তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে ঔষধি গুনাগুন। তুলসি পাতার মধ্যে থাকা গুনাগুন মানবশরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে এ পাতা আমরা চিনে থাকলেও জানি না এ পাতার সঠিক উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপবি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়তে হবে। তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতাসহ আরও জানতে পারবেন তুলসি পাতার ব্যবহার, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, কাশির জন্য ও শিশুদের জন্য তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত শুরু করা যাক।

তুলসি পাতার ব্যবহার

তুলসি পাতা সাধারনত আমরা মনে করি এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্যেই গুরুত্বপূর্ন। তবে এটি শুধু তাদের জন্যও নয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তুলসি পাতার ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ন। এ পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, এ’, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়ম এবং বিটা ক্যারোটিনসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে বিভিন্ন রোগ নিরাময় ও রূপচর্চায় দারুন উপকারী তুলসি পাতা। চলুন জেনে নিই তুলসি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

রোগ নিরাময়ে তুলসি পাতার ব্যবহার: তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যার ফলে এ পাতা ছোট ও বড় সব ধরনের শারিরিক রোগ নিরাময় এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। এ পাতা মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ যেমন-ফুসফুসের দুর্বলতা, সর্দিজ¦র, অ্যাজমা, চর্মোরোগ, কাশি, কৃমি, কানব্যাথা, আমাশয়, পেটের সমস্যা, ইত্যাদি রোগের ঔষধ তৈরিতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। এছারাও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁতের সমস্যা, চোখের সমস্যা, হার্ট, লিভার, কিডনিসহ আরও অসংখ্যা শারিরিক সমস্যা প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে।

রূপচর্চায় তুলসি পাতার ব্যবহার: তুলসি পাতা শুধু রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে তা নয়। এ পাতা রূপচর্চার জন্যও দারুন উপকারী। তুলসি পাতার ফেইস প্যাক ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুন্দর ত্বক পেতে সহজেই ভরসা করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান তুলসি পাতার উপর। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দাগ ছোপ, ব্রন কমিয়ে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় এ পাতা। তাই সপ্তাহে দুইদিন তুলসি পাতার সাথে মুখের ত্বকে ব্যবহৃত অনান্য উপাদান যেমন- মধু, নিমপাতা, চন্দন বাটা, ডিমের সাদা অংশ, টক দই প্রভৃতি মিশিয়ে ফেইসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগান।

তবে যাদের ত্বকে সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর তুলসি পাতা ব্যবহার করবেন।

চুলের যত্নে তুলসি পাতার ব্যবহার: চুল ও চুলের ত্বকের স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী তুলসি পাতা। তুলসি পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। যার ফলে এ পাতা ব্যবহার করলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং চুল সুন্দর হয়। তাই সুন্দর চুল পেতে শুধু তুলসি পাতা ব্লেন্ড করে বা তুলসি পাতাকে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে বিভিন্ন তেলের সাথে মিশিয়ে কিংবা চুলে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুনঃ-  ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় বিস্তারিত জানুন

রান্নায় তুলসি পাতার ব্যবহার: বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন তুলসি পাতা। এতে তুলসির নির্যাস শরীরে গিয়ে স্বাস্থ ভালো রাখে। তুলসি পাতা স্যালাড বানিয়েও খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১৫ টি মতো তুলসি পাতা, একটি লেবু, এক চা চামচ অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম টুকরো পনির, স্বাদমতো লবন ও মরিচ একসাথে মিশিয়ে বানিয়ে নিন তুলসি পাতা স্যালাড। এভাবে তুলসি পাতা ব্যবহার করলেও স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যায়।

তুলসি পাতার উপকারিতা

আয়ুর্বেদিক ভেষজ একটি উদ্ভিদ হলো তুলসি। এ গাছের পাতা, বীজ, শেকড় ও বাকল সবই আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। তুলসি গাছের পাতা খুবই উপকারী একটি পাতা তা আমরা অনেকেই জানি। তবে তুলসি পাতা খেলে বা ব্যবহার করলে কি কি স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যায় তা আমরা সঠিকভাবে জানি না অনেকেই। তো আসুন বিস্তারিত জেনে নিই তুলসি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

ওজন কমায়: তুলসি পাতা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তুলসি পাতা খেলে রক্তের কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে। ফলে তুলসি পাতা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তুলসি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইমিউনোনডুলেটরি বৈশিষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচাতে নিয়মিত তুলসি পাতা খাবেন।

হজম শক্তি বাড়ায়: হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তুলসি গাছের পাতা। প্রতিদিন যদি আপনি তুলসি পাতা রস করে খান তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে। এ পাতার মধ্যে থাকে হজমকারী এনজাইম, ফলে এটি খেলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে এবং অস্বস্তি কমে।

চোখের স্বাস্থ ভালো থাকে: তুলসি পাতার ভিতরে রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আমাদের চোখের স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী। তাই চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করতে বা চোখের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তুলসি পাতার রস করে নিয়মিত খাবেন।

দাঁতের স্বাস্থ ভালো রাখে: দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে তুলসি পাতা। তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দাঁতকে বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে এবং দাঁত হয় শক্ত ও মজবুত।

পেট পরিষ্কার করে: পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে থাকে তুলসি পাতা। শুধু পেট পরিষ্কার নয়, পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকারী ভূমিকা রাখে তুলসি পাতা। পেটের সমস্যা সমাধানের জন্য তুলসি পাতা পানিতে দিয়ে, সে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে খাবেন।

গলা ব্যাথার সমস্যা দূর করে: গলা ব্যাথার সমস্যা সমাধানে তুলসি পাতা খুবই উপকারী। গলা ব্যাথার সমস্যা দেখা দিলে কয়েকটি তুলসি পাতা পানির মধ্যে দিয়ে সে পানি ফুটিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যাথার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস দূরে রাখে: ইনসুলিন উৎপাদনে কাজ করে থাকে তুলসি পাতা, যা ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য দারুন উপকারী। তাই প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসি পাতা খাবেন, সুগারের মাত্রা কমে যাবে।

মুখের ব্রন কমায়: ব্রনের সমস্যায় প্রায় আমাদের পড়তে হয়। আর এ সমস্যা সহজেই দূর করতে পারে তুলসি পাতা। ব্রন দূর করতে তুলসি পাতা ব্লেন্ড করে তার সাথে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগাবেন।

উপরের বলা উপকারিতাগুলো ছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন নিয়ম করে তুলসি পাতা খান।

আরো পড়ুনঃ-  আঁচিল চেনার উপায় - আঁচিল দূর করার উপায়

তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসি পাতার উপকারীতা সম্পর্কে নিশ্চয় আমরা জেনে গেছি। তাই স্বাস্থ সুরক্ষায় আমরা রোজ খাবো তুলসি পাতা। তবে তুলসি পাতা খাওয়ার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে কোন নিয়মে তুলসি পাতা খেলে স্বাস্থ উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম:

  • ২ টি তুলসি পাতা নিন এরপর তার সাথে নিন ২ টেবিল চামচ মধু, আধা চিমটি লং পেপার, অল্প করে গোলমরিচ গুড়ো এবং আধা চিমটি হলুদের গুড়ো। এসবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে রস বের করে নিন। এরপর সে রস ৫ মি.লি করে দিনে ৩ বার খাবেন। এ নিয়মে তুলসি পাতা খেলে সর্দি, কাশি, হজমের সমস্যায় উপকার পাবেন।
  • তুলসি পাতার সাথে আদা নিয়ে পেস্ট বানিয়ে দিনে দুইবার খান। মুখের স্বাস্থ ভালো থাকবে, শ্বাসকষ্ট ও দুশ্চিন্তা দূর হবে।
  • প্রতিদিন সকালে শুধু কয়েকটি তুলসি পাতা (৩-৪) চিবিয়ে খান। এ নিয়মে তুলসি পাতা খেলে পেটের সমস্যা, হার্টের সমস্যা, হাই সুগার, ওজন কমাসহ বিভিন্ন রোগ নিপাত যাবে।
  • এক মুঠো তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে পানিতে সিদ্ধ করতে দিন। ১৫ মিনিট মতো পাতাগুলো সিদ্ধ করুন। এরপর পানিটুকু ছেঁকে খেয়ে নিন। এছারাও রাতে তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সে পানিটুকু খাবেন। এভাবে তুলসি পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • তুলসি পাতার সাথে এলাচ মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে সে পানি পান করলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তুলসি পাতার সঠিক উপকার পেতে উপরের নিয়মগুলো ফলো করে খাবেন।

কাশির জন্য তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসি পাতার ঔষধিগুনের কথা প্রায় আমরা জানি। তুলসি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট মানবশরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। ছোট কিংবা বড় সবার কাশির জন্য উপকারী তুলসি পাতা। তুলসি পাতাকে কাশির মহৌষধ বলে থাকেন বিষেজ্ঞরা। গবেষনা থেকেও প্রমানিত ওষুধের চেয়েও অনেক কার্যকারী তুলসি পাতা।

কাশির জন্য তুলসি পাতার উপকারীতা অনেকেই জানি। তবে জানেন কি কাশির জন্য তুলসি পাতা কিভাবে খেতে হবে? কাশির সমস্যায় সঠিক উপকার পেতে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত তুলসি পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কাশির জন্য তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম কি।

১. এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিন কয়েকটি তুলসি পাতা ও ১ টুকরো আদা। এবার পানিটুকু ভালোভাবে ফুটান, এমনভাবে ফুটাবেন যাতে পানি অর্ধেক হয়ে আসে। এরপর এ পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত এ নিয়মে তুলসি পাতা খেলে শুষ্ক কাশি সমস্যার সমাধান হবে।

২. এক গ্লাস পানির মধ্যে তুলসি পাতা, চা পাতা ও আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর এরসাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন। এ নিয়মে তুলসি পাতা খেলে কাশির সমস্যায় অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়।

৩. কাশির সমস্যায় তুলসি পাতা থেঁতো করে এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খান। এ নিয়মে তুলসি পাতা খেলে কাশির সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন।

আরো পড়ুনঃ-  প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা

নিয়মিত তুলসি পাতা এ নিয়মগুলো ফলো করে খাবেন। সর্দি-কাশির সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে পারবেন।

শিশুদের তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রায় তাদের অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় তাদের বেশি পড়তে দেখা যায়। তাই এসব সমস্যা সমাধানে শিশুদের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার বেছে নিতে পারেন তুলসি পাতা। তুলসি পাতা ঠান্ডাজনিত সমস্যার মহৌষধ। তবে শুধু ঠান্ডার সমস্যায় নয়, তুলসি পাতা শিশুদের আরও বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারে আসে। শীতকালে শিশুদের বাড়ে বিভিন্ন ধরনের শারিরিক জটিলতা। আর এ সময় শিশুদের স্বাস্থের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে পারেন তুলসি পাতা। তবে শিশুদের কোন নিয়মে তুলসি পাতা খাওয়াবেন জানেন কি? তুলসি পাতার সঠিক কার্যকারিতা পেতে জেনে নিন শিশুদের তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

১. তুলসি পাতা রস করে তার সাথে মধু মিশিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়ান। গলার বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে এ নিয়মে তুলসি পাতা খাওয়ার ফলে।

২. তুলসি পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে ঘি এর সাথে মিশিয়ে রুটি দিয়ে খাওয়াবেন।

৩. তুলসি পাতা ও আদা একসাথে ব্লেন্ড করে দিনে দুই থেকে তিনবার আপনার শিশুকে খাওয়ান।

৪. তুলসি পাতার শরবত বানিয়েও আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি পানিতে কয়েকটি তুলসি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ভালো করে ফুটানো হয়ে গেলে পানিটুকু ছেঁকে তার সাথে মিশান লেবু ও মধু। এভাবে শরবত বানিয়ে প্রতিদিন আপনার শিশুকে খাওয়াবেন।

এ নিয়মগুলো ফলো করে প্রতিদিন আপনার শিশুকে তুলসি পাতা খাওয়াবেন। আপনার শিশুকে ঠান্ডাজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ থেকে সমাধান দিতে পারবেন

তুলসি পাতার ক্ষতিকর দিক

তুলসি পাতার স্বাস্থ উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন রোগে এ পাতার ব্যবহারে দুর্দান্ত ফলাফল পাওয়া যায়। তবে এ পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারে মারাতœক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই তুলসি পাতার সঠিক উপকার পেতে আমাদের জানা জরুরি তুলসি পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নিন তুলসি পাতার ক্ষতিকর দিক কোনগুলো-

  • দাঁতের জন্য তুলসি পাতা উপকারি হলেও, অতিরিক্ত ব্যবহারে দাঁত ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায় তুলসি পাতা। তুলসি পাতায় রয়েছে পারদ ও আয়রন যার কারনে অতিরিক্ত সেবন করলে দাঁতের ক্ষতি হয়।
  • যারা হার্টের সমস্যায় রক্ত পাতলা করার ঔষধ সেবন করছেন তারা তুলসি পাতা সেবনে সচেতন থাকবেন।
  • তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম। যার ফলে অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে রক্তচাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যারা নি¤œ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন তারা তুলসি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • তুলসি পাতা খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেয়। তবে অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে তা বন্ধাত্বের কারণ হতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে প্রতিরোধ করা যায় এবং রোগের সমাধান করা যায়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে তুলসি পাতা চিবিয়ে আপনি নিজে খান এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাদেরও নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিন।

Leave a Comment