আপনি কি সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা এবং সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে একদম জায়গা মত এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে এই বিষয়গুলো নিয়ে। এ ছাড়া আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পেরে যাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন ব্যাংক এর লোন সম্পর্কে।
সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীরা চাইলে খুব সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়ে তাদের স্বপ্নের বাড়ির নির্মাণ করতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সময়ে লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন যা আপনি জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলে।
সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন
সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন-সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা সম্পর্কে জানাটা একটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন যদি আপনি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে কি কেউ লোন সুবিধা পাবেন। চলুন এবার জেনে আসা যাক সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে হাউজ বিল্ডিং লোন সম্পর্কে।
যারা সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারী আছে তাদের জন্য খুব অল্পে সুদেই গৃহ নির্মাণ করা এখন আরো সহজ হয়ে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন সহ ইসলামী ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের পাঁচ ব্যাংক থেকে জ্ঞান নির্মাণ করার জন্য ঋণ নিতে পারে সরকারি চাকরিজীবীরা ।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই এর নীতিমালা জারি করা হয়েছিল ফ্ল্যাট এবং প্লেট কিনতে যারা সরকারি চাকরিজীবী আছে তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ। যেটা ওই বছরের জুলাই মাসে কার্যকর করা হয় কিন্তু যাদের এএফপিতে বেতন ভাতা শুধুমাত্র তারাই আবেদন করতে পারছেন। সে নীতিমালা অনুযায়ী জমি অথবা প্লট কেনার জন্য যেকোনো সরকারি চাকরিজীবীরা ৯০ % পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে ৯ শতাংশ সুদে।
২০ বছর মেয়াদকালীন এই ঋণের ৫ শতাংশ সুদ ঋণ গ্রহিতা পরিশোধ করবে এবং বাকি ৪ শতাংশ ঝণ সরকার ভর্তুকি দিবে মাসিক ভিত্তিতে। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে কোন কোন বিষয়ের ভিত্তিতে আপনি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে গৃহ নির্মাণ লোন গ্রহণ করবেন সে বিষয়গুলো দেওয়া হল।
- বাধ্যতামূলকভাবে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের একজন সুনগরিক হওয়া লাগবে ।
- আবাসন ঋণের জন্য অবশ্যই জমির সঠিক পজিশন এবং প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং এর পাশাপাশি আপনাকে জমির দলিল খতিয়ান নাম্বার ইত্যাদি কাগজগুলো দাখিল করা লাগবে।
- বাড়ি নির্মাণ করার জন্য আপনার নির্বাচন করা জায়গাটি যদি ডিমান্ডেবল না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ঋণের পরিমাণ কম হয়ে আসতে পারে। বিভিন্ন সময় আবার এটা বাতিল বলেও গণ্য হতে পারে।
- কিস্তি পরিশোধ এর ক্ষেত্রে ২৪ মাস সময় পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে বকেয়া কিস্তি দেওয়ার জন্য।
এগুলোর পাশাপাশি আপনার জামিনদারের আইডি ফটোকপি, সহ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও উভয় ব্যক্তির সদ্যা তোলার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দরকার হয়। এর পাশাপাশি যে
সকল কাগজপত্র দরকার হবে সেগুলো আপনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন এর শাখায় গিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারবেন
সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা
যারা সরকারি চাকরিজীবী আছেন বিভিন্ন সময় তাদের লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে যদি লোন নিতে চান তাহলে কি কি সুবিধা পাবেন এগুলো আপনাকে জানতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন যতগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তর আছে, সেখানে নিযুক্ত কর্মচারীরা তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন সুবিধা নিতে পারবেন।
এছাড়া যারা বেসামরিক প্রশাসনে কর্মরত আছেন তারা যদি কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে বা আহত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সরকার উক্ত ব্যক্তির অক্ষমতা বিচার বিবেচনা করার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা প্রদান করে। যেটা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ইএফটির মাধ্যমে।
এর পাশাপাশি কোন সরকারি কর্মকর্তা যদি মনে করে গৃহ নির্মাণ করবে সেই ক্ষেত্রেও কিছু সত্য সাপেক্ষে লোন নিতে পারবেন ২৫ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে লোন নেওয়ার জন্য একটি অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে সুবিধা হার খুবই কম।
একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি মনে করে দিন গ্রহণ করবে সেক্ষেত্রে তার ঋণ পর্ষদের সময় ৮ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ হারে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। যা অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক কম। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই একটি নীতিমালা জারি করা হয়।
যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল রাষ্ট্আয়ত্ত রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন এগুলোর সঙ্গে একটা চুক্তি করার মাধ্যমে চাকরিজীবীদের বিভিন্ন খাতে খুব সহজেই শর্তসাপেক্ষে ঋণ প্রদান করা হবে।
সেই নীতিমালা অনুযায়ী সকল বিষয়ে যদি কার্যকর নাও হয় তাহলে অন্তত সুদের হার এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া বিশেষ করে জামানতবিহীন এটা সরকারি চাকরিজীবীরা খুব সহজে পেয়ে যাবে ব্যাংক থেকে।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে যে লোন সুবিধা গুলো আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে ঋণ গ্রহণের পর একটা দীর্ঘমেয়াদি সময় পেয়ে থাকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য। যেখানে অন্য সাধারণ ব্যাক্তি যদি ঋণ দিন গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে ঋণ পরশুদের সময় কম পেলেও একজন সরকারি চাকরিজীবী ঋণ পরিশোধ করার জন্য সুযোগ পেয়ে থাকে ২০ বছর পর্যন্ত।
পিআরএল পর্যন্ত প্রতিমাসেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যদি পরিষদ করার সুযোগ রয়েছে। এর মানে হচ্ছে ঋণ গ্রহীতার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে কিস্তি ব্যবহার টাকা অটোমেটিকলি কেটে নেবে। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার প্রথমেই যে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করবে সেখানে ইএফটির বিষয়টি সম্পন্ন করে নিতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন
আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন-সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা। আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা আলোচনা করব ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের বিষয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
অন্যান্য ব্যাংকের মতো ইসলামিক ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের পার্সোনাল লোন এবং অন্যান্য লোন এর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন যে সরকারি চাকরিজীবীরা যদি লোন নিতে চায় অবশ্যই এ ক্ষেত্রে তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন যেকোন মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর বা বিভাগে নিযুক্ত হতে হবে। যে পদে চাকরি করুক না কেন সেটা স্থায়ীভাবে হতে হবে।
তাহলে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ ধরনের লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল সুবিধাটি হচ্ছে লোন নেওয়ার জন্য কোন ধরনের জামানাতে প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এখানে সুদের হার তুলনামূলক কম।
তবে হ্যাঁ সে ক্ষেত্রে আবার বিশেষ অফিসে কর্মরত কলিগকে জামিনদার রাখতে হয়। চলুন এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ইসলামী ব্যাংকের আওতায় সরকারি লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে।
- প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের আওতায় যেকোনো অধিদপ্তর কিংবা বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের যে পদে আছে সেটার স্থায়ীপদে কর্মরত হতে হবে।
- ঋণ নেওয়ার জন্য ঋণ গ্রহিতের বয়স ৫৬ বছরের বেশি হলে হবে না।
- আবেদনকৃত ব্যক্তির মাসিক বেতন অনলাইন পদ্ধতির আওতায় হতে হবে।
- পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন গ্রহণ করে সেটা যদি পরিষদের ক্ষেত্রে রেকর্ড ভালো না হয় তাহলে এক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এজন্য অবশ্যই পূর্বে রেকর্ড ভালো হতে হবে।
- কোন সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা রাষ্ট্রীয় মালিক কোন কোম্পানিতে নিযুক্ত কর্মচারীগণ এ ধরনের ঋণ পাবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতায় যেকোনো পদে কর্মরত হতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন
বাংলাদেশ সরকার অধীনে যতগুলো অধিদপ্তর রয়েছে সেখানে কর্মরত চাকরিজীবীরা বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের চাহিদা ও প্রয়োজনের ধরণ অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীরা খুব সহজে লোন নিতে পারবে। শুধুমাত্র কিছু কাগজপত্র এবং এর সঙ্গে কাজে নিযুক্ত কলিগকে জমিদার হিসেবে রাখার মাধ্যমে লোন পাস হয়।
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তাদেরকে লোন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সাহায্য করার জন্য বদ্ধপরিকর ভূমিকা রাখে। সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের বাসা বাড়ি তৈরি করতে এবং পার্সোনাল লোন নিতে পারবে। এ ধরনের লোনগুলো নেয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পদ্ধতি এবং পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী আবেদনকৃত ব্যক্তি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অধীনে যে কোন দপ্তর স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হতে হবে। লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয়গুলো অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দক্ষিণ করতে হবে সে বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- সর্বপ্রথম নিকটস্থ অগ্রণী ব্যাংকের শাখাতে গিয়ে আবেদন ফরম সংরক্ষণ করতে হবে। আবেদন ফরম এর যে সকল তথ্যগুলো দিতে বলছে সেগুলো অবশ্যই যথার্থভাবে পূরণ করতে হবে।
- আবেদনের ফরমের সাথে প্রয়োজন পড়বে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- যে কারণে আপনি লোন নিচ্ছেন অবশ্যই সেখানে সে বিষয়টা উপর প্রমাণপত্র দিতে হবে।
- আবেদন করার সময় আপনার চাকরির সনদ দিতে হবে। অর্থাৎ স্ট্যাটাস গ্রুফ।
- সেলারি সিট দেখাতে হবে অর্থাৎ মাসিক যে বেতন পায় সেই সংক্রান্ত বেতনের দলিলপত্র।
উপরে যে সকল কাগজপত্রের কথা উল্লেখ করা আছে এই কাগজপত্র গুলো নিয়ে নির্দিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিশ্লেষণ করে আপনি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কিনা সেটা আপনাকে জানিয়ে দেবে।
সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ সোনালী ব্যাংক
আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা জানবো সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ সোনালী ব্যাংক সম্পর্কে। আর এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন-সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা গুলো। চলুন তাহলে এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নিন সরকারি কর্মচারীরা সোনালী ব্যাংক থেকে গৃহ নির্মাণ নিলে কি কি সুবিধা পাবে এবং নীতি কি কি দরকার হবে।
বাংলাদেশের যতগুলো ব্যাংক আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। যারা সরকারি চাকরিজীবী আছেন তাদের কে লোন দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেউ চাকরির অবস্থায় তো কেউ আবার চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর চিন্তা করে এটি গৃহ নির্মাণ করার।
কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকাতে অর্থের সংকটে সেই সখের বাড়ি আর নির্মাণ করা হয় না। সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গৃহ নির্মাণের জন্য ব্যাপক পরিমাণ ঋণের ব্যবস্থা করেছে। এজন্য কোন ব্যক্তি যদি ঋণ গ্রহন করার মাধ্যমে ফ্ল্যাট ক্রয় করতে চাই অথবা গৃহ নির্মাণ করতে চাই সে ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত লোন সুবিধা পাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা ঋণ সুবিধা পায় ৯০ % পর্যন্ত। এছাড়াও এর পাশাপাশি খুবই কম সুদের হারের বিনিময়ে মাত্র ৮-৯% সুদের হারে করার। এছাড়া ঋণ পরিষদের মেয়েদের ক্ষেত্রেও আছে অনেক ধরনের সুবিধা। সরকারি কোনো কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী তার চাকরির বয়সের উপর নির্ভর করে ২০ বছর পর্যন্ত হৃদ বর্ষিত করার জন্য সুযোগ পেয়ে থাকে।
তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হবে যেগুলোর মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করার জন্য সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং যোগ্যতাগুলো সম্পর্কে।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতায় যতগুলো অধিদপ্তর আছে সেখানে অবশ্যই ভাবে পার্মানেন্ট ভাবে কর্মরত থাকতে হবে।
- যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করবে অবশ্যই তার বয়স ৬৫ বছরের বেশি হলে হবে না।
- চাকরির প্রণপত্র এবং স্যালারি সিটের প্রমাণ পত্র সাবমিট করতে হবে।
- কর্মরত ব্যক্তির বেসিক স্যালারি অবশ্যই ১৮০০০ টাকার উপরে থাকা লাগবে।
- যদি ফ্ল্যাট ক্রয় করতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে ডেভলপার অথবা বিক্রেতার সাথে চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দরকার হবে।
- ফ্ল্যাট কয়ের বাইনা অথবা চুক্তিপত্রের মূল কপি এবং এর পাশাপাশি নামজারি খতিয়ান, নকশা, মূল দলিল ইত্যাদি দরকার হবে।
- জেলা অথবা সাব রেজিস্টার কর্তৃক ১২ বছর তল্লাশি সহ নির্দয় সনদ এবং সরকারের হতে বরাদ্দা পাওয়ার জমির ক্ষেত্রে মূল বরাদ্দপত্র দাখিল করতে হবে।
- সোনালী ব্যাংকে যে শাখা থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন সেই শাখাতে অবশ্যই আপনার একটি হিসেবে কোন খোলা থাকতে হবে।
- পূর্বে থেকে যদি আপনার কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পরিশোধেট ক্ষেত্রে খারাপ রেকর্ড থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ঋণ বাতিল বলে গণ্য হতে পারে।
উপরে যে সকল যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো যদি বলবৎ থাকে সে ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং গ্যারান্টার এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সহ, উভয়েরই পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং নাগরিকসহ মোবাইল নাম্বার দরকার হবে। এই সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করার মাধ্যমে আপনার লোন নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনপত্রটি ভালোভাবে যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে আপনি যদি ঋণ নিতে ইচ্ছুক হন তাহলে ঋণ দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়টি সম্পর্কে মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে। সরকারি কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তারা যদি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের এই কাগজপত্রগুলো সত্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য। এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।