পুরুষের সৌন্দর্য হলো তার দাড়ি। পুরুষের দাড়ি গজাবেই এটি একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। সাধারণত নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে পুরুষদের দাড়ি গজিয়ে যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কারও সময়ের আগে অথবা কারও ক্ষেত্রে সময় হলেও দাড়ি গজায় না।
তবে কি কারণে এমন হয় বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে দাড়ি গজানোর উপায় ও দাড়ি না গজার কারণ সম্পর্কে। এছারাও আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে কত বছর বয়সে দাড়ি গজায়, সেভ করলে কি দাড়ি গজায়, দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায়, চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় এবং দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ। চলুন বিস্তারিত শুরু করা যাক।
দাড়ি গজানোর উপায়
দাড়ি অনেক পুরুষের পচ্ছন্দের। সময়ের মধ্যে দাড়ি না গজালে পুরুষরা চিন্তায় পড়ে যায়। অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। কারণ পুরুষদের দাড়ি গজাবেই এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাড়ি গজায় না তারা কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে।
- আমলকির তেল দাড়ি গজাতে সাহায্য করে থাকে। তাই দ্রুত দাড়ি গজাতে এ তেল ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো মুখে ম্যাসাজ করে, পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- একজন পুরুষের দাড়ি গজাতে পর্যাপ্ত ঘুম উপকারে আসে। পর্যাপ্ত ঘুম ক্ষতিগ্রস্থ কোষের পুনর্গঠন করে, ফলে দাড়ি গজাতে সহায়ক হয়।
- মানসিক চাপ স্বাস্থে খুবই বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। দাড়ি গজাতেও বাধার সৃষ্টি করে মানসিক চাপ। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। সেক্ষেত্রে যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- খাবারের মধ্যে পাওয়া কিছু মিনারেল ও ভিটামিন রয়েছে যেগুলো দাড়ি গজাতে সাহায্য করে থাকে। তাই খাবার তালিকায় ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গুলো রাখতে হবে।
- শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে তা দাড়ি গজাতে বাধাগ্রস্থ করে। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন। মাছ, মাংস, বাদাম, ডিম থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন পাওয়া যায়।
- মুখের ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন। পরিষ্কার চামড়ায় দ্রুত দাড়ি গজার সম্ভাবনা থাকে।
দাড়ি না গজার কারণ
পুরুষদের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করে দাড়ি। পুরুষদের দাড়ি বয়সন্ধিকালে বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ সময়ে গজায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। কারও দাড়ি বয়সন্ধিকালে খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় আবার কারও ক্ষেত্রে খুবই সামান্য দাড়ি গজায়, একেবারে নেয় বলায় চলে। কেন এরম হয়ে থাকে সঠিক কারণ জানেন কি? জেনে নিন দাড়ি না গজার কারণ কি।
- পুরুষদের দাড়ি গজায় এক ধরনের যৌন হরমোন যার নাম অ্যান্ড্রোজেন হরমোন। এ হরমোন পুরষদের শরীরে লোম ওঠার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে থাকে। আর এ হরমোনের যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে দাড়ি গজাতে বাধাগ্রস্থ করে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন
- পুরুষদের মুখে দাড়ি না গজার অন্যতম একটি কারণ হলো জেনেটিক বা জিনগত কারণ। জিনগত কারনের উপর আমাদের শরীর অনেকটা নির্ভরশীল। যদি আপনার পূর্বপুরুষদের মুখে দাড়ি না গজিয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার দাড়ি গজাতে নাও পারে।
- পুষ্টিহীনতার সমস্যা দাড়ি না গজার একটি কারণ। বর্তমান সময়ে জীবনযাপন ও খাদ্যভ্যাসের দিকে আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন সঠিক না হলে সেক্ষেত্রে শরীরের কোন কিছুই ঠিক থাকে না। সেসব খাবারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন যেসব খাবারে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বৃদ্ধি পায়। ছোলা, বাদাম ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলো এ হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
- মুখের ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না রাখার কারনে অনেকের মুখে দাড়ি গজায় না। অপরিষ্কার ত্বক লোম বের হতে বাধা দেয়।
ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অনেকের দাড়ি গজিয়ে যায়। তবে যদি আপনার বয়স অনেক বেশি হয়ে যায় এবং ঘরোয়া প্রতিকারে কোনো কাজ হচ্ছে না। তাহলে অবশ্যই একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
কত বছর বয়সে দাড়ি গজায়
সকল পুরুষদের দাড়ি গজায়। প্রত্যেক পুরুষদের বয়সন্ধিকালে কিংবা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ সময়ের মধ্যে দাড়ি গজিয়ে যায়। তবে অনেক সময় আমরা লক্ষ্য করি একই বয়সের দুইজন পুরুষ, কিন্তু একজনের স্বাভাবিক ভাবেই দাড়িয়ে গজিয়ে গেছে অপরদিকে অন্যজনের দাড়ি গজায় নি। এ বিষয় নিয়ে তখন পুরুষরা চিন্তায় পড়ে যায়। তবে সবার ক্ষেত্রে কি একই বয়সে দাড়ি গজায়? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই কত বছর বয়সে দাড়ি গজায়।
পুরুষদের দাড়ি কত বছর বয়সে ওঠে তা একেবারেই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ পুরুষদের দাড়ি উঠা নির্ভর করে হরমোন দ্বারা। টেস্টোস্টেরন হরমোনের সমস্যা কারও হয়ে থাকলে তার ক্ষেত্রে দাড়ি দেরিতে গজাবে। আর সবার শরীরের হরমোন একই ধরনের থাকে না। আবার অনেকের জন্মগত বা পারিবারিক কারনেও দাড়ি অল্প বয়সে অথবা দেরিত উঠে।
একজন পুরুষের বয়স ১৪ হলেই সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। এ সময় থেকেই পুরুষদের শরীরের অনেক কিছুই পরিবর্তন ঘটে। যেমন-কন্ঠস্বর ভারি, বুকে লোম, মুখে দাড়ি গজানো ইত্যাদি। অনেকের দেখা যায় বয়স ১৪ পার হলেও দাড়ি গজায় না। তবে বেশিরভাগ পুরুষদের দাড়ি সর্বোচ্চ ১৮-২১ বছর বয়স পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়।
কিন্তু এ সময়ের মধ্যে যদি কারও একটুও দাড়ি না গজিয়ে থাকে তাহলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে মনে রাখবেন দাড়ি উঠার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেয়।
সেভ করলে কি দাড়ি গজায়
ছেলেরা কৈশোর পার হলেই দাড়ি-গোঁফ ওঠার বিষয় নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। অনেকের দেখা যায় সাধারন ভাবে যে বয়সে দাড়ি উঠার কথা সে বয়স পার হয়ে গেলেও দাড়ি উঠতে শুরু করে না। তখন প্রায় ছেলেদের মাথায় আসে প্রচলিত কথা সেভ করলে নাকি দাড়ি গজায় । তবে সত্যি কি সেভ করলে দাড়ি গজায়? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই সেভ করলে দাড়ি গজায় কি না।
ঘন ঘন সেভ করলে দাড়ি গজায় কথাটির কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেয়। এছারাও স্বাস্থ বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে সেভ করার সাথে দাড়ি গজানোর কোনো সম্পর্ক নেয়। বরং দাড়ি ঘন ঘন সেভ করা পুরুষদের জন্য ক্ষতিকর। ঘন ঘন দাড়ি সেভ করলে, লোমকূমের গোড়া উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবন রয়েছে এবং সেখানে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ধরনের জীবণু। ফলে তা থেকে মুখের ত্বকে বিভিন্ন সংক্রামন ঘটতে সাহায্য করে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সুতরাং সেভ করলে দাড়ি গজায় এ ধরনের অযৌক্তিক কথা থেকে সবার বিরত থাকা উচিত। দাড়ি কম বেশি উঠার জন্য দায়ী করা হয় বংশগতির ধারা এবং হরমোনের জন্য। দাড়ি কম উঠার সমস্যা সমাধানে পুষ্টিকর খাবারগুলো বেছে নিতে পারেন।
দাড়ি গজানোর ইসলামি উপায়
পুরুষদের দাড়ি রাখার বিষয়টি ইসলামে খুবই গুরত্ব সহকারে দেখানো হয়েছে। রাসুল (সা.) প্রত্যেক পুরুষ উম্মাহকে দাড়ি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দাড়ি রাখা ইসলামে অবশ্যক এবং জরুরি করা হয়েছে। এ নির্দেশ সম্পর্কে ইসলামে ২০ টিরও অধিক হাদিসে বর্নিত হয়েছে। দাড়ি যেমন প্রকৃত সৌন্দর্য বাড়ায় তেমনি দাড়ি স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী। দাড়ি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যালর্জি, ব্রণ, স্কিন ক্যান্সারসহ আরও অসংখ্যা রোগের ঝুঁকি কমায়।
দাড়ি মহান আল্লাহর দেওয়া একটি নেয়ামত। আমাদের মধ্যে অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের বয়স হলেও দাড়ি গজায় না। কিন্তু তাদের খুব ইচ্ছা নবিজির বলা নির্দেশ বা সুন্নাহ পালন করার। তবে জানেন কি দাড়ি গজানোর ইসলামে কোনো উপায় আছে কি না। জেনে নিন বিস্তারিত-
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুন্দর রুপে সৃষ্টি করেছেন। দাড়ি তিনি যাকে ইচ্ছা দেন আবার কাউকে দেন না। তবে এ নিয়ে আমাদের সমাজে যাদের দাড়ি রয়েছে তারা গৌরব করে এবং যাদের দাড়ি নেয় তাদের তিরস্কৃত হতে হয়। কিন্তু পক্ষান্তরে এ সব কিছুই মহান আল্লহর ইচ্ছা এবং কুদরত। যদি কোনো ব্যক্তি, কারও দাড়ি উঠা নিয়ে তিরষ্কার করে তাহলে সে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নিকট অপরাধী বলে গন্য হবে। কারণ এতে আল্লাহর ইচ্ছাকে তুচ্ছ করা হবে। তাই যাদের দারি নেয় তাদের মন খারাপ করার কিছু নেয়, মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের হৃদয়ের সৌন্দর্যকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই তিনি আমাদের যেভাবে সৃষ্টি করেছেন তা নিয়েই আমাদের সন্তুষ্টি থাকা উচিত।
তবে যদি আপনার ইচ্ছা হয় সুন্দর দাড়ি পাওয়ার তাহলে মহান আল্লহর নিকট চাইবেন। দোয়া কবুলের আমলগুলো করবেন। যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে দোয়া করবেন। আপনার মনের আশা অবশ্যই আল্লাহ পূরণ করবেন।
চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
পুরুষদের মুখে দাড়ি গজানো তাদের এটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে দাড়ি সব পুরুষের একই ভাবে উঠে না। একেক জনের দাড়ি একেক রকম হয়ে থাকে। কারও দাড়ির ঘনত্ব বেশি আবার কারও দাড়ির ঘনত্ব কম হয়ে থাকে। তবে ঘন চাপ দাড়ি সব পুরুষই চায়। তাই জেনে নিন চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে।
আমলকির তেল: আপনার গাল ভর্তি চাপ দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে আমলকির তেল। আমলকির তেল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের বৃদ্ধি, ঘন চুল ও চুলের গোড়া শক্ত করতে এ তেল দারুন কাজ করে। তাই বর্তমান সময়ে চুলের যত্নে নারীরা বেছে নিচ্ছে আমলকির তেল। এজন্য আপনি চাপ দাড়ি পেতে আমলকির তেল নিয়ে ২০ মিনিট মতো লোমকূপের স্থানে ম্যাসাজ করুন, এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
আমলা তেল: আমলা তেল থেকে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা দাড়ি বৃদ্ধিতে উপকারী। তাই পরিমিত আমলা তেল দাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রস দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। কারণ পেঁয়াজের রস থেকে সালফার পাওয়া যায়। যার ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাড়িগুলো বড় করবে এবং আপনাকে চাপ দাড়ি পেতে সহায়তা করবে। এছারাও পেয়াজের রস ব্যবহার করলে রক্ত চলাচল সহজ হয়, যা দাড়ি গজার সহায়ক। তাই দাড়ির গোড়ায় নিয়মিত পেয়াজের রস লাগান।
মুখের যত্ন: চাপ দাড়ি পেতে হলে নিয়মিত মুখের ত্বকের যতœ নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কারের ফলে মৃত কোষ গুলো ত্বক থেকে দূর হয়, ফলে নতুন দাড়ি গজায়। তাই ভালো উপকার পেতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন লেবু ও দারুচিনি। এজন্য দুই চা চামচ দারুচিনি গুড়োর সাথে ৪ চা চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে মুখের ত্বকে লাগান। এরপর ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে নিন অনেকটাই উপকার পাবেন।
স্বাস্থকর খাবার: সঠিক খাবার আমাদের শরীরের যাবতীয় সমস্যাগুলো এড়াতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। আর বায়োটিনযুক্ত এবং প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলো দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদাম, তিসি বীজ, সূর্যসমুখী ফুলের বীজের মতো এ ধরনের বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো এবং ডিম, মাংস, দুধ, কলিজা, শাকসবজি, ডাল, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি রাখবেন।
চাপ দাড়ি পেতে উপরের বলা প্রাকৃতিক উপায়গুলো মেনে চলবেন। কোনো প্রকার পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় এ উপায়গুলো আপনার দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে অনেকটাই উপকার করবে।
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ
বয়স হয়ে গেছে তবুও দাড়ি গজাচ্ছে না! কিংবা বয়সের তুলনায় সামান্য দাড়ি গজিয়েছে এ নিয়ে পুরুষদের দুশ্চিন্তার শেষ নেয়। দাড়ি গজানোর বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করেছি। তবে জানেন কি দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ কি? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- দ্রুত দাড়ি গজাতে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকৎসকরা।
- ভিটামিন বি দ্রুত দাড়ি গজাতে এবং দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাই চিকিৎসকরা এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন।
- দাড়ি গজানোর জন্য প্রতিদিন ২.৫ মিলিগ্রাম বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহনে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এটি গ্রহনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- অপর্যাপ্ত ঘুম এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ দাড়ি গজাতে বাধা দেয় বলে জানিয়েনে চিকিৎসকরা। তাই
দাড়ি গজাতে এগুলো পরিহার করে চলতে হবে এবং স্বাস্থকর অভ্যাসে চলাফেরা করতে হবে।
বিভিন্ন শারিরিক ও হরমোনজনিত সমস্যার কারণে অনেকের দাড়ি গজায় না। তাই দাড়ি কেন গজাচ্ছেনা এ বিষয় নিয়ে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তনে মনে রাখবেন দাড়ি সবার ক্ষেত্রে একই বয়সে বের হয় না।
বহু পুরুষের ক্ষেত্রে দেরিতে দাড়ি উঠতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে ঘরোয়া টিপসগুলো ফলো করুন। এরপরও যদি দাড়ি উঠতে অনেকে বেশি দেরি হয় তাহলে এ বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকবেন। কারণ দাড়ি গজার ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযোগী চিকিৎসা কি হতে পারে তা একজন চিকিৎসকয় ভালো বলতে পারবেন।