বর্তমানে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্মগুলো করতে ব্যাংকের সহযোগিতা নিতে হয়। কিংবা আমাদের আমানতকৃত টাকা নিরাপদভাবে রাখতে পারি ব্যাংকে। তাই প্রত্যেকের, যাদের বয়স ১৮ এর উপরে তাদের একটি করে ব্যাংক একাউন্ট থাকা প্রয়োজন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইছেন, কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট খোলা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের আর্টিকেল। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মানুষ টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখে, অর্থের আদান প্রদান করে, ঋন গ্রহন করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে সেই প্রতিষ্ঠান হলো ব্যাংক। ব্যাংককে বলা হয় থাকে অর্থের ধারক। অনেক সময় আমাদের হাতে টাকা থাকলে সেটা চুরির ভয় থাকে, তাই ব্যাংকে টাকা রাখলে সে ভয় আর থাকবেনা। আমাদের টাকা আমানত হিসেবে ব্যাংকে রাখা সম্পূর্ন নিরাপদ। এছারাও ব্যাংক থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
ব্যাক্তিগত বিভিন্ন কারনে ব্যাংক আমাদের যেকোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে আমাদের প্রত্যেকের একটি করে ব্যাংক একাউন্ট থাকা অপরিহার্য। তবে ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলবেন অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। তাই চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
ব্যাংক একাউন্ট খোলা কঠিন কিছু নয়, ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে সহজেই খুলে নিতে পারবেন যেকোনো ব্যাংকে একাউন্ট। শুধু যে ব্যাংকে আপনি যে ধরনের একাউন্ট খুলতে চান সে অনুযায়ী নির্ধারিত কিছু ডকুমেন্টস আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। যেকেনো ব্যাংকে যদি আপনি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ফরম পূরণ করতে হবে। দুই ধরনের ব্যংক ফরম আপনি বাংলাদেশে পাবেন।
ব্যক্তিগত একাউন্ট ফরম: ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যদি আপনি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে ব্যাক্তি একাউন্ট ফরম আপনাকে ব্যাংক থেকে নিতে হবে এবং সেটা পূরন করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানিক একাউন্ট ফরম: কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইলে আপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্ট ফরম ব্যাংক থেকে নিতে হবে।
ব্যাংক থেকে ফরম নেওয়ার আগে আরেকটা বিষয় আপনি ভেবে নিবে যে কি প্রকারের ব্যাংক একাউন্ট আপনি খুলতে চান। কারন ব্যংক একাউন্ট আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন: ক্যারেন্ট একাউন্ট, সেভিংস একাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট, রিকারিং ডিপোজিট একাউন্ট প্রভৃতি একাউন্ট আপনি যেকোনো ব্যাংকে পাবেন। এগুলোর মধ্যে যেকোনো একাউন্ট আপনি বাছাই করে নিবেন এবং সে অনুযায়ী ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে, যে ব্যাংকে আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান সে ব্যাংকের নিকটস্থ কোনো একটি শাখায় গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে দেখা করুন। ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে দেখা করে ফরম সংগ্রহ করে, সেটা পূরণ করে জমা দিয়ে দিন। এছারাও কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করুন। তারাই বলে দেবে আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে।
এভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় গিয়ে সহজেই খুলে নিতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন। তবে কোনো ব্যাংকের একাউন্ট আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও খুলতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
যেকোনো ধরনের ব্যাংক একাউন্ট যদি আপনি খুলতে চান, তাহলে কিছু ডকুমেন্টস আপনার থেকে ব্যাংক সংগ্রহ করে থাকে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার যদি সিধান্ত আপনি নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জেনে নিতে হবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে। বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যে ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো অনেক সময় ব্যাংকভেদে কিছু আলাদা হতে পারে। আর আপনি কি ধরনের একাউন্ট খুলতে চাইছেন তার ওপর কয়েকটি তথ্য আলাদা হয়ে থাকে। তবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাধারণত যা লাগে জেনে নিন-
- আপনি যেকোনো ব্যাংক থেকে একাউন্ট খুলোন না কেন, আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্ট যিনি খুলবেন তার বয়স ১৮ বছরের উপরে হতে হবে।
- পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।
- যেকোনো ধরনের ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট সাইজেই সদ্যতোলা রঙিন ছবি লাগবে। তবে কয় কপি লাগবে সেটা ব্যাংক ভেদে আলাদা হতে পারে।
- যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট খুলতে একজনকে নমিনি করতে হবে। সেক্ষেত্রে নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ড জমা দেওয়া লাগবে।
- কিছু কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে আপনার বাড়ির কারেন্ট বিল অথবা গ্যাস বিলের কপি দিতে হতে পারে।
- যিনি একাউন্ট তৈরি করবেন তার যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পাসপোর্টের কপি লাগবে।
- কোনো ব্যবসায়ী যদি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চায় তাহলে ট্রেড লাইসেন্স তার ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে, যে ব্যাংকে আপনি একাউন্ট খুলতে চান সে ব্যাংক থেকে ফরম সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে তা পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাধারণত উপরের যে তথ্যগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে, সেগুলো লাগে। তবে আপনি নিশ্চিত হতে যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইছেন সে ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে দেখা করে নিলে বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদনপত্র
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কিভাবে আবেদন পত্র লিখতে হয় অনেকের বিষয়টি জানা নেই। তবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে কোন নিয়মে আবেদনপত্র লিখে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়। জেনে নিন ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কিভাবে আবেদনপত্র লিখতে হয়।
তারিখ:
ব্যাংকের শাখার নাম:
ব্যাংখের শাখার ঠিকানা:
বিষয়: ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি (নাম)। আমি আপনার ব্যাংকে আমার নামে একটি ( যে ধরনের একাউন্ট খুলতে চান তার নাম) ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চায়। সেই ব্যাংক একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আমি যেন আপনার ব্যাংকের সকল ধরনে সুযোগ সুবিধা পেতে পারি। আপনার ব্যাংকে আমার একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলো আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করেছি।
অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার ব্যাংকে আমার ব্যাংক একাউন্ট যদি আপনি খুলে দেন তাহলে আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ধন্যবাদ
প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট
প্রতিষ্ঠানের নামে কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় অনেকেই বিষয়টি জানেন না। তাই যারা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইছেন নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট আপনি খুলতে পারবেন। দুই ধরনের ব্যাংক ফরম বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে পাওয়া যায়। একটি ব্যাক্তিগত অন্যটি প্রাতিষ্ঠানিক। এ দুই ধরনের ব্যাংক ফরম পূরনের মাধ্যমে অনেক প্রকারের ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়। প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট যদি আপনি খুলতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক ফরম আপনাকে পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের নামে যে ব্যাংক একাউন্ট আপনি খুলতে চান সেটিকে ব্যাংকিং ভাষায় কারেন্ট একাউন্ট বলা হয়। প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে জেনে নিন-
- প্রতিষ্ঠানের নামে যদি আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে প্রথমে আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় না।
- প্রতিষ্ঠানের মালিকের ভোটার আইডি কার্ডের কপি নিতে হবে।
- মালিকের ই-টিন সার্টিফিকেটের কপি লাগবে।
- প্রতিষ্ঠানের মালিকের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে।
উপরের বলা এ ৪ ধরনের ডকুমেন্টস যদি আপনার থেকে থাকে তাহলেই খুব সহজেই খুলে নিতে পারবেন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট। এ ডকুমেন্টসগুলো সাথে নিয়ে আপনি যে ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট খুলতে চান সে ব্যাংকের নিকটস্থ কোনো একটি শাখায় গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করুন তাহলেই খুলে নিতে পারবেন ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট।
প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত লেনদেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে রাখা। তাই প্রতিষ্ঠানের নামে যারা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইছেন তারা সঠিক সিধান্ত নিয়েছেন।
মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসেই আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন? শুধু জানতে হবে মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে আপনিও ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
ব্যাংকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় না থাকলে, ঘরে বসেই খুলে নিতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। বর্তমানের অনেক ব্যাংক মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে একাইন্ট খোলার সুযোগ দিচ্ছে। তবে সব ব্যাংকে মোবাইল দিয়ে একাউন্ট আপনি খুলতে পারবেন না। অনলাইনে আপনি যেসব ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে পারবেন সেগুলো হলো-
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লি:
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি:
- সোনালী ব্যাংক লি:
- ব্যাংক এশিয়া লি:
- মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি:
- আইএফআইসি ব্যাংক লি:
- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি:
- ন্যাশনাল ব্যাংক লি:
- প্রাইম ব্যাংক লি:
- ইউসিবি ব্যাংক লি:
- দ্য সিটি ব্যাংক লি:
- মিউল্যান্ড ব্যাংক লি:
এসব ব্যাংকের একাউন্ট মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই খুলে নিতে পারবেন। তবে এ সকল ব্যাংকের অনলাইনের মাধ্যমে একাউন্ট খোলার পদ্ধতি আলাদা হয়ে থাকে। কারণ প্রত্যেক ব্যাংকের অনলাইলন ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার আলাদা।
তাই যে ব্যাংকের আপনি একাউন্ট খুলতে চান সে ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা আ্যপে প্রবেশ করবেন। এরপর সেখানে প্রবেশ করে যেখানে যা তথ্য চাইবে, সেগুলো দিয়ে সাবমিট করতে হবে।
প্রত্যেক ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার পদ্ধতি ভিন্ন। তাই একটি ব্যাংকের একাউন্ট মোবাইল দিয়ে কিভাবে খুলবেন উদাহরণ স্বরূপ দেখে নিন। ইসলামি ব্যাংক একটি জনপ্রিয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠান। তাই ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল দিয়ে কিভাবে খুলবেন জেনে নিন।
ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল দিয়ে খোলার নিয়ম
প্রথম ধাপ: ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট যদি মোবাইল দিয়ে খুলতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার ফোনে প্লে স্টোর থেকে সেলফিন অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন। ইনস্টল করার পর, সেলফিন অ্যাকাউন্ট আগে খুলে নিন। সেলফিন একাউন্ট খুলতে আপনার সচল ফোন নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে। যেভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলেন অনেকটা সেরকম করে সেলফিন একাউন্ট খুলতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: সেলফিল একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে, সেলফিন অ্যাপ লগিন করুন। সেলফিন আ্যাপ লগিন হলে মেনু সেকশনে Open A/C অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। এরপর সেলফিন অ্যাপের পিন নাম্বার দিতে হবে তাহলে ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফর্ম দেখতে পাবেন।
তৃত্বীয় ধাপ: ব্যাংক একাউন্ট যার নামে খুলবেন তার ব্যাক্তিগত তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরন করতে হবে এবং নমিনির তথ্য পূরণ করা লাগবে। এরপর পরবর্তীতে কি করতে হবে নিজ থেকেই বুঝে যাবেন, এবং সে অনুযায়ী নির্দেশগুলি অনুসরণ করবেন। তাহলেই আপনার ফোনে Successfully Open Banck Account লেখাটি ভেসে উঠবে। এর মানে আপনি ব্যাংক একাউন্টটি খুলতে সফল হয়েছেন।
উপরের বলা ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়ায় মোবাইল ফোন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন খুব সহজেই। তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন দিয়ে একাউন্ট আপনি যেকোনো সময়, সময় ও অর্থ কম দিয়ে সহজেই ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।