ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পরিবেশ যা কম্পিউটার দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে। VR ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগ করতে পারে যেখানে তার দেখা সবকিছু আসলের মত মনে হয়। কিন্তু, সবকিছুই হচ্ছে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি এক কৃত্রিম জগৎ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আধুনিক প্রযুক্তির নতুন একটি আবিষ্কার। তাই অনেকেই জানেন না যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে? ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা অসুবিধা। তাই, আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক কে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন এই পোস্টে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, সংক্ষেপে VR, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পরিবেশ যা দেখতে আসলের মতো মনে হয় কিন্তু তা আদতে কৃত্রিম। বিভিন্ন প্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে 3D অ্যানিমেশন এবং শব্দের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তৈরি করা হয়ে থাকে। ফলে, তা আসলেই অনেক উপভোগ্য হয়ে উঠে এবং আসলের মতো মনে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ফারহান চাঁদে অবতরণ করার অনুভূতি কেমন তা জানতে চায়। কিন্তু, তার পক্ষে চাঁদে যাওয়া বা চাঁদে অবতরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য সে VR প্রযুক্তি করে চাঁদে অবতরণ করার অনুভূতি পেয়েছে। কিন্তু সে কি আসলেই চাঁদে অবতরণ করেছে? না। বাস্তবে সম্ভব না এমন অনেক কিছুই করা সম্ভব এবং তা অনুভব করা সম্ভব VR প্রযুক্তি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে
প্রকৃতিতে অস্তিত্ব না থাকলেও বাস্তবতার অনুভূতি প্রদান করে এমন একটি কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাকেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলা হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক (3D) অ্যানিমেশন এবং অত্যাধুনিক শব্দ তৈরি করা হয় যা এই প্রযুক্তির ব্যবহারকারীকে বাস্তব জগতের অনুভূতি প্রদান করতে সক্ষম। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডাক্তারের প্রশিক্ষণ নেয়া, কার ড্রাইভিং, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস
যদিও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) আজকের দিনে ব্যাপকভাবে পরিচিত না হলেও, এর প্রযুক্তির জন্ম অনেক আগেই। 1960 সালে, মার্কিন বিজ্ঞানী থমাস ফারনেস বিমানবাহিনীর জন্য প্রথম ফ্লাইট সিমুলেটর তৈরি করেছিলেন, যা VR-এর ভিত্তি স্থাপন করে।
1980 সালে, “ভার্চুয়াল রিয়েলিটি” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জেরন ল্যানিয়ার। তিনি VR প্রযুক্তির জন্য গগলস এবং গ্লাভসের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি তৈরি করেছিলেন। ধীরে ধীরে, VR প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে, VR-প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাপূর্ণ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিনোদন এবং থেরাপির মতো ক্ষেত্রগুলিতে VR-এর প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক কে
যদিও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) প্রযুক্তির বিকাশে অনেক বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর অবদান রয়েছে, জেরন ল্যানিয়ারকে এর জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এককভাবে VR-এর আবিষ্কার না করলেও, ল্যানিয়ার এই প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তো আশা করছি আপনারা এতক্ষনে এই অংশ থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক কে তা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নেওয়া যাক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা ও অসুবিধা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এটি আমরা নানাভাবে ব্যবহার করে আসছি। এই প্রযুক্তিটির অনেক ভালো দিক আছে যা আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই প্রযুক্তিটি ব্যবহারের কারণে আমরা অনেক সমস্যার মাঝে পড়তে পারি। অর্থাৎ, এই VR প্রযুক্তি সুবিধা এবং অসুবিধা দুইটিই রয়েছে। নিচে এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, চলুন জেনে নেয়া যাক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধাসমূহ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করতে পারছি, অনেক কঠিন কাজ সহজেই করতে পারছি। যেমন – চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিতে, সামরিক ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিতে অনেক বেগ পোহাতে হতো। কিন্তু, VR প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে অনেক সহজেই প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
এছাড়াও, বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য VR প্রযুক্তি অধিকতর ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক দুর্গম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়াও আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যা আমরা ইতোমধ্যে উপরে উল্লেখ করে দিয়েছি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আমাদের জীবনে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে সে অংশ পড়লেই বুঝতে পারবেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অসুবিধাসমূহ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক সুবিধা থাকলেও অনেক অসুবিধাও রয়েছে। এগুলোর মাঝে সবথেকে বড় একটি অসুবিধা হচ্ছে এই প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে যাওয়া। অবাক হচ্ছেন? VR প্রযুক্তি ব্যবহার করে গেমিং করা বা গেম খেলা এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। একইসাথে VR ব্যবহার করে গেমিং করা সহ বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করায় অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়তে পারে যা ইতোমধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে।
অনেকেই VR প্রযুক্তির বিভিন্ন উপাদান যেমন VR Glass পড়ে রাস্তায় চলাচল করছে যা অনেক রিস্ক। এছাড়াও এই প্রযুক্তিটি ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যা আমাদের জীবনে সুবিধার থেকে অসুবিধা সৃষ্টি করছে।
প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা ও অসুবিধা, প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব অনেক গুরুতর হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে আমরা অনেক কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হচ্ছি যা অনেক কঠিন ছিলো।
আমাদের দেশেও কয়েক বছরের মাঝেই এই প্রযুক্তি প্রচলিত এবং সবার নাগালের কাছে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ফলে, এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করতে পারবো এবং এটিকে ব্যবহার করে বিনোদনের মাধ্যম তৈরি করতে পারবো।
তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব কি তা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানগুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানগুলো কি কি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে ও এই প্রযুক্তির ইতিহাস সম্পর্কে ইতোমধ্যে জেনেছি। এছাড়াও, এই প্রযুক্তির জনক সম্পর্কেও জেনেছি। তো চলুন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানগুলো কি কি সেটা জেনে নেয়া যাক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি পরিচালনা করার জন্য হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুইটিই প্রয়োজন হয়ে থাকে। নিচে এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ভিআর সফটওয়্যার (VR software)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা ও অসুবিধা, প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এর মূল চালিকাশক্তি হলো এর সফটওয়্যার। কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করতে 3D গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়, যা Unreal Engine, Autodesk 3D Max, Maya, IRIS VR ইত্যাদি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। বহুমাত্রিক সাউন্ড (3D, 5D, 8D) তৈরিতেও এসব সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে (Head Mounted Display)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) প্রযুক্তির কেন্দ্রে রয়েছে হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে (HMD)। এই হেলমেট বা চশমা-সদৃশ ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ত্রিমাত্রিক (3D) দৃশ্য দেখতে সাহায্য করে থাকে।
HMD-এর ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত 3D গ্রাফিক্স VR পরিবেশের সৃষ্টি করে। বাজারে বিভিন্ন দামের HMD পাওয়া যায়, যার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু হল HP Reverb G2, HTC Vive 2 Pro, Meta Quest 2, এবং Meta Quest Pro।
হ্যান্ড গ্লভস (Hand gloves)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) অভিজ্ঞতাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তোলার জন্য হ্যান্ড গ্লভস একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এই বিশেষ ধরনের হাতমোজায় মোশন সেন্সর থাকে যা ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীরা বাস্তবের মতো তাদের অস্তিত্ব বুঝতে পারে। কৃত্রিম পরিবেশে স্বশরীরে উপস্থিত আছে মন অনুভূতি সৃষ্টি করার জন্যই এই বিশেষ ধরনের হ্যান্ড গ্লভস ব্যবহার করতে হয়।
বডি স্যুট (Body suit)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) অভিজ্ঞতাকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য বডি স্যুট একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে অসংখ্য মোশন সেন্সর থাকে যা ব্যক্তির নড়াচড়া, শ্বাসপ্রশ্বাস, এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের তথ্য কম্পিউটার প্রোগ্রামে পাঠায়।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ (Driving training)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) প্রযুক্তি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে বিমান, জাহাজের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন চালানোর প্রশিক্ষণে এটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
VR সিমুলেশনের মাধ্যমে পাইলট ও নাবিকরা বাস্তব আকাশপথ বা সমুদ্রপথে যাত্রা করার পূর্বে সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে কৃত্রিম বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। এর ফলে প্রশিক্ষণ অনেক বেশি কার্যকর হয় এবং চালকরা আরও দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে।
VR প্রযুক্তি মোটরযান চালনার প্রশিক্ষণেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বাস, ট্রাক, মোটরবাইক, মাইক্রো ইত্যাদি যানবাহনের চালকদের জন্য VR সিমুলেশন তৈরি করা হচ্ছে। এই সিমুলেশনগুলিতে বিভিন্ন রাস্তার পরিস্থিতি, আবহাওয়া, এবং ট্রাফিকের অবস্থা তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে চালকরা বাস্তব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে পারে।
VR প্রযুক্তির ব্যবহার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণকে আরও নিরাপদ, কার্যকর, এবং সাশ্রয়ী করে তুলছে। ভবিষ্যতে VR-এর অগ্রগতির সাথে সাথে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ আরও উন্নত হবে এবং যানবাহন চালনা আরও নিরাপদ হবে বলে আশা করা যায়।
সামরিক প্রশিক্ষণ (Military training)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) প্রযুক্তি সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছে। বাস্তব যুদ্ধের অভিজ্ঞতা প্রদান করে সৈনিকদের প্রস্তুত করার জন্য VR সিমুলেশন ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও VR প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে।
VR এই সমস্যার সমাধান করে, কৃত্রিম যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করে যা অল্প খরচে এবং ঝুঁকি ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। VR প্রশিক্ষণ সৈনিকদের বাস্তব যুদ্ধের পরিবেশের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
বিনোদনের ক্ষেত্রে (Intertainment)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনোদনের একটি মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। VR ব্যবহার করে গেম খেলা, স্ট্রিমিং করা সহ আরও অনেক ধরনের বিনোদন নেয়া সম্ভব হচ্ছে। VR প্রযুক্তিতে তৈরি করা গেমগুলো খেলার সময় ব্যবহারকারীরা বাস্তব জীবনে এসব গেম খেলার মতো অভিজ্ঞতা পায়।
অর্থাৎ, একটি গেম খেলার সময় সেখানে নিজের উপস্থিতি থাকার মতো অনুভূতি হয় VR দিয়ে গেম খেলার সময়। এছাড়াও আরও অনেক উপায়ে VR প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে (In the medical field)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। চিকিৎসা জগতে, নবীন ও শল্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণে ভিআর ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃত্রিম পরিবেশে রোগীর রোগ নির্ণয়, অস্ত্রোপচার, এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি অনুশীলন করার মাধ্যমে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে লেখকের শেষ মতামত
আমরা ইতিমধ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা অসুবিধা এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে আরো অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি এই যদি পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ অবদি পড়েন তাহলে আশা করছি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে যাবতীয় বিষয়সমূহ জেনে আপনাদের উপকারে আসবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে কোন মতামত কিংবা কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর চাইলে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও জানানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করলাম। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।