ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

ভাতের মাড় সাধারনত আমরা রান্নার পর ফেলে দিই। তবে ভাতের মাড়ের মধ্যে স্বাস্থ উপকারী গুন রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকের জানা নেই ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে। তবে স্বাস্থ উপকার পেতে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে।

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছারাও আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে যাবেন ভাতের মাড় খেলে কি হয়, ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম, ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক, ভাতের মাড় মুখ ও চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভাতের মাড় খেলে কি হয়

বাঙালিদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে ভাত। ভাত ছাড়া একটা দিন যেন তাদের চলে না। তবে ভাতের সাথে যে জিনিসটা জড়িত অর্থ্যাৎ ভাতের মাড়ের মধ্যে যে স্বাস্থ উপকারি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে তা আমরা জানি না অনেকেই। গবেষণা থেকে প্রমানিত ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে রোগমুক্ত থাকা যায়। ভাতের মাড়ের মধ্য থেকে ভিটামিন বি, ই এবং রয়েছে শর্করা, লৌহ, আমিষ, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাসসহ আরও বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। যার কারনে ভাতের মাড়ের উপকারিতা অবাক করার মতো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় খেলে কি হয়।

হজমের সমস্যা দূর করে: ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ নামে এক ধরনের ফাইবার। এ ফাইবার অন্ত্রের জন্য খুবই ভালো কাজ করে এবং হজমে সহায়তা করে থাকে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে: ছোট কিংবা বড়, ডায়রিয়ার সমস্যার শুরুতে খেতে দিন ভাতের মাড়। এটি খাওয়ার ফলে ডায়ারিয়া অতিরিক্ত পর্যায়ে যাবে না।

কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে: ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে বাওয়েংল মুভমেন্ট এর উন্নতি ঘটে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার উপশম হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ২ গ্লাস করে ভাতের মাড় খাওয়ার অভ্যাস করুন।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে: ভাতের মাড় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। ভাতের মাড়ের মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক কম থাকে যার ফলে এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ রোগিদের কোনো ক্ষতি হয় না।

এনার্জি বৃদ্ধি করে: শরীরের এনাজি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে ভাতের মাড়। ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যার ফলে ভাতের মাড় খেলে আমাদের শরীর এনার্জি পায়।

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের ওজন বয়সের তুলনায় অতিরিক্ত, আবার এমন অনেকেই আছেন যাদের ওজন তুলনামূলকভাবে কম। তবে বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন না হলে তা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই যাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে নেয় তারা খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে অনেক সচেতন থাকে। ভাতের মাড় পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে ওজন নিয়ে যারা চিন্তায় রয়েছেন তারা বুঝতে পারে না এটি খাদ্য তালিকায় রাখা যাবে কি না। তাই চলুন নিচের আলোচনা থেকে জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়।

আরো পড়ুনঃ-  বেলি ফুল কখন ফোটে - বেলি ফুলের উপকারিতা

ভাতের মাড় এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা পরিমিত সবাই খেতে পারবেন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম, যারা মোটা হতে চাইছেন তাদের জন্য ভাতের মাড় উপকারী। ভাতের মাড় শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। ফলে ভাতের মাড় খেলে মোটা হওয়া যায়। তাই যারা চিকন শরীর নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত ভাতের মাড় খাবেন।

তবে যাদের ওজন বেশি তারা কি মোটা হওয়ার ভয়ে মাড় খেতে পারবেন না? অবশ্যই মাড় খেতে পারবেন। কারণ ভাতের মাড়ে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। কিন্তু ভিটামিন ও খনিজ পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে। ফলে ভাতের মাড় খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হয় না বরং এতে দীর্ঘসময়ের জন্য পেট ভরা থাকে।

সুতরাং ভাতের মাড় খেলে মোটা হওয়া যায়। তবে ভাতের মাড়ে স্বাস্থ উপকার পেতে দৈনিক দুই গ্লাসের বেশি মাড় খাবেন না।

ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ভাতের মাড়। চালের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো পানিতে মিশে মাড়ে রুপান্তরিত হয়। মানবদেহের শারিরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে এ খাদ্যটি। শুধু শারিরিক উপকারিতায় নয়, চুল থেকে শুরু করে ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও মাড়ের ভূমিকা রয়েছে। তাই স্বাস্থ সচেতন মানুষেরা এ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে চায়। তবে ভাতের মাড় খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন কি? জেনে নিন ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

১. ভাত রান্না শেষে, পরিষ্কার পাত্রে ভাতের মাড় আলাদা করে খাবেন। এভাবে মাড় খাওয়া স্বাস্থের জন্য বেশি উপকার।

২. ভাতের মাড়ের সাথে লবণ অথবা লেবু মিশিয়ে খাবেন। এ নিয়মে মাড় খেলে ডায়ারিয়ার সমস্যায় অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়।

৩. যাদের স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা স্যুপ রান্নার কাজে ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। স্যুপ ঘন করার জন্য কর্নফ্লাওয়ারের জায়গায় ভাতের মাড় ব্যবহার করে খেতে পারেন।

প্রতিদিন মাড় খাওয়ার অভ্যাস করবেন। তবে মাড়ের স্বাস্থ উপকারিতা পেতে হলে দৈনিক দুই গ্লাসের বেশি মাড় খাবেন না। এর বেশি মাড় খেলে স্বাস্থের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক

ভাতের মাড়ের মধ্যে অসংখ্যা স্বাস্থ উপকারী পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে এটি পুষ্টিকর বলে যতটা খুশি খেতে পারেন না, পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। কারণ এ ভাতের মাড়ের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। ভাতের মাড় খাওয়ার আগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভাতের মাড়ের ক্ষতিরকর দিক:

  • অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়া ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে  সমস্যায় ভুগছেন তাদের অল্প পরিমাণে ভাতের মাড় খেতে হবে। অতিরিক্ত এটি খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল লেবেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, ফলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়।
  • ভাতের মাড় ডায়রিয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী হলেও, অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়া ডায়রিয়ার সমস্যা হওয়ার কারন হয়ে দাড়ায়। কারন ভাতের মাড়ের মধ্যে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, ফলে এটি অতিরিক্ত শরীরে গেলে ডায়ারিয়ার সমস্যা হয়।
  • অতিরিক্ত ভাতের মাড় খেলে শরীরের চর্বি বাড়ে। তাই যারা মেদ বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা সাবধানে ভাতের মাড় খাবেন।
আরো পড়ুনঃ-  হানি নাটস এর উপকারিতা - হানি নাট খাওয়ার নিয়ম

ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম

সুন্দর চুল আমাদের সবার প্রিয়। সুন্দর চুল পেতে আমরা কত কি নাই ব্যবহার করি। চুলের যত্নে ব্যবহার করি নানান প্রসাধনী। তবে সুন্দর চুল পেতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া একটি জিনিস যা পাবেন আপনার হাতের নাগালেই। আর তা হলো-ভাতের মাড়। ভাতের মাড় স্বাস্থের জন্য যেমন উপকারী তেমন চুলের স্বাস্থের জন্যও বেশ উপকারী। চুলের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে ভাতের মাড় কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

চুলের ডোগা ফাটা, চুল পড়া, রুক্ষ চুলের সমস্যাসহ আরও বেশ কিছু সমস্যা প্রতিরোধ করে চুলকে সুন্দর করতে সহায়তা করে থাকে ভাতের মাড়। তাই চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন মাড়। তবে চুলের স্বাস্থ ভালো রাখতে কোন নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহার করবেন জানেন কি? তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

চুলের যত্নে ভাতের মাড় লাগানোর নিয়ম:

১. ভাত রান্নার সময়, চাল ফুটে উঠলে সেখান থেকে শুধু মাড় আলাদা করে নিন। এরপর এটি স্প্রে বোতলের সাহায্যে অথবা সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। সেক্ষেত্রে চুল প্রথমে স্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। চুলে স্যাম্পু করা হয়ে গেলে স্প্রে বোতলে মাড় নিয়ে অথবা হাতে নিয়ে চুলে লাগান। এরপর হাত দিয়ে চুল ও চুলের গোড়ায় কিছুক্ষন ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ শেষে ২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন চুলের যত্নে এ নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে চুল লম্বা ও সুন্দর হয়।

২. চুলে স্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। এ নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহারে চুলের রুক্ষ ও শুষ্কভাব দূর হবে। ভিটামিন বি, সি ও ই এর অভাবে চুলে রুক্ষ ও শুষ্কভাব দেখা দেয়। আর এ ভিটামিনের চাহিদাগুলো পূরনে ভাতের মাড় সহায়তা করে থাকে।

৩. চুলের একটি পরিচিত সমস্যার নাম হলো খুশকি। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত ভাতের মাড়ের সাহায্যে চুল ধুবেন। এ নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।

আরো পড়ুনঃ-  চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়

৪. চুলের যত্ন নিতে ভাতের মাড়ের সাথে অ্যাভোকাডো মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। এ নিয়মে ভাতের মাড় নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে সুন্দর চুল পাবেন।

চুলের যত্নে নিঃসন্দেহে আপনি মাড় ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনো ধরনের প¦ার্শপ্রতিক্রিয়া নেয়। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ও অ্যামিনো এসিড আপনার চুলের স্বাস্থকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। তাই চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ভাতের মাড় ব্যবহার করুন।

ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম

মুখকে বলা হয়ে থাকে সৌন্দর্যের রাজধানী। মুখের সৌন্দর্য আমরা প্রত্যেকেই ধরে রাখতে চাই। তবে আমাদের সঠিক যত্নের অভাবে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। অনেক টাকাও খরচ করি। তবে ঘরোয়া উপায়ে মুখের ত্বকের যত্ন নিয়েও সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়। এজন্য রুপচর্চায় কার্যকারী একটি উপকারন হলো ভাতের মাড়। ভাতের মাড় মুখে লাগানোর আগে জানতে হবে এটি ব্যবহারের সঠিক ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় মুখের লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে।

১. গরম ভাতের মাড় নিন দুই চা চামচ। এরপর এরসাথে মিশিয়ে নিন ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল। এভাবে মিশ্রন তৈরি করে মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখবে এ ফেইস প্যাকটি।

২. আলুর রস আমরা রূপচর্চায় অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। আলুর রসের ফেইস প্যাক বানানোর সময় আলুর রসের সাথে মিশিয়ে নিন দুই টেবিল চামচ গরম ভাতের মাড় এবং তার সাথে বেসন। এরপর মুখে ব্যবহার করুন মুখের ত্বক ভালো থাকবে।

৩. ভাতের মাড়ের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ফেইস প্যাক বানিয়ে নিন। এরপর ফেইস প্যাকটি মুখে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। এ নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে মুখের দাগছোপ দূর হবে।

৪. ভাতের মাড় দুই টেবিল চামচ নিয়ে তার সাথে মিশান এক টেবিল চামচ মধু বা অ্যালোভেরা জেল। এভাবে মিশ্রন তৈরি করে মুখের ত্বকে কিছুক্ষন ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। ত্বকে মসৃনতা ও কোমল ভাব আসবে।

৫. দুই টেবিল চামচ ভাতের মাড় নিয়ে তার সাথে মিশিয়ে নিন পরিমাণমতো বেসন। এভাবে ফেইস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন, এ নিয়মে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে রোদের পোড়ভাব ত্বক থেকে দূর হবে।

ত্বকের যত্ন নিতে ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে এ নিয়মগুলো ফলো করে ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের জেল্লা স্থায়ী হবে।

পরিশেষে বলতে চাই, ভাতের মাড়ের মধ্যে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আর এটি আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই হয়ে থাকে। তাই এ ঘরোয়া উপকরনটি শরীর স্বাস্থ ও ত্বকের উপকারের জন্য পরিমিত ব্যবহার করুন।

Leave a Comment