রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। রমজান মাসের রোজা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আজকে আমাদের আর্টিকেলে রমজান মাসের রোজার আয়াত ও হাদিস এবং রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি কি রোজার আয়াত ও হাদিস এবং রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে রমজান মাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। তো চলুন বিস্তারিত শুরু করা যাক।
রমজান অর্থ কি
আরবি ১২ টি মাসের মধ্যে রমজান হলো ৯ম মাস। মহান আল্লাহ তায়ালা আরবি মাসের নবম মাসকে রমজান বলে আখ্যা দিয়েছেন। রমজান মাস মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাস। এ মাসেই পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্র্ণ হয়েছিল। এ মাসেই মুসলিমরা ফরজ রোজা পালন করে থাকে। রমজান মাস আরবি অনান্য সব মাসের থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন। এ মাস মুসলমানদের জন্য একটি নেয়মতপূর্ন মাস।
রমজান একটি আরবি শব্দ। যার মূল ধাতু হলো রামাজা’। যার অর্থ হলো প্রখর তাপ, সূর্যের তাপ, দহন, তাপমাত্রা বা শুষ্কতা। বলা হয়ে থাকে সে সময়ের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে আরবরা কোনো মাসের নাম নির্ধারণ করতেন। আর এ মাসের নাম নির্ধারনের সময়ে আরব দেশে সূর্যের তাপ ও প্রখর রোদ ছিল তাই এ মাসের নাম রমজান রাখা হয়। এছারাও বিভিন্ন আলেমদের মতে, যে মানুষ রমজান মাসের ফরজ সিয়াম পালন করবে তার গুনাহগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা আগুন যেমন সবকিছু পুড়িয়ে ছাই করে দেয় তেমনিভাবে সে মানুষগুলোর গুনাহ পুড়িয়ে ছাই করে দিবেন। ধারনা করা হয়ে থাকে এসব কারনে মাসের নাম রমজান রাখা হয়েছে। আশা করি রমজানের অর্থ কি বুঝতে পেরেছেন।
রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত
আরবি ১২ টি মাসের মধ্যে সবথেকে মর্যাদাসম্পন্ন মাস হলো রমজান মাস। এ মাসের গুরুত্ব একজন মুসলিমের কাছে অনেকটা। তাই প্রত্যেক মুসলিমের জানা উচিত রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলতগুলো সম্পর্কে।
রমজান মাসের গুরুত্ব: রমজান মাসকে ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম কারণ হলো এ মাসেই ইসলাম ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন নাযিল করা হয়েছিল। শুধু এ কারনে রমজানের গুরুত্ব ইসলামে সর্বাধিক নয়, এছারাও আরও বিভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য এক মাসের রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। আর সে রোজা আমরা পালন করে থাকি রমজান মাসে। এ মাসে রোজা পালনের মাধ্যমে আমাদের পূর্বের সকল ধরনের গুনাহ সমূহ মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। রমজান মাসের ইবাদত অনান্য সময়ের ইবাদতের সওয়াবের থেকে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
সারা বছরের মধ্যে এমন একটি রাত রয়েছে যে রাত হাজার মাসের থেকেও শ্রেষ্ঠ। আর সে রাত হলো লাইলাতুল কদরের রাত যা কিনা রমজান মাসের শেষের দশকের বেজর রাতগুলোর মধ্যে রয়েছে। এ রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের ইবাদত করার থেকেও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
রমজান মাসের ফজিলত: রহমত, নাজাত ও মাগফেরাত এর মাস হলো রমজান মাস। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে বর্ননা দেওয়ার সময়- এ মাসকে দয়া, ক্ষমা ও কল্যাণের মাস বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন-যখন রমজান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (বুখারি, খন্ড : ৩ হাদিস নং, ১৭৭৮)। রমজান মাস আসে আমাদের জন্য বরকত নিয়ে। এটি একটি বরকতপূর্ণ মাস।
যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা করবে তার জন্য রোজা কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। জাহান্নামের আগুনের ঢাল হবে রোজা এবং জান্নাত লাভের জন্য সুপারিশ করবে। রোজাদার ব্যক্তির পূর্বের সকল গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে এবং তাকে একজন নিষ্পাপ শিশুর মতো করে দেওয়া হবে। এ মাসের চাওয়া সকল দোয়াগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নেন।
সুতরাং রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনান্য মাসের থেকে অনেক বেশি।
রোজার আয়াত ও হাদিস
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো রোজা। রোজা ফারসি শব্দ যার আরবি হলো সাওম। সাওম অর্থ বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম হলো রোজা। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই রোজার আয়াত ও হাদিস সম্পর্কে।
পবিত্র আল-কুরআনে রোজার আয়াত:
*মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনে ইরশাদ করেছেন-আর যতক্ষন না ভোরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে পৃথক হয়ে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান করো। তারপর রাতের আগমন পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো। ( সুরা বাকারা: আয়াত নং, ১৮৭)
*পবিত্র কুরআনে রোজা সম্পর্কিত সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে এসেছে-হে মুমিনগন! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ভীরুতা বা তাকওয়া সৃষ্টি হয়।
পবিত্র আল-কুরআনে রোজার হাদিস:
*হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুল (সা.) বলেছেন; যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ^াস ও পর্যালোচনাসহ রমজান মাসের রোজা বা সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী: ৩৮)
*হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন- আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশগুন হতে সাতশত গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেন রোজা এ সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম। কারণ ইহা একান্ত আমারই জন্য। অতএব আমি নিজে এর প্রতিদান দিব। রোজা পালনে আমার বান্দা আমারই সন্তুষ্টির জন্যে স্বীয় ইচ্ছা, বাসনা ও পানাহার পরিত্যাগ করে থাকে। রোজাদারের জন্যে দুটি আনন্দ, একটি ইফতারের সময় এবং অন্যটি তার প্রতিপালক আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। নিশ্চয় জেনে রাখো, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট সুগন্ধি হতেও অনেক উত্তম। ( বোখারি ও মুসলিম)
*হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমাদের নিকট রমজান মাস উপস্থিত। এটি অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ তায়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরাজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানগুলোকে আটক রাখা হয়। আল্লাহর জন্যে এ মাসে একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম। যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকল, সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি। (সুনানুন নাসায়ী: ২১০৬)
রমজানের প্রকৃত শিক্ষা
রমজান মাস আমাদের জন্য অনেক কল্যাণ ও বরকতের। এ মাসকে মহান আল্লাহ তায়ালা বহু মর্যাদা ও ফজিলত দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন। রমজান মাস সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনও গুরুত্বসহকারে দেখে না। তবে এ মাস যার জীবনে আসে সে একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। রমজান মাস থেকে আমরা অনেক কিছুই শিক্ষা পেয়ে থাকি। চলুন জেনে নিই রমজানের প্রকৃত শিক্ষা আসলে কি।
ক্স রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হলো তাকওয়া বা আল্লাহভিতী অর্জন করা। মহান আল্লাহ তায়ালার ভয়ে সকল ধরনের অন্যায় ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। আর রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের তাকওয়া অর্জন করার তৌফিক দেন।
- রমজান মাসের রোজা মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। সবর বা ধৈর্যের মাস বলা হয়ে থাকে রমজান মাসকে। এ মাসের মাধ্যমে মুসলিমজাতী ধৈর্যের শিক্ষা পেয়ে থাকে। সারাদিন কিছু না খেয়ে ইফতারের অপেক্ষায় ধৈর্য নিয়ে বসে থাকে রোজাদাররা। ফলে এ থেকে তারা ধৈর্যের শিক্ষা নেয়। শুধু ধৈর্যয় নয়, সকল ধরনের ভালো গুন যেমন-নিয়মানুবর্তিতা, সত্যবাদীতা, দায়িত্বশীলতার শিক্ষা থেকে শুরু করে মহান আল্লাহ তায়ালার সানিধ্য লাভের শিক্ষা রমজান মাসে পাওয়া যায়।
- দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য অধিক কল্যান বয়ে আনার মাস হলো রমজান মাস। এ মাসেই পৃথিবীর সবথেকে সর্বশ্রেষ্ট কিতাব আল-কুরআন নাজিল হয়েছিল। এ কিতাবই হচ্ছে সকল মানবজাতির জন্য সঠিক পথপদর্শক ও জান্নাত লাভের নিদর্শন। আর রমজান মাসে বেশি কুরআন পাঠ করে মুসলমানরা। ফলে কুরআন পাঠকারী তাকওয়া অর্জন করে এবং সকল প্রকার অন্যায় থেকে দূরে থাকে। শুধুই আল কুরআন নয় বরং সকল আসমানী কিতাব এ মাসে নাজিল করা হয়েছিল। রমজান মাসের করা আমলগুলো মানুষের মধ্যে সকল ধরনের ব্যভিচার দূর করে এবং সমাজজীবনের শান্তি ও সুশৃঙ্খলভাবে চলতে শিক্ষা দেয়।
- জান্নাত লাভের পথ হলো রমজান মাসের রোজা। জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা রয়েছে যার নাম হলো রাইয়ান’। আর এ বিশেষ দরজা দিয়ে রোযাদারগন প্রবেশ করবেন, আর অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, সহীহ বুখারী হাদিস থেকে প্রমাণিত।
এ মাসের মাধ্যমেই সকল মানবজাতীর আত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত মুমিন হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। আর এজন্য রমজান মাস অতি মহিমান্বিত। তাই রমজান মাসের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে রমজানের রোজাসহ বেশি বেশি নফল ইবাদত করার চেষ্টা করবো সবাই, ইন-শা-আল্লহ।
রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে হাদিস
প্রত্যেক মুসলিমজাতি মাহে রমজানের অপেক্ষায় থাকে। কারণ এ মাস সকল প্রকার গুনাহ ঝড়ার মাস এবং জান্নাত লাভের একটি মাধ্যম। তাই এ মাস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। আর এজন্য গুরুত্বপূর্ন কাজের প্রস্তুতি গ্রহন করা জরুরি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ইবাদতের আগে প্রস্তুতি গ্রহন করতেন। প্রস্তুতি গ্রহন ইবাদতের মনোযোগি বাড়ায়। আমাদের প্রিয় নবীর এটি একটি সুন্নাত। রমজানের প্রস্তুতি নিয়েও বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. রমজান মাস আসার আগে এর জন্য প্রস্তুতি নিতেন। তো চলুন সেগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।
রাসুল (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখা মাত্রই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিতেন। রজব মাস থেকেই তিনি রমজান প্রাপ্তির জন্য অধিক আশায় থাকতেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতেন। তিনি যেভাবে দোয়া করতেন,তাবারানি: ৩৯৩৯; বাইহাকি: ৩৫৩৪ হাদিসে এসেছে রাসুল (সা.) দোয়া করতেন- আল্লহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
রাসুল (সা.) নিজে যেমন রমজানের প্রস্তুতি গ্রহন করতেন তেমনিভাবে সাহাবিদেরকেও রমজানের প্রস্তুতিগ্রহনে উৎসাহিত করতেন। তিনি রমজানের ফজিলত বর্ণনা করে সাহাবিদের রোজার প্রস্তুতির পরামর্শ দিতেন। তিনি বলতেন- রমজান বরকতময় মাস, তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোজা পালন করা তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন। এ মাসে আল্লাহ প্রদত্ত একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাস হতে উত্তম। যে এর কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো, সে আসলেই বঞ্চিত হলো। ( নাসায়ি: ২১০৬)
রাসুল (সা.) সাবান মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতির জন্য বেশি বেশি আমল শুরু করে দিতেন। রমজানের প্রস্তুতি নিতে তিনি সাবান মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। উম্মু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি সাবান ও রমজান মাস ছাড়া রাসুল (সা.) কে একটানা দুই মাসের রোজা পালন করতে দেখিনি। ( তিরমিজি হাদিস: ৭৩৬)
সুতারাং উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় রমজান মাস আসার আগেই এ মাসের প্রস্তুতির মাস হলো রজব ও শাবান মাস। পূর্বপরিকল্পিত কাজ সবসময় সুন্দর হয় এবং সফলতা পাওয়া যায়। তাই আমাদের সকলের উচিত মহানবী (সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক রমজানের প্রস্তুতি গ্রহন করা।
পরিশেষে বলতে চাই, রমজান মাসের মহত্ব মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। রমজান মাস এবং এ মাসের রোজাসহ সকল আমল আমাদের জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনে। এ মাস আমাদের ইহকাল ও পরকাল দুই জীবনকে সুন্দর করে তোলে। তাই আমাদের রমজান মাসকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এ মাসের বরকত থেকে যাতে আমরা বঞ্চিত না হয়।