উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় – ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা লোন

একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যই হলো উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। এই প্রবন্ধে আমরা জানাবো উদ্যোক্তা লোন কীভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়

আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বিদ্যমান যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণপ্রাপ্তিতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে। বিষয়টি ঢালাওভাবে কিংবা একতরফাভাবে বলা সমীচীন না।

উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়, তেমনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তবজ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অহেতুক অসুবিধার সম্মুখীন হন।

সম্প্রতি দেশের অনেক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোক্তা বিশেষ করে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ ও অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য এসএমই ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক সেল/ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে।

উদ্যোক্তা ঋণ কি

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১০০% মানুষের মধ্যে ৫১% মানুষই বেকার আর তাই এর জন্যই বাংলাদেশের প্রায় অনেকগুলো ব্যাংকেই যে কোন রকম ব্যবসা করার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে আর এটিকেই উদ্যোক্তা ঋণ বলা হয়। 

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেকগুলো ব্যাংকেই এই ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ইত্যাদি আর যার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে এই বেকারত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে।

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়

আপনি একজন উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন কিন্তু উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এই সম্পর্কে জানেন না যার কারণে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না আর তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশে অনেক মানুষ এবং যুবক রয়েছে যারা পর্যাপ্ত মূলধনের অভাবে দিনের পর দিন বেকার থেকে যাচ্ছে আর তাই এদের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংকেই ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা লোন দিয়ে থাকে যাতে করে তারা ব্যবসা করে লাভ করে স্বাবলম্বী হয়ে লোনের টাকা শোধ করতে পারে। 

কিন্তু ব্যাংক থেকে ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে হলে ব্যাংকের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে আর এ সকল নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

আরো পড়ুনঃ-  গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

উদ্যোক্তা লোন আবেদনের প্রক্রিয়া

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার পছন্দের ব্যাংক হতে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে। বিভিন্ন ব্যাংকে এই কাগজপত্রের চাহিদা ভিন্ন রকমের হয়। এছাড়া নিয়মের কিছু কিছু ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

উদ্যোক্তা লোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আবেদনকারীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  • ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার দরখাস্ত।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে কারণ আপনি যখন ব্যাংক থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করবেন তখন সেখানে এই ছবিটির প্রয়োজন হবে।
  • হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর সত্যায়িত কপি।
  • লিমিটেড বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর রেজুলেশন কপি অর্থাৎ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্তসহ কে কে ব্যাংক একাউন্ট অপারেট করবেন তাদের নাম উল্লেখসহ গৃহীত সিদ্ধান্তের কপি।
  • সার্টিফাইড Join Stock থেকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Certificate of Incorporation)।
  • মেম্বার বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সমিতি হতে নেয়া সদস্য সার্টিফিকেট।
  • ঐ ব্যাংকের অন্য কোনো একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক আপনার ছবি ও আবেদন পত্রে স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে এবং তাকে সনাক্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
  • যে ব্যক্তি লোন নিবে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিকতা থাকতে হবে
  • এছাড়া আপনার বাড়ির ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, ট্যাক্স এর কাগজ ইত্যাদির ফটোকপি থাকতে হবে।
  • আপনি যে এক জায়গাতে আপনার কোম্পানি অথবা ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন সেখানকার একটি স্টেশনের কাগজ থাকতে হবে।
  • এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি সেটি হচ্ছে টাকা লোন নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার সম্পত্তির অংশগুলো দেখাতে হবে সেটি হতে পারে আপনার বাড়ির দলিল অথবা জায়গা জমির দলিল ইত্যাদি।
  • এছাড়াও ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয় থেকে নাগরিকের সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

ব্যাংক (Bank) থেকে উদ্যোক্তা লোন

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবাজারে এসএমই খাতে অর্থায়নে যে সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে-

  • ব্র্যাক ব্যাংক
  • বেসিক ব্যাংক
  • ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
  • ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
  • প্রাইম ব্যাংক লিঃ
  • এবি ব্যাংক
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
  • প্রিমিয়ার ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
  • সিটি ব্যাংক লিমিটেড
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.
  • স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক
  • ট্রাস্ট ব্যাংক লি.
  • ব্যাংক এশিয়া
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক লি.
  • সোনালী ব্যাংক লি.
  • জনতা ব্যাংক লি.
  • অগ্রণী ব্যাংক লি.
  • পূবালী ব্যাংক লি.
  • বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  • আইপিডিসি ফাইনান্স প্রভৃতি

নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ পাবেন যেভাবে

বর্তমানে পুরুষ মানুষের মত প্রতিটি নারীও চাই নিজে কিছু করতে বা উদ্যোক্তা হতে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি না থাকাই বা তেমন কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে যার কারণে আপনি যদি খেয়াল করেন অনেক নারী বেকার দেখতে পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ-  কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি - কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম

আর এ সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ আরো অন্যান্য ব্যাংকে নারী উদ্যোক্তাদের লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে করে তারা নিজেরাই কিছু একটা করতে পারে। কিন্তু অনেক নারী রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত জানে না যে নারী উদ্যোক্তা ঋণ কিভাবে নিতে হয়। তাই আজকের আর্টিকেল আমরা নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

১। নারী উদ্যোক্তা ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

২। এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং একটি রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে।

৩। এবং আপনার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স এবং ভ্যাট সার্টিফিকেট ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

৪। এছাড়া আপনি যদি এমটিবির ভাগ্যবতী লোন নিতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই এক বছর ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৫। এবং এমটিভির গুণবতী লোন যেটি রয়েছে সেটিও আপনি নিতে পারবেন কিন্তু তার জন্য আপনাকে অবশ্যই উৎপাদন অথবা শিল্পের সাথে জড়িত থাকতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে উপরের অংশ থেকে পড়ে আমরা অনেকেই জেনে গিয়েছি তাই এবার ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন কি বা এটা কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ব্যাংকেই লোন দিয়ে থাকে কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাই এখানে এটিকে লোন বলা হয় না বলা হয় ইনভেসমেন্ট এছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে কিছুটা অন্য প্রক্রিয়ায় এখানে সুদ দেওয়া হয়। 

ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি তিন ধরনের লোন নিতে পারবেন প্রথমটি হচ্ছে বাড়ি করার জন্য, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কার ইনস্যুরেন্স এর জন্য, এবং তৃতীয়টি হচ্ছে ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু আপনি যেহেতু উদ্যোক্তা হতে চান তাই আপনাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে ব্যবসা বা উদ্যোক্তার জন্য যে লোনটি রয়েছে সেটি নিতে হবে। 

আপনি যদি কোন শহর থেকে ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসার জন্য লোন নিতে চান তাহলে আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এছাড়াও আপনি যদি জেলা পৌরসভা অথবা অন্যান্য অঞ্চলের হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এখান থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন আর এ লোন নেওয়ার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা হলঃ

  • আবেদনকারীর অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিকতা ও জাতীয় পরিচয় পএ ও ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এবং আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।
  • এবং আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে একটি দলিল এর প্রয়োজন হবে।
আরো পড়ুনঃ-  পূবালী ব্যাংক কি সরকারি - পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা

উদ্যোক্তা লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ

(ক) প্রতিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প দলিল তৈরির ফরমেট রয়েছে। আপনি যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে ইচ্ছুক সে ব্যাংকের ফরমেট অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ ও দলিলপত্রাদিসমেত প্রকল্প ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।

(খ) একটি উপযুক্ত প্রজেক্ট প্রোফাইল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে আপনি বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেন্সি ফার্মের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারি সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারেন।

(গ) যখন কোনো ব্যবসায়ী যৌক্তিকভাবে মনে করেন ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য তার ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন তখন তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বরাবরে প্রয়োজনীয় বিবরণ সম্বলিত দরখাস্ত পেশ করবেন।

এতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে-

  • ১. ব্যাংকের নিজস্ব ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ।
  • ২. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
  • ৩. ব্যবসায়ের টিন নম্বর।
  • ৪. সম্পত্তির বর্তমান মূল্যের সনদপত্র (যেখানে শিল্পটি বিদ্যমান/ প্রতিষ্ঠা করা হবে)।
  • ৫. সম্পত্তি বন্ধক নেয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা (যেখানে প্রতিষ্ঠান রয়েছে বা প্রতিষ্ঠা করা হবে)।
  • ৬. ব্যাংকের হিসাব নং এবং জামানত স্থিতি।
  • ৭. পৌরসভার বাসিন্দা হলে কমিশনারের সনদ। স্থানীয় পর্যায়ের হলে চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ।
  • ৮. লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশনের কপি। অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হলে অংশীদারী চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি।
  • ৯.প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক হলে ব্যবসার ১ বছরের লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরণী।
  • ১০. প্রতি ব্যাংকের ফর্মে উল্লেখযোগ্য একটি দিক রয়েছে যাকে লেটার অব গ্যারান্টি বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে দুইজন যোগ্য গ্যারান্টারের সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
  • ১১. প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আগে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ করে থাকলে তার হিসাবের একটি হালনাগাদ ও যথাযথ বিবরণ থাকতে হবে।
  • ১২. এসএমই খাতে কতিপয় ব্যাংক কোলেটারেল ফ্রি (জামানতবিহীন) লোন চালু করেছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে।
  • এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারি সার্ভিস সেন্টারে এ বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
  • ১৩. কিছু কিছু ব্যাংকে বর্ণিত বিষয়াদির বহির্ভূত দলিলপত্রাদি প্রয়োজন হতে পারে।

লেখকের শেষ মতামত

এই ছিল আজকের উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় সম্পর্কিত সকল তথ্য। এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।

তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় জানতে পারবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment