আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি জানুন বিস্তারিত

আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন কর্মসূচী সাজাতে হয়। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের আবহাওয়া অফিস এ সংক্রান্ত উপাত্ত ও তথ্য প্রচার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সরবরাহ করছে। যে কোনো স্থানের আবহাওয়ার উপাদানগুলো নিত্য পরিবর্তনশীল। পৃথিবীর সব স্থানের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যও কিন্তু একরকম নয়।

আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি

আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি? সেটা কি আপনি জানেন? আবহাওয়া কাকে বলে এবং আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি এ সম্পর্কে যদি আপনার বিস্তারিত ধারণা না থেকে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আবহাওয়া হল আমাদের চারপাশে বায়ুমন্ডলের একটি নির্দিষ্ট সময়ের অবস্থা। আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং আবহাওয়া কয়েকটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। আবহাওয়ার প্রধান উপাদান গুলো হল: তাপমাত্রা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ু প্রবাহ ও চাপ। 

আবহাওয়া বলতে  কি বুঝ

আবহাওয়া হলো একটি নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানের বায়ুমণ্ডলের অবস্থা। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, সর্বনিম্ন ২৪ ঘন্টার বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকে ওই স্থানের আবহাওয়া বলা যেতে পারে। আবহাওয়া সাধারণত বাতাসের তাপমাত্রা, আদ্রতা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতি ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল হলেও এর পরিবর্তনশীলতা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে থাকে।

বর্তমানে বিজ্ঞানের যে শাখায় আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে তাকে আবহাওয়া বিজ্ঞান বলা হয়ে থাকে। খুব ছোট করে বলতে গেলে, বায়ুমণ্ডলের অনির্দিষ্টকালের অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয়। আবহাওয়া সংঘটিত হয় শুধুমাত্র পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরে। বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরের নাম ট্রপোস্ফিয়ার। তবে আবহাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে হলে জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

আবহাওয়া কাকে বলে

সহজভাবে কোন স্থানের স্বল্প সময়ের অর্থাৎ ১ থেকে ৭ দিনের বায়ু, তাপ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির গড় অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, আবহাওয়া বলতে কোনাে একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর তাপ, বায়ুর, আদ্রর্তা, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুচাপ, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রভৃতি উপাদানের গড় অবস্থাকে বােঝায়। আবহাওয়া একটি দৈনন্দিন ঘটনা যা প্রতিক্ষণে পরিবর্তিত হয়।

কোনো নির্দিষ্ট স্থানের, কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তরের কতগুলো পরিবর্তনশীল উপাদানের অবস্থাকেও আবহাওয়া বলে । আবহাওয়ার পরিবর্তনশীল উপাদান গুলি হল  বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আদ্রতা, মেঘ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত প্রভৃতি

বৈজ্ঞানিক ভাবে আবহাওয়া কে মেটিওরোলজি বলা হয় অর্থাৎ আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে আমরা মূলত আবহাওয়া নিয়ে যেখানেই কোন আলোচনা শুনি কিংবা কোন টক শোতে আলোচনা করা হয় সেটিই হচ্ছে মেটিওরোলজি। আশা করছি এতক্ষণে নিশ্চয় আবহাওয়া কাকে বলে তা বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ-  নতুন কারিকুলাম নিয়ে বিতর্ক - নতুন কারিকুলাম কেন প্রয়োজন

আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি

আবহাওয়া শব্দটি দ্বারা শুধুমাত্র পৃথিবীর বায়ুমন্ডলীয় অবস্থাকে বোঝানো হয়। আবহাওয়ার উপাদান গুলোর তারতম্য প্রতিনিয়ত ঘটে, ফোনে এক এক স্থানের আবহাওয়া এক এক রকম হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের আবহাওয়া ও সাধারণত দুই ধরনের হয়।

  • শুষ্ক আবহাওয়া,
  • ভেজা আবহাওয়া,

১। বায়ুপ্রবাহ

বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালন বলতে বিরাট ক্ষেত্র জুড়ে বায়ুর স্থান পরিবর্তনকে বোঝায়। বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমেই পৃথিবীপৃষ্ঠে উত্তাপের বিতরণ ঘটে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিবেচনায় সূর্যের তাপ পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পড়ে। যার ফলে যখন  কোনো স্থান সরাসরি উত্তপ্ত হয় তখন খেয়াল করলে দেখা যাবে সেই স্থানে তুলনামূলক শীতল স্থানের দিকে উত্তপ্ত বায়ু ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রবাহিত হয়। 

বায়ুর ধর্মই হলো বায়ু, অধিক উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়। আর একারণেই পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহের ঘটনা ঘটে। এই বায়ুপ্রবাহ যখন সীমাবদ্ধ মাত্রায় হয়, তখন দখিনা হাওয়ার মতো সুখকর অনুভূতি বয়ে আনে। আবার যখন তা মাত্রাতিরিক্ত হয় তখন তা স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় এবং জলভাগে তৈরি করে জলোচ্ছাস। মূলত উচ্চচাপীয় অঞ্চল থেকে নিমঞ্চাপীয় অঞ্চলে বায়ু প্রবাহিত হয়।

যে এলাকায় বায়ুচাপ বেশি থাকে সে এলাকার বায়ুচাপ ক্রমান্বয়ে কম বায়ুর চাপ রয়েছে এমন এলাকার দিকে স্থানান্তরিত হতে থাকে। সাধারণত সূর্যের তাপ, পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং ভূমি প্রকৃতির কারণে বায়ু চাপের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার ও মূল কারণ হলো বায়ুপ্রবাহ। বায়ু প্রবাহ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

  • লঘুচাপ,
  • উচ্চচাপ।

লঘুচাপ মূলত সেখানেই সৃষ্টি হয় যেখানে বায়ু চাপ তুলনামূলক কম থাকে। আর বিপরীত ভাবে বলতে গেলে যেখানে বায়ু চাপ তুলনামূলক বেশি থাকে সেখানে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুলা হয়ে থাক যে বায়ু প্রবাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়ুপ্রবাহের ফলে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রার পরিবর্তন, বায়ুর আদ্রতা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ঝড় এবং মেঘ ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে থাকে।

২। তাপ

তাপ এক ধরনের শক্তি যা আমাদের শরীরে ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে। তাপগতিবিদ্যা অনুসারে যখন দুটি বস্তুর মধ্যে প্রথমটি থেকে দ্বিতীয়টিতে আরেকটিতে শক্তি স্থানান্তরিত হয় তখন প্রথমটি দ্বিতীয়টির চেয় বেশি গরম হয় । অন্যভাবে বলা যায়, তাপ হলো পদার্থের অণুগুলোর গতির সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন এক প্রকার শক্তি, যা কোনো বস্তু ঠান্ডা না গরম তার অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে। তাপগতিবিদ্যার তিনটি সূত্র রয়েছে ।

৩। চাপ

কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একক ক্ষেত্রফলের (এক বর্গমিটার) ওপর লম্বভাবে বায়ুমণ্ডল তার ওজনের কারনে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করে তাকেই ওই স্থানের বায়ুর চাপ বলে থাকে। বায়ুর চাপ দু-ধরনের নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ। বাতাস উত্তপ্ত হলে প্রসারিত ও হালকা হয়। বাতাসের ঘনত্ব ও ওজন কমে যায় এবং বায়ু কম চাপ দেয় একে বলে নিম্নচাপ। অন্যদিকে, তাপমাত্রা কমে গেলে বাতাস শীতল ও ভারী হয়, বাতাসের ঘনত্ব ও ওজন বেড়ে যায় এবং ভূপৃষ্ঠে বায়ু বেশি চাপ দেয় একে বলে উচ্চচ্চাপ।

আরো পড়ুনঃ-  এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ রুটিন - HSC Exam Routine 2024

আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বায়ুমণ্ডলীয় চাপ। যেকোনো সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর এ চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং ধীরে ধীরে তা কমতেও থাকে। বাতাসের এই চাপ পরিমাপের একক গুলো হল:

  • মিলিবার,
  • হেক্টোপাস্কাল,
  • ইঞ্চি পারদস্তম্ভ‌।

বায়ুর এই চাপ উচ্চ ও নিম্নচাপের অঞ্চলগুলোতে বায়ু প্রবাহ এর পার্থক্য সৃষ্টি করে। ফলে আবহাওয়া প্রাকৃতিকভাবেই পরিবর্তিত হয়। নিম্নচাপের অঞ্চল গুলোতে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণ হলো এখানে বায়ু উর্ধ্বমুখী হয়ে থাকে। এবং বাতাস শীতল হয়েও জলীয় বাষ্পে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি করে। উচ্চ ও নিম্নচাপের অঞ্চল গুলোতে তুলনামূলক ঝড় বৃষ্টি বেশি হয়ে থাকে। বায়ুর এর চাপের গতিকে প্যাসকেল এককে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

৪। বৃষ্টিপাত

বৃষ্টিপাত মূলত তাকেই বলা হয় যা স্বাভাবিকভাবে আকাশে ভেসে থাকা মেঘ ঘনীভূত হওয়ার পরে যে ফোঁটা ফোঁটা পানির আকারে মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। এই বৃষ্টিপাত কখনো কম হয়ে আবার কখনও বেশি এবং কখনও কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। বৃষ্টি একধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের দিকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। 

শুকনো বাতাসের মধ্য দিয়ে বৃষ্টি পড়ার সময় কিছু বৃষ্টির বিন্দু শুকিয়ে যায়। ভারগা নামে পরিচিত এই বৈশিষ্ট্যটি মূলত শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। বৃষ্টিপাত হলো আকাশ থেকে পানি পৃথিবীতে পড়ার একটি রূপ। বৃষ্টি, তুষার এবং শিলাবৃষ্টির মাধ্যমে আকাশ থেকে পানি পৃথিবীতে পতিত হয়। 

পানিচক্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো বৃষ্টিপাত। সমগ্র জীবজগতের জন্যও বৃষ্টিপাত অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টিপাত ছাড়াও শিলাবৃষ্টি এবং তুষার এর মাধ্যমে পানি আকাশ থেকে মাটিতে পতিত হয়। আকাশে জলকনা যখন অত্যাধিক পরিমাণে ঠান্ডা থাকে কখন তা বরফের কনায় পরিণত হয়। এই বরফের কটা গুলো পৃথিবীতে তুষার হিসেবে পতিত হয়।

পানি চক্রের ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের ভূমিকা হল বৃষ্টিপাত নদী, হ্রদ এবং মহাসাগরকে পূর্ণ করে। এতে করে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা পানিচক্রের জন্য দরকারি। এছাড়া মাটিতে আদ্রতা যোগানো, গাছের শিকড় পর্যন্ত পুষ্টি পৌঁছে দিতে বৃষ্টিপাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে, বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে এবং জীবজগতের জন্য পানি সরবরাহ করতে বৃষ্টিপাত সহায়তা করে থাকে। বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার জন্য রেইন গেজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রেইন গেজ সাধারণত সিলিন্ডার আকৃতির একটি যন্ত্র, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত কতটুকু হলো তা পরিমাপ করতে সক্ষম। বৃষ্টিপাত কয়েকটি কারণে হতে পারে, কারণগুলো হল:

  • ভৌগোলিক অবস্থান,
  • ঋতুগত কারণে,
  • বায়ু প্রবাহ।
আরো পড়ুনঃ-  মোবাইলে রেজাল্ট দেখার নিয়ম - পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম

৫। আর্দ্রতা

বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে বাতাসের আর্দ্রতা দ্বারা প্রকাশ করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে আর্দ্রতা বলতে আমরা আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে বুঝে থাকি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা হল কোন নির্দিষ্ট জায়গার বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্পের আংশিক চাপ ও ঐ তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্পের সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ। নির্দিষ্ট তাপে ও চাপে বাতাসে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তা সুনির্দিষ্ট। 

আর্দ্রতাকে পরম আর্দ্রতা ও নির্দিষ্ট আর্দ্রতাও বলা হয়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর্দ্রতা বেশি হলে গ্রীষ্মকালে বাইরে গেলে আমরা বেশি গরম অনুভব করি, কারণ তা ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপ বের করে দেবার প্রক্রিয়াটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাপ সূচক ছকে এই প্রভাব হিসাব করা হয়।

বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকলে তা ফসল উৎপাদনের জন্য উপকারী। কিন্তু বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় থাকলে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাতাসে আদ্রতা মাপার যন্ত্র হলো হাইগ্রোমিটার। বাতাসের আদ্রতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য হলো:

  • গ্রীষ্মকালে বাতাসের আদ্রতা বেশি হয়,
  • শীতকালে বাতাসের আদ্রতা কম হয়,
  • সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে,
  • মরুভূমি অঞ্চলে বাতাসের আদ্রতা তুলনামূলক কম।

আবহাওয়ার উপাদান সম্পর্কে শেষ মতামত

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু ছিল আবহাওয়ার উপাদান গুলো কি কি এ সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আবহাওয়ার পাঁচটি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আবহাওয়ার এই পাঁচটি উপাদান জীবজগৎ, অর্থনৈতিক জীবনধারা সহ প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন কারণে আবহাওয়া দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। 

যথাসাধ্য সচেতনতা অবলম্বন করে আবহাওয়ার এ পরিবর্তন রোধ করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। এই সম্পন্ন আর্টিকেলটিতে আবহাওয়ার উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আবহাওয়ার উপাদান নিয়ে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। কারন এগুলো কখন কিভাবে প্রয়োজন পড়বে তা আমরা কেউ জানি না। দিক বিবেচনা করেই যাচাইকৃত তথ্য দ্বারা এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আবহাওয়ার উপাদান সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনি আপনার সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও আবহাওয়ার উপাদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।

Leave a Comment