সম্মানিত ভাই ও বোনেরা আপনারা কি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা লাগবে তা জানতে একেবারে বিস্তারিভাবে তথ্য জানতে একদম সঠিক স্থানেই প্রবেশ করেছেন। কারণ আপনাদের কাঙ্খিত তথ্য মানে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্যই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
তো আপনি যদি আজকের সম্পন্ন আর্টিকেল জুড়ে থাকেন, তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে তা জেনে নেয়ার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা এবং স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
উপস্থাপনা
শুধুমাত্র যেকোনো ধরনের মোটর গাড়ির চালানোর স্বীকৃতি স্বরূপ অনুমতিপত্র নয়, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্যকলাপে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি অপরিহার্য নথি।
সুতরাং আপনি যদি এই দেশের যেকোনো স্থানে গাড়ি চালাতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে বৈধতার জন্য আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোন বিকল্প নেই। আসুন, প্রথম স্টেপে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা হিসেবে আপনার কি কি থাকতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা
আপনারা অনেকেই হয়তো ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য নুন্যতম কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে সেই বিষয়ে সঠিক ধারনা নেই। তো আপনি যদি তাদের দলের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের ব্লগ পোষ্টের এই অংশ টুকু একটু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন। আশা করছি এই অংশ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নূন্যতম ৮ম শ্রেণি পাস করতে হবে।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে আপনার বয়স নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে আপনার বয়স নূন্যতম ২১ বছর হতে হবে।
- এছাড়াও আপনাকে অবশ্যই মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকতে হবে।
এগুলোই মূলত ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা। তো আশা করছি আপনারা যদি এই অংশটুকু মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে হয়তো এতক্ষণে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আপনার নুন্যতম কি কি যোগ্যতা থাকা দরকার তা জানতে পেরেছেন।
এবার আসুন, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে বা বাংলাদেশে আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার যা যা কাগজপত্র যোগাড় করতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
এবার চলুন জেনে নিই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে। যেই কাগজপত্র গুলো নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন কোন কাগজপত্র গুলো নিয়ে যাবার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন।
- পরীক্ষার উপস্থিত হওয়ার সময় লেখার জন্য কালো কলম সহ নিম্নোক্ত কাগজপত্রাদি পরিদর্শককে পরিদর্শনের জন্য সাথে রাখতে হবে।
- লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স। অথবা আপনি যেটি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রেখেছেন সেই লার্নার ফরমটিকে বোঝানো হয়েছে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর যেটা দিয়ে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন সেটার কথা বলা হয়েছে।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট এর মূল কপি যে মেডিকেল সার্টিফিকেট অথবা এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষরকৃত মেডিকেল সার্টিফিকেট এর কথা বলা হয়েছে।
- তারপর আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
- এরপর আপনি ইউটিলিটি বিল দিয়ে অনলাইনে আবেদন করবেন সেই বিলের সত্যায়িত ফটোকপি অথবা মূল কপি লাগবে তবে একটা ফটোকপির সাথে মূল কপিটা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- এবং আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য অনলাইনে যেই টাকা পেমেন্ট করেছেন সেই মানি রিসিভটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে কি ধরনের পরীক্ষা হয় এবং কত মার্কের পরীক্ষা হয়। আপনার যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষাটি হবে সেটি মূলত ২০ মার্কের এর মধ্যে ১২ মার্ক পেলে আপনি পাস করবেন। এবং যে ধরনের প্রশ্ন হয় আপনি বিআরটিসি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ট্রাফিক চিহ্ন এবং ড্রাইভিং টেস্ট নির্দেশিকা এর মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন।
বেসিক্যালি ভাইবার পরীক্ষাগুলো আপনাকে ট্রাফিক সম্পর্কিত সমস্ত চিহ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে। এবং শেষ পরীক্ষাটি হচ্ছে প্রাকটিক্যাল যে পরীক্ষাটি হচ্ছে আপনাকে গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে যে আদৌ আপনি গাড়ি চালাতে পারেন কিনা তাদের সেটি দেখাতে হবে।
এরপর আপনি যদি সকল পরিক্ষায় সঠিক পাশ করতে পারেন তাহলে আপনাকে পরের ধাপ অবলম্বন করতে হবে। আর এক্ষেত্রে পরের ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে বি আর টি অফিস থেকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে সেই ফর্মটি পূরণ করার মাধ্যমে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডটি পেয়ে যাবেন। ফর্মটি পূরণ করার পর এবং আপনি ফর্মটি জমা দেয়ার পর আপনাকে একটি সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মাধ্যমে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন।
তবে সেই সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্সটির মেয়াদ আছে যে মেয়াদটি উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে বি আর টি অফিসে গিয়ে টাকা দিয়ে মেয়াদ বাড়ি নিতে হবে। এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের সময়ে আপনি যেই মোবাইল নাম্বার বা কন্ট্যাক্ট নামাব্র প্রদান করেছিলেন সেই নাম্বারে মেসেজ দিয়ে আপনার আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য জানিয়ে দেয়া হবে। এবং সেদিন আপনার চোখের ছাপ বা পুরো ফেইস এর ছবি নেওয়া হবে। এগুলো সমস্ত ধাপ সম্পন্ন করার পরে আপনাকে আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেয়া হবে।
এ সমস্ত প্রসেস গুলো আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমেই বিআরটি অফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। এভাবেই আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে পারবেন। আশা করি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে তো আপনি যদি তাদের দলের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের ব্লগ পোষ্টের এই অংশ টুকু একটু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা লাগবে তা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ
- প্রথমে আপনাকে নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে।
- রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার কতৃক মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
- সদ্যতোলা এককপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ। এগুলোই স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ বা নথিপত্রই
ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমরা ইতিমধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আপনার যা যা লাগবে তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে লেখা এই পোষ্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এই সম্পর্কে কোন মতামত কিংবা মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে যেকোন সময় কমেন্ট করে জানাবেন।
আর আপনি যদি মনে করেন যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে সেটা আমার বন্ধুদের জানানোর দরকার তাহলে শেয়ার করে তাকেও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। এজন্য আমাদের পোষ্টের শেষে শেয়ার অপশনে গিয়ে এই পোষ্টটি শেয়ার করতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে নিয়ে বিস্তারিত অনেক তথ্য আলোচনা করলাম। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।