মানুষের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যখন সে কারো কথায় বা কাজে মানসিকভাবে আঘাত পায়। সে সময় নিজেকে অসম্মানিত ও উপেক্ষিত মনে হয়। এই ধরনের মনোবেদনাকালে শুভাকাঙ্ক্ষী, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুরা সাধারণত পরামর্শ দেয় সব ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। বিষয়টি কঠিন হলেও, আসলে এটিই সবচেয়ে ভালো পরামর্শ।
ভালোবাসার মানুষের সবকিছু সহ্য করা যায়। কিন্তু তার অবহেলা সহ্য করা যায় না। আপনি যাকে ভালোবাসেন কখনোই তার অবহেলার পাত্র হতে আপনার ভালো লাগবে না। শত ব্যস্ততার মাঝেও মনে ভেতরে সব সময় কোথায় যেনো থাকে একটা আঁকুতি, একটা ভয়। এই ভয়টা কিসের? এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই।
কেউ ইগনোর করলে কি করা উচিত
কারণ খুঁজে বের করাঃ যদি কেউ আপনাকে অবহেলা করতে শুরু করে তাহলে আগে আপনার কারণ বের করতে হবে। ভেবে দেখুন আপনার কোনো দোষ বা ভুল আছে কি না। সবসময় আগে নিজের দোষটা খুঁজে বের করবেন।
কি হয়েছে তা জানুনঃ এটা হতে পারে যে সে আপনার উপর রাগ করেছে। কারণ হয়তো আপনার অজান্তেই আপনি কিছু ভুল করেছেন। যা আপনি এটি সম্পর্কে অবগত নয়। উত্তরটি জেনে বিনয়ের সাথে তাকে স্যরি বলে দিন। একটু নমনীয়ভাবে কথা বলুন দেখবেন সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
ওভারথিংকিং এবং ওভাররিয়াক্টিং বন্ধ করুনঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি যখন অনুভব করেন যে সে অবহেলিত হচ্ছে তখন মনোযোগ ফিরে পেতে সমস্ত কিছু চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত, এটি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয় দেখায়। আপনি যেটা করতে পারেন তা হ’ল, যখন কেউ আপনাকে অগ্রাহ্য করে তখন আর কখনও তাদের বিরক্ত করবেন না, দূরত্ব বজায় রাখবে্ন এবং তাদের সাথে দেখা না করার চেষ্টা করবেন।
সবকিছু সহজভাবে নিনঃ বিশ্বাস করুন আপনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না এবং আপনার করাও উচিত নয়। যদি এমন কেউ থাকে যে আপনাকে অগ্রাহ্য করে, করতে দিন। এটা হাল্কা ভাবে নিন। এটি তাদের পছন্দ, আপনি এটি সম্পর্কে কিছুই করতে পারবেন না।
নিজেকে প্রাধান্য দিনঃ আপনি যখন অনুভব করবেন তখন আপনি নিজের সাথে আরও ভাল আচরন করুন যখন কেউ আপনাকে উপেক্ষা করে তখন আপনার অনেক কিছু করার থাকে। যেমনঃপ্রোডাক্টিভ কিছু করার জন্য নিজেকে নিযুক্ত করুন। শান্ত থাকুন, ধ্যান করুন এবং নিজের জন্য সময় ব্যয় করুন।
সামনাসামনি কথা বলুনঃ কোনো কিছু হলে দৌড়ে মোবাইল নিয়ে কল বা মেসেজ করা বন্ধ করুন।কোনও কল বা বার্তাপ্রেরণের মাধ্যমে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দু’জনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য মুখোমুখি দেখা করা সবথেকে ভাল উপায়। এ
দুঃখিত বলার জন্য প্রস্তুত থাকুনঃ যখন আপনার কারণে অন্য ব্যক্তি রাগান্বিত হয় কিংবা কষ্ট পায়, তখন আপনি তাদের কাছে যান এবং নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চান, তাকে স্যরি বলুন, অন্যদের সাথে সমস্যা সমাধানের পক্ষে এটি সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য উপায়।
ইতিবাচক হোনঃ ইতিবাচক বিষয় সন্ধান করুনএবং আপনার নিকটতম এবং পরিবারের সাথে সময় কাটান, যিনি সত্যই আপনাকে প্রশংসা করেন। আপনার সেরা বন্ধু ও পছন্দের লোকের সাথে থাকুন।
কেউ গুরুত্ব না দিলে কি করা উচিত
যদি কেউ তোমাকে ভালো না বলে, তাহলে মন খারাপ করো না কারণ সবার কাছে এক জীবনে ভালো হওয়া যায় না। আপনার লাইফে এমনও কেউ হয়তো আছে যে আপনাকে পাত্তাই দেয় না। কোন কাজে আপনার গুরুত্ব বোঝার চেষ্টাও করতে চায় না। এ ধরনের সমস্যায় প্রতিটি মানুষই সম্মুখিন হয়েছেন একাধিকবার। আর আপনাকে তোয়াক্কা না করার এই সমস্যার সম্মুখীন আপনি আপনার বাড়িতে অফিসে স্কুল কলেজ বা ফ্রেন্ড সার্কেলেও হতে পারেন।
বাড়ির লোক আপনাকে গুরুত্ব না দিলে আপনার নিজেকে বিষন একাও মনে হতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে আত্বসম্মান বা অহংকারী না এনে নিজের সমস্যাগুলি নিজের বক্তব্য অবশ্যই তাদেরকে সরাসরি একবার বলার চেষ্টা করুন। তারা অবশ্যই আপনার কথা বুঝতে পারবে। কারণ নিজের পরিবার এবং আপনজন যেমনই ব্যবহার করুক না কেন তারা কিন্তু নিজেরই হয়।
তাদের ক্ষতি হয়ে গেলে তেমন যা আপনারও ক্ষতি আবার আপনার কোনো ক্ষতি হয়ে গেলেও তা কিন্তু তাদেরই ক্ষতি। কিন্তু অফিসে কিংবা ফ্রেন্ডসার্কে যদি এই সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে সেখানে নিজের মতামত কখনই দিবেন না। যারা আপনার মূল্য বুঝেনা তাদেরকে আপনার গুরুত্ব বুঝানোর কোনো ধরকারই নেই। কে বলেছে যে, তাদেরকে আপনি গুরুত্ব দিলে তারাই আপানাকে বেশি গুরুত্ব দিবে?
অর্থাৎ আপনার মতামত সেখানেই দিন, যেখানে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেয়, যেখানে আপনার মতামত কেউ শুনতে চায়। আর আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই এক একটা রকমের মতামত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি সব সময় চেষ্টা করুন নিজের মতামত নিজের লাইফে কাজে লাগাতে।
আর এভাবেই আপনিও ঠিক একদিন নিজের গন্তব্যে পৌছে যাবেন। আর তারপর যারা আপনার মতামতকে গুরুত্ব দিতো না তারাই আপনার কাছে আসবে আপনার মতামত জানতে। অর্থাৎ গুরুত্ব পাওয়া কিংবা না পাওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। আর সবাই জানে যে, সময় পরিবর্তনশীল।
আর এই পরিস্থিতিতে আপনি সবথেকে ভালো যেটা করতে পারেন, সেটা হলো আপনিও তাদেরকে গুরুত্ব দিবেন না। কারণ তারা আপনাকে গুরুত্ব না দিলে বাস্তবে কিন্তু আপনার কোন কিছুই যাবে বা আসবে না। তাই তাদের কাছেই আপনার গুরুত্ব পেতে হবে এমনটা কখনোই ভাববেন না।
আপনার মতামত যুক্তি এবং প্রমান যখন কেউ মানতে চাইছে না, তখন আপনাকে নিরবে সেই স্থান থেকে সরে আসা ধরকার। কারণ আপনি যতবার চেষ্টা করবেন নিজের মতামতকে গুরুত্ব পাওয়ানোর ততই কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠতে থাকবে। তাই এই সমস্ত পরিস্থিতি গুলিকে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ সেই সমস্ত মানুষগুলি আপনার কাছে সব সময় বাধা হয়ে দাড়াবে।
কোনো কাজ সুষ্ঠমত হতেই দিবে না। তারা আপনার মাথায় এক অস্বস্তিকর ভাবনা ডুকিয়ে দিবে। আপনাকে নিরুউৎসাহিত করবে। আর এর থেকে মুক্তি পেতে আপনার বিবেক, আপনার মূল্যবোধে কাউকে প্রবেশ করতে দিবেন না। দেখবেন আপনি একদিন অনেক শান্তি পাবেন এবং আপনার প্রতিটা কাজেই আপনি সফলতা পাবেন।
অর্থাৎ সহজ কথা হলো যে আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তাকে আজ থেকে এড়িয়ে চলতে শিখুন। আর এভাবেই একটা সময় পর আপনি অবশ্যই সঠিক জায়গায় গুরুত্ব পাবেন। আর এটাও মাথায় রাখুন যে, সবারই লাইফে সঠিক সময় আসে, লাইফে প্রত্যেকেই তার প্রাপ্য গুরুত্ব পায়। আর তার জন্য ধরকার শুধু একটু খানি ধৈর্য আর একটুখানি অপেক্ষা।
কেউ মনে আঘাত দিলে কি করা উচিত
মানুষের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যখন সে কারো কথায় বা কাজে মানসিকভাবে আঘাত পায়। সে সময় নিজেকে অসম্মানিত ও উপেক্ষিত মনে হয়। এই ধরনের মনোবেদনাকালে শুভাকাঙ্ক্ষী, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুরা সাধারণত পরামর্শ দেয় সব ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। বিষয়টি কঠিন হলেও, আসলে এটিই সবচেয়ে ভালো পরামর্শ।
যখন কেউ আপনাকে কষ্ট দেবে তখন যা বলবেন এবং যা করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
যে আঘাত করছে তার কাছ থেকে দূরে থাকা
এমন মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা উচিত যারা আপনার অনুভূতিতে আঘাত করে। যতক্ষণ আপনি এমন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকবেন ততক্ষণ তাদের নেতিবাচকতা আপনার ওপর প্রভাব ফেলবে না। এসব মানুষকে এড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নতুন করে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার আর সুযোগ তৈরি হবে না। আপনাকে আঘাত দেওয়া ব্যক্তিটি যদি আপনার জন্য বিশেষ কেউ হয়ে থাকে, তাহলে দুজনের মধ্যে কিছুদিনের দূরত্ব তৈরি হলে তা অযথা বিবাদ এড়াতেও সাহায্য করবে।
অতীতকে দূরে রাখা
অতীতের কোনো ঘটনা বা আঘাত যেন আপনার বর্তমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে এসব বিষয় অতিক্রম করে যেতে হবে। আপনি যদি সবসময় অতীতের ভুলগুলোর কথা ভাবতে থাকেন কিংবা কে কবে আপনাকে আঘাত দিয়েছিল তা মনে করতে থাকেন তাহলে কখনোই বর্তমান সময়কে উপভোগ করতে পারবেন না। তারচেয়ে বরং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিন। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলোর দিকে তাকান, আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই দিকে চলতে থাকুন।
নিজেকে দোষারোপ বন্ধ করা
নিজেকে কখনো ছোট ভাববেন না। যেকোনো খারাপ ঘটনার জন্য আপনি একাই দায়ী নন। একজন মানুষ দিয়ে তো আর কোনো সম্পর্ক পরিপূর্ণ হয় না। এটি সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব উভয়পক্ষের। যখন কেউ আপনার মনে আঘাত দেয়, ভেবে নেবেন না যে আপনারই ভুল। হতে পারে যে অপরপক্ষের মানুষটি আপনার জন্য সঠিক নয়। আবার কখনো আপনিও ভুল হতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়াই ভালো। অনিচ্ছাসত্বেও সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে দুজনের দুদিকে চলে যাওয়াই ভালো।
অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিও বোঝার চেষ্টা করা
যখন কারো সামনে আপনার নিজেকে ছোট বলে মনে হবে, তখন খেয়াল করে দেখুন যে এই ভাবনার উৎস কোথায়। অর্থাৎ খুঁজে বের করুন যে আপনার কি বুঝতে ভুল হচ্ছে নাকি সামনের ব্যক্তি ইচ্ছা করেই আপনাকে নিচু বোধ করাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সঠিক কারণটি ধরতে না পারছেন, ভেতরে ভেতরে কষ্ট পাবেন না। হতে পারে ওই ব্যক্তি আপনাকে আঘাত করার মতো কিছুই বলেননি। বরং আপনি নিজেই মনে মনে ভেবে নিয়েছেন যে সে আপনাকে ছোট বা আঘাত করা হচ্ছে।
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা
ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ আপনাকে আঘাত করতে পারবে না যতক্ষণ না আপনি ভেতর থেকে তা অনুভব করছেন। অন্য কারও রাগের কারণে নিজের মানসিক শান্তি নষ্ট হতে দেবেন না। যেহেতু কেউ আপনাকে তৈরি করতে পারবে না, তাই কেউ যেন আপনাকে ভাঙতেও না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যখন কেউ আপনাকে আঘাত দেয়, শান্ত থাকুন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি যা করতে ভালোবাসেন, যা করতে চান সেটাই করে যান।
প্রতিশোধ না নেওয়া
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যখন কেউ অন্যকে অপমান করে তখন অপর ব্যক্তিটি হন্যে হয়ে এই অপমানের জবাব দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এটা ভুল। নিজের শক্তিকে নেতিবাচক খাতে খরচ করবেন না। বরং নিজের শক্তি ও সময় বিনিয়োগ করুন উৎপাদনশীল কাজে। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন। অন্যকে হারিয়ে দিতে নয়, শান্ত থেকে নিজের জন্য কাজ করতে থাকুন।
জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টি রাখুন
আঘাতের অনুভূতি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা কাটিয়ে উঠতে না পারলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন না। আপনার উচিত এসবকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলা এবং পুরোনো ঘটনা ভুলে যাওয়া। বরং জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করুন এবং ইতিবাচক মানসিকতার মানুষদের সঙ্গে থাকুন।
সবাইকে একই রকম ভাববেন না
প্রত্যেকের জীবনেই কঠিন সময় আসে। জীবনের সমস্যা থেকে কোনো মানুষ মুক্ত নয়। তাই এটা ভেবে নেবেন না যে কখনো আপনার জীবন একেবারে নিখুঁত হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে কারও সঙ্গে খুব সহজেই নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেই ব্যক্তিকে বা তার আচরণকে ভালোভাবে বুঝতে না পারবেন তার সঙ্গে জড়াবেন না। অন্যের আচরণ বা চরিত্র বুঝতে না পেরে হুট করে জড়িয়ে গেলে সেইটা দিনশেষে আপনাকে আঘাতই দেবে। কাকে মনে রাখতে হবে আর কাকে ভুলে যেতে হবে এটা বুঝতে পারলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
স্বামী অবহেলা করলে কি করা উচিত
স্বামী যদি অবহেলা করে তাহলে তার কাছে আকুতি মিনতি না করে সে যেই বিষয়গুলো পছন্দ করে না সেই বিষয়গুলো না করা। স্বামীর পছন্দ অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা। স্বামী যে কাজগুলো করতে ভালোবাসে সেই কাজগুলো করে দেওয়া। স্বামীকে বিশেষ দিনগুলোতে গিফট করা। স্বামীর কথামতো চলাফেরা করা এবং স্বামীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দেওয়া।
স্বামীর ছোটখাটো কাজগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। স্বামী কোন কাজে বিজি থাকলে তার কাজের সাপোর্ট দেওয়া। স্বামীর পারমিশন ছাড়া অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা কারো সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকা। স্বামী যে বিষয়গুলো পছন্দ করেনা সে বিষয়ে একেবারে না করা এবং স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা। এছাড়াও-
- মাঝে মাঝে স্বামীকে গিফট করা
- স্বামী পছন্দমতো খাবার তৈরি করা
- স্বামীর পছন্দ মত পোশাক পরা
- স্বামীর কথামতো চলাফেরা করা
- স্বামীর কাজগুলো করে দেওয়া
- স্বামীর অবাধ্য না হওয়া
- স্বামীর পোশাক পরিস্কার করে দেওয়া
- স্বামীকে ডিস্টার্ব না করা
- স্বামী আসা মাত্রই তার খোঁজ নেওয়া
- স্বামী দূরে থাকলে মাঝে মাঝে দেখতে যাওয়া
- স্বামী দেশের বাইরে থাকলে নিয়মিত খোঁজ নেওয়া
- স্বামীকে মেলামেশা করার সুযোগ দেওয়া
- স্বামীর ভালো লাগা কাজগুলো করে দেওয়া
- স্বামী যে খাবার পছন্দ করে তা তৈরি করা ইত্যাদি।
তাছাড়া আরো অনেক কিছু করার আছে যেগুলো করলে স্বামীর অনেক ভালো লাগে এবং স্বামী স্বাস্থ্যবোধ করে সে বিষয়গুলো বেশি বেশি করা। অনেক স্বামী আছে যারা কিনা সুন্দর এবং গোছালো সংসার পছন্দ করে এবং নিয়মিত পরিষ্কার করতে পছন্দ করে সেগুলো বেশি বেশি করা। অতিরিক্ত কোন স্ত্রী যদি ফোন টিপে অনেক স্বামী কিন্তু পছন্দ করেনা সেগুলো না করা।
অনেক স্বামী আছে যারা কিনা পর পুরুষের সাথে কথা বললে অবহেলা করে চলে স্ত্রীকে তাই কোন পর পুরুষের সঙ্গে কথা না বলা। এবং স্বামী কেমন ভাবে বউকে চলাফেরা করাতে চাই সে বিষয়গুলো নজরে রাখা কোন স্বামী যদি তার পছন্দমতো বউকে চলাফেরা করাতে চাই তাহলে সেই ভাবে চলাফেরা করা তাহলে স্বামী অবহেলা করবে না।
আমাদের শেষ মতামত
জীবন হচ্ছে একটা সংগ্রামী পথ। এখানে পর্যায়ক্রমে আপনার আপনার কাছে কতো কিছুই আসবে তার জন্য আপনাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জীবনে চলার পথে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করা অনেক জরুরী। আর তা না হলে আপনি পদে পদে বাঁধাগ্রস্ত হবেন। যে সকল বন্ধু আপনাকে অবহেলা করে তাদের থেকে দূরে থাকাই আপনার জীবনের জন্য ভালো হবে।
তাই আপনি ভালো বন্ধু খুঁজুন। যে আপনার বিপদে আপদে আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে। জীবনে চলার পথে আপনার কতো বন্ধু হবে। তাই যে সকল বন্ধু আপনাকে অবহেলা করবে তাদের থেকে চিরকালের জন্য দূরে থাকুন। আর এটাই আপনার জন্য মঙ্গল হবে।
আশা করি আপনাকে কেউ ইগনোর করলে কি করা উচিত সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও এই সম্পর্কে জানতে পারবে। এমন প্রয়োজনীয় ব্লগ পড়তে লার্ন-বিডি.কম ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।