মিষ্টি কুমড়া আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি সবজি। তবে এই সবজি যেমন সুস্বাদু তেমনি নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলে মিষ্টি কুমড়া খেলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। তবে মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায় মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে হবে সঠিক নিয়মে। মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে দূরে রাখতে পারবে নানা রকম রোগ থেকে।
বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া এই খাবার গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তান বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া কিভাবে আপনাদের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে তা জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ
মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। তাই এসব উপাদান পেতে চাইলে অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া খেতে হবে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবং প্রতি ১০০ গ্রামে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতি ১০০ গ্রামে মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ নিম্নলিখিত দেওয়া হলো-
- ক্যালোরি- ৩৫৩ গ্রাম
- মোট ফ্যাট- ১৬ গ্রাম
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট- ৪.৩ গ্রাম
- কোলেস্টেরল- ৩মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম- ৫৮০ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম- ১২১ মিলিগ্রাম
- মোট কার্বোহাইড্রেট- ৪৫ গ্রাম
- ডাইরেটরি ফাইবার- ১.৫ গ্রাম
- সুগার- 2.2 গ্রাম
- প্রোটিন- ৭ গ্রাম
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। কারণ এতে প্রচুর ভিটামিন থাকে যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে অনেক বেশি শক্তি যোগায় এবং হজম ভালো করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে যা গর্ভের শিশুকে অক্সিজেন পেতে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্তশূন্যতা রোধেও সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে কুমড়া খাওয়া নিরাপদ। কুমড়ায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এটি প্রোভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস। কুমড়ার বীজ ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ। এই ভিত্তিতে, একটি সুস্থ গর্ভাবস্থায় কুমড়া সেবন নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে কারো গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই কুমড়া খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় দিনে কি পরিমাণ কুমড়া খাওয়া যায়?
যদি আমরা গর্ভাবস্থায় কুমড়া খাওয়ার কথা বলি, তাহলে একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন আধা কাপ কুমড়ো অন্যান্য সবজির সাথে খেতে পারেন। গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এই পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। এ বিষয়ে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উপকারী হতে পারে, কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য এটি উপযুক্ত নাও হতে পারে । গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য গ্রহণ সর্বদা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। তাই গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারে আপনার খাদ্য তালিকায়। তবে মিষ্টি কুমড়া বা মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায় মিষ্টি কুমড়া খেতে হবে সঠিক পরিমাণে।
যেকোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। তেমনি মিষ্টি কুমড়া অতিরিক্ত খেলে শরীরের উপকারী থেকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আর গর্ভবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সবচেয়ে বেশি সতর্কতার সাথে খাবার খেতে হয়। তবে মিষ্টি কুমড়া গর্ভাবস্থায় খেলে উপকার পাবেন।
মিষ্টি কুমড়া অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া গর্ভবস্থায়ও খেতে পারবেন।তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে সব জিনিসেরই উপকার ও ক্ষতিগ্রস্ত দিক রয়েছে এজন্য মিষ্টি কুমড়া পরিমাণমতো গর্ভাবস্থায় খাওয়া খুব প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা-
১। পুষ্টির চাহিদা মেটাবেঃ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার। এছাড়াও এতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি। তাই এটি সহজেই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে তারা স্বাস্থ্য ও শিশুর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে।
২। ফোলেট সরবরাহ করেঃ মিষ্টি কুমড়ায় ফোলেট নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ফোলেট গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক মস্তিষ্কের উন্নতি ও নালিকা টিউব নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ মিষ্টি কুমড়ায় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি অল্প পরিমাণে নিয়মিত খেতে পারলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকার নিয়ে আসবে।
৪। ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সমর্থন করেঃ মিষ্টি কুমড়া ফাইবার সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মায়েদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করেঃ মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে এটি সরবরাহ করে থাকে। তাই এটি গর্ভবতী মায়েদের হাড় ও দন্তকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৬। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ গর্ভবতী মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়ার মধ্য কোন ক্যালরি রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে শরীরে পুষ্টির যোগা দেই এবং ওজন বেশি হবার সম্ভাবনা থাকে না।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সমস্যায় ভুগলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
৮। হার্ট ভালো থাকেঃ নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে হার্ট ভালো থাকে। গর্ভাবস্থায় হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত স্টিকোমরা খাওয়া উচিত। মিষ্টি কুমড়া খেলে হাড়ের ভেতরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
৯। শিশু চোখের জন্য উপকারীঃ মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন এ রয়েছে ভিটামিন এ ও বেটা ক্যারোটিন গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশু চোখের জন্য খুব উপকারী।
১০। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ ও ভালো রাখতে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন সি থাকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয় যে খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সাধারণত এই খাবার গুলো খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এই নিয়ম গুলো মেনে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক গুলো জানার পাশাপাশি আমাদেরকে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।
সাধারণত আমরা বাঙালি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খেতে পছন্দ করে থাকি। মিষ্টি কুমড়া ভাজি করে, ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না অথবা মাংসের সাথে রান্না করে খাওয়া হয়। তবে বেশির ভাগ মানুষ রয়েছে যারা ভাজি করে মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করে। আবার আপনি যদি পারেন তাহলে মিষ্টি কুমড়া এমনি এমনি খেতে পারেন এটি অনেক সুস্বাদু। এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার ক্ষীর তৈরি করে খাওয়া যায়।
মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা
মিষ্টি কুমড়া আমরা সবজি হিসেবে সবাই পছন্দ করে। মিষ্টি কুমড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর ও অপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অপকারিতা-
- অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে পেট খারাপ ও পেটের সমস্যা এবং হজম শক্তিরও সমস্যা হতে পারে।যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের পক্ষে মিষ্টি কমলা না খাওয়াই ভালো।
- যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় তবে যে সব রোগীরা ডায়াবেটিসে ভোগেন তাদের কম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় যার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
- মিষ্টি কুমড়া বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালোর পরিমাণ অনেক বেশি এজন্য অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া খাওয়া ঠিক না।
- অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এজন্য বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে মিষ্টি কুমড়া খুব উপকারী।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায়, মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে হবে সঠিক নিয়মে। তাই আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব, মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত একমুঠো বা ১৫ থেকে ২০ টির মত বিচি খেতে পারবেন। সেজন্য মিষ্টি কুমড়ার বিচি রোদে সুখে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
তারপর সালাদ, তরকারির মধ্যে বিচি যোগ করে খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করতে পারেন। এছাড়া সকাল ও বিকালের নাস্তায় মিষ্টি কুমড়ার বিচি ড্রাই ফুডস হিসেবে অথবা অল্প তেলে হালকা ভিজে খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর ক্যালরি ও প্রোটিন রয়েছে। তাই পরিমিত পরিমাণে কুমড়োর বীজ খাওয়া যেতে পারলে শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে।
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়
মিষ্টি কুমড়ার বা মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায়, মিষ্টি কুমড়া যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর তেমনি মিষ্টি কুমড়া যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আর গ্যাসের সমস্যা হলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়।
তাই মিষ্টি কুমড়া খেতে হবে সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। তাই যাদের আগে থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে মিষ্টি কুমড়া খেলে আমাদের শরীর অনেক উপকৃত হয়। মিষ্টি কুমড়া খেলে শরীরের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নানা রকম জটিল রোগ থেকে দূরে রাখে।
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি এলার্জি হয়
মিষ্টি কুমড়া খেলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখা যায়। তবে এটি ঘটতে পারে। মিষ্টি কুমড়া সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য খাওয়া নিরাপদ মনে করা হয়, এবং এটি পুষ্টিকর খাবার। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে অনেকেরই মিষ্টি কুমড়া খেলে এলার্জি হয়। আর এলার্জি হলে যেসব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করবে সেসব লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে-
- ত্বকে ফুসকুড়ি বা রাশ হওয়া।
- মুখে চুলকানি।
- ঠোঁট, মুখ বা জিহ্বা বা ফুলে যাওয়া।
- পেট ব্যথা বা ক্র্যাম্প হওয়া।
- বমি বমি ভাব বা বমি হাওয়া।
- ডায়রিয়া হওয়া।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
তবে অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি অ্যানাফিলাক্সিস হতে পারে, আর এটি হলে জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। আপনি যদি মনে করেন যে, অন্য কোন খাবার থেকে নয় মিষ্টি কুমড়ার জন্য এলার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব হচ্ছে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকর পরামর্শ নিতে হবে। তাই এলার্জি সমস্যা হলে খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি কুমড়া বাদ দিয়ে দিন।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায়, সতর্কতার সাথে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। আর আপনি যদি এলার্জি হয়েছে সন্দেহ করেন, তাহলে অ্যালার্জিস্ট বা ইমিউনোলজিস্ট পরীক্ষা করাতে পারেন। যেমন- স্ক্রিনপ্লিক পরীক্ষা বা রক্ত পরীক্ষা, নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা সনাক্ত করতে পারেন। এসব পরীক্ষা করালে এলার্জি লক্ষণগুলোর কারণ কিনা তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে
মিষ্টি কুমড়া এমন একটি সবজি যা স্বাস্থ্য ও রূপচর্চায় নানা ভাবে কাজে আসে। তবে মিষ্টি কুমড়াতে যেমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। মিষ্টি কুমড়ার বিচি থেকে তেল তৈরি হয় সেই তেল রান্নায় ব্যবহার করলেও রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায় এবং অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
তবে মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা থাকায়, মিষ্টি কুমড়ার বিচি অল্প পরিমাণে খেতে হবে। নাহলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে মিষ্টি কুমড়া যে শুধু ওজন বাড়ায়, এমনটা নয়। মিষ্টি কুমড়াতে ক্যালরি খুব কম পরিমাণে থাকে। সেইসঙ্গে মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ও প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ থাকে।
ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া খাওয়া খুবই কাজে আসবে। তাই আপনার ডায়েটের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন মিষ্টি কুমড়া বা মিষ্টি কুমড়ার বিচি। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি না সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন।
আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি না তা জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি না সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।