গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মহিলাই অনুভব করেন। এই সমস্যা গর্ভাবস্থার হরমোনগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। এই নিবন্ধে গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হওয়ার কারণ, প্রতিকার, ঘরোয়া উপায়, খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনার মুখের তিতা ভাব দেখা দিলে খুব বেশি চিন্তার প্রয়োজন হয় না। আপনার মুখের তিতা ভাব নির্ভর করে আপনি কি খাচ্ছেন তার ওপরে। মুখের তিতা ভাবের অনুভূতি কখনো কখনো লিভার কিডনি রোগের লক্ষণও হতে পারে।
এছাড়াও দেখা যায় মুখে তিতা স্বাদ অনুভব করার কারণ হলো কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক ব্লাড প্রেসারের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিকায় সৃষ্টি হতে পারে মুখে তিতা ভাব। গর্ভাবস্থায় নারীদের মুখের স্বাদ পরিবর্তন হবে এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনি যদি আপনার দাঁতের যত্ন না নেন তাহলে মুখের তীক্ষ্ণ স্বাদ অনুভব করতে পারেন।
মুখ তিতা হওয়ার পিছনে সাধারণত অনেক সময় কিছু না খেয়ে থাকাকেই বলা হয়। চিকিৎসকের পরিভাষায় যাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও মুখে তিতো ভাব হওয়ার পিছনে হরমোনের সমস্যা মানসিক চাপ লিভারের সমস্যা থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন
গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মুখে তিতা স্বাদ লাগে। সাধারণত মুখের ভিতর বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মুখের তিতা হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন আলোচনা করা হলো।
মুখের স্বাস্থ্য সমস্যাঃ আপনি যদি নিয়মিত আপনার মুখের যত্ন না নেন তাহলে দাঁতের কোনাতে জমে থাকা খাদ্য কনা পচে যায়। যার ফলে মুখ অপরিষ্কার থাকে। মূলত এইজন্য মুখে তিতা লাগে।
মাড়ির রোগঃ যাদের মূলত মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাদের মুখে তিক্ত স্বাদ হতে পারে। বিশেষ করে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যার কারণে এমন তিতা ভাব হতে পারে।
মুখে ব্যাকটেরিয়াঃ নিয়মিত ব্রাশ না করার কারণে মুখে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। মুখে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকার জন্য মুখ তেতো লাগে। এজন্য প্রতিদিন দুইবার নিয়মিত ব্রাশ করা প্রয়োজন। তাছাড়া মুখে যদি ব্যাকটেরিয়া না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মুখে ওরাল সার্জারিঃ মুখের ভেতর কোন ধরণের ওরাল সার্জারি করলে মুখের রক্তপাত ঘতে যার ফলে মুখ তিতা হয়ে থাকে।
সর্দি ও সাইনাসের সমস্যার কারণেঃ সর্দি ও সাইনাস এর সমস্যার কারণে গর্ভবতীদের মুখ তিতা হয়। সাধারণত ভাইরাসের কারণে সর্দি কাশি হয়। সংক্রমণ দূর হলে মুখের স্বাদ পুনরায় ফিরে আসে।
লো ব্লাড সুগার এর কারণেঃ রক্তে যখন সুগারের পরিমাণ কম থাকে তখন মুখ তিতা হয়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে মাঝে রক্তে শর্করা কমে যায় তখন মুখ তিতা হয়।
কিডনি রোগঃ কিডনি রোগের জন্য শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায় যা মুখের স্বাদকে প্রভাবিত করে এবং মুখ তিতা হয়। যার কারণে কিডনি রোগের কারণে মুখ তেতো হয়।
কিছু ওষুধ ব্যবহারঃ কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে মুখে তেতো স্বাদ হয়। অ্যান্টিবায়োটিক, মানসিক চাপের ওষুধ, রক্তচাপের ওষুধ, ডায়াবেটিসের ওষুধ, আয়রন ট্যাবলেট, ও বিভিন্ন ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে মুখ তেতো হয়।
ক্যান্সার থেরাপিঃ ক্যান্সার থেরাপি অথবা কেমোথেরাপি বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শ খাদ্যে এলার্জি থাকার কারণে মুখে তেতো স্বাদ হয়।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার উপায়
গর্ভধারণের পর থেকে নিজের গর্ভে সন্তানকে সুস্থ রাখার বিশেষ যত্ন নিতে হয় আর এই বিশেষ যত্নের প্রধান অংশ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে খাদ্য তালিকায় আপনাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক এই ধরনের খাবার রাখতে হবে।
এই ধরনের খাবার আপনার ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। অনেক সময় দেখা যায় গর্ভ অবস্থায় অনেক মহিলাদের মুখ তিতা লাগে। গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- মুখ তিতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- লেবু পানি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
- মিষ্টি খাবার মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- দই মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- আদা চা মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- ফল যেমন আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করুন।
তবে গর্ভ অবস্থায় তিতা ভাব দূর করার সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে প্রথম ১৩ সপ্তাহে আপনাকে নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে এটি হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। ফলিক এসিডে ভিটামিন বি রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এ ধরনের খাবার খেলে আপনার মুখ তিতা লাগবেনা।
আমাদের দেশে মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি খুবই কম দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এই ধরনের ঘাটতি গর্ভবতী মহিলাদের দেখা যায় ফলে শিশুর গঠন বৃদ্ধির বিঘ্নিত ঘটে এবং সময়ের আগে দেখা যায় শিশু জন্ম নেওয়ার মতন জটিলতা তৈরি হয়। আর এজন্যই আপনাকে এই সময়ে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। যেমন মুরগির মাংস, পালং শাক, খেজুর, ছোলা, কলা ইত্যাদি এ ধরনের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত ঘরোয়া উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- লেবু পানি: লেবু পানি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- আদা চা: আদা চা মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- দই: দই মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- মিষ্টি খাবার: মিষ্টি খাবার মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- ফল খাওয়া: ফল যেমন আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- মসলা এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা: ধূমপান ও অ্যালকোহল মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করুন।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হলে করণীয় কি
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- মুখ তিতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- লেবু পানি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
- মিষ্টি খাবার মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- দই মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- আদা চা মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- ফল যেমন আপেল, নাশপাতি, খেজুর, কলা ইত্যাদি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করুন।
গর্ভাবস্থায় মুখ কখন তিতা হয়
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হওয়ার সময়গুলি নিম্নরূপ:
- সকালে: সকালে উঠার পর মুখ তিতা লাগতে পারে।
- খাবারের পর: খাবারের পর মুখ তিতা লাগতে পারে।
- রাতে: রাতে ঘুমানোর আগে মুখ তিতা লাগতে পারে।
- দীর্ঘ সময় ধরে না খেলে: দীর্ঘ সময় ধরে না খেলে মুখ তিতা লাগতে পারে।
- ডিহাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি না পান করলে মুখ তিতা লাগতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে মুখ তিতা হয়
গর্ভাবস্থায় নিম্নলিখিত খাবার খেলে মুখ তিতা হতে পারে:
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত কফি ও চা মুখের তিতা ভাব বাড়াতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা ভাব দূর করতে হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা ভাব দূর করতে নিম্নলিখিত খাবারগুলি খাওয়া উচিত:
- লেবু পানি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- আদা চা মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- দই মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- মিষ্টি খাবার মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- ফল যেমন আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
- অতিরিক্ত তিতা ভাব: মুখ অতিরিক্ত তিতা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা: দীর্ঘস্থায়ী মুখ তিতা ভাব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- অন্যান্য লক্ষণ: মুখ তিতা ভাবের সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন বমি, মাথাব্যথা ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ঔষধ: কোনো ঔষধ ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা হরমোনগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া উপায়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি ও সতর্কতা মেনে চললে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ তিতা লাগার কারণ কি
আমরা জানি যে মানব দেহের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের এর মধ্যে একটি হল স্বাদ। আর এই অনুভূতি আমাদের শুধু খাবার সময় আনন্দ দেয় না এটি ক্ষতিকারক বিষাক্ত কিছু খাওয়ার বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক করতে পারে। অনেক সময় অনেকেরই মুখের খাবারের স্বাদ বদলে যায় যেমন মিষ্টির টক নোনতা হতে পারে।
আবার কারো মুখে খাবারের স্বাদ ধাতব বস্তুর মত লাগতে পারে। অনেক মানুষের দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ তিতা লাগে এর পেছনে কারণ হলো সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অনেকক্ষণ কিছু খাওয়া হয়না। আমরা যখন রাতে ঘুমাতে যাই তারপরে আমাদের পেট টানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পেট খালি থাকে।
আর যদি সকালে নাস্তা খেতে দেরি হয়ে যায় তাহলে মুখের স্বাদ তেতো লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। সময় মতন যদি খাবার আমাদের পেটের মধ্যে না যায় তাহলে সেই পিত্তরইসহ খাদ্যনালির উপরে উঠে আসে। আর সেজন্যই মুখের ভেতরের অংশ তেতো লাগে। কিছু কিছু সময় দেখা যায় অনেক মানুষের মুখের স্বাদ বদলে যায় টক মিষ্টি নোনতা লাগে।
জ্বর হলে মুখ তেতো হয় কেন
জ্বর হলে মুখে রুচি চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। জ্বর হলে মুখে তেতো ভাব হয় এছাড়াও কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না তখন কি করা যায় এ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। আমরা আপনাদেরকে কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি জানাবো যেগুলা করে দেখতে পারেন তাহলে জ্বর হলে মুখের তেতো ভাব দূর হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতা এক বা দুই টি পুদিনা পাঠা মুখের ভিতরে রেখে দেখুন। পুদিনা পাতা মুখে রুচি ফিরে আনতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আপনি চাইলে যে কোন রান্নাতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও জ্বরের সময় পুদিনা পাতার চাটনি করে নিতে পারেন।
কিছু পরিমাণ ধনেপাতা পুদিনা পাতা কাঁচামরিচ আদা রসুন দিয়ে প্রথমে এই পেস্ট বানাতে হবে। তারপরে কনফ্লাওয়ার এর মধ্যে আলু ডুবিয়ে নিন সেই আলু ডুবু তেলে ভেজে নিন। অবশেষে একটি প্যানে পুদিনার পেস্ট ভালো মতন কষান।
সেই কসানো পুদিনা বেস্ট আলু ঢেলে নাড়াচাড়া করুন।চাট মসলা আর লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন তাহলে দেখবেন আপনার মুখের স্বাদ ফিরে এসেছে এবং জ্বরের সময় থাকবে না। জ্বরের সময় আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। ঘনঘন পানি খেলে পাকস্থলী থেকে বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়াও টক্সিক অ্যাসিড দূর হয়ে গেলে মুখ আর জিভের তেতো ভাব দূর হয়ে যায়।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে বলতে চাই গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা নিয়ে অবহেলা না করে আমরা উপরে যেগুলো পদ্ধতি উল্লেখ করে দিয়েছি সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন আপনার গর্ভাকালীন সময়ের মুখ তিতা দূর হয়ে যাবে। এই ছিল আজকের মুখ তিতা দূর সম্পর্কিত সকল তথ্য এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার উপায় কি তা জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।