জয়তুন ফলের উপকারিতা – জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

পবিত্র আল কোরআনে মূলত যেসব ফলের উল্লেখ রয়েছে সেগুলো ফল নিঃসন্দেহে কল্যানকর ও বরকতময়। অনেক মুমিনরা এর ব্যতিক্রম সহজে বিশ্বাস করতে পারে না। পবিত্র আল কোরআনে মোট ৭ জায়গায় যে ফলের নাম এসেছে তার নাম হচ্ছে যইতুন। যইতুন কম বেশি সবার কাছেই বরকতময় ফল হিসেবে পরিচিত।

জয়তুন ফলের উপকারিতা

তাই এই বরকতময়  ফল ব্যবহারের আগে এর উপকারিতা, জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম, জয়তুন তেলের উপকারিতা, জয়তুন ফলের দাম সহ এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা খুবই জরুরী। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আপনার মূল্যবান সময়টুকু কাজে লাগিয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা প্রথমে জয়তুন ফলের পুষ্টির উপাদান সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।

জয়তুন ফলের পুষ্টি উপাদান

জয়তুন গাছ ও ফলের পরিচিত অনেকেই জানতে চায় তাই পোষ্টের এই অংশে এর পরিচিত তুলে ধরেছি। জয়তুন গাছ মূলত ৮ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এবং এর পাতা ৪ থেকে ১০ সে.মি. লম্বা ও ১ থেকে ৩ সে.মি. প্রশস্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে জয়তুন ফল ছোট আকৃতির হয়ে থাকে লম্বায় মাত্র ১ থেকে ২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।

এই জয়তুন ফলের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ উপাদান এবং পুষ্টিকর উপাদানগুলো আর এই উপাদান গুলো হলো যেমন-

  • আয়রন
  • এন্টি-অক্সিডেন্ট
  • ক্যালসিয়াম
  • আয়োডিন
  • পটাশিয়াম
  • সোডিয়াম
  • ফসফরাস ইত্যাদি।

এছাড়াও আমাদের শরীরে যে সকল ভিটামিন অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে দরকার এবং যে সকল উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে তার সব উপাদান এই জয়তুন ফলের মধ্যে মহান আল্লাহ তা’আলা ভরপুর দিয়ে দিয়েছেন। 

জয়তুন ফলের উপকারিতা

জয়তুন ফলের  উপকারিতা অনেক রয়েছে এটা যদি আপনি নিয়মিত পান তাহলে এই সকল উপকারিতা পাবেন। চলুন জয়তুন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক –

ক্যান্সার প্রতিরোধে: বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে এই ফল বেশ কার্যকরী হতে পারে। আপনি যদি  ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান তাহলে জয়তুন ফলের তেল এবং জয়তুন ফল নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে ইনশাল্লাহ ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে যাবে।

ওজন কমায়: যেসব ব্যক্তিদের শরীরের ওজন তুলনামূলক অনেক বেশি তারা চাইলে ওজন কমানোর জন্য জয়তুন ফল ডায়েট খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। তাহলে খেয়াল করবেন আপনার শরীরের ওজন অনেকটাই কমে গেছে। তবে ওজন কমানো যাবে বলে পরিমাণে খুব বেশি খাওয়া যাবেনা পরিমাণ মতো খাবেন তাহলেই এর উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

খুশকি দূর করে: বর্তমানে মাথায় খুশকি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই চিন্তিত। অনেকেই মাথার খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মাথার খুশকি ভালো করতে জয়তুন ফলের তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি  নিয়মিত জয়তুন ফলের তেল মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন মাথার খুশকি পুরোপুরি ভালো না হলেও অনেকটাই কমে গেছে।

আরো পড়ুনঃ-  দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যেতায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন কিন্তু আপনি চাইলে জয়তুন ফলকে বেছে নিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কার্যকরী উপায় হিসেবে অবলম্বন করতে পারেন।

হৃদরোগ নিরাময় করে: বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। আপনার যদি হৃদরোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে জয়তুন ফল খেতে পারেন এতে ভালো উপকারিতা পাবেন।

ত্বকের বয়সের ভাজ পড়া কমায়: বর্তমানে বিভিন্ন কারণবশত অনেকের কম বয়সেই ত্বকের মধ্যে বেশি বয়সের ভাঁজ পড়ে যায়। যার ফলে অনেকেই বিভিন্ন দুশ্চিন্তাই ভোগেন এবং তাদের মধ্যে একটি খারাপ লাগার কাজ করে। এই সমস্যা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত জইতুন ফল আশা করছি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হলেও কিছুটা উন্নতি অবশ্যই হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: আমরা সকলেই যাতে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট না হয়।, প্রত্যেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাই। তবে অনেকের ত্বকের উজ্জ্বলতা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায় এতে দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তাই আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত নতুন ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ত্বক শুষ্কতা রোধ করে: অনেকের নানান কারণে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যায় বা শুষ্ক হয়ে যায়। এজন্য আমরা প্রচুর টাকা খরচ করে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন ফলের তেল ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগ খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে যাদের বয়স একটু বেশি হয়ে যায় তাদের ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রন করাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়। এই  ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে রেহাই বা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে জয়তুন ফল বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন ফলে খেতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে: অতিরিক্ত রাত জেগে পড়াশোনার কারণে কিংবা তার জেগে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। তখন দেখতে কিন্তু খুবই খারাপ লাগে, চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে চাইলে আপনাকে জয়তুন ফলের তেল নিয়মিত চোখের কালো দাগের স্থানে ভালভাবে মালিশ করে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর ব্যায়াম

রক্তশূন্যতা দূর করে: বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ রক্তশূন্যতায় ভুগেন বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা এ সময়ে রক্তশূন্যতায় ভোগেন। রক্তশূন্যতা দূর করতে চাইলে জয়তুন ফল পরিমাণ অনুযায়ী নিয়মিত খেতে হবে।

রক্তচাপ দূর করে: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ রক্তচাপ নিয়ে টেনশনে থাকেন। আপনি জানলে হয়ত অবাক হবে যে এই জয়তুন ফল  রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি চাইলে রক্তচাপ কমাতে জয়তুন ফল নিয়মিত খেতে পারেন।

টিউমার রোধ করে: জটিল ধরনের যেকোন ধরণের টিউমারের ক্ষেত্রে এই জয়তুন ফল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই টিউমার রোধ করতে চাইলে নিয়মিত জয়তুন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

জয়তুন ফলের উপকারিতা গুলো জানলেন কিন্তু এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে কারণ সঠিক নিয়মে না খেলে ভালো উপকারিতা পাবেন না  জয়তুন ফল বিভিন্নভাবে খেতে পারেন আসুন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

জয়তুন ফল প্রথমে গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয় তারপর লবণ দিয়ে খেতে পারেন। অথবা চাইলে গাছ থেকে সংগ্রহ করার পরে সিদ্ধ করে খেতে পারেন।জয়তুন ফলের উপকারিতা এবং জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।  এছাড়া জয়তুন ফল যখন পাকে তখন খালি মুখে চিবিয়ে খাওয়া যায়। 

আবার পাকা জয়তুন ফল অনেক দিন সংগ্রহ করে রেখে খেতে পারেন। কোরআনে জয়তুন ফলের নাম ৭ বার এসেছে তাই ভালো উপকারীতা পাওয়ার জন্য একসাথে ৭ টি করে জয়তুন ফল খেতে পারেন। এই নিয়মে জয়তুন ফল খেলে ইনশাআল্লাহ ভালো উপকারীতা পাবেন।

জয়তুন ফল খেলে কি হয়

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে জয়তুন ফল খেলে কি হয়? জয়তুন ফল খেলে দেহে বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হয়। এছাড়াও জয়তুন ফল খেলে কি হয় তা বিস্তারিত নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • রক্তচাপ দূর করে
  • টিউমার রোধ করে
  • রক্তশূন্যতা দূর করে
  • চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • ত্বক শুষ্কতা রোধ করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
  • ত্বকের বয়সের ভাজ পড়া কমায়
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে
  • ওজন কমায়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • হৃদরোগ নিরাময় করে ইত্যাদি।

তিন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

ত্বীন ও জয়তুন ফল এতটাই বরকতময় ও উপকারী ফল ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে বিভিন্ন রোগের সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি এটি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন এছাড়া স্বাস্থ্য উপকারের জন্য আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। 

প্রথমে বলে রাখা ভালো পবিত্র আল – কোরআনে ত্বীন ও জয়তুন ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা আমাদের দেশে নেই। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়াতে এগুলো বেশি চাষাবাদ হয়। চলুন দেরি না করে ত্বীন ও জয়তুন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই – 

  • জয়তুন থেকে ৪ ধরনের তেল তৈরি হয় যেতন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, পিওর অলিভ, এক্সট্রা লাইট এবং ওমেন্স অয়েল। কাঁচা অবস্থায় যেকোনো প্রকার সালাদ, বিভিন্ন রান্নায়, চুল কিংবা ত্বকে মাসাজ করতে পারেন। 
  • পিওর অলিভ অয়েল শরীরের বিভিন্ন স্থানের ব্যথা প্রশমনের ক্ষেত্রে মালিশ কিংবা মাসাজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 
  • এক্সট্রা লাইট রান্নাই কোন কিছু ভাজার বা ফ্রাই করার জন্য ব্যবহার করা হয় যেমন – মাছ ভাজা, ডিম ভাজা, সবজি ভাজা ইত্যাদি। 
  • ওমেন্স অয়েল দীর্ঘ সময় ধরে যে সকল খাবারগুলো ভাজা হয় সে খাবারগুলো ভাজার জন্য এটেল ব্যবহার করা হয় যেমন – চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, পাকোড়া ইত্যাদি। 
  • মৌসুমী বিভিন্ন রোগ যেমন – জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি হলে ত্বীন ফল রান্না করে কিংবা ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন এবং জয়তুন ফল এর তেল তৈরি করে সমস্ত শরীরে মাসাজ করতে পারেন। 
  • আমাশয়ের রোগীরা যদি নিয়মিত কাচা অবস্থায় ত্বীন ফল চাবিয়ে খায় তাহলে আমাশয় নিরাময় হয়। এছাড়া ত্বিন ফল ও আতপ চাল চিবিয়ে খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 
  • ত্বীন ফল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে নিয়মিত ত্বীন ফলের ভেজানো পানি খেলে ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়। 
  • ২ থেকে ৩ টি ত্বীন ফল পানিতে ভিজিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে সকালে খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। 
  • শরীর দুর্বল কিংবা মাথা ঘোরার মত সমস্যার ক্ষেত্রে ত্বীন ফল রান্না করে খেলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। 
আরো পড়ুনঃ-  নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা - নিম পাতার ব্যবহার

আজকের এই আর্টিকেলে জয়তুন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জয়তুন ফলের  উপকারিতা অনেক রয়েছে এটা যদি আপনি নিয়মিত পান তাহলে এই সকল উপকারিতা পাবেন।

জয়তুন আর জলপাই কি এক?

জলপাই এবং জয়তুন ফল দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতি, ভিন্ন জাত, ভিন্ন সত্তার, তবে এদের আশ্চর্যজনক কিছু মিল প্রায়শই অপরিলক্ষিত হয়। জলপাই এবং জয়তুন ফল উভয়ই ড্রুপের বোটানিক্যাল (Drupe botanical) পরিবারের অন্তর্গত, যা তাদের একটি মাংসল স্তরের সাথে একই ধরণের গঠন রয়েছে যা বীজ ধারণকারী শক্ত পাথরের চারিদিকে বিদ্যমান থাকে।

এছাড়াও জলপাই এবং জয়তুন ফল দুটোই কিন্তু আলাদা স্বাদের অধিকারী। অলিউরোপেইনের উপস্থিতির কারণে জলপাই একটি সুস্বাদু এবং সামান্য তিক্ত স্বাদ। অপরদিকে জয়তুন বেরিগুলি সাইট্রাসি, পাইনি এবং পিপারি নোটের একটি জটিল মিশ্রণের জন্য গর্ব করে থাকে। যা মূলত লিমোনিন ও পাইনিন মতো প্রয়োজনীয় তেলের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

জয়তুন ফল সম্পর্কে লেখকের মতামত 

পরিশেষে বলব, ত্বীন ফল হচ্ছে অত্যন্ত বরকতময় একটি ফল। এই ফলে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামত রয়েছে এবং এ ফলের নামে আল্লাহ তায়ালা সূরা নাযিল করেছেন। আমাদের মহানবী (সাঃ) এই ফলটি অনেক পছন্দ করতেন। আপনারা যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি খেয়ে দেখবেন এটি খেতে খুব সুস্বাদু একটি ফল।

আশা করি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ে জয়তুন ফলের উপকারিতা ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও জয়তুন ফল সম্পর্কে জানতে পারবে। এমন আরও প্রয়োজনীয় ব্লগ পড়তে লার্ন-বিডি.কম নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।

Leave a Comment