গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খেলে কি হয় আপনি তা জানেন? গর্ভকালীন এই সময়টি মায়েদের জন্য অন্যতম সময়ের মধ্যে একটি। এই সময় নারীরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে কি খেলে বাচ্চার উপকার হবে আর কি খেলে বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
গর্ভকালীন সময়ে খাওয়া দাওয়ায় অনকে পরিবর্তন আনতে হয় কারণ এই সময় নারীর মধ্যে আর একটি নিস্প্পাপ জীবন বেড়ে উঠছে। এই সময়ে মেয়েদের তেতুঁল বা টক জাতীয় খাবারে খাওয়ার প্রতি অনেক ঝোঁক বাড়ে। এ সময় অতিরিক্ত তেতুঁল খেলে বাচ্চার ক্ষতি হবে কিনা জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
উপস্থাপনা
গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের অনেক পরিবর্তন দেখা দেয় যেমন: মুড সুয়িং ,খাওয়া দাওয়ায় পরিবর্তন ও হরমোনাল পরিবর্তন।গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের টক জাতীয় খাবারের ওপর চাহিদা বারে। গর্ভবতী নারী যারা তেতুঁল খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি,তেঁতুল হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর।তেতুঁল মা এবং গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
কিন্তু অনেকে হয়তো ভাবে যে গর্ভাবস্থায় তেতুঁল গর্ভের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কিন্তু তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেতুঁলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদান যা গর্ভবতী মায়ের শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দুর করে গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি তেতুঁলে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান আছে প্রথমে সেটা জেনে নেওয়া যাক।
তেতুঁলের পুষ্টিগুণ উপাদান
তেতুঁলে আছে ভিটামিন সি ,ভিটামিন বি, ভিটামিন ই,ফসফরাস ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, শর্করা, মেঙ্গানিজ, ফাইবার ও রাইবোফ্লাভিন, পলিফেনল, ফ্লাইভোনয়েড, থায়ামিন ও নিয়মই যা শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভ্রূণের বিকাশে সাহায্য করে। আসা করছি আপনি তেতুঁলের পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খেলে কি হয়।
গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খেলে কি হয়
তেঁতুল খেতে পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছেন। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী নারী রয়েছে তাদের তো তেতুল মনে হয় সব খাবারের মধ্যে প্রধান খাবার। খুব কম সংখ্যক গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন যারা তেতুল পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলারাই তেতুল খেতে পছন্দ করেন।
তেতুলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আচার টক জাতীয় খাবার ইত্যাদি পছন্দ করেন। কেউ কেউ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতেও বেশ পছন্দ করে। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়? অনেক গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গর্ভাবস্থায় নারীদের বিশেষ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হয়, কারণ এই সময়ে খাবারের উপাদানগুলো গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। তেঁতুল একটি সাধারণ ফল যা গর্ভাবস্থায় নারীদের কাছে টক স্বাদের জন্য আকর্ষণীয়। তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
বিশেষজ্ঞের মতে অতিরিক্ত তেতুল খাওয়া গর্ভধারণের পর শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে প্রথম ট্রাইমেস্টারে বেশি পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া একদমই উচিত নয়। তেতুল অধিক মাত্রায় খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে যায়।
তেঁতুলে অত্যাধিক মাত্রায় ভিটামিন সি থাকার কারণে এই সমস্যাটি হয়। যদি গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে যায় তাহলে সময়ের আগে শিশুর জন্ম হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও গর হতে। পাশাপাশি তেতুলে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে ধনের কোষ নষ্ট করেও দিতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেতে পারবেন কিন্তু পরিমান মত। অধিক মাত্রায় কোন খাবারই খাওয়া উচিত নয় এতে করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক তেমনি তেঁতুল। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়। তবে এই সমস্যা দূর করার জন্য তেঁতুল বেশ কাজ করে।
গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খেলে শরীরের রোগ বালাই দূর হয় যেহেতু গর্ভকালীন সময়ে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই শরীরে বাসা বাঁধে। এই সময় যদি কোন গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত তেতুল খায় তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর থেকে রোগ বালাই দূর হবে।
তেতুঁলে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ বালাই দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি ও হার্টকে আরো বেশি উন্নত করে।এজন্য গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মহিলারা চেষ্টা করবেন নিয়মিত তেঁতুল খাওয়ার।
অনেকেই তেঁতুল খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে যে গর্ভাবস্থায় তেতুল খেলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না তো।গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক বেশি চিন্তিত থাকে তাদের গর্ভের বাচ্চাদের নিয়ে যে কি খেলে গর্ভের বাচ্চার উপকার হবে কি খেলে অপকার হবে।
তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলি যে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না বরং বাচ্চার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের শরীরের অনেক উপকার হয়। তেতুলে আছে ফাইবার যা গর্ভবতী মায়ের হজম শক্তিকে আরো বেশি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় নিয়মিত তেতুল খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ,ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, রোগবালায় দূর হয়, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমে।
আরো তেতুলে আছে ক্যালসিয়াম যা বাচ্চার হাড় ও পেশী গঠনের সহায়তা করে।এত উপকারের পাশাপাশি কিন্তু অপকারও রয়েছে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত তেতুল খায় তাহলে তার শরীরে নানান রোগ দেখা দিতে পারে এজন্য চেষ্টা করবেন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে তেঁতুল খাওয়ার।
এছাড়াও তেঁতুলে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার গর্ভাবস্থায় হজমে সহায়ক, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন তেতুল খেলে ১০ গ্রাম এর বেশি খাবেন না। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে সকালে খালি পেটে একদমই তেঁতুল খাওয়া যাবে না।
যদি আপনার তেতুল খেতেই হয় তাহলে খাবার গ্রহণ করার ৩০ মিনিট অর্থাৎ আধা ঘন্টা পর অল্প পরিমাণে তেতুল খেতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে যদি গর্ভবতী মহিলার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে। পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো উচিত।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া উপকারী হতে পারে, তবে সতর্কতার সাথে এর ব্যবহার করা উচিত। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তেঁতুল খাওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
তেতুলে হাজারো খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা ও বাচ্চার জন্য অনেক বেশি উপকারী গর্ভকালীন সময়ে নারী শরীরে অনেক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় গর্ভাবস্থায় যদি কোন নারী নিয়মিত তেতুল খাই তাহলে তার শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দূর হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
কারণ তেতুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা রোগ বালায় দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়াও তেতুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আপনার যদি দীর্ঘদিন থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস তেতুলের রস খাবেন এতে খুব দ্রুত আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য নামক কঠিন রোগ থেকে রেহাই পাবেন।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন
(১) তেঁতুল ভিটামিন বি৩,৪ এর একটি ভাল উৎস এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৯ মিলিগ্রামই niacin (nicotinamide)। একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিন যে পরিমান ভিটামিনের দরকার হয় তাতে ১০% এখান থেকেই হয়ে যায়। এটি আপনার গর্ভের সন্তানের স্নায়ু, মস্তিষ্ক, হজমশক্তি উন্নতিতে সহায়তা করে।
নোট: যদি আপনার ভিটামিন বি৩ এর ঘাটতি না থাকে তাহলে অতিরিক্ত ভিটামিন বি৩ গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত নিয়াসিন গর্ভের বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
(২) ডায়েটের তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে তেঁতুল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বড় সমস্যার একটি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে অল্পতেই পেট ভরে যায়, তাই অতিরিক্ত খাবার খেয়ে আর পেট ভর্তি করতে হয় না। যেহেতু অল্প খাবারে পেট ভর্তি হয়ে যায়, তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও নেই।
(৩) প্রথম ট্রাইমেস্টারে সবাই মর্নিং সিকনেসের মুখোমুখি হয়। যদিও এটি ক্লান্তিকর কিন্তু মর্নিং সিকনেস সুস্থ গর্ভাবস্থার ইঙ্গিত করে। মর্নিং সিকনেসের প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে তেঁতুল। এতে রয়েছে ম্যালিক এসিড, টাটারিক এসিড এবং পটাসিয়াম ৭ ।
(৪) তেঁতুল হচ্ছে আয়রন এবং মিনালেরের সবথেকে বড় উৎস। আয়রন এবং মিনারেল শরীরে রক্তের পরিমান বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রন থাকা খুব দরকারি কারণ পর্যাপ্ত পরিমান আয়রন অকাল জন্মের সম্ভাবনা এবং কম ওজনের শিশুর জন্মের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
(৫) অনেক মহিলায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন। এটি মা এবং শিশুর জন্য টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং বিপাকীয় অস্বাভাবিকতার ঝুঁকি বাড়ায়। তেঁতুল শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
(৬) যারা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য তেঁতুল খুবই উপকারী, কারণ তেঁতুল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
(৭) প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ১১.৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি গর্ভধারণের সময় নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করে। এটি শ্বাসযন্ত্র উন্নত করতে সাহায্য করে এবং চেহারায় প্রাকৃতিক গ্লো নিয়ে আসে। ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর রেডিকেল প্রতিরোধ করে। ক্ষতিকর রেডিকেল শরীরে জমা হয়ে মা এবং শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
(৮) তেতুলে আছে থায়ামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি বৃদ্ধি করে এবং মন উৎফুল্ল রাখে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধে ফলে বিষণ্ণতা দেখা দেয় এই সময় যদি গর্ভবতী মা নিয়মিত তেতুলের রস পান করে এতে তার বিষন্নতা দূর হবে এবং মন উৎফুল্ল থাকবে।
(৯) তেঁতুল ভিটামিন ‘সি’ এর খুব ভালো উৎস। এই ভিটামিন ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
(১০) তেঁতুলে অনেক ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। শরীরে দ্রুত ফ্রি রেডিক্যাল ফর্মেশনে বাঁধা দেয় এইসব অক্সিডেন্ট।
(১১) তেঁতুলে নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন থাকে। এইসব প্রোটিন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
(১২) গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
(১৩) তেতুলে আছে নিয়ামিন যা দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া দূর করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
(১৪) তেতুলে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা গর্ভের বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে
(১৫) আরো তেতুলে আছে ফসফরাস যা শরীরের ঘাটতি দূর করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা কে আরও বেশি বৃদ্ধি করে।
(১৬) তেতুলে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লিভারের কার্যক্ষমতা কে আরো বেশি উন্নত করে এবং বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠনের সহায়তা করে।
(১৭) তেঁতুল আছে ফ্লাভনয়েড এর মত এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
(১৮) তেতুলে আছে শর্করা যা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। আপনার যদি ডায়াবেটিকস থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস তেতুলের রস খাবেন এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তেঁতুল, শরীরে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধের কাজে বাঁধা তৈরি করে থাকে। তাই তেঁতুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে খাওয়া উচিত।
ছোটখাটো সতর্কতা অবলম্বন করে তেঁতুল খেলে সেটা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ খাবার হিসেবেই গণ্য হয়। তবে মনে রাখবেন, আপনার খাদ্য তালিকায় তেঁতুল রাখার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে একদম ভুলবেন না।
গর্ভাবস্থায় তেতুঁল খাওয়ার অপকারিতা
বন্ধুরা গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া যায় গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।তবে কেউ যদি অতিরিক্ত তেঁতুল খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।এই জন্য সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে তেতুল খান। আপনি চাইলে নিয়মিত এক গ্লাস তেতুলের রস খেতে পারেন।
এটি আপনার গর্ভের বাচ্চা এবং আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।তেতুঁল সমস্ত রোগ বালাই দূর করার পাশাপাশি শরীরের ক্ষমতাগুলো আরো বেশি বৃদ্ধি করে। তবে যেহেতু তেতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে এর জন্য অতিরিক্ত তেতুল খেলে শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে এতে যারা সংকুচিত হয় যা থেকে পরবর্তী সময়ে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়াও তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।ক্যালসিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে তেতুলের রস খায় তাহলে তার কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেতুল খেলে ভ্রূণ কোষের ক্ষতি হতে পারে।
- তেতুলে আছে পটাশিয়াম যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাত-পা ও পুরো শরীরে পানি জমে এতে হাত- পা ও শরীর ফুলে যেতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে হার্ট ও কিডনির রোগ দেখা দিতে পারে। সাথে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
- এছাড়াও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেতুল খেলে শরীরে ম্যাগানিজের পরিমাণ বেড়ে যায় এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় ফলে শরীরে হাজার রোগ বাসা বাঁধে।
তাই আমার মতে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেতুঁল না খাওয়াই ভালো। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস সময় তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গর্ভকালীন সময়ের তিন মাস পর থেকে আপনি নিয়মিত তেতুঁল খেতে পারবেন তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটা নিরাপদ?
গর্ভাবস্থায় খাবার দাবার নিয়ে চলে নানা গঞ্জনা ! এ সময়ে যারা মা হতে যাচ্ছেন তারা কোন খাবার নিরাপদ আর কোন খাবার ক্ষতিকর এইগুলো নিয়ে বেশ কনফিউসনে থাকে।
কোন খাবার নিরাপদ, কোনটা ক্ষতিকর- এসব নিয়ে অনেক দ্বিধা কাজ করে। এরকম একটি খাবার তেঁতুল। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটা নিরাপদ- এ নিয়েই আজকের লেখা।
তেঁতুল আমাদের উপমহাদেশে একটি সুপরিচিত ফল। এই ফল অনেকেরই প্রিয় ফলের তালিকায় আছে। বিশেষ করে তেঁতুল মেয়েদের খুব প্রিয় একটি খাবারের নাম। গর্ভাবস্থায় নারীরা সাধারণত তেঁতুল খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসাগত দিক থেকেও রয়েছে এর উপকারিতা। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত। পরিমাণ বেড়ে গেলে সাইড ইফেক্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া যাবে কিনা
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই তেঁতুল খাওয়া যাবে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে অর্থাৎ বেশি খেলে শরীরে নানান রোগ দেখা দিতে পারে তার সাথে বাচ্চারও ক্ষতি হতে পারে। তেতুলে হাজারো খনিজ উপাদান রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
এছাড়াও তেতুলে রয়েছে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম যা বাচ্চার হার ও বেশি গঠনের সহায়তা করে পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের হজম শক্তিকে আরো বেশি উন্নত করে। তবে যেহেতু তেতুল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এতে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে শরীরে প্রজেস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে এতে জরায়ু সংকুচিত হতে পারে ফলে গর্ভের বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এইজন্য আমি সাজেস্ট করবো গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত তেঁতুল না খেতে।
যদি খুব বেশি তেঁতুল খেতে ইচ্ছা করে তাহলে অল্প পরিমাণে তেতুল খেতে হবে। অতিরিক্ত তেঁতুল গর্ভের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ব অবস্থায় তেঁতুল খাওয়া যাবে কিনা।
লেখকের শেষ মতামত
তেতুল একটি প্রাকৃতিক উপাদান এতে রয়েছে হাজারও ঔষধি গুনাগুন ও পুষ্টিগুণ যা গর্ভের বাচ্চা ও গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। শরীরের যেকোনো রোগ বালাই কোষ্ঠকাঠিন্য , ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া ও আনসার থাকলে নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস তেতুলের রস খেয়ে নিবেন। এছাড়াও তেঁতুল খেলে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই তেতুলের পরিপূর্ণ উপকার পেতে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস তেতুলের রস খাবেন।
পরিশেষে বলতে চাই গর্ভাবস্থায় আপনি যেই খাবারই খান না কেন পরিমিত পরিমানে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাবেন তাহলে দেখবেন সেই খাবারে বেশ ভালো উপকার পাবেন। এই ছিল আজকের গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় সম্পর্কিত সকল তথ্য এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।