বেসিক ব্যাংক লোন বর্তমান সময়ে আমরা কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে যে, পরিমাণে টাকা প্রয়োজন হয়। সে পরিমাণ এর টাকা আমাদের কাছে নাও থাকতে পারে। তাই আমাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্যাংক লোন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
আর বাংলাদেশের সবথেকে সহজে লোন নেওয়ার মাধ্যম হচ্ছে, বেসিক ব্যাংক লোন। তো আপনি যদি বেশি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
কারণ আজ আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে বেসিক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানতে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বেসিক ব্যাংক লোন
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির নির্ভর ব্যবসা শুরু করতে চাইলে। আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য আপনার আর্থিক চাহিদার জন্য। বেসিক ব্যাংক লোন সর্বদাই রয়েছে। বেসিক ব্যাংক লোন সেবা সহজস্তর করার জন্য বেসিক প্রচেষ্টা নামে। একটি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক লোন সহায়তা প্রকল্প চালু হয়েছে। তাই আপনারা ব্যবসার খাতিরে সহজেই বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করে। এই ব্যাংকের লোন সুবিধাগুলো ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, কৃষি, শিক্ষা, গৃহ নির্মাণ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। নিচে বেসিক ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
বেসিক ব্যাংক লোন কারা পাবে
- ব্যক্তিগত লোন: বেতনভুক্ত বা স্বাবলম্বী ব্যক্তি যাদের নিয়মিত আয় রয়েছে।
- এসএমই লোন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (SME) যারা ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বা মূলধন বৃদ্ধির জন্য ঋণ চান।
- কৃষি লোন: কৃষক বা কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা যারা কৃষি কাজ বা কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য ঋণ চান।
- শিক্ষা লোন: শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকরা যারা শিক্ষা ব্যয় মেটানোর জন্য ঋণ চান।
- গৃহ নির্মাণ লোন: যারা বাড়ি নির্মাণ, মেরামত বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণ চান।
বেসিক ব্যাংক কি কি লোন দেয়
তো আপনি যদি বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহন করতে চান? তাহলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোন নিতে পারবেন।
আর সেগুলো হচ্ছে-
- গৃহ নির্মাণ লোন
- ঘর সংস্কার লোন
- শহর পৌর এলাকায় অ্যাপার্ট/ স্ব বাড়ি ক্রয় লোন
- আরো অন্যান্য ক্যাটাগরি লোন
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজে থাকে। তারা উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে, বেসিক ব্যাংকে দরখাস্ত করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আপনারা সহজ লোন নিতে চাইলে বেসিক ব্যাংক লোন নিতে পারেন।
বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
বেসিক ব্যাংক লোন এর উদ্দেশ্য হতে পারে ক্রয় সরঞ্জাম, সরঞ্জাম ক্রয়, সরঞ্জাম এর মেরামত, ব্যবসার সীমানা স্থান ক্রয়, মেরামত, সম্প্রসারণের বর্তমান মূলধন সহায়তা।
- এটি একটি তথ্য প্রযুক্তির নির্ভর মেয়াদী লোন নগদ ক্রেডিট লোন সুবিধা।
- বেসিক ব্যাংক লোন সুবিধাতে, ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- বেসিক ব্যাংক লোন সুদের বাঁশি ক্ষার ৯%। ব্যাংকের বিবেচনার ভিত্তিতে, কোন কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
- ব্যাসিক ব্যাংক লোন পরিশোধ এর মেয়াদি লোনের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। এবং ক্রেডিট এর জন্য এক বছর।
- বেসিক ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য যে, কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন
- বেসিক লোন নেয়ার জন্য একটি দরখাস্ত।
- জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ড।
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্স এবং উদ্যোক্তার অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।
- ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সাথে বিনিয়োগ অভীক্ষেপ প্রতিবেদন। ইত্যাদি।
বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণের যোগ্যতা
আপনি যদি কোন ব্যবসার জন্য বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে চান? তাহলে অবশ্যই যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। আর আপনার বেসিক লোন গ্রহণের যোগ্যতা যা লাগবে। সেটি হচ্ছে-
- স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট বা ব্যাংক অনুযায়ী যারা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় নিযুক্ত। এ ছাড়া যারা দক্ষ ও প্রযুক্তিগতভাবে যোগ্য।
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে (বেতনভুক্ত বা ব্যবসায়িক আয়)।
- নির্দিষ্ট বয়সসীমা (সাধারণত ২৫-৬০ বছর) পূরণ করতে হবে।
- ভালো ক্রেডিট হিস্ট্রি এবং ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা থাকতে হবে।
তো আপনারা যদি বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহনের এ যোগ্যতা গুলো অর্জন করে থাকেন। তাহলে আপনারা সহজেই বেশি লোন নিতে পারবেন।
বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণে জামানত
আপনি যদি বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহন করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু জামানার করতে হবে।
সেগুলো হচ্ছে-
- মালের অর্থ দিয়ে ক্রয়কে তপনের দায়বন্ধন, বাঁধন করা।
- সমান্তরালভাবে নিরাপত্তা।
- স্ত্রী, পিতা ও মাতা, কর্মক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে ভাই-বোন এর ন্যূনতম ২ জন পার্সোনাল গ্যারান্টি।
- আপনি যদি উপরোক্ত জামানত গুলো দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহন করতে পারবেন।
আপনি যদি বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণ করেন। তারপর পরিশোধ করতে বিলম্ব করলে ওভারটিও এর উপর 2 পার্সেন্ট জরিমানা দিতে হবে। তাই বেসিক লোন নেওয়ার পর আপনারা যথাযথ চেষ্টা করবেন সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করার। না হলে আপনাকে ২% জরিমানা দিতে হবে।
বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্তসমূহ
- পরিচয় পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট)।
- আয়ের প্রমাণপত্র (বেতন স্লিপ বা ব্যবসায়িক আয়ের বিবরণী)।
- টিন সনদ (Tax Identification Number)।
- জামানত বা সিকিউরিটি (যদি প্রয়োজন হয়)।
- ব্যবসায়িক লোনের জন্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং আর্থিক প্রতিবেদন।
- শিক্ষা লোনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ব্যয়ের বিবরণী।
বেসিক ব্যাংক লোন গ্রহণের উদ্দেশ্য
- ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা।
- ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বা মূলধন বৃদ্ধির জন্য ঋণ।
- শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহ, বা অন্যান্য জরুরি খরচ মেটানো।
- বাড়ি নির্মাণ, মেরামত বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা।
বেসিক ব্যাংক লোনের পরিমাণ
- লোনের পরিমাণ সাধারণত বেতনের ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
- সর্বোচ্চ লোনের পরিমাণ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
বেসিক ব্যাংক লোনের মেয়াদ
লোনের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে (লোনের ধরন অনুযায়ী)।
লোন পরিশোধ পদ্ধতি, ফি ও অন্যান্য খরচ
- মাসিক কিস্তিতে (EMI) লোন পরিশোধ করতে হয়।
- লোনের সুদের হার এবং অন্যান্য ফি ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
- প্রিপেমেন্ট বা আগেই লোন পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
বেসিক ব্যাংক লোন সুদের হার
লোনের সুদের হার সাধারণত ৯% থেকে ১৫% পর্যন্ত হতে পারে (লোনের ধরন এবং মেয়াদ অনুযায়ী)।
বেসিক ব্যাংক যোগাযোগ ঠিকানা
- বেসিক ব্যাংক হেড অফিস: বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক টাওয়ার, ১ ডিলকুশা কমার্শিয়াল এরিয়া, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
- ফোন: +৮৮-০২-৯৫৬৩৮১১
- ইমেইল: info@basicbanklimited.com
- ওয়েবসাইট: www.basicbanklimited.com
বেসিক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় যোগাযোগ করে লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। শাখার ঠিকানা ও ফোন নম্বর ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এই তথ্যগুলো আপনাকে বেসিক ব্যাংক লোন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেবে। আরও বিস্তারিত জানতে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।
বেসিক ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম
- লোনের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে (লোনের ধরন অনুযায়ী)।
- মাসিক কিস্তিতে (EMI) লোন পরিশোধ করতে হয়।
- লোনের পরিমাণ এবং মেয়াদ অনুযায়ী সুদ ও কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে প্রিপেমেন্ট বা আগেই লোন পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
বেসিক ব্যাংক লোন এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- সহজ শর্তে ঋণ প্রদান।
- প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার।
- দ্রুত লোন অনুমোদন প্রক্রিয়া।
- বিভিন্ন ধরনের লোন স্কিমের সুবিধা।
- নমনীয় লোন পরিশোধের বিকল্প।
- বিশেষ সুবিধা যেমন মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য কম সুদের হার।
অসুবিধা
- লোন পেতে জামানত বা সিকিউরিটি প্রদান করতে হতে পারে।
- লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।
- লোনের পরিমাণ এবং মেয়াদ সীমিত হতে পারে।
- লোন অনুমোদনের জন্য ভালো ক্রেডিট হিস্ট্রি প্রয়োজন।
বেসিক ব্যাংক লোন কেন নিবেন
- ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রয়োজনে দ্রুত এবং সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়।
- প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার এবং নমনীয় পরিশোধের বিকল্প।
- বিশেষ সুবিধা যেমন মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য কম সুদের হার।
- বেসিক ব্যাংকের বিশ্বস্ততা এবং দ্রুত সেবা।
লেখকের শেষ মতামত
আপনারা যারা বেসিক ব্যাংক লোন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্তা আলোচনা থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন। তো আপনি যদি বেসিক ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে সরাসরি বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে, লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই ছিল আজকের বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য। এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও বেসিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।