথবা উচ্চস্বরে কম কথা বলে। এরা ভিড় এবং যে সমস্ত এলাকাগুলোতে বেশি মাত্রায় ভেঙে ঐ সমস্ত এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।

লেখকের শেষ মতামত

শারীরিক গঠন দেখে সব মেয়েকেই চেনা যায় না এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কোয়ালিটির মেয়ে রয়েছে তারা সাধারণত অল্প বয়সে এবং বেশি বয়সেও তারা বিয়ে করে থাকে তবে বর্তমানে এখন বিবাহিত এবং অবিবাহিত মেয়েদের চেনা অনেকটাই দুষ্কর কারণ অল্প বয়সেও অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় আবার অনেকটা মোটা এবং স্বাস্থ্যবান মেয়েদের অনেক সময় বিয়ে হতে দেরি হয় এবং তারা বিয়ে দেরি করে থাকে।

তাই যে কোন মেয়েকে শরীরের গঠন দেখে অথবা পোশাক-আশাক দেখে কখনোই ডিসাইড করা যাবে না যে আসলে এটা কি ধরনের মেয়ে তাই সবকিছু জানার জন্য তার পারিবারিকভাবে অথবা তারা কেউ কোন বন্ধুর মাধ্যমে তার বিষয়ে ভালোমতো জেনে নেওয়া উচিত হবে এবং মেয়েকে দেখেই মন্তব্য করা যাবে না সে কেমন কিনা কোন মেয়ের মধ্যে কেমন কি গুণ রয়েছে তা জানার জন্য তার ফ্যামিলির সাথে অথবা তার সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।

এই ছিল আজকের শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায় জানতে পেরেছেন।

এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment