ট্যাক্স টোকেন আপনাকে প্রতিবছরই নবায়ন করতে হবে। ট্যাক্স টোকেনের ফি নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে অথবা বিআরটিএ ভেতরে যেসব ব্যাংক রয়েছে সে ব্যাংকগুলোতে যদি এর টাকা জমা দেওয়া হয় তাহলে সাথে সাথে আপনাকে টোকেন দিয়ে দেওয়া হবে। আর যারা সাধারণত ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে থাকেন তারা ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে ট্যাক্স অব্যাহত পেয়ে থাকেন।
আর যারা ইনকাম ট্যাক্স দেয় না তাদের ক্ষেত্রে গাড়ির জন্য আলাদা করে অবশ্যই ট্যাক্স দিতে হয়। আপনি ব্যাংকে TIN সার্টিফিকেট গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে গেলে তারা আপনাকে চেক করে বলে দিবে যে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে। এছাড়াও আছে ট্যাক্স টোকেন জরিমানা বকেয়া থাকলে জরিপানা টেক্স টোকেন ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য জরিপানা এগুলো জরিপানা রয়েছে।
উপস্থাপনা
বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন হচ্ছে এমন একটি প্রুফ যার মাধ্যমে জানা যায় যে উক্ত ভেহিকলের বিভিন্ন ট্যাক্স প্রদান করা হয়েছে কিনা। যেমন রোড ড্রাইভ, ফিটনেস ফি ইত্যাদি।
একটি ট্যাক্স টোকেন সাধারণত ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময়ে এই ট্যাক্স টোকেনের ফি প্রদান করে এই সময়টাতে মোটরবাইক ড্রাইভ করা যায়।
ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা আবার নবায়ন করে নিতে হয়। ট্যাক্স টোকেন রেজিস্ট্রেশন করতে যে খরচ হয় ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করার ক্ষেত্রেও একই খরচ প্রযোজ্য হবে।
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি
আমরা যারা গাড়ি চালাই তাদের সবার উচিত গাড়ির সব কাগজ গুলো ঠিক করে রাখা। গাড়ির ট্যাক্স টোকেন যদি ঠিক না থাকে তাহলে রাস্তায় পুলিশ আপনাকে ধরলে তখন মোটা টাকা জরিমানা করবে। অনেকে আছে জানে না ট্যাক্স টোকেন নবায়র ফি কত টাকা লাগে। ট্যাক্স টোকেন ফি আপনার গাড়ি কত সিসি আগে সেটা দেখবে তারপরে নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে। আপনার গাড়ি যদি ১৫০০ সিসি হয় তাহলে আপনার ট্যাক্স টোকেন লাগবে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকার মতো
আর এই ট্যাক্স টোকেন প্রতি বছর আপনাকে রিনিউ করে নিতে হবে। ফিটনেস সার্টিফিকেট সাধারণত দুই বছর পর পর রিনিউ করা লাগে। তবে এখন প্রতি বছর রিনিউ করা লাগে না ট্যাক্স টোকেন আপনি চাইলে ২ বছরের জন্য ট্যাক্স করে নিতে পারবেন। আপনি যদি ২ বছরের ট্যাক্স টোকেন করেন তাহলে ৪০০০ টাকা মতো লাগবে আপনার। আপনার গাড়ির সব কাগজ সব সময় আপটি রাখার চেষ্টা করবেন জাতে কোনো রকম কোন ঝামেলা না হয়।
ফিটনেস সার্টিফিকেট ফি
গাড়ি চালকের জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া অনেক টাই কষ্টের। সিরিয়াল ধরে লাইনে দারানো। ফিটনেস সার্টিফিকেট অ্যপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ই-মেইল অথবা মোবাইল প্রাপ্ত ই-টোকেনের সিরিয়াল নম্বরসহ ফিটনেস নবায়নের জন্য আপনাকে আবেদ করতে হবে। এরপর সেটার ফি জমা দিতে হবে ফি জমার রশিদ নির্ধারিত সময়ে আবার সংশ্লিষ্ট সার্কেলে গাড়ি নিয়ে জেতে হবে।
তারপরে আপনার নায়ন সনদ করা হবে। বিআরটিএ সার্কেলের হেল্প ডেস্ক থেকে সেটাকে বিএসপিতে ফিটনেস অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে সহায়তা করা হয়। ফিটনেস সার্টিফিট ২ বছর পর পর আপনাকে রিনিউ করতে হবে। ফিটনেস সার্টিফিট নিতে আপনাকে বিআরটিএ জেতে হবে সাথে আপনার গাড়ি ও জাবতিয় সব কাগজ পত্র সাথে নিয়ে জেতে হবে।
তার আগে আপনাতে আবেদন করতে হবে সার্টিফিট এর জন্য। আবেদন করতে তারিখ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নিকচস্থ বিআরটিএ অফিস ইত্যাদি সিলক্ট করে ফিটনেস সার্টিফিট আপনাকে জেনারেট করতে হবে। ১৫ দিন আগে তারা আপনার ফিটনেস সার্টিফিট জমা নিবে। যাদের পুরাতন ফিটনেস সার্টিফিট আছে তারা সেই সার্টিফিট দিয়েও আবেদন করতে পারবে। ফিটনেস সার্টিফিট এর ফি আপনি যে কোন ব্যাংকে এটা জমা দিতে পারবেন।
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ক্যালকুলেটর
মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের সময় ১ম ট্যাক্স টোকেন বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যু করা হয়।পরবর্তীতে বিআরটিএ ফি গ্রহণের কাজে নিয়োজিত ব্যাংক বা অনলাইনে নির্ধারিত ফি প্রদানস্বাপেক্ষে ব্যাংক হতে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায় (বিক্যাশের মাধ্যমে ফি প্রদান করা হলে নবায়নকৃত ট্যাক্সকেন গ্রাহকের প্রদত্ত ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় )। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- পূর্বের ইস্যুকৃত ট্যাক্স টোকেন সার্টিফিকেট (মূল কপি)।
বিআরটিএ-এর সার্ভিস পোর্টালে যে সকল সেবা পাবেন- মোটরযান নিবন্ধন, মালিকানা স্থানান্তর, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মোটরযানের ফিটনেস ইস্যু ও নবায়ন, ট্যাক্স টোকেন ইস্যু ও নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন।
মোট ট্যাক্স টোকেনের পরিমান দেখুন । ট্যাক্স টোকেন মোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে?
- অনলাইনে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে ট্যাক্স টোকেন ফি সম্পর্কে জানতে হলে বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন ফি ক্যালকুলেটর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এখানে প্রবেশ করে আপনি দুইটি ক্যাটাগরি দেখতে পাবেন। সেটি হচ্ছে নতুন ভেহিকেল এবং রেজিস্টার ভেরিকলের জন্য।
- আপনার বাইকটি যদি নতুন হয়ে থাকে তাহলে নিউ ভেহিকেল রেলেটেড ফি অপশনটিতে ক্লিক করুন। আর যদি আপনার মোটরসাইকেলটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে তাহলে ডান পাশের অপশনটি অর্থাৎ রেজিস্টার্ড ভেহিকেল সিলেক্ট করুন।
- এরপর পরবর্তী পেজে আপনার মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি প্রদান করুন।
- এরপর কোন ধরনের ফি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। এখানে ট্যাক্স টোকেন ফি সিলেক্ট করুন।
- সবশেষে নিচের ক্যাপচা কোডটিটি পূরণ করুন।
- এগুলো করা হয়ে গেলে ক্যালকুলেট বাটনে প্রেস করুন।
- তাহলে আপনার বিআরটিএ এর ট্যাক্স টোকেন ফি কত টাকা সেটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ট্যাক্স টোকেন জরিমানা কত
গাড়ির চালান কিন্ত আপনার ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে জানেন না। সে ক্ষেত্রে যদি পুলিশ আপনাকে ধরে তখন আপনার থেকে জরিমানা করা হবে। যদি কোন ব্যক্তি ধারা ২৬ এর বিধান না মেনে চলে তাহলে তার একটি উক্ত লঙঘন হবে একটি অপরাধ এবয় হজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ হাজার মতো তাকে জরিমানা গুনতে হবে।
এখান থেকে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন ট্যাক্স টোকেন আপডেট থাকা করতটা জরুরী। ট্যাক্স টোকেন যদি আপনার আপডেট থাকতো তাহলে আপনার এই জরিমানা লাগবে না। কিন্তু সব রকম গাড়ির ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে না কিছু কিছু গাড়ির জরিমানা এর থেকেও অনেক বেশি করে থাকে। তাই সবার উচিত গাড়ির ট্যাক্স টোকেন সবসময় আপটি রাখা।
মেয়াদ শেষ হবার ১৫ দিন আগে ফি জমা দিয়ে আপডেট করে নিবেন। আমরা যদি একটু সময় মতো দেখে নিই যে আমাদের গাড়ির কাগজ ঠিক আছে কি তাহলে কিন্ত আমাদের জরিমানা লাগে না। অনেকে আছে গাড়ি চালাই ঠিক কিন্ত তার কাগজের দিকে খেয়াল করে না। আমাদের একটু ভুলের জন্য লেগে জাবে ১০ হাজারের বেশি জরিমানা।
অনলাইনে brta ট্যাক্স টোকেন চেক করুন
আমরা অনেকেই আছি যারা brta ট্যাক্স টোকেন অনলাইনে চেক করতে চাই যে আমার গাড়ির ট্যাক্স টোকেন কোন অবস্থায় আছে। মূলত সেজন্যই আমরা আজকের পোষ্টের এই পাঠে এই বিষয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে মানে BRTA অফিসে না গিয়েই কিভাবে আপনার গাড়ীর ট্যাক্স টোকেন চেক করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমে আপনি বিআরটিএ অফিসের ওয়েবসাইট অর্থাৎ bsp.brta.gov.bd/registeredVehicleFeesIndex এই লিংকে ভিজিট করুন।
- রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা গাড়ির নম্বর এন্ট্রি করুন। ex: RAJ METRO-HA-**-**** ঠিক এমন করে। স্পেস এবং ড্যাস সব দিন।
- ফিস সমূহ লিস্ট হতে Tax Token সিলেক্ট করুন।
- সিকিউরিটি কোড দেখে দেখে এখানে সিকিউরিটি কোড প্রবেশ করুন লেখার নিচের বক্সে টাইপ করুন।
- ব্লু কালার ক্যালকুলেট বাটনে ক্লিক করুন।
- মোট ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ সব কিছুই শো করবে।
মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি কত টাকা
আপনারা যারা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার সময় ১০ বছর মেয়াদে ট্যাক্স টোকেন সহ রেজিস্ট্রেশন করেন তাদের পরবর্তীতে আর নতুন করে ট্যাক্স টোকেনের ফি জমা দেওয়ার কোন ঝামেলা থাকে না। দুই বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তীতে কত টাকা জমা দিয়ে নতুন করে আবার ট্যাক্স টোকেন করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা করব।
পূর্বে দুই বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেন এর ফি পরিমাণ ছিল ২৩০০ টাকা বর্তমানে এই ট্যাক্স টোকেন ফি এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৪৫০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে ১১০০ টাকা। আপনার নিকটস্থ এনআরবিসি ব্যাংকের শাখায় মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ নবায়ন ফি জমা দিতে পারবেন। আপনার মোটরসাইকেলের সব ডকুমেন্ট সব সময় আপডেট রাখুন, নিজে নিরাপদ থাকুন এবং ঝামেলা এড়াতে অন্যকেও সতর্ক করুন।
বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন বা অন্য কোন বিষয়ে যদি কোন কিছু জানতে চান বা কোন সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন হেল্প লাইন নাম্বারের যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে সমাধান নিতে পারবেন।
নিচে বিআরটিএ হেল্প লাইন নাম্বার এবং অন্যান্য কন্টাক্ট ইনফরমেশন গুলো প্রদান করা হলো:
- Helpline Number: 16107, 09610 990 998
- Contact Website: https://bsp.brta.gov.bd/contact?lan=en
ট্যাক্স টোকেন সম্পর্কে আমাদের মতামত
বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আজকের এই আলোচনায়।
ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করতে গিয়ে যদি কোন সমস্যায় পড়ে থাকেন বা ট্যাক্স টোকেন সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে বিআরটিএ এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি বিআরটিএ হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন করে সেখান থেকেও সেবা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে যোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি হয়তো জানতে পেরেছেন যে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ক্যালকুলেটর এবং ট্যাক্স টোকেন জরিমানা কত। এই পোষ্টটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও ট্যাক্স টোকেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে। এমন প্রয়োজনীয় ব্লগ পড়তে লার্ন-বিডি.কম ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।