গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

গ্রিন টি মূলত ক্যামেলিয়া সিনেনসিস পাতা এবং কুঁড়ি থেকে তৈরি হয়। এটি কম প্রক্রিয়াজাত চা যেটিতে অন্যান্য চায়ের থেকে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গ্রিন টি এর উৎপত্তি চীনে । চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অধিক পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় গ্রিন টি অন্যান্য চায়ের থেকে অধিক স্বাস্থ্যসম্মত।

গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি যেমন গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন এর পাশাপাশি গ্রিন টি খাওয়ার সময়, গ্রিন টির পুষ্টিগুণ, খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

গ্রীন টির পুষ্টিগুণ

গ্রীন টি খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা অপকারিতা পুষ্টিগুণ ও সতর্কতা সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব এর পুষ্টিমান সম্পর্কে। গ্রীন টি শুধু একটি পানীয় নয়, এতে রয়েছে নানা প্রকারের পুষ্টিগুণ। ইউএসডিএ এর তথ্য মতে প্রতি ১০০ গ্রাম গ্রিন টি তে রয়েছে –

  • এলার্জি বা শক্তি – ৪ কিলো জুল,
  • কার্বোহাইডেট বা শর্করা – ০ গ্রাম,
  • ফ্যাট বা চর্বি – ০ গ্রাম,
  • প্রোটিন বা আমিষ – ০. ২ গ্রাম,
  • জলীয় অংশ – ৯৯.৯ গ্রাম,
  • ক্যাফেইন – ১২ মিলিগ্রাম,
  • ভিটামিন এ,
  • ভিটামিন বি,
  • ভিটামিন বি৫,
  • ভিটামিন ডি,
  • ভিটামিন ই ইত্যাদি।

এছাড়াও গ্রিনটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলস। যেমন – 

  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম,
  • ক্রোমিয়াম,
  • পটাশিয়াম,
  • ম্যাঙ্গানিজ,
  • সেলেনিয়াম ইত্যাদি।

এই উপাদানগুলো পরিমাণে কম হলেও রেগুলার গ্রিন টি পান করলে শরীরে এর ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।

নিয়মিত গ্রীন টি পান করার উপকারিতা

গ্রীন টি পান করার উপকারিতা অনেক! গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রীন টি নিয়মিত পান করলে বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন সমস্যা দূর হয়। ত্বকের সমস্যা দূর করা সহ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে।

নিয়মিত গ্রীন টি খেলে শরীরের চর্বি কমে গ্রিন টিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এতে থাকা পরিমিত ক্যাপিং শারীরিক শক্তি যোগায় ও মেন্টাল স্ট্রেস কমায়। গ্রীন টির বিভিন্ন উপকারিতাগুলো নিম্নরূপ – 

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় 

গ্রীন টি খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা অপকারিতা পুষ্টিগুণ ও সতর্কতা সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো গ্রিন টি খেলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় সে সম্পর্কে। গ্রীন টিতে ক্যাফেইন আছে, এই ক্যাফেইন শরীরের

  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
  • ক্লান্তি দূর করে,
  • অবসাদ কাটায়,
  • মেন্টাল স্ট্রেস কমায়,
  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। 

দাঁতের গঠনে

গ্রীন টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যেগুলো মুখ ও দন্ত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। নিয়মিত গ্রীন টি খেলে দাঁতের ক্ষয় রোগ দূর হয় এবং দাঁতের গঠন সুন্দর ও মজবুত করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে 

নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শিরা ও ধমনী পরিস্কার থাকে। রক্ত চলাচল ঠিক থাকে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট ব্লকের ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

আরো পড়ুনঃ-  পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

গ্রীন টিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে একটি ইনসুলিনের রেজিস্ট্যান্স কমাতে সহায়তা করে। ফনে ইনসুলির কার্যকারিতা বেড়ে যায় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে

গ্রীন টি মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জ্বালাতে সহায়তা করে যা ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত গ্রীম টি খেলে মেদ ঝরাতে সহায়তা করে ও ওজন কমে।

হাড়ের গঠনে

গ্রিন টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,  ফসফরাস ও অন্যান্য মিনারেলস। গ্রীন টিতে বিদ্যমান এ সকল উপাদান গুলো আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করে, অস্থিমজ্জার ঘনত্ব বাড়ায়। ফলে আর্থাইটিস জনিত ব্যাথা উপশম করে। এছাড়াও গ্রিনটি খেলে মাংস হাড় ও মাংশ পেশীর গঠন ভালো হয় ও ব্যথা দূর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে গ্রীন টি। গ্রিন টিতে রয়েছে পলিফেনল ও অন্যান্য এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট। পলিফেনাল ত্বককে সাময়িক ভাবে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পলিফেনল বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে ফলে গ্রীন টি পান করলে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার (কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার, মূত্রাশয়ের ইত্যাদি) থেকে শুরু করে পাওয়া যায়।

কলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে 

কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে গ্রীন টি। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে রক্তের ব্যাড কোলেস্টেরল পরিমাণ কমে এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। ফলে রক্ত চলাচল ভালো থাকে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

শরীরে এনার্জি ঠিক রাখে 

শরীরে এলার্জি ঠিক রাখতে সহায়তা করে গ্রীন টি। গ্রিন টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও মিনারেলস। সে জন্য গ্রিন টি খেলে শরীরে এনার্জি আসে ও স্ট্যামিনা ঠিক থাকে।

ত্বকের যত্ন

গ্রীন টি খেলে ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করে, ত্বক উজ্জ্বল করে। ত্বকের বার্ধক্য হওয়ার গতিকে স্থবির করে। চোখের নিচের ডার্ক সেল দূর করতে গ্রিন টি যথেষ্ট উপকারী।

গ্রীন টির অন্যান্য উপকারিতা 

নিয়মিত ও পরিমানমত গ্রীন টি খেলে উপরে উল্লেখিত উপকারগুলো ছাড়াও নিম্নোক্ত উপকারগুলো পাওয়া যায়।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,
  • হজম ঠিক রাখে,
  • খাদ্যদ্রব্য হজমে সহায়তা করে,
  • অবসাদ বা ডিপ্রেশন দূর করাতে ভূমিকা রাখে,
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে,
  • দাঁতের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমায়,
  • ব্রণ দূর করে গ্রীন টি,
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করে গ্রীন টি।

গ্রিন টি তৈরির নিয়ম

গ্রিন টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। তবে অনেকেই আমরা জানিনা সঠিক পদ্ধতিতে কিভাবে গ্রিন টি তৈরি করতে হয়। গ্রিন টি তৈরির নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করলে এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আরও বাড়ে। সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করা গ্রিন টি ওজন কমাতে, শরীরের টক্সিন দূর করতে এবং বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

গ্রিন টি তৈরির নিয়ম সহজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত। প্রথমে হালকা ফুটন্ত পানি ব্যবহার করতে হবে, যা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। এরপর, ১ চামচ গ্রিন টি পাতা বা ১টি টি ব্যাগ পানিতে ২-৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। অতিরিক্ত সময় ভিজিয়ে রাখলে গ্রিন টি তেতো হয়ে যেতে পারে। পান করার সময় কোনো মিষ্টি যোগ না করাই ভালো।

আরো পড়ুনঃ-  মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় - মেছতা দূর করার ওষুধ

এই নিবন্ধে আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে জানব কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে গ্রিন টি তৈরি করতে হয়। পাশাপাশি জানব, গ্রিন টি বানানোর সময় কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত এবং সঠিক পদ্ধতিতে গ্রিন টি তৈরির নিয়মঃ

গ্রিন টি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী, বিশেষ করে ওজন কমাতে এটি কার্যকর। তবে এর পূর্ণ উপকার পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করা জরুরি। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে, ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম মেনে চলা উচিত। আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গ্রিন টি তৈরির নিয়ম।

১. পানির তাপমাত্রা: প্রথমে এক কাপ পানি ফুটিয়ে নিন, তবে খুব বেশি ফুটানো যাবে না। পানি ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে গরম হতে হবে, কারণ অতিরিক্ত গরম পানি গ্রিন টির পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে।

২. গ্রিন টি পাতা বা টি ব্যাগ যোগ করা: ফুটানো পানি কিছুটা ঠান্ডা হলে তাতে ১ চামচ গ্রিন টি পাতা বা ১টি গ্রিন টি ব্যাগ দিন। এটি খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন না, কারণ বেশি পরিমাণে পাতা বা ব্যাগ চা তেতো করতে পারে।

৩. ভিজিয়ে রাখা: গ্রিন টি পাতা বা টি ব্যাগ ২-৩ মিনিটের বেশি ভিজিয়ে রাখা ঠিক হবে না। বেশি সময় ভিজিয়ে রাখলে এর স্বাদ তেতো হয়ে যেতে পারে এবং উপকারিতা কমে যেতে পারে।

৪. সুবিধামতো পরিবেশন: সময়মতো টি ছেঁকে নিয়ে, টি ব্যাগ সরিয়ে চা পরিবেশন করুন। গ্রিন টি খাওয়ার সময় কোনো চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি যোগ না করাই ভালো।

গ্রিন টি খাওয়ার সময়

গ্রিন টি পান করার কিন্তু নিয়ম রয়েছে। আপনি যখন তখন ভুলেও গ্রিন টি পান করবেন না। এতে করে হিতের বিপরিত হতে পারে। গ্রিন টি পান করার সঠিক নিয়ম হলো সকালে নাস্তার করার ৪৫ মিনিট পর এবং বিকালে নাস্তা করার পর পান করতে পারেন। 

রাতে যদি পান করতে চান তাহলে বিছানায় যাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা পূর্বে গ্রিন টি পান করুন। আপনি গ্রিন টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি যখন ব্যয়াম করবেন তার পূর্বে গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতেও খুব ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে এবং ঠিক সময়ে পান করতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরা গ্রিন টি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না কোন সময়ে গ্রিন টি খেলে আমাদের শরীরে উপকার হবে। কারণ যে কোন সময় গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। আমরা সকালে, খালি পেটে গ্রিন টি খেতে পারি, কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে ,তারা খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর খাবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে খাবার খাওয়ার আড়াই ঘন্টা আগে অথবা আড়াই ঘণ্টা পরে এই গ্রিন টি খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী। রাতে খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর এই গ্রিন টি শরীরের জন্য ভালো।

গ্রীন টি একটি পানীয় হলেও যখন-তখন না খেয়ে নিম্নোক্ত নিয়ম মেনে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

  • ভালো ফল পাওয়ার জন্য গ্রিন টি অবশ্যই চিনি ছাড়া খেতে হবে।
  • সকালে বা বিকালে নাস্তা খাওয়ার ৪০ থেকে ৬০ মিনিট পরে গ্রিন টি খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 
  • ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা থেকে ৪৫ মিনিট আগে বা পরে গ্রীন টি খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • এক কাপ দুধ চা বা এক কাপ কফির চাইতে এক কাপ গ্রীন টি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
  • শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম মেনে প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি খাওয়া ভালো।
আরো পড়ুনঃ-  মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম এবং তৈরির নিয়ম জানতে হবে।আমরা বিভিন্নভাবে গ্রিন টি তৈরি করতে পারি, দুই কাপ পানি ফুটাতে দিতে হবে এরপর ফুটন্ত পানির মধ্যে দুই চামচ গ্রিন টি মিশিয়ে ৫-৬ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। গ্রিন টির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে না খাওয়াই ভালো। কারণ চিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট।

আপনারা চিনির বদলে এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনাদের গ্রিন টির থাক দাও ব্যালেন্স হবে এবং ওজন কমাতেও তাড়াতাড়ি সাহায্য করবে। যাদের সুগার রয়েছে তাদের শুধু গ্রিন টি খাওয়াই ভালো। তাহলে তাড়াতাড়ি ভালো রেজাল্ট পাবে। আবার গ্রিন টির সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে আরো বেশি ভালো হয়।চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি কখন খেলে ওজন কমে

বর্তমানে ওজন কমানোর জন্য মানুষ গ্রিন টি বেছে নিয়েছে। গ্রিন টি ওজন কমানোর পাশাপাশি গ্রিন টি তে রয়েছে অনেক উপকার। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস উদ্ভিদ থেকে এই গ্রিন টি তৈরি করা হয়। তাই গ্রিন টি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়িয়ে আমাদের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলে।

গ্রিন টি এর অপকারিতা

আপনি অতিরিক্ত পরিমানে গ্রিন টি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কফিতে ক্যাফেইন নামক একটি উপাদান রয়েছে আর গ্রিন টি এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন যা অতিরিক্ত পান করার ফলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। রাতে ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই গ্রিন টি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারন আপনি যদি রাতে গ্রিন টি পান করেন তাহলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এতে করে শরীর খারাপ হওয়ার প্রবনতা থাকে।

গ্রিন টি এর এতসব উপকারিতার মাঝেও কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তবে নিয়ম মেনে গ্রিন টি খেলে তা অবশ্য স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মাত্রাতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে আপনি নিচের সমস্যাগুলো সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন:

  • মাথা ব্যথা
  • বদহজম
  • পেটের সমস্যা
  • এসিডিটি
  • অতিরিক্ত ওজন হ্রাস
  • রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
  • মানসিক অবসাদ
  • অলসতা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি।

লেখকের শেষ মতামত

চা যদি খেতে চান তাহলে অবশ্যই গ্রিন টি পান করা উচিত। কেউ যদি নিয়মিত গ্রিন টি পান করে তাহলে তার শরীরের নানান সমস্যা সমাধান হওয়ার সাথে সাথে তাকে সুস্থ্য ভাবে বেচে থাকতেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তাই আপনি আজ থেকেই গ্রিন টি পান করা শুরু করে দিতে পারেন।

তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা খুব সহজেই জানতে পেরেছেন। এরপরও যদি বুঝতে অসুবিধা মনে হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে।

Leave a Comment