ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয়

পুরুষাঙ্গে চুলকানি এটি একটি বহুল পরিচিত রোগ। আর এই রোগটি অনেক মানুষেরই দেখা দেয় । গোসল করার সময় আশপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে চুলকানির মতো এই রোগটি হতে পারে। আবার অনেক সময় শরীরের ঘাম হলে তা শুকিয়ে যায় কিন্তু গোপনাঙ্গের ঘাম শুকায় না আর যার কারণে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে চুলকানি হতে পারে।

ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয়

গোপনাঙ্গ চুলকানি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অনেক অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর। বর্তমান সময়ে অনেকেই এই সমস্যার ভুক্তভোগী কিন্তু লজ্জায় কেউ প্রকাশ করে না। এ সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয় কি তা নিয়ে আলোচন করবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয়

ছেলেদের গোপনাঙ্গে চুলকানির সৃষ্টি বিভিন্ন কারণে হতে পারে অনেক সময় অপরিষ্কার থাকলে গোপন অঙ্গে চুলকানি সৃষ্টি হয় এই জন্য নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গ কে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এরপরেও যদি গোপনাঙ্গে চুলকানি দূর না হয় তাহলে বুঝতে হবে গোপনাঙ্গ কোন ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। 

ছেলেদের গোপনাঙ্গে ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন অন্ডকোষের চামড়ায় চুলকানি হয় কিংবা অন্ডকোষের চামড়ায় ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয় যা খুবই অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর লাগে। ছেলেরা অনেকেই লোক লজ্জার ভয়ে তাদের এই সমস্যাগুলো প্রকাশে আনতে পারে না যার কারণে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে ছেলেদের গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।

ঠান্ডা পানি

গোপনাঙ্গের চুলকানি থেকে রেহাই পেতে ঠান্ডা পানি খুবই উপকারী। অনেকেই পরিষ্কার থাকে তার পরেও গোপনাকে চুলকানি সৃষ্টি হয় এর কারণ হলো গোপনাঙ্গে ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ। ভাইরাস অথবা বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হলে গোপনাঙ্গের চুলকানি সৃষ্টি হয় এ অবস্থায় অন্ডকোষের চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি হয় অনেক ক্ষেত্রে অন্ডকোষের চামড়ায় ফুসকুড়িও দেখা যায়। এই অবস্থায় যদি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধৌত করা যায় তাহলে চুলকানি থেকে অনেকাংশে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

হাত দিয়ে চুলকানো যাবে না

আপনি নিশ্চয়ই জানেন শরীরের যে কোন অংশে চুলকানি হলে সেখানে যদি হাত দিয়ে চুলকানো হয় তাহলে চুলকানো আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এইজন্য গোপন অঙ্গ কখনোই হাত দিয়ে চুলকানো যাবে না আপনার যদি খুব বেশি চুলকানি হয় তাহলে একটি কাপড় অথবা টিস্যু পেপার ব্যাবহার করতে হবে।

বেসিল পাতার পানি

বেসিল পাতাই আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ,এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যার নিমিষেই গোপন অঙ্গে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। এটি অন্ডকোষের চামড়ায় ফুসকুড়িও দূর করতে সাহায্য করে।কয়েকটি বেসিল পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেটি গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে তারপর সেই পানি দিয়ে গোপন অঙ্গকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এটি যে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা দূর করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা নিমিষেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। 

আরো পড়ুনঃ-  দাউদ কিভাবে ভালো হয় - দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা

আপনার যদি অন্ডকোষে চুলকানি অথবা অন্ডকোষের চামড়ায় ফুসকুড়ির মত সমস্যা থাকে তাহলে এক থেকে  দুই চা চামচ apple সিডার ভিনেগার গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিবেন তারপর সেই পানি দিয়ে গোসল করবেন এতে আপনি দ্রুত গোপন অঙ্গের চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।

বরফ

গোপনাঙ্গে চুলকানি দূর করতে বরফ অনেক উপকারী। যদি কোন ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাসজনিত জায়গায় অনেকক্ষণ বরফ ব্যবহার করা হয় তাহলে সেখানকার ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায় এতে চুলকানি দূর হয়। তাই নিয়মিত দিনে এক থেকে দুইবার গোপনাঙ্গে বরফ নিয়ে ব্যবহার করবেন এতে দ্রুত আপনি চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।

নিম পাতা

নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন নিম পাতায় রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুনাগুন যার নিমিষেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও নিম পাতা তে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর করতে সহায়তা করে। কয়েকটি নিমপাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে

সেটি পাটায় বেটে নিয়ে গোপনাঙ্গে ব্যবহার করতে হবে এতে গোপনাঙ্গের চুলকানি থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও কয়েকটি নিমপাতা পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করলেও গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করা সম্ভব।

মশ্চেরাইজার

অনেক সময় গোপনাঙ্গ উস্কো শুষ্ক হয়ে চুলকানি সৃষ্টি হয়। আমরা প্রত্যেকেই ত্বক ও চুল নিয়ে ব্যস্ত থাকি ফলে গোপনাঙ্গের যত্ন করা হয় না ফলে সৃষ্টি হয় নানান সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো অন্ডকোষের চামড়ায় চুলকানি ও অন্ডকোষের চামড়ায় ফুসকুড়ি। 

আপনারা যদি এমন কোন সমস্যা থাকে তাহলে আজ থেকেই গোপনাঙ্গের যত্ন নিন। নিয়মিত গোসল করার পর গোপনাঙ্গে ভালোভাবে মশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন। এতে দ্রুত গোপনাঙ্গের যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি কেন হয়

ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানির নানা রকম কারণ রয়েছে। যেমনঃ আটশত পোশাক পরা, সেভ করার ফলে যৌনাঙ্গে আঁচিল, টিউবিক চুলের গোড়ায় সংক্রমণ এবং অবিরাম সূর্যের এক্সপোজার ত্বকের ঘর্ষণ এবং ঘামের সাথে মিলিত। এই কারণগুলো ছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনেক জার্নি করার পরেও আমরা গোসল টোসল করি না আবার আমাদের অনেক সময় গা ঘামে ভিজে গিয়ে থাকে। আমরা গোসল টোসল না করেই সেই জায়গাগুলো সে হয়ে। ফ্যানের বাতাসের দ্বারা শুকিয়ে ফেলি। সে ঘামগুলো সে স্থানে লেগে যায় পরে সেখানে ইনফেকশন হয়ে যায়। আসে ইনফেকশন থেকে আসতে আসতে চুলকানি দেখা দেয়। 

আর আমরা কম বেশি সকলে জানি আমাদের দু পায়ের মাঝখানে চুলকানি হবেই কারণ সেই জায়গা শরীরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘামে। আর আমার সেই জায়গার একটু স্পেশাল ভাবেও কেয়ারও করি না তাই ঘা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বা চুলকানি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

কিন্তু মোটেও এমন কাজ করা যাবে না দু পায়ের মাঝখানে চুলকানি হলে খুবই সমস্যা হয় তাই সমস্যা যাতে না হয়। তাই সব সময় নোংরা হাত পা বা ঘ ঘামে ভেজা শরীর গোসল করে বা না পরিষ্কার করে। রাখা যাবে না যদি আমরা রেখে দেই তাহলে আমাদের চুলকানি রোগ দেখা দিবে। আর এই রোগটা বিশেষ করে দুপায়ের মাঝখানে চুলকানি হিসেবে বেশি দেখা দিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ-  দাঁত সাদা করার উপায় - দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য বর্তমানে ফানজিডাল এইচ সি ও বেটামেসন ক্রিম অনেক কার্যকরী। পুরুষাঙ্গে ক্রিম গুলো ব্যবহার করার কিছুক্ষণ বা কয়েকদিনের মধ্যে চুলকানি অনেকটা কমে যাবে। এই ক্রিম গুলো ছেলে ও মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবে।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য আরো বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে। নিচে এই সকল ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম (Fungidal cream)

পুরুষাঙ্গ বা যৌনিপথের চুলকানি দূর করার জন্য ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম অনেক কার্যকরী। মূলত চামড়ায় ছত্রাক (Fungal) সংক্রমণ হলে এটি ব্যাবহার করতে হয়। যদি খুব বেশি চুলকায় তাহলে এই ক্রিমটি দিনে দুইবার ব্যাবহার করতে হবে।

  • শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • মুখে দেওয়া যাবে না। মুখ ছাড়া সাড়া শরীরে এটি ব্যবহার করা যাবে।
  • গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই সময় ব্যবহার না করাটা ভালো।
  • যতক্ষণ ঔষধ দেখা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আঙ্গুল দিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন।

এফান ক্রিম (Afun Cream)

এই ক্রিমটি ব্যবহার করা যৌনাঙ্গের চুলকানি ও রানের চিঁপায় চুলখানি দূর করার জন্য। ফাঙ্গাল সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে এটি কাজ করে। এই ক্রিমটি মহিলাদের জন্য অনেক কার্যকরী একটি ক্রিম। এটি মূলত যোনিপথের চুলকানি, জ্বালাপুরা, শুষ্কতা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়।

  • চুলকানি যদি খুব বেশি হয় তাহলে দিনে ২ বার এই ক্রিমটি চুলকানি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
  • চুলকানি আক্রান্ত স্থান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • এফান ক্রিমের ক্ষতিকারক দিক গুলো হলো: মাথা ব্যাথা, শরীরের ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
  • ভারত, আমেরিকা এবং জাপানে এফান ক্রিম অনুমোদন করা হয়।
  • বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় এই ক্রিম ব্যবহার না করা ভালো, প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট (Betameson Ointment)

বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট অনেক ভালো একটি ক্রিম। এটি অনেকটা জেলির মতো। এর ফলে এটি শরীরের ব্যবহার করলে চুলকানি ভাব অনেকটা কমে যায়।

  • চুলকানি বেশি হলে এটি দিনে ২ বার করে ব্যবহার করতে হবে।
  • বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট চোখের আশেপাশে ইউজ করা যাবে না।
  • অনেকে সুন্দর হওয়ার জন্য এটি মুখে ব্যবহার করে, এরকম হলে মুখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
  • বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • এটি মাথা ও মুখ ছাড়া পুরো শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
  • চুলকানি না কমা পর্যন্ত এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

বেটামেসন এন ক্রিম (Betameson-n cream)

বেটামেসন এন ক্রিম এর কাজ হলো এলার্জি বা চুলকানি দূর করা। পুরুষাঙ্গে চুলকানির জন এটি অনেক কার্যকরী। মাথা ও মুখ ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গে এটি ব্যবহার করা যাবে।

  • ১২ বছর নিচে শিশুদের জন্য এটি উপযোগী নয়।
  • অনেকে মনে করে বেটামেসন এন ক্রিম মুখে ব্যবহার করলে ব্রন দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সত্য হলো এটি মুখ নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া, শরীরের ইনফেকশন হতে পার। তাই মুখে ইউজ করা যাবে না।
  • গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত না।
আরো পড়ুনঃ-  কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো - কিডনি টেস্ট খরচ কত

ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম (Fungiderm Cream)

  • ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণের ফলে শরীরে সংক্রমন সৃষ্টি ও সারা শরীরে চুলকানি হয়, এই সমস্যা দূর করার জন্য ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। যদি গোপনাঙ্গে (পুরুষাঙ্গে / যোনিতে), রানের চিপায় চুলকায় তাহলে ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ক্রিমটি ব্যাবহার করতে হয়।
  • তবে চিকিৎসকরা চুলকানি আক্রান্ত স্থানে দিনে দুই বার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
  • শিশুদের থেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে।

এছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে যা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করে। কিন্তু আপনি নিজেই এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে যাবেন না। কেননা আগেও বলেছি আবারও বলছি পুরুষাঙ্গের চুলকানি নানা কারণে হতে পারে। তাই আপনার শরীরে কোন ধরনের সমস্যা থেকে এ ধরনের চুলকানি হচ্ছে সেটি আপনি বুঝতে পারবেন না। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম সেবন করবেন। 

অন্যথায় বিপদে পড়বেন। একজন ভালো চিকিৎসক আপনাকে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম সাজেস্ট করে থাকবেন।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ট্যাবলেট

বাজারে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য অনেক ঔষধ বা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। 

  • ফ্লুগাল ৫০ এমজি (Flugal 50 mg)
  • ফ্লুকোনাজল (Fluconazole)
  • ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine)
  • লোরাটাডিন (Loratadine)
  • আর্টিকা 25 (Artica 25)

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ওষুধের দাম ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি। 

১. ফ্লুগাল ৫০এমজি: এই ঔষধটি ছত্রাক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। দাদ হলে, বগল ও কুচকিতে এবং গোপনাঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণের ফলে চুলকানির সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে এই ঔষধটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ফ্লুগাল ৫০ এমজি ট্যাবলেটের ৭২:৬৩ টাকা দাম। এই ওষুধটি বিশ্বস্ততার সাথে অনলাইন থেকে ক্রয় করতে Flugal 50mg buy

২. ফ্লুকোনাজল: অধিকাংশ পুরুষের গোপনাঙ্গে চুলকানির জন্য এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে থাকা ক্যান্ডিডিয়াসিস উপাদান ছত্রাক প্রতিহত করতে সহায়তা করে। ফ্লুকোনাজল ট্যাবলেটের মূল্য ১৯৮টাকা।

৩. ফেক্সোফেনাডিন: এলার্জি জনিত কারণে অনেক সময় পুরুষের গোপনাঙ্গে প্রচুর চুলকানির সৃষ্টি হয়। ফেক্সোফেনাডিনে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান থাকায় এই চুলকানি থেকে উপশম করে। ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেটের বাজার মূল্য ৬৩:০০ টাকা।

৪. লোরাটাডিন: এলার্জির সমস্যা হলে অনেক সময় চুলকানি হলে থামে না এর জন্য লোরাটাডিন ট্যাবলেট সাজেস্ট করে। এন্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান রয়েছে এই ঔষধে। লোরাটাডিন ট্যাবলেট এর মূল্য ২৭:১৫ টাকা।

৫. আর্টিকা 25: জীবাণুর সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য এই ঔষধটি কার্যকর। চিকিৎসকেরা খুশকি,দাদ, মাথার ত্বক চুলকায়, পুরুষের যৌনাঙ্গের ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে এই ট্যাবলেটটি খেতে পরামর্শ দেন। আর্টিকা 25 ঔষধের দাম ৮১.৫৪

লেখকের শেষ মতামত

পুরুষাঙ্গের চুলকানি সমস্যা নিয়ে চলার চেয়ে যেনো সেই সমস্যায় না পড়তে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগ হবার আগে যদি প্রতিরোধ করা হয় তাহলেই কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। দর্শক আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয় নিয়ে।

আশা করি ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও ছেলেদের গোপনাঙ্গের পাশে চুলকানি হলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। এমন প্রয়োজনীয় ব্লগ পড়তে লার্ন-বিডি.কম ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।

Leave a Comment