জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি বিস্তারিত জানুন

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো অঞ্চলের বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ঝড়, বায়ুপুঞ্জ, মেঘাচ্ছন্নতা ইত্যাদির দীর্ঘদিনের সামগ্রিক রূপকে ঐ স্থানের জলবায়ু বলা হয়ে থাকে। কোনো স্থানের জলবায়ু দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। জলবায়ু একটি বিশাল পরিসরে বিস্তৃত থাকে। 

জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি

কখনো কখনো একটি দেশের অন্তর্গত সমগ্র স্থানের জলবায়ু একই প্রকৃতির হয়ে থাকে। জলবায়ু সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন প্রণালী, কৃষিকাজ, উদ্ভিদের প্রকৃতি, মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতির উপর প্রভাব ফেলে। জলবায়ু মূলত তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রক বা উপাদান নিয়ে গঠিত। 

উপস্থাপনা – জলবায়ুর উপাদান

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি এই সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই। মূলত ধারবাহিকতা বজায় রেখে আবহাওয়ার কয়েকটি উপাদান বিশ্লেষণ করে বেশ কিছুদিন ধরে জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, তুষারপাত, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টি পাত, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর চাপ পর্যবেক্ষণ করলে যে সামগ্রিক রূপ ফুটে ওঠে তাকে সে স্থানের জলবায়ু বলা যেতে পারে। 

বর্তমানে বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ এবং প্রকৃতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে কোন স্থানে জলবায়ু হঠাৎ করে পরিবর্তন হয় না বরং ব্যাপক সময়ের ব্যবধান একটি স্থানে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে থাকে। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষিকাজ, মানুষের সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও প্রকৃতি, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণভাবে সেই অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল। 

তো আপনি কি জলবায়ু কাকে বলে ও জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি তা জানতে চাচ্ছেন? নিচে আমরা জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে প্রথমে জলবায়ূ কাকে বলে সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

জলবায়ূ কাকে বলে

কোন অঞ্চলের বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বস্তুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ঝড়, বায়ুপুঞ্জ, মেঘাচ্ছন্নতা ইত্যাদির দীর্ঘদিনের সামগ্রিক অবস্থাকে ঐ স্থানের জলবায়ু বলা হয়। অন্যভাবে বলতে পারি, একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের আবহাওয়ার দৈনন্দিন অবস্থার বহুদিনের (অন্তন্ত ৩৫ বছরের) বিবরণকে সেই অঞ্চলের জলবায়ু বলা হয় । আবহাওয়ার উপাদানসমূহ, যেমন 

  • বায়ুর উষ্ণতা, 
  • বায়ুর চাপ, 
  • বায়ুপ্রবাহ, 
  • বায়ুর আদ্রতা, 
  • মেঘাচ্ছন্নতা, 
  • বৃষ্টিপাত, 
  • তুষারপাত 

ইত্যাদির গড় অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় বিভিন্নঅঞ্চলের জলবায়ু নিয়ে কিছু ধারণা করা যায়। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে জলবায়ূ কাকে বলে তার একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন। এবার চলুন, জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি তা বিস্তারিত ভাবে ধারণা নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ-  দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী - অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম

জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি

মূলত কতকগুলো উপাদানের ওপর ভিত্তি করে কোন স্থানের জলবায়ু গড়ে ওঠে। আবহাওয়ার মত জলবায়ুরও প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি। সূর্য হচ্ছে তাপের প্রধান উৎস। বায়ুর উষ্ণতম বা শীতলতম অবস্থাকে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বলে থাকে। 

এই তাপমাত্রার পরিমানের উপর কোন স্থানের জরবায়ু অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে। জলবায়ুর সংজ্ঞা থেকে দেখতে পেলাম যে, কতকগুলো উপাদানের ওপর ভিত্তি করে কোন স্থানের আবহাওয়া ও জলবায়ু গড়ে ওঠেছে। নিম্নে জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি সেই  সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-

  • তাপমাত্রা,
  • বায়ুর চাপ, 
  • বায়ু প্রবাহ,
  • বায়ুর আদ্রতা ও শুষ্কতা,
  • বৃষ্টিপাত।

এবার আমরা এগুলো বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।

১) তাপমাত্রা

তাপমাত্রা জলবায়ুর একটি মূল উপাদান। মূলত সূর্যের আলো পৃথিবীতে উষ্ণ করতে সাহায্য করে। তাই সূর্যের তাপের ভিন্নতার উপর এক এক স্থানের তাপমাত্রা একেক রকম হয়ে থাকে। তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইট স্কেলে দেখায়। তাপমাত্রা জীবজগতের বৃদ্ধি, প্রজনন এবং বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

গ্রীন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ, বন ধ্বংস ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। যে স্থানে তাপমাত্রা বেশি সেই স্থানের মানুষ উষ্ণতম জলবায়ু উপভোগ করে এবং তাপমাত্রা কম থাকলেও নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু উপভোগ করে। 

তাপমাত্রা মাপার এককগুলো হলো: সেলসিয়াস, ফারেনহাইট এবং কেলভিন। তবে দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা মাপার একক হিসেবে সেলসিয়াস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিক কাজে তাপমাত্রা মাপার একক হিসেবে কেলভিন ব্যবহৃত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র হিসেবে ফারেনহাইট একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) বায়ুচাপ

বায়ুচাপ বলতে বোঝায় কোন নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর ওজনের চাপ। জলবায়ুর এই উপাদান মিলিবাল বা হেক্টোপাস্কাল এককে মাপা হয়ে থাকে। বায়ুর চাপে তারতম্য দেখা দেওয়ার প্রধান কারণ হলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সূর্যের তাপের প্রভাবে বায়ুর উষ্ণতা এবং ঘনত্বের তারতম্য সৃষ্টি হওয়া। বায়ুচাপের পরিবর্তন সরাসরি আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। বায়ুর চাপ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  • উচ্চচাপ,
  • নিম্নচাপ।

সাধারণত যেখানে বায়ুর ঘনত্ব বেশি এবং তাপমাত্রা কম সেখানে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। এবং যেখানে বায়ুর ঘনত্ব কম আর তাপমাত্রা বেশি সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত বায়ু চাপের পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। বিভিন্ন প্রকার জলবায়ুর বলয় সৃষ্টি হওয়ার জন্য বায়ু চাপের এই পরিবর্তন ই দায়ী। পৃথিবীতে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু বলয় গুলো হল: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, আন্তঃক্রান্তিয় অভিসরণ এলাকা ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ-  এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ রুটিন - HSC Exam Routine 2024

৩) বায়ু প্রবাহ

জলবায়ুকে প্রভাবিত করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বায়ু প্রবাহ। বায়ু প্রতিনিয়ত থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হতে থাকে। বায়ুর এই প্রতিনিয়ত সঞ্চালনের ফলে তাপমাত্রা, আদ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে থাকে। এক এক স্থানের তাপমাত্রা এক এক রকম হওয়ার কারণে বায়ু উষ্ণ অঞ্চল থেকে শীতল অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। তবে ভূমির বিভিন্ন আকার যেমন: পাহাড়, উপত্যকা এবং সমুদ্রের উপস্থিতির কারণে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হতে থাকে। 

বায়ুর গতি সম্পূর্ণভাবে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর উপর প্রভাব বিস্তার করে। সমুদ্র থেকে তৈরি হওয়া জলীয়বাষ্প পুরনো বায়ু যদি কোন একটি অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাহলে সে স্থানে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। 

কিন্তু যদি এই বায়ু চাপ স্থলভাগ থেকে আগত হয় তাহলে তাপ প্রবাহ হ্রাস পায় না। যদি কোন স্থানের বায়ু শুষ্ক থাকে তাহলেও সে স্থানে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং ঐ স্থানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে, জলবায়ু সরাসরি প্রভাবিত করতে বায়ুপ্রবাহ এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

৪) বায়ুর আর্দ্রতা ও শুষ্কতা 

জলবায়ুকে প্রভাবিত করে এমন অনেক উপাদানের মধ্যে বায়ুর আর্দ্রতা ও শুষ্কতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বায়ুর আদ্রতা এবং শুষ্কতা পরিবেশের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং সামগ্রিক জীবন যাপন এর ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। বায়ুর আদ্রতা বলতে বোঝায় বায়ুমন্ডলের বাষ্প রূপে উপস্থিত হওয়া পানি। বায়ুর আদ্রতার মাধ্যমে সহজে বাতাসে কতটুকু জলীয় বাষ্প রয়েছে তা বোঝা যায়। 

অন্যদিকে বাতাসে যখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে তখন তাকে বায়ুর শুষ্কতা বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাতাসের এই শুষ্ক ভাব গ্রীষ্মকালে এবং মরুভূমিতে পরিলক্ষিত হয়। বাতাসে শুষ্কতা বেশি থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায় ফলে অনেক অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে। বায়ুর আর্দ্রতা এবং শুষ্কতা এই দুটি উপাদান ই জীবজগত, কৃষি, শিল্প এবং দৈনন্দিন জীবনকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে থাকে।

৫) বৃষ্টিপাত

জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে বৃষ্টিপাত। তামান দুনিয়ার সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মূলত এই বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাত সাধারনত পরিবেশকে সতেজ রাখতে এবং ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জীব জগতের প্রয়োজন ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। 

যদি কোন স্থানে বৃষ্টিপাত পর্যন্ত পরিমাণে হয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় সেখানকার জলবায়ু আদ্র। আর যদি কোন স্থানে বৃষ্টিপাত কম হয় তাহলে সেখানকার জলবায়ু শুষ্ক বলে ধরে নেওয়া হয়। তাই বোঝা যাচ্ছে, জলবায়ুর তারতম্য অনেকটা নির্ভর করে বৃষ্টিপাতের তারতম্য এর।

আরো পড়ুনঃ-  সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে? সংখ্যা পদ্ধতি কত প্রকার

জলবায়ূ কেন পরিবর্তন হয়

জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারন হচ্ছে গ্রিনহাউস এফেক্ট। শক্তি উৎপাদনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন,মিথেন সহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস বৃদ্ধি পায় এবং এই গ্যাস গুলো আমাদের বায়ুমণ্ডলকে উৎতপ্ত করে। যার কারনে জলবায়ূ পরিবর্তন হয়।

জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কেমন ঝুঁকির মধ্যে আছে?

বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ততা সমস্যা বেড়েই চলেছে, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে নদীর দিক পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত, অনাকাকিঙ্খত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি ইত্যাদি সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও অনেক বেশি।

তাই চোখ বন্ধ করেই বলা যায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় শীর্ষে। বিজ্ঞানীরা বার বার বলছে, এই সমস্যা থেকে যদি অচিরেই বেরিয়ে আসা না যায় তাহলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের নানা দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে যাবে। সবাইকে এখনই জেগে উঠে দায়িত্ব নিয়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে প্রাণপণে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য উপায় খুঁজতে। 

আর তা না হলে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ জলবায়ু সংকটের মুখে ধুঁকতে ধুঁকতে আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই আমাদের দৈনন্দিন সকল কাজকর্ম সঠিকভাবে পালনের জন্য প্রতিদিনের আবহাওয়ার প্রতি নজর রাখতে হয়। জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি এ বিষয়েও ধারনা রাখতে হয়।

অনাবৃষ্টি যেমন পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে ঠিক তেমনি অতিবৃষ্টি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। অতি বৃষ্টির ফলে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য ও মারাত্মক ক্ষতিকর। খুব বেশি বৃষ্টিপাত হলে আমাদের দেশের অর্থনীতির কৃষি ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি শিল্প বিভাগেও অনেক খারাপ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জলবায়ুর উপাদান সম্পর্কে আমাদের শেষ মতামত

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি‌ এ সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। বাংলাদেশের জলবায়ু দিন দিন অধিক মাত্রায় ঝুঁকি তে পতিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। 

জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিশাল সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জনসাধারণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকা জরুরী। পরিবেশ সংরক্ষণ করে, অধিক মাত্রায় বৃক্ষরোপণ করে, পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আমরাও পারি জলবায়ু পরিবর্তনের এই হার কমিয়ে আনতে। 

জলবায়ু সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment